ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুন মহারাজকে তার যৌবনে শ্রীমদ্ভাগবত গীতার তত্ত্বকথা দান করেছিলেন। অর্জুন মহারাজের বৃদ্ধ বয়সে নয়। অনেকে বলেন বৃদ্ধ বয়সে গীতা পড়ার কথা। আচ্ছা বলুনতো গীতা যদি বৃদ্ধ বয়সের জন্য অথবা শুধুমাত্র পূন্য অর্জনের জন্য হতে তাহলে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সময় বলার কি প্রয়োজন ছিল?
ভগবান কিন্তু গীতার তত্ত্বকথা তখনই বলেছিলেন, যখন অর্জুন মহারাজ যুবক ছিলেন এবং নিজের লক্ষ্য নির্ধারনে দ্বিধায় ভুগছিলেন। যখন তিনি হতাশায় তার কর্ম ত্যাগ করতে চেয়েছিলেন, তখনই প্রভু তাকে সঠিক পথ দেখিয়েছে গীতার জ্ঞানের মাধ্যমে।
তাই গীতা পড়ার চেষ্টা করুন নিয়মিত। এই গ্রন্থের মত আর কোন শ্রেষ্ট মোটিভেশনাল গ্রন্থ হতে পারে না যা জীবনে পরিবর্তন এনে দিতে পারে। জীবনের সকল ব্যর্থতা কে দূরে ফেলে নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরনে টনিকের মতো কাজ করবে এই গ্রন্থ। তবে হ্যাঁ সেটা অবশ্যই আত্মস্থ করতে হবে এবং জীবনে প্রয়োগ করতে হবে। শুধুু জ্ঞান অর্জন করে তা যদি প্রয়োগই করা না যায় তবে সে জ্ঞান অর্থহীন। হয়তো পূন্য পাবেন কিন্তু জড়জগতে তা অর্থহীন।
টাকা পয়সা একজন চোর ও আয় করে আবার একজন শিক্ষক ও আয় করে। কিন্তু দুটোর সম্মান যেমন এক নয় তেমনি জীবনে শুধু টাকা পয়সাই সব নয়। কতটা সৎ থেকে আয় করে তা সহমর্মিতার সহিত সমবন্টন করা যায় তার মধ্যেই ত্যাগ ও সুখ বিদ্যমান থাকে। আয়ের কিছু অংশ দিয়ে চেষ্টা করুন সমাজের সুবিধা বঞ্চিতদের সাহায্য করার। আপনার সামান্য সাহায্য হয়তো তাদের জন্য বিরাট কিছু। মনে রাখবেন ত্যাগেই প্রকৃত সুখ।
জীবনটা খেয়ে দেয়ে আয়েশ করার জন্য নয়। তাহলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, জীবনভর এতো সংগ্রাম করে যেতেন না। আমরা ধর্মকে শুধু পূণ্য অর্জনের জন্যই ভাবি কিন্তু তা নিজ জীবনে প্রয়োগ কখনও করি না। লাল সালুতে মুড়িয়ে ধর্ম গ্রন্থকে পূণ্য অর্জনের জন্য রেখে দিয়েছি বলে আমাদের সনাতনজাতীর ভাগ্য ও আটকে গেছে। নিজ ধর্মকে জানার চেষ্টা করুন।
আসুন নিয়মিত ধর্মীয় গ্রন্থগুলো পড়ি এবং তা নিজ জীবনে প্রয়োগ করি। বর্ণপ্রথা ও উচু নিচু ভুলে পরষ্পরকে সহযোগীতার মাধ্যমে একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তুলি।
ধন্যবাদ। ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন।
জয় শ্রীকৃষ্ণ।।
© অমিত সরকার
ভগবান কিন্তু গীতার তত্ত্বকথা তখনই বলেছিলেন, যখন অর্জুন মহারাজ যুবক ছিলেন এবং নিজের লক্ষ্য নির্ধারনে দ্বিধায় ভুগছিলেন। যখন তিনি হতাশায় তার কর্ম ত্যাগ করতে চেয়েছিলেন, তখনই প্রভু তাকে সঠিক পথ দেখিয়েছে গীতার জ্ঞানের মাধ্যমে।
তাই গীতা পড়ার চেষ্টা করুন নিয়মিত। এই গ্রন্থের মত আর কোন শ্রেষ্ট মোটিভেশনাল গ্রন্থ হতে পারে না যা জীবনে পরিবর্তন এনে দিতে পারে। জীবনের সকল ব্যর্থতা কে দূরে ফেলে নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরনে টনিকের মতো কাজ করবে এই গ্রন্থ। তবে হ্যাঁ সেটা অবশ্যই আত্মস্থ করতে হবে এবং জীবনে প্রয়োগ করতে হবে। শুধুু জ্ঞান অর্জন করে তা যদি প্রয়োগই করা না যায় তবে সে জ্ঞান অর্থহীন। হয়তো পূন্য পাবেন কিন্তু জড়জগতে তা অর্থহীন।
টাকা পয়সা একজন চোর ও আয় করে আবার একজন শিক্ষক ও আয় করে। কিন্তু দুটোর সম্মান যেমন এক নয় তেমনি জীবনে শুধু টাকা পয়সাই সব নয়। কতটা সৎ থেকে আয় করে তা সহমর্মিতার সহিত সমবন্টন করা যায় তার মধ্যেই ত্যাগ ও সুখ বিদ্যমান থাকে। আয়ের কিছু অংশ দিয়ে চেষ্টা করুন সমাজের সুবিধা বঞ্চিতদের সাহায্য করার। আপনার সামান্য সাহায্য হয়তো তাদের জন্য বিরাট কিছু। মনে রাখবেন ত্যাগেই প্রকৃত সুখ।
জীবনটা খেয়ে দেয়ে আয়েশ করার জন্য নয়। তাহলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, জীবনভর এতো সংগ্রাম করে যেতেন না। আমরা ধর্মকে শুধু পূণ্য অর্জনের জন্যই ভাবি কিন্তু তা নিজ জীবনে প্রয়োগ কখনও করি না। লাল সালুতে মুড়িয়ে ধর্ম গ্রন্থকে পূণ্য অর্জনের জন্য রেখে দিয়েছি বলে আমাদের সনাতনজাতীর ভাগ্য ও আটকে গেছে। নিজ ধর্মকে জানার চেষ্টা করুন।
আসুন নিয়মিত ধর্মীয় গ্রন্থগুলো পড়ি এবং তা নিজ জীবনে প্রয়োগ করি। বর্ণপ্রথা ও উচু নিচু ভুলে পরষ্পরকে সহযোগীতার মাধ্যমে একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তুলি।
ধন্যবাদ। ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন।
জয় শ্রীকৃষ্ণ।।
© অমিত সরকার
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন