গদাধর পণ্ডিত জগন্নাথপুরীতে ক্ষেত্র সন্ন্যাস ব্রত গ্রহণ করেছিলেন। তিনি টোটা গোপীনাথের সেবা করতেন। এই বিগ্রহটি খুবই সুন্দর ছিল, ঠিক যেন বৃন্দাবনের কৃষ্ণ। মহাপ্রভু এ বিগ্রহকে আলিঙ্গন করতেন। একদিন নিত্যান্দন প্রভু বঙ্গদেশ থেকে শালি ধানের চাল নিয়ে এলেন। গদাধর বললেন, ‘তুমি কি এগুলো বৈকুণ্ঠ থেকে আমার গোপীনাথের জন্য নিয়ে এসেছ? তোমাকে এখানে থাকতেই হবে, গোপীনাথের প্রসাদ না পেয়ে যেতে পারবে না। গদাধর গোপীনাথের জন্য অন্ন, ডাল, কচি শাক-পাতা আর কিছু তেঁতুল পাতা দিয়ে ভোগ প্রস্তুত করলেন। তেঁতুল পাতা রান্না করা খুব সহজ নয়, এর জন্য খুবই দক্ষ রাঁধুনি হওয়া চাই। গদাধরের রান্না ছিল অসাধারণ। গদাধর নিত্যানন্দের আলিঙ্গন করলেন। তিনি একটি ব্রত গ্রহণ করেছিলেন- যে নিত্যানন্দের নিন্দা করত, গদাধর তার মুখ দর্শন করতেন না। যে নিত্যানন্দের পছন্দ করত না, গদাধর তার সঙ্গ করতেন না। তিনি নিতাইকে খুবই ভালবাসতেন।
আসলে গদাধর ছিলেন স্বয়ং রাধারানী। তিনি গৌরলীলায় গদাধররূপে এসেছেন। বৈদিক প্রথা অনুযায়ী, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী বড় ভাইয়ের সঙ্গে মেশেন না। কিন্তু রাধারানী গদাধররূপে আসায় বলরামের সঙ্গে সেই সম্পর্ক এখানে ছিল না। সে সুযোগ গদাধর স্বাভাবিকভাবেই নিত্যানন্দের সঙ্গে মিশতেন। তাঁরা কৃষ্ণ কৃষ্ণ বলে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ক্রন্দন করতে লাগলেন। এটি ছিল খুবই দুর্লভ মুহুর্ত। তখন হঠাৎ মহাপ্রভু সেখানে আবির্ভূত হলেন। তিনি বললেন, ‘এই মহাভোজে আমি নিমন্ত্রণ পেলাম না কেন? তোমার আমায় নিমন্ত্রণ না করলে কি হবে, আমি জোর করে হলেও প্রসাদ পাব। তোমার আমাকে এই কৃপা থেকে বঞ্চিত করতে পার না। প্রসাদটুকু সমান তিন ভাগে ভাগ কর। আমি তোমাদের সঙ্গে প্রসাদ গ্রহণ করতে চাই। তখন মহাপ্রভু, নিত্যানন্দ আর গদাধর তিন জনে মিলে গোপীনাথের প্রসাদ গ্রহণ করলেন। এই লীলাটি খুবই অসাধারণ। শ্রীচৈতন্যদেব গদাধরের প্রশংসা করতে লাগলেন, ‘তোমার রান্নার তুলনা হয় না। তেঁতুল পাতা কে রান্না করতে পারে; আমি জানি না তুমি কে, কিন্তু তুমি যাই রান্না কর অমৃতের মতো লাগে।
চৈতন্যলীলায় গদাধর স্বয়ং রাধারানী, তাই তিনি যে রান্নায় খুব পারদর্শী হবেন, তাতে আর সন্দেহ কী; কেউ যদি পরম কৃপাময় শ্রীচৈতন্য, নিত্যানন্দ ও গদাধরের একত্রে প্রসাদ গ্রহণ লীলা শ্রবণ করেন, যদি তাদের মধ্যে অন্তহীন কৃষ্ণপ্রেমের প্রীতি বিনিময় কথা শ্রবণ করেন, তাহলে তিনি নিঃসন্দেহে খুব শীঘ্রই গৌরাঙ্গের চরণপদ্ম লাভ করবেন।
গ্রন্থ : গৌরাঙ্গ
শ্রীল জয়পতাকা স্বামী
প্রাপ্তিস্থান: নিকটস্থ ইসকন মন্দির
আসলে গদাধর ছিলেন স্বয়ং রাধারানী। তিনি গৌরলীলায় গদাধররূপে এসেছেন। বৈদিক প্রথা অনুযায়ী, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী বড় ভাইয়ের সঙ্গে মেশেন না। কিন্তু রাধারানী গদাধররূপে আসায় বলরামের সঙ্গে সেই সম্পর্ক এখানে ছিল না। সে সুযোগ গদাধর স্বাভাবিকভাবেই নিত্যানন্দের সঙ্গে মিশতেন। তাঁরা কৃষ্ণ কৃষ্ণ বলে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ক্রন্দন করতে লাগলেন। এটি ছিল খুবই দুর্লভ মুহুর্ত। তখন হঠাৎ মহাপ্রভু সেখানে আবির্ভূত হলেন। তিনি বললেন, ‘এই মহাভোজে আমি নিমন্ত্রণ পেলাম না কেন? তোমার আমায় নিমন্ত্রণ না করলে কি হবে, আমি জোর করে হলেও প্রসাদ পাব। তোমার আমাকে এই কৃপা থেকে বঞ্চিত করতে পার না। প্রসাদটুকু সমান তিন ভাগে ভাগ কর। আমি তোমাদের সঙ্গে প্রসাদ গ্রহণ করতে চাই। তখন মহাপ্রভু, নিত্যানন্দ আর গদাধর তিন জনে মিলে গোপীনাথের প্রসাদ গ্রহণ করলেন। এই লীলাটি খুবই অসাধারণ। শ্রীচৈতন্যদেব গদাধরের প্রশংসা করতে লাগলেন, ‘তোমার রান্নার তুলনা হয় না। তেঁতুল পাতা কে রান্না করতে পারে; আমি জানি না তুমি কে, কিন্তু তুমি যাই রান্না কর অমৃতের মতো লাগে।
চৈতন্যলীলায় গদাধর স্বয়ং রাধারানী, তাই তিনি যে রান্নায় খুব পারদর্শী হবেন, তাতে আর সন্দেহ কী; কেউ যদি পরম কৃপাময় শ্রীচৈতন্য, নিত্যানন্দ ও গদাধরের একত্রে প্রসাদ গ্রহণ লীলা শ্রবণ করেন, যদি তাদের মধ্যে অন্তহীন কৃষ্ণপ্রেমের প্রীতি বিনিময় কথা শ্রবণ করেন, তাহলে তিনি নিঃসন্দেহে খুব শীঘ্রই গৌরাঙ্গের চরণপদ্ম লাভ করবেন।
গ্রন্থ : গৌরাঙ্গ
শ্রীল জয়পতাকা স্বামী
প্রাপ্তিস্থান: নিকটস্থ ইসকন মন্দির
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন