রেফারেন্সঃ- শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা অধ্যায়-১৮, শ্লোক-০৭
২) অন্যদিকে ভগবান বলেছেন ফলের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করে কর্ম করা উচিত।
#রেফারেন্সঃ- শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা অধ্যায়-৩, শ্লোক-১৯
এখন মনে প্রশ্ন সৃষ্টি হতে পারে, বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের প্রয়োজন। সেই চাহিদা মেটাতে অর্থের প্রয়োজন। আর সেই অর্থের যোগান দিতে আমারা কর্ম করে অর্থ উপার্জন করি। তাহলে কি ভগবানের সেই (ফলাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ) আদেশকে উপেক্ষা বা অমান্য করে অর্থ উপার্জনের জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কর্ম করে যাচ্ছি না? অর্থাৎ আমরা পাপ কর্ম করে যাচ্ছি?
উত্তর না; ভগবান হলেন পরম করুণাময়ী। কারণ তিনি তাঁর সৃষ্টির বেঁচে থাকার জন্য যে সমস্ত কাজগুলো আবশ্যক এবং অতি প্রয়োজন সেগুলোর অনুমোদন দিয়েছেন। যেমনঃ-
প্রাণী হত্যা মহাপাপ। বিজ্ঞান বলে উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে তার মানে কি আমরা যখন শাক সবজি আহার করি তখন কি পাপ ভোজন করা হয় না? কিন্তু ভগবান ফল-মূল, শাকসবজি, দুধ এগুলোকে সাত্ত্বিক খাবার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সেগুলোর অনুমোদন দিয়েছে যা আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য অতি প্রয়োজন। অন্যদিকে উক্ত বিষয়ে আরেকটি মত আছে- যে সমস্ত প্রাণী অনুভূতি সমৃদ্ধ এবং ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ায় সেই অনুভূতির প্রকাশ হয় তাদের হত্যা করায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আপনি ইচ্ছাকৃত একটা ক্ষুদ্র পিঁপড়া মারলে সেটি পাপ হবে। কারণ আঘাতে তাদেরও অনুভূতি প্রকাশ পাই।
#তেমনি ভগবান আমাদের মৌলিক চাহিদা মেটানোর জন্য অর্থ উপার্জন করাকে অনুমোদন দিয়েছেন। সেই অর্থ উপার্জন করাকে তিনি ফলাশ্রয়ী সকাম কর্ম বলে আখ্যায়িত করেছেন যাহা পরিত্যাগ করা উচিত নয়। #রেফারেন্সঃ- শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা অধ্যায়-১৮, শ্লোক-০৮ এর তাৎপর্য। কিন্তু ফলাশ্রয়ী সকাম কর্ম তখনি হবে যখন আমরা সৎ পথে সেই অর্থ উপার্জন করে শুধু নিজের ভোগ বিলাসিতায় না ব্যায় করে ভগবানের সেবায় নিয়োগ করব, মানব সেবায় ব্যয় করব এবং সর্বোপরি তাঁর সৃষ্টি প্রকৃতি ও সমস্ত নীরহ প্রাণীকূলের রক্ষায় ব্যয় করব। তবেই সেই অর্থ উপার্জন হবে ফলাশ্রয়ী সকাম কর্ম যাহা শাস্ত্র অনুমোদিত এবং পরিত্যাগ করা উচিত নয়।
Written By : Bappy Kuri
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন