শ্রীমদ্ভাগবতে বর্ণনা করা হয়েছে যে, জীবনের শেষে জড় জগত ত্যাগ করার সময় ধ্রুব মহারাজকে ভগবদ্ধামে নিয়ে যাওয়ার জন্য বৈকুন্ঠলোক থেকে একটি দিব্যবিমান এসেছিল । চিন্ময় জগতে যাওয়ার জন্য সাধারনত মানুষকে তার জড় দেহত্যাগ করতে হয় । ধ্রুব মহারাজের ক্ষেত্রে কিন্তু তেমনটি ঘটে নি,তিনি তার জড় দেহ ত্যাগ করেননি । বরং তাঁর একই দেহ নিয়ে তিনি নিত্য ধামে ফিরে গিয়েছিলেন । সে সময় তিনি মূর্তিমান মৃত্যুকে দেখেছিলেন ; কিন্তু তিনি মোটেই ভয় পান নি । বরং তিনি মূর্তিমান মৃত্যুর মস্তকে পা রেখে বিষ্ণুলোকে যাওয়ার জন্য সেই দিব্য বিমানে আরোহন করেছিলেন । এমন প্রেক্ষাপটেই শ্রীল প্রভুপাদ একজন ভক্তের আর অভক্তের মৃত্যুর পার্থক্য ব্যাখ্যা করেছেন-
“তদোত্তানপদঃ পুত্রো দদর্শান্তকমাগতম্ ।
মৃর্ত্যোমূর্ধ্নি পদং দত্ত্বা আরুরোহাদ্ভুতং গৃহম্ ।।” (ভা:৪.১২.৩০)
অর্থাৎ, ধ্রুব মহারাজ যখন সেই চিন্ময় বিমানটিতে আরোহণ করতে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি দেখলেন যে ,মূর্তিমান মৃত্যু তাঁর কাছে এসেছে । কিন্তু তাঁকে একবারের জন্য গ্রাহ্য না করে, তিনি তার মস্তকে পা রাখে সেই বিমানটিতে আরোহণ করছিলেন,যা ছিল একটি বিশাল গৃহের মতো ।
এই শ্লোকের তাৎপর্যে শ্রীল প্রভুপাদ ব্যাখা করেছেন- “একজন ভক্তের দেহত্যাগ এবং একজন অভক্তের দেহত্যাগকে এক বলে মনে করা সম্পূর্ণ ভ্রামাত্মক । ধ্রুব মহারাজ সেই দিব্য বিমানে আরোহণ করতে যাচ্ছিলেন, তখন হটাৎ তিনি দেখলেন যে, মূর্তিমান মৃত্যু তাঁর সম্মুখে উপস্থিত হয়েছে, কিন্তু তিনি তাকে দেখে মোটেও ভয় পাননি । মৃত্যুও তাকে কোন রূপ কষ্ট দেয়নি । পক্ষান্তরে ধ্রুব মহারাজ মৃত্যুর উপস্থিতির সুযোগ নিয়ে, তার মস্তকে পর্দাপন করেছিলেন । অল্পজ্ঞ মানুষেরা ভক্তের মৃত্যু এবং অভক্তের মৃত্যুর মধ্যে যে কী পার্থক্য,তা জানে না । এই সর্ম্পকে একটি দৃষ্টান্তের অবতারণা করা যায়-
একটি বিড়াল তার শাবকদের মুখে করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যায়, আবার সেই মুখ দিয়েই সে একটি ইঁদুরকেও ধরে। আপাতদৃষ্টিতে, বিড়ালের ইঁদুর ধরাকে একই বলে মনে হয়। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তা নয়। বিড়াল যখন তার মুখে ইঁদুর ধরে ,তার অর্থ হচ্ছে ইঁদুরের মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী; কিন্তু সে যখন তার শাবকদের ধরে ,তার ফলে শাবকদের আনন্দ হয় ।
ধ্রুব মহারাজ যখন বিমানে আরোহন করেছিলেন, তখন তিনি মূর্তিমান মৃত্যুর আগমনের সুযোগ গ্রহণ করেছিলেন, যে এসেছিল তাঁকে প্রণতি নিবেদন করার জন্য । মৃত্যুর মস্তকে পর্দাপণ করে সেই অতুলনীয় বিমানটিতে আরোহণ করেছিলেন, যাকে একটি বিশাল গৃহের মতো (গৃহম্) বলে বর্ণণা করা হয়েছে” ।
জয় শ্রী কৃষ্ণ
( সংগ্রহীত )
“তদোত্তানপদঃ পুত্রো দদর্শান্তকমাগতম্ ।
মৃর্ত্যোমূর্ধ্নি পদং দত্ত্বা আরুরোহাদ্ভুতং গৃহম্ ।।” (ভা:৪.১২.৩০)
অর্থাৎ, ধ্রুব মহারাজ যখন সেই চিন্ময় বিমানটিতে আরোহণ করতে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি দেখলেন যে ,মূর্তিমান মৃত্যু তাঁর কাছে এসেছে । কিন্তু তাঁকে একবারের জন্য গ্রাহ্য না করে, তিনি তার মস্তকে পা রাখে সেই বিমানটিতে আরোহণ করছিলেন,যা ছিল একটি বিশাল গৃহের মতো ।
এই শ্লোকের তাৎপর্যে শ্রীল প্রভুপাদ ব্যাখা করেছেন- “একজন ভক্তের দেহত্যাগ এবং একজন অভক্তের দেহত্যাগকে এক বলে মনে করা সম্পূর্ণ ভ্রামাত্মক । ধ্রুব মহারাজ সেই দিব্য বিমানে আরোহণ করতে যাচ্ছিলেন, তখন হটাৎ তিনি দেখলেন যে, মূর্তিমান মৃত্যু তাঁর সম্মুখে উপস্থিত হয়েছে, কিন্তু তিনি তাকে দেখে মোটেও ভয় পাননি । মৃত্যুও তাকে কোন রূপ কষ্ট দেয়নি । পক্ষান্তরে ধ্রুব মহারাজ মৃত্যুর উপস্থিতির সুযোগ নিয়ে, তার মস্তকে পর্দাপন করেছিলেন । অল্পজ্ঞ মানুষেরা ভক্তের মৃত্যু এবং অভক্তের মৃত্যুর মধ্যে যে কী পার্থক্য,তা জানে না । এই সর্ম্পকে একটি দৃষ্টান্তের অবতারণা করা যায়-
একটি বিড়াল তার শাবকদের মুখে করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যায়, আবার সেই মুখ দিয়েই সে একটি ইঁদুরকেও ধরে। আপাতদৃষ্টিতে, বিড়ালের ইঁদুর ধরাকে একই বলে মনে হয়। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তা নয়। বিড়াল যখন তার মুখে ইঁদুর ধরে ,তার অর্থ হচ্ছে ইঁদুরের মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী; কিন্তু সে যখন তার শাবকদের ধরে ,তার ফলে শাবকদের আনন্দ হয় ।
ধ্রুব মহারাজ যখন বিমানে আরোহন করেছিলেন, তখন তিনি মূর্তিমান মৃত্যুর আগমনের সুযোগ গ্রহণ করেছিলেন, যে এসেছিল তাঁকে প্রণতি নিবেদন করার জন্য । মৃত্যুর মস্তকে পর্দাপণ করে সেই অতুলনীয় বিমানটিতে আরোহণ করেছিলেন, যাকে একটি বিশাল গৃহের মতো (গৃহম্) বলে বর্ণণা করা হয়েছে” ।
জয় শ্রী কৃষ্ণ
( সংগ্রহীত )
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন