ব্রহ্মান্ডের আকৃতি অনেকটা অন্ডের মতো এবং প্রতিটি গ্রহেই ভগবান একজন করে আলদা আলাদা ক্ষকতাধারী ব্রহ্মাকে নিযুক্ত করে রেখেছেন অধিপতি হিসাবে। আর এথেকেই নাম হয়েছে-ব্রহ্মা+অন্ড=ব্রহ্মান্ড।
এই ব্রহ্মান্ড চৌদ্দটি ভূবন নিয়ে গঠিত
আমরা যে ভূপৃষ্ঠে রয়েছি এটি ভূর্লোক। এর উপরদিকে ৬ টি লোক এবং নীচের দিকে ৭টি লোক নিয়ে ১৪টি লোকের বিস্তার।
ভূর্লোকের ১২০০ কিমি উপরে অবস্থিত ভূবর্লোক,যেখানে যক্ষ,রাক্ষস,ভূত ইত্যাদির অবস্থান। এরও ১২০০ কিমি উপরে অবস্থিত স্বর্গলোক-দেবতাদের স্থান।
এর উপরে মহর্লোক-ভৃগুমুনি জাতীয় মুনিদের আবাস।
ভূর্লোক থেকে ১২ কোটি কিমি উচ্চতায় অবস্থিত জনলোক-চতষ্কুমারের অবস্থান।
৯৬ কোটি কিমি উচ্চতায় তপোলোক-স্বর্গের যে সমস্ত দেবতারা সাধনায় উচ্চতা লাভ করে,সেইসব দেবতাদের লোক।
৪৮০ কোটি কিমি দূরে অবস্থিত সত্যলোক-ব্রহ্মার আবাস। এতদূর পর্যন্ত ব্রহ্মান্ড। ব্রহ্মাও আমাদের মতো জীব,তারও প্রলয়কালে মৃত্যু হয়। সত্যলোকের উত্তরদিকে ধ্রুবলোক অবস্থিত,যা আমরা ধ্রুবতারারূপে দেখি।
এবার আসি নীচের দিকে-
এক্ষেত্রে প্রত্যেক লোকের মাঝের দূরত্ব ১ লক্ষ ২০ হাজার মাইল। ভূর্লোকের নীচে অতল-যেখানে ময়দানবের পুত্র বল থাকে
এর নীচে বিতল-হরগৌরীর লোক-যেখানে হাটক নামক সোনা উৎপন্ন হয়।
এর নীচে সুতল-এখানে বলি মহারাজ থাকে,যার কাছে বামন অবতারে সবকিছু নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এই কল্পের শেষে দেবরাজ ইন্দ্রকে সেখানে পাঠানো হবে,এবং বলি মহারাজকে স্বর্গের রাজা করা হবে।
এর নীচে তলাতল-এখানে ময়দানব,যিনি পান্ডবদের জন্য ইন্দ্রপ্রস্থে রাজপুরী নির্মাণ করেছিলেন।
এর নীচে মহাতল-দৈত্য-দানবরা থাকে।
রসাতল-জ্যোতির্ময় মনিসম্পন্ন সর্পদের আবাস। এ থেকেই কেউ অধঃপতনে গেলে বলা হয়-রসাতলে গেছে।
এরপর পাতাল-বাসুকীনাগ এর অবস্থান,যিনি সমুদ্রমন্থনে রজ্জু হয়েছিলেন।
পাতালের দক্ষিণদকে নরক অবস্থিত।
ব্রহ্মান্ডের সম্পূর্ণ বিস্তার দিলাম। পরের পোস্টে চিদাকাশ এবং ব্রহ্মান্ডের বাইরের লোকগুলি বলব। তবে জানি,কিছু শুদ্ধ নাস্তিক প্রকৃতির লোক আসবে এই পোস্টটির বিরোধীতা করতে। যাদের স্বভাবই সঠিক শিখব না,আর না জেনেই বিরোধীতা করব। আমি দেখি অনেককে-অনেক প্রচারক শাস্ত্রের সত্য কথা লেখে,আর কিছু অপদার্থ,জ্ঞানহীন আজেবাজে কমেন্ট করে।
এসব তারাই করে-যারা কখনোই শাস্ত্রের ধারেকাছে ঘেঁষে না।এরা স্বর্গের অস্তিত্ব মানে,কিন্তু নরকের ক্ষেত্রে বলে-নরক বলে কিছু নেই। তাই তো এই মূর্খের দল আত্মীয়-স্বজন মারা গেলে,কত সহজে বলে উনি নাকি স্বর্গবাসী হয়েছেন।
মহাশয়,শ্রাদ্ধে আমিষ ভক্ষণ করিয়ে,কোন মৃত আত্মা স্বর্গবাসী হতে পারে না। সঠিক জানতে সাহায্য করছি,,জানুন!!
এই ব্রহ্মান্ড চৌদ্দটি ভূবন নিয়ে গঠিত
আমরা যে ভূপৃষ্ঠে রয়েছি এটি ভূর্লোক। এর উপরদিকে ৬ টি লোক এবং নীচের দিকে ৭টি লোক নিয়ে ১৪টি লোকের বিস্তার।
ভূর্লোকের ১২০০ কিমি উপরে অবস্থিত ভূবর্লোক,যেখানে যক্ষ,রাক্ষস,ভূত ইত্যাদির অবস্থান। এরও ১২০০ কিমি উপরে অবস্থিত স্বর্গলোক-দেবতাদের স্থান।
এর উপরে মহর্লোক-ভৃগুমুনি জাতীয় মুনিদের আবাস।
ভূর্লোক থেকে ১২ কোটি কিমি উচ্চতায় অবস্থিত জনলোক-চতষ্কুমারের অবস্থান।
৯৬ কোটি কিমি উচ্চতায় তপোলোক-স্বর্গের যে সমস্ত দেবতারা সাধনায় উচ্চতা লাভ করে,সেইসব দেবতাদের লোক।
৪৮০ কোটি কিমি দূরে অবস্থিত সত্যলোক-ব্রহ্মার আবাস। এতদূর পর্যন্ত ব্রহ্মান্ড। ব্রহ্মাও আমাদের মতো জীব,তারও প্রলয়কালে মৃত্যু হয়। সত্যলোকের উত্তরদিকে ধ্রুবলোক অবস্থিত,যা আমরা ধ্রুবতারারূপে দেখি।
এবার আসি নীচের দিকে-
এক্ষেত্রে প্রত্যেক লোকের মাঝের দূরত্ব ১ লক্ষ ২০ হাজার মাইল। ভূর্লোকের নীচে অতল-যেখানে ময়দানবের পুত্র বল থাকে
এর নীচে বিতল-হরগৌরীর লোক-যেখানে হাটক নামক সোনা উৎপন্ন হয়।
এর নীচে সুতল-এখানে বলি মহারাজ থাকে,যার কাছে বামন অবতারে সবকিছু নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এই কল্পের শেষে দেবরাজ ইন্দ্রকে সেখানে পাঠানো হবে,এবং বলি মহারাজকে স্বর্গের রাজা করা হবে।
এর নীচে তলাতল-এখানে ময়দানব,যিনি পান্ডবদের জন্য ইন্দ্রপ্রস্থে রাজপুরী নির্মাণ করেছিলেন।
এর নীচে মহাতল-দৈত্য-দানবরা থাকে।
রসাতল-জ্যোতির্ময় মনিসম্পন্ন সর্পদের আবাস। এ থেকেই কেউ অধঃপতনে গেলে বলা হয়-রসাতলে গেছে।
এরপর পাতাল-বাসুকীনাগ এর অবস্থান,যিনি সমুদ্রমন্থনে রজ্জু হয়েছিলেন।
পাতালের দক্ষিণদকে নরক অবস্থিত।
ব্রহ্মান্ডের সম্পূর্ণ বিস্তার দিলাম। পরের পোস্টে চিদাকাশ এবং ব্রহ্মান্ডের বাইরের লোকগুলি বলব। তবে জানি,কিছু শুদ্ধ নাস্তিক প্রকৃতির লোক আসবে এই পোস্টটির বিরোধীতা করতে। যাদের স্বভাবই সঠিক শিখব না,আর না জেনেই বিরোধীতা করব। আমি দেখি অনেককে-অনেক প্রচারক শাস্ত্রের সত্য কথা লেখে,আর কিছু অপদার্থ,জ্ঞানহীন আজেবাজে কমেন্ট করে।
এসব তারাই করে-যারা কখনোই শাস্ত্রের ধারেকাছে ঘেঁষে না।এরা স্বর্গের অস্তিত্ব মানে,কিন্তু নরকের ক্ষেত্রে বলে-নরক বলে কিছু নেই। তাই তো এই মূর্খের দল আত্মীয়-স্বজন মারা গেলে,কত সহজে বলে উনি নাকি স্বর্গবাসী হয়েছেন।
মহাশয়,শ্রাদ্ধে আমিষ ভক্ষণ করিয়ে,কোন মৃত আত্মা স্বর্গবাসী হতে পারে না। সঠিক জানতে সাহায্য করছি,,জানুন!!
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন