☜ মায়া হল ভগবানের একটি শক্তি । যা মানুষকে জড়জগতে আবদ্ধ করে রাখে । তার থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায় না । সে মায়া সব ভুলিয়ে দেয় । মায়ার কারণে মানুষ সংসারে আবদ্ধ হয়ে পরে । আর এটা আমার , আমি এই করতে থাকে । যার কারণে সে কর্ম্মবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পড়ে । যার কারণে তাকে বারবার জন্মগ্রহণ করতে হয় সেই কর্ম্মফল ভোগ করার জন্য । মানুষ পরিবারের জন্য শ্রম করে । নিজের সন্তান স্ত্রী মা বাবা ভাই বোন সবার জন্য । কত পরিশ্রম করে । জীবন সংসারে কঠোর সংগ্রাম করতে থাকে । মায়ার কারণে সে ভগবানকে ভুলে যায় । কি জন্য এই মনুষ্য দেহ লাভ করেছে তা বুঝতে পারে না । ভোগ , লোভ , লালসা , কামনা , বাসনা , হিংসা , অহংকার অর্থাৎ এই সমস্ত পাপ করতেই থাকে । এখন আপনি বলবেন আমি তো পরিবারের সুখের জন্য করছি যা আমার কর্ত্তব্য । কিন্তু যখন আপনি অক্ষম হবেন তখন সেই পরিবার আপনাকে দেখবে না ।
☜ যাদের জন্য এত পরিশ্রম তারাই সময় শেষ হলে আপনাকে আর ভালবাসবে না । যখন আপনার ☜কর্ম্মক্ষমতা কমে যাবে । তখন বুঝতে পারবেন সারা জীবন গাধার মত পরিবারের জন্য এত কিছু করলেন কিন্তু জীবনের শেষ মুর্হূতে কেউ আপনাকে দেখছে না । আপনি এই সংসারের মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন , যিনি আপনার হৃদয়ে পরমাত্মা রূপে আছেন , যিনি আপনার শ্বাস প্রশ্বাস , যিনি আপনাকে সঠিক পথে নিয়ে আসে , সে পরমেশ্বর ভগবানকে আপনি ভুলে গেলেন । ডাকার সময় তো কত ছিল । কিন্তু সংসারের মোহে আপনি ডাকতে পারলেন না । পরিবারের সুখের জন্য নিজে কিছু করতে পারলেন না ।
☜ বেদান্তে বলা হয়েছে যে " মায়া " শব্দের উৎপত্তি হয়েছে সংস্কৃত " মা " অর্থাৎ নয় , এবং ' ইয়া ' অর্থাৎ সেটা শব্দদ্বয় থেকে! বেদান্তের এই রহস্যময় জ্ঞানের মূলে আছে ব্রক্ষান্ডের পরম সত্য , যা সাধারণ মানুষের উপলদ্ধির বাইরে । সাধারণ মানুষের চিরাচরিত জ্ঞান এবং বাস্তবতা হলো সেই পরম সত্যের এক ভগ্নাশ মাত্র । অথচ এটাকেই আমরা " সম্পূর্ণ জ্ঞান " হিসাবে ভাবি । এই অসম্পূর্ণাতাকেই বোঝাতেই " মায়া ' শব্দ ব্যবহার করা হয়ে থাকে অর্থাৎ যা ঘটছে সেটা সম্পূর্ণ নয় ।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় অর্জ্জুনকে বলেছিলেন যে আমার এই মায়া অতিক্রম করা অত্যন্ত কঠিন । কিন্তু চেষ্টা করলে অসম্ভম নয় । মানুষ তিনগুণ দ্বারা আবদ্ধ হয়ে কর্ম্ম করছে , স্বত্ত্বগুণ ,রজগুণ এবং তমোগুণ । এই তিনগুণের উদ্ধে যেতে পারলে মানুষ মুক্তিলাভ করতে পারবে । আর তাকেই যোগী বলা হয় । আর যিনি তিনগুণের উদ্ধে যান তিনি মুক্তি লাভ করে ভগবানের ধাম প্রাপ্ত হোন ।
☜ মায়া থেকে বাঁচতে হলে কি করতে হবে ?
এই সংসার হল অনিত্য অর্থাৎ মায়াবদ্ধ । যার কারণে একে অপরের সাথে জড়িয়ে পড়ে । পরিবার, সমাজ ইত্যাদি সকলের সাথে কর্ম্ম করতে থাকে । কিন্তু ভগবানের ধাম হল ' নিত্য ' যেখানে গেলে আর এই জন্ম - মৃত্যু - জরা - ব্যাধিতে পড়তে হয় না । সেখানে ভগবান নিত্য বিরাজমান । প্রকৃত আনন্দ হল সেখানে আর এখানে দুদিনের সুখের জন্য কত পরিশ্রম করতে হচ্ছে । বিনিময়ে কি পাচ্ছি আমরা ? যখন কোন বিষয় অপূর্ণ থেকে যাচ্ছে তখন দুঃখ কষ্ট উপস্থিত হয় । তাই যতটুকু পাওয়া সম্ভব ততটুকুতে সন্তুষ্ঠু থাকাই উত্তম । কেননা অতিরিক্ত চাইতে গেলে শুধু কষ্ট ছাড়া আর কিছু পাওয়া যাবে না । তাই এই মানবজন্মে মুক্তি লাভ করতে চাইলে আজকে থেকে ভগবানের ভজন সাধনে মন দিতে হবে । আর যারা এখন ছোট ছেলে মেয়ে তাদের মা বাবার উচিত এখন থেকে ভগবানের কথা বলা । ভগবদ্গীতা পড়ে শুনানো , রামায়ণ , মহাভারতের সঠিক কথা তাদের বলুন তাহলে দেখবেন তাদের আগ্রহ কেমন বেড়ে যায় । শুধু জাগতিক শিক্ষা দিলে তো আর সব হয়ে গেল না । পারমাত্মিক জ্ঞানও দিতে হবে । তাদের মন্দিরে নিয়ে যান ।
☜ নিরন্তর ভগবানকে স্মরণ করতে হবে । তার আগে নিজে নিজেকে নিজের মনকে , বুদ্ধিকে , আশাকে, ইচ্ছাকে , বুদ্ধিকে , জ্ঞানকে নিজের সমস্ত কিছু ভগবানের প্রতি সমর্পন করতে হবে । আর তা হলে ভক্তি আসবে । নিয়মিত ভগবানকে স্মরণ করতে হবে । ভগবানের নাম কীর্তন জপ করতে হবে । গীতা পাঠ করতে হবে । একাগ্রচিত্তে ভগবানকে ডাকতে হবে । আপনি কর্ম্ম করেন কিন্তু কর্ম্মের ফলের আশা করবেন না । যদি ফলের আশা না করে শুধুমাত্র আপনার কর্ত্তব্য কর্ম্ম করেন তাহলে আপনাকে ফল ভোগ করতে হবে না । ফল তো ঈশ্বর দান করেন । তাই সবকিছু ভগবানের প্রতি সমর্পন করে দিয়ে কেবল মাত্র ভগবানের উদ্দেশ্যে কর্ম্ম করেন । মনে রাখবেন সবকিছু নিয়তি নিধারণ করে রেখেছেন আপনি কেবল নিমির্ত্ত মাত্র । কিন্তু কখনো কর্ম্ম ত্যাগ করবেন না । কারণ যিনি কর্ম্ম ত্যাগ করেন তিনি প্রকৃত যোগী নন ।
☜ তাই প্রতিদিন হরিনাম জপ করুন । গীতা পাঠ করুন । একাদশী পালন করুন । ভগবানকে প্রতিমুর্হূতে স্মরণ করুন । তাহলে মন শান্ত হবে /তখন বুঝতে পারবেন কেন কর্ম্ম করতে হবে ? কিভাবে করতে হবে ? কার উদ্দেশ্যে করতে হবে ? এবং কার জন্য করতে হবে ?
☜ যাদের জন্য এত পরিশ্রম তারাই সময় শেষ হলে আপনাকে আর ভালবাসবে না । যখন আপনার ☜কর্ম্মক্ষমতা কমে যাবে । তখন বুঝতে পারবেন সারা জীবন গাধার মত পরিবারের জন্য এত কিছু করলেন কিন্তু জীবনের শেষ মুর্হূতে কেউ আপনাকে দেখছে না । আপনি এই সংসারের মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন , যিনি আপনার হৃদয়ে পরমাত্মা রূপে আছেন , যিনি আপনার শ্বাস প্রশ্বাস , যিনি আপনাকে সঠিক পথে নিয়ে আসে , সে পরমেশ্বর ভগবানকে আপনি ভুলে গেলেন । ডাকার সময় তো কত ছিল । কিন্তু সংসারের মোহে আপনি ডাকতে পারলেন না । পরিবারের সুখের জন্য নিজে কিছু করতে পারলেন না ।
☜ বেদান্তে বলা হয়েছে যে " মায়া " শব্দের উৎপত্তি হয়েছে সংস্কৃত " মা " অর্থাৎ নয় , এবং ' ইয়া ' অর্থাৎ সেটা শব্দদ্বয় থেকে! বেদান্তের এই রহস্যময় জ্ঞানের মূলে আছে ব্রক্ষান্ডের পরম সত্য , যা সাধারণ মানুষের উপলদ্ধির বাইরে । সাধারণ মানুষের চিরাচরিত জ্ঞান এবং বাস্তবতা হলো সেই পরম সত্যের এক ভগ্নাশ মাত্র । অথচ এটাকেই আমরা " সম্পূর্ণ জ্ঞান " হিসাবে ভাবি । এই অসম্পূর্ণাতাকেই বোঝাতেই " মায়া ' শব্দ ব্যবহার করা হয়ে থাকে অর্থাৎ যা ঘটছে সেটা সম্পূর্ণ নয় ।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় অর্জ্জুনকে বলেছিলেন যে আমার এই মায়া অতিক্রম করা অত্যন্ত কঠিন । কিন্তু চেষ্টা করলে অসম্ভম নয় । মানুষ তিনগুণ দ্বারা আবদ্ধ হয়ে কর্ম্ম করছে , স্বত্ত্বগুণ ,রজগুণ এবং তমোগুণ । এই তিনগুণের উদ্ধে যেতে পারলে মানুষ মুক্তিলাভ করতে পারবে । আর তাকেই যোগী বলা হয় । আর যিনি তিনগুণের উদ্ধে যান তিনি মুক্তি লাভ করে ভগবানের ধাম প্রাপ্ত হোন ।
☜ মায়া থেকে বাঁচতে হলে কি করতে হবে ?
এই সংসার হল অনিত্য অর্থাৎ মায়াবদ্ধ । যার কারণে একে অপরের সাথে জড়িয়ে পড়ে । পরিবার, সমাজ ইত্যাদি সকলের সাথে কর্ম্ম করতে থাকে । কিন্তু ভগবানের ধাম হল ' নিত্য ' যেখানে গেলে আর এই জন্ম - মৃত্যু - জরা - ব্যাধিতে পড়তে হয় না । সেখানে ভগবান নিত্য বিরাজমান । প্রকৃত আনন্দ হল সেখানে আর এখানে দুদিনের সুখের জন্য কত পরিশ্রম করতে হচ্ছে । বিনিময়ে কি পাচ্ছি আমরা ? যখন কোন বিষয় অপূর্ণ থেকে যাচ্ছে তখন দুঃখ কষ্ট উপস্থিত হয় । তাই যতটুকু পাওয়া সম্ভব ততটুকুতে সন্তুষ্ঠু থাকাই উত্তম । কেননা অতিরিক্ত চাইতে গেলে শুধু কষ্ট ছাড়া আর কিছু পাওয়া যাবে না । তাই এই মানবজন্মে মুক্তি লাভ করতে চাইলে আজকে থেকে ভগবানের ভজন সাধনে মন দিতে হবে । আর যারা এখন ছোট ছেলে মেয়ে তাদের মা বাবার উচিত এখন থেকে ভগবানের কথা বলা । ভগবদ্গীতা পড়ে শুনানো , রামায়ণ , মহাভারতের সঠিক কথা তাদের বলুন তাহলে দেখবেন তাদের আগ্রহ কেমন বেড়ে যায় । শুধু জাগতিক শিক্ষা দিলে তো আর সব হয়ে গেল না । পারমাত্মিক জ্ঞানও দিতে হবে । তাদের মন্দিরে নিয়ে যান ।
☜ নিরন্তর ভগবানকে স্মরণ করতে হবে । তার আগে নিজে নিজেকে নিজের মনকে , বুদ্ধিকে , আশাকে, ইচ্ছাকে , বুদ্ধিকে , জ্ঞানকে নিজের সমস্ত কিছু ভগবানের প্রতি সমর্পন করতে হবে । আর তা হলে ভক্তি আসবে । নিয়মিত ভগবানকে স্মরণ করতে হবে । ভগবানের নাম কীর্তন জপ করতে হবে । গীতা পাঠ করতে হবে । একাগ্রচিত্তে ভগবানকে ডাকতে হবে । আপনি কর্ম্ম করেন কিন্তু কর্ম্মের ফলের আশা করবেন না । যদি ফলের আশা না করে শুধুমাত্র আপনার কর্ত্তব্য কর্ম্ম করেন তাহলে আপনাকে ফল ভোগ করতে হবে না । ফল তো ঈশ্বর দান করেন । তাই সবকিছু ভগবানের প্রতি সমর্পন করে দিয়ে কেবল মাত্র ভগবানের উদ্দেশ্যে কর্ম্ম করেন । মনে রাখবেন সবকিছু নিয়তি নিধারণ করে রেখেছেন আপনি কেবল নিমির্ত্ত মাত্র । কিন্তু কখনো কর্ম্ম ত্যাগ করবেন না । কারণ যিনি কর্ম্ম ত্যাগ করেন তিনি প্রকৃত যোগী নন ।
☜ তাই প্রতিদিন হরিনাম জপ করুন । গীতা পাঠ করুন । একাদশী পালন করুন । ভগবানকে প্রতিমুর্হূতে স্মরণ করুন । তাহলে মন শান্ত হবে /তখন বুঝতে পারবেন কেন কর্ম্ম করতে হবে ? কিভাবে করতে হবে ? কার উদ্দেশ্যে করতে হবে ? এবং কার জন্য করতে হবে ?
(C) Anup Mondal
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন