এই শিখাগুলি অনির্বাণ হয়ে জ্বলছে স্মরণাতীত কাল থেকে। এমনকী, কিংবদন্তী অনুসারে, সম্রাট আকবর নাকি একবার এই অগ্নিশিখাগুলি নেভানোর অনেক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হন।
ভারতে প্রাকৃতিক রহস্যের শেষ নেই। এদেশে এমন রহস্যও বেশ কিছু রয়েছে যার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে ধর্মীয় প্রসঙ্গ। তেমনই এক রহস্যময় বৃত্তান্ত জড়িয়ে রয়েছে হিমাচল প্রদেশের এই মন্দিরের সঙ্গে।
হিমালয়ের কোলে কাংড়া জেলার জ্বালামুখী শহরে অবস্থিত জ্বালা জী মন্দির। জ্বালাদেবীর এই মন্দির ৫১ পীঠের একটি। এই মন্দিরে ৭টি আগুনের শিখা দেখা যায় যেগুলি কখনও নেভে না। কখনও কখনও শিখাগুলির সংখ্যা বেড়ে হয় ৯টি। ভক্তদের বিশ্বাস, শিখাগুলি মা ভগবতীর ৭ বোনের বহিঃপ্রকাশ। কেউ আবার বলেন, শিখাগুলি আসলে মা দুর্গার ৯টি অবতারের প্রতীক। ভক্তদের ব্যাখ্যা যাই হোক, ঘটনা হল, এই শিখাগুলি অনির্বাণ হয়ে জ্বলছে স্মরণাতীত কাল থেকে। এমনকী, কিংবদন্তী অনুসারে, সম্রাট আকবর নাকি একবার এই অগ্নিশিখাগুলি নেভানোর অনেক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হন।
এই ঘটনার কি কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে? ভূবিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে অনুমান করে এসেছেন, পাহাড়ের কোলে সঞ্চিত কোনও প্রাকৃতিক গ্যাসের ভাণ্ডারই এই চির-জ্বলন্ত অগ্নিশিখাগুলির জ্বালানির উৎস হিসেবে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী নেহেরুর নির্দেশে একদল বিজ্ঞানী এই অনুমানের সত্যতা যাচাই করার উদ্দেশ্যে মন্দিরের আশেপাশের পাহাড়গুলি খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন। কিন্তু তাঁরা কোনও প্রাকৃতিক গ্যাসের অস্তিত্ব খুঁজে পাননি ওই অঞ্চলে। কাজেই এই আগুনের শিখাগুলির কোনও সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা আজও পাওয়া যায়নি। এই সুযোগে ভক্তদের মনে এই বিশ্বাস দিনে দিনে আরও দৃঢ় হচ্ছে যে, মন্দিরের এই অনির্বাণ শিখা সম্পূর্ণতই ঈশ্বরের লীলা।
👏 লেখার মাধ্যমে যদি কোন ভূল হয় সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
(C)
Aashis Sarkar
ভারতে প্রাকৃতিক রহস্যের শেষ নেই। এদেশে এমন রহস্যও বেশ কিছু রয়েছে যার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে ধর্মীয় প্রসঙ্গ। তেমনই এক রহস্যময় বৃত্তান্ত জড়িয়ে রয়েছে হিমাচল প্রদেশের এই মন্দিরের সঙ্গে।
হিমালয়ের কোলে কাংড়া জেলার জ্বালামুখী শহরে অবস্থিত জ্বালা জী মন্দির। জ্বালাদেবীর এই মন্দির ৫১ পীঠের একটি। এই মন্দিরে ৭টি আগুনের শিখা দেখা যায় যেগুলি কখনও নেভে না। কখনও কখনও শিখাগুলির সংখ্যা বেড়ে হয় ৯টি। ভক্তদের বিশ্বাস, শিখাগুলি মা ভগবতীর ৭ বোনের বহিঃপ্রকাশ। কেউ আবার বলেন, শিখাগুলি আসলে মা দুর্গার ৯টি অবতারের প্রতীক। ভক্তদের ব্যাখ্যা যাই হোক, ঘটনা হল, এই শিখাগুলি অনির্বাণ হয়ে জ্বলছে স্মরণাতীত কাল থেকে। এমনকী, কিংবদন্তী অনুসারে, সম্রাট আকবর নাকি একবার এই অগ্নিশিখাগুলি নেভানোর অনেক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হন।
এই ঘটনার কি কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে? ভূবিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে অনুমান করে এসেছেন, পাহাড়ের কোলে সঞ্চিত কোনও প্রাকৃতিক গ্যাসের ভাণ্ডারই এই চির-জ্বলন্ত অগ্নিশিখাগুলির জ্বালানির উৎস হিসেবে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী নেহেরুর নির্দেশে একদল বিজ্ঞানী এই অনুমানের সত্যতা যাচাই করার উদ্দেশ্যে মন্দিরের আশেপাশের পাহাড়গুলি খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন। কিন্তু তাঁরা কোনও প্রাকৃতিক গ্যাসের অস্তিত্ব খুঁজে পাননি ওই অঞ্চলে। কাজেই এই আগুনের শিখাগুলির কোনও সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা আজও পাওয়া যায়নি। এই সুযোগে ভক্তদের মনে এই বিশ্বাস দিনে দিনে আরও দৃঢ় হচ্ছে যে, মন্দিরের এই অনির্বাণ শিখা সম্পূর্ণতই ঈশ্বরের লীলা।
👏 লেখার মাধ্যমে যদি কোন ভূল হয় সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
(C)
Aashis Sarkar
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন