"ভগবানের নাম (জপ) করে মানুষ পবিত্র হয়। যেমন ঝড়ে মেঘ উড়িয়ে নেয়, তেমনি তাঁর নামে বিষয় মেঘ কেটে যাবে।"
"কত সৌভাগ্যে এই জন্ম! খুব করে ভগবান কে ডেকে যাও। খাটতে হয়, না খাটালে কি কিছু হয়! সংসারের কাজকর্মের মধ্যেও একটি সময় করে নিতে হয়। আমার কথা কি বলব, আমি তখন দক্ষিণেশ্বরে। রাত তিনটের সময় উঠে জপে বসতুম।"
"মন না বসলেও জপ করতে ছাড়বে না নাম করতে করতে মন আপনি স্থির হয়ে যাবে। বাতাস থাকলে প্রদীপের শিখা স্থির থাকে না, কামনা বাসনা থাকলেও মন স্থির হয় না।"
অভ্যাসের কত শক্তি! জপ অভ্যাস করতে করতে মানুষ সিদ্ধ হয়। জপাৎ সিদ্ধি, জপাৎ সিদ্ধি, জপাৎ সিদ্ধি! সংখ্যার দিকে মন রেখে জপ করলে সংখ্যার দিকে মন থাকে, এমনি জপ করবে।"
" জপ ধ্যান করতে করতে দেখবে ঠাকুর কথা কবেন। মনে যে বাসোনাটি হবে তখুনি পূর্ণ করে দেবেন। কি শান্তি প্রাণে আসবে।"
মালায় নাম জপের নিয়ম বর্ণনা-
মালা গোপনে রাখিয়া ভজনের জন্য নতুন কাপড়ের একটি থলি প্রস্তুত করিয়া তন্মধ্যে মালা রাখিতে হয়। ঐ থলির মধ্যে দক্ষিণ হস্ত প্রবেশ করাইয়া তর্জ্জনী অঙ্গুলিকে ছিদ্র দিয়া থলির বাহিরে রাখিতে হইবে। কারন তর্জ্জনী দ্বারা স্পর্শ করিতে নাই। মোটা মালার দিক হইতে জপ আরম্ভ করিতে হয় এবং সমস্ত মালা একবার জপ শেষ হইলে ঘুরাইয়া লইয়া সরু দিক হইতে পুনরায় জপ করিতে হয় ; যেহেতু মেরুলঙ্ঘন করিয়া জপ করিতে নাই, করিলে তাহা বিফল হয় । মধ্যমাঙ্গুলির মধ্যভাগের উপর মালা রাখিয়া অঙ্গুষ্ঠ দ্বারা এক একটি মালা আকর্ষণপূর্ব্বক এক একবার শ্রী হরিনাম মহামন্ত্র জপ করিতে হয়। এইরুপ 108 টি মালা সব একবার জপ হইলে এক ফেরা হয় ।এরুপ 4 ফেরায় এক গ্রন্থি হয় । 16 গ্রন্থিতে লক্ষ নাম জপ হয় । লক্ষ নাম জপের নিয়ম করা পরম সৌভাগ্যের বিষয় । থলির বাহিরে চারটি ক্ষুদ্র মালা বাঁধিয়া ফেরার সংখ্যা রাখিতে হয় এবং এক গ্রন্থির অধিক জপ করতে হইলে প্রয়োজনানুযায়ী আরও গোটাকতক ক্ষুদ্র মালা পৃথক বাঁধিয়া গ্রন্থির সংখ্যা করিতে হয় । এক গ্রন্থির কমে নাম জপের নিয়ম করিতে নাই । দীক্ষিত জন বীজ মন্ত্র বা গায়ত্রী দশবার হস্তের পর্বে বা মালায় জপ করিয়া, মহামন্ত্র ষোড়শী হরি নাম ১০৮ বার মালায় জপ করিবেন।
মালা জপের সময় নাম স্মরণ মন্ত্রঃ-
নাম চিন্তামণি-রুপং নামৈব পরমা গতিঃ।
নাম্নঃ পরতরং নাস্তি তস্মান্নাম উপাস্মহে।।
অর্থঃ- শ্রীহরি নাম চিন্তামণি ও পরমা গতি, নাম হইতে শ্রেষ্ঠ(উপাস্য) বস্তু আর কিছুই নাই। তাই শ্রী নামের স্মরণ নিলাম।
নামের মধ্যে দিয়াই শ্রীকৃষ্ণের ধ্যান-
ত্রিভঙ্গ-ভঙ্গিম-রুপং বেনুরন্ধ্র-করাঞ্চিতং।
গো, গোপ, গোপী মণ্ডল-মধ্যস্থং শোভিতং নন্দ নন্দনং।।
অর্থ- গো, গোপ, গোপীগণ মধ্যস্থ বেনুরন্ধ্রে করে যুক্ত, বাদনরত ত্রিভুজঙ্গ ভঙ্গিম শ্রীনন্দের নন্দন শ্রীকৃষ্ণকে ধ্যান করিতেছি। নাম জপের প্রথমে ও শেষে শ্রীকৃষ্ণকে প্রণাম করিবেন।
শ্রীকৃষ্ণকে প্রণাম মন্ত্রঃ-
নমো নলিন-নেত্রায় বেণু বাদ্য-বিনোদিনে।
রাধা ধর সুধা পান শালিনে বন মালিনে।।
মালা জপ আরম্ভের মন্ত্রঃ-
অবিঘ্ন করু মালে, ত্বং হরি নাম-জপেষু চ।
শ্রীরাধা কৃষ্ণয়োর্দাস্যং দেহি মালে, তু প্রার্থয়ে।।
অর্থঃ- হে মালে তোমাতে হরি নাম জপ করিতেছি আমার সর্ব্ব বিঘ্ন দূরকর এবং শ্রীরাধা কৃষ্ণের দাস্য দান কর, এই প্রার্থনা করিতেছি।
মালা জপান্তে নিন্মরুপ জপ সমর্পণ করিতে হয়ঃ-
গুহাতিগুহ গোপ্তা ত্বং গৃহাণাস্মং কৃতং জপং ।
সিদ্বি ভবতু-মে দেব ত্বৎ প্রসাদাৎ জনার্দ্দন।।
অর্থঃ হে পরম দেব, পরম অভিষ্্ পরমপ্রিয় শ্রীকৃষ্ণ তুমি গুহ্য ও অতি গুহ্য বস্তুকে রক্ষা কর। অতএব আমার এই নাম জপ তুমি গ্রহন কর। হে দেব তোমার প্রসাদে আমার সর্বসিন্ধ লাভ।
ক্ষমা প্রার্থনা মন্ত্রঃ-
ওঁ নমো যদক্ষরং পরিভ্রস্টং মাত্রা হিনঞ্চ যদ ভবেৎ।
পূর্নং ভবতু তৎ সর্বং ত্বৎ প্রসাদাত জনার্দ্দন ॥
অর্থঃ- আমার উক্ত কার্যে যদি কোন আচার বাদ যাইয়া থাকে বা মাত্রা বিবর্তিত থাকে হে ভগবান তোমার অনুগ্রহে তা পূর্নত্ব প্রাপ্ত হউক।
বিদ্রঃ- ভ্রমক্রমে বা কোনও অনিবার্য কারণবশতঃ কোন দিন মালা জপ বন্ধ থাকিলে তৎপর দিন তার প্রায়শ্চিত্তস্বরুপ চতুর্গুণ জপ করিয়া পরে দৈনিক নিয়মের জপ করিবেন ।
সৌজন্যে- শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা স্কুল ।
"কত সৌভাগ্যে এই জন্ম! খুব করে ভগবান কে ডেকে যাও। খাটতে হয়, না খাটালে কি কিছু হয়! সংসারের কাজকর্মের মধ্যেও একটি সময় করে নিতে হয়। আমার কথা কি বলব, আমি তখন দক্ষিণেশ্বরে। রাত তিনটের সময় উঠে জপে বসতুম।"
"মন না বসলেও জপ করতে ছাড়বে না নাম করতে করতে মন আপনি স্থির হয়ে যাবে। বাতাস থাকলে প্রদীপের শিখা স্থির থাকে না, কামনা বাসনা থাকলেও মন স্থির হয় না।"
অভ্যাসের কত শক্তি! জপ অভ্যাস করতে করতে মানুষ সিদ্ধ হয়। জপাৎ সিদ্ধি, জপাৎ সিদ্ধি, জপাৎ সিদ্ধি! সংখ্যার দিকে মন রেখে জপ করলে সংখ্যার দিকে মন থাকে, এমনি জপ করবে।"
" জপ ধ্যান করতে করতে দেখবে ঠাকুর কথা কবেন। মনে যে বাসোনাটি হবে তখুনি পূর্ণ করে দেবেন। কি শান্তি প্রাণে আসবে।"
মালায় নাম জপের নিয়ম বর্ণনা-
মালা গোপনে রাখিয়া ভজনের জন্য নতুন কাপড়ের একটি থলি প্রস্তুত করিয়া তন্মধ্যে মালা রাখিতে হয়। ঐ থলির মধ্যে দক্ষিণ হস্ত প্রবেশ করাইয়া তর্জ্জনী অঙ্গুলিকে ছিদ্র দিয়া থলির বাহিরে রাখিতে হইবে। কারন তর্জ্জনী দ্বারা স্পর্শ করিতে নাই। মোটা মালার দিক হইতে জপ আরম্ভ করিতে হয় এবং সমস্ত মালা একবার জপ শেষ হইলে ঘুরাইয়া লইয়া সরু দিক হইতে পুনরায় জপ করিতে হয় ; যেহেতু মেরুলঙ্ঘন করিয়া জপ করিতে নাই, করিলে তাহা বিফল হয় । মধ্যমাঙ্গুলির মধ্যভাগের উপর মালা রাখিয়া অঙ্গুষ্ঠ দ্বারা এক একটি মালা আকর্ষণপূর্ব্বক এক একবার শ্রী হরিনাম মহামন্ত্র জপ করিতে হয়। এইরুপ 108 টি মালা সব একবার জপ হইলে এক ফেরা হয় ।এরুপ 4 ফেরায় এক গ্রন্থি হয় । 16 গ্রন্থিতে লক্ষ নাম জপ হয় । লক্ষ নাম জপের নিয়ম করা পরম সৌভাগ্যের বিষয় । থলির বাহিরে চারটি ক্ষুদ্র মালা বাঁধিয়া ফেরার সংখ্যা রাখিতে হয় এবং এক গ্রন্থির অধিক জপ করতে হইলে প্রয়োজনানুযায়ী আরও গোটাকতক ক্ষুদ্র মালা পৃথক বাঁধিয়া গ্রন্থির সংখ্যা করিতে হয় । এক গ্রন্থির কমে নাম জপের নিয়ম করিতে নাই । দীক্ষিত জন বীজ মন্ত্র বা গায়ত্রী দশবার হস্তের পর্বে বা মালায় জপ করিয়া, মহামন্ত্র ষোড়শী হরি নাম ১০৮ বার মালায় জপ করিবেন।
মালা জপের সময় নাম স্মরণ মন্ত্রঃ-
নাম চিন্তামণি-রুপং নামৈব পরমা গতিঃ।
নাম্নঃ পরতরং নাস্তি তস্মান্নাম উপাস্মহে।।
অর্থঃ- শ্রীহরি নাম চিন্তামণি ও পরমা গতি, নাম হইতে শ্রেষ্ঠ(উপাস্য) বস্তু আর কিছুই নাই। তাই শ্রী নামের স্মরণ নিলাম।
নামের মধ্যে দিয়াই শ্রীকৃষ্ণের ধ্যান-
ত্রিভঙ্গ-ভঙ্গিম-রুপং বেনুরন্ধ্র-করাঞ্চিতং।
গো, গোপ, গোপী মণ্ডল-মধ্যস্থং শোভিতং নন্দ নন্দনং।।
অর্থ- গো, গোপ, গোপীগণ মধ্যস্থ বেনুরন্ধ্রে করে যুক্ত, বাদনরত ত্রিভুজঙ্গ ভঙ্গিম শ্রীনন্দের নন্দন শ্রীকৃষ্ণকে ধ্যান করিতেছি। নাম জপের প্রথমে ও শেষে শ্রীকৃষ্ণকে প্রণাম করিবেন।
শ্রীকৃষ্ণকে প্রণাম মন্ত্রঃ-
নমো নলিন-নেত্রায় বেণু বাদ্য-বিনোদিনে।
রাধা ধর সুধা পান শালিনে বন মালিনে।।
মালা জপ আরম্ভের মন্ত্রঃ-
অবিঘ্ন করু মালে, ত্বং হরি নাম-জপেষু চ।
শ্রীরাধা কৃষ্ণয়োর্দাস্যং দেহি মালে, তু প্রার্থয়ে।।
অর্থঃ- হে মালে তোমাতে হরি নাম জপ করিতেছি আমার সর্ব্ব বিঘ্ন দূরকর এবং শ্রীরাধা কৃষ্ণের দাস্য দান কর, এই প্রার্থনা করিতেছি।
মালা জপান্তে নিন্মরুপ জপ সমর্পণ করিতে হয়ঃ-
গুহাতিগুহ গোপ্তা ত্বং গৃহাণাস্মং কৃতং জপং ।
সিদ্বি ভবতু-মে দেব ত্বৎ প্রসাদাৎ জনার্দ্দন।।
অর্থঃ হে পরম দেব, পরম অভিষ্্ পরমপ্রিয় শ্রীকৃষ্ণ তুমি গুহ্য ও অতি গুহ্য বস্তুকে রক্ষা কর। অতএব আমার এই নাম জপ তুমি গ্রহন কর। হে দেব তোমার প্রসাদে আমার সর্বসিন্ধ লাভ।
ক্ষমা প্রার্থনা মন্ত্রঃ-
ওঁ নমো যদক্ষরং পরিভ্রস্টং মাত্রা হিনঞ্চ যদ ভবেৎ।
পূর্নং ভবতু তৎ সর্বং ত্বৎ প্রসাদাত জনার্দ্দন ॥
অর্থঃ- আমার উক্ত কার্যে যদি কোন আচার বাদ যাইয়া থাকে বা মাত্রা বিবর্তিত থাকে হে ভগবান তোমার অনুগ্রহে তা পূর্নত্ব প্রাপ্ত হউক।
বিদ্রঃ- ভ্রমক্রমে বা কোনও অনিবার্য কারণবশতঃ কোন দিন মালা জপ বন্ধ থাকিলে তৎপর দিন তার প্রায়শ্চিত্তস্বরুপ চতুর্গুণ জপ করিয়া পরে দৈনিক নিয়মের জপ করিবেন ।
সৌজন্যে- শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা স্কুল ।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন