ভারতীয় দার্শনিক তত্ত্ব বিচারের মূল উৎস হল শ্রুতি ও তন্ত্রাগমসমূহ। শ্রুতি অর্থাৎ বেদ উপনিষদ ও আরণ্যক সমূহ হতে প্রাচীনকালে ষড়দর্শনের উদ্ভব হয়েছে।
এই দার্শনিক প্রস্থানের পোষক গ্রন্থগুলির মধ্যে, যুক্তিতর্ক দিয়ে খন্ডন - মন্ডনের পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। অপরদিকে তন্ত্রাগম সমূহে, তত্ত্ব বিচার অপেক্ষায় সাধকের আধ্যাত্বিক অনুভূতির সমাবেশ পাওয়া যায়।তন্ত্রাগমকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়—শৈব ,শাক্ত ও বৈষ্ণব।
উক্ত তিনটি তন্ত্রাগমের মধ্যে, শৈব দর্শন একটি। মূলত উদ্ভূত শৈব দর্শনকেই কাশ্মীর শৈবদর্শন বা অদ্বৈত শৈব দর্শন বলা হয়। অদ্বৈত শৈব দর্শনের সারকথা হলো দৃশ্যমান এই জগতের স্বরুপ হলো শিব। শিব বা চৈতন্য হতে জগতের উৎপত্তি, চৈতন্যে এর স্থিতি এবং চৈতন্যে এর লয়। পরম তত্ত্ব বা পরমেশ্বর স্বেচ্ছায় নিজেকে জগতরূপে অভিব্যক্ত করেছে। কাশ্মীর দর্শনের মূলে বর্তমান শিব—পরমশিব। দর্শনের বিকাশ এই মূল তত্ত্ব কেন্দ্রিক। পরমশিব বর্ণনার অতীত, তার মহত্ত্ব ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তিনি অনাদি, অনন্ত, সর্বজ্ঞ ও সর্বশক্তিমান। দার্শনিক দার্শনিক শৈব দর্শন এবং শৈব দর্শন এবং শৈব দর্শন এবং অদ্বৈত বেদান্ত দর্শনের সঙ্গে সাদৃশ্য থাকলেও এদের বিভিন্নতা অনস্বীকার্য।
কাশ্মীর অদ্বৈত দর্শনে যাবতীয় বস্তুই চৈতন্যের প্রকাশ অবশ্য এই বিস্ময়কর বিশ্ব অনুভববেদ্য এখানে জগৎসংসারের মূলে চৈতন্য। কাশ্মীর শৈব দর্শনএ সাধনার লক্ষ্য হলো, নিজের মধ্যে অবস্থিত অখন্ড শিব সত্তাকে জাগিয়ে তোলা। অর্থাৎ শিবত্বপ্রাপ্তি।
আর সেটা সম্ভব, পরমেশ্বরের অনুগ্রহ কৃত্যের দ্বারা।
(পরম দুঃখের, এত সুন্দর একটা প্র্যাকটিক্যাল দর্শনকে আমরা অবহেলা করি, এর কারণ এটি নব্য দর্শন বলে।
বেশিরভাগ লোক তন্ত্র মানে বোঝে বশীকরণ,মারণ ইত্যাদি ক্রিয়া, মদ, গাঁজা ইত্যাদি সেবন করা। বাস্তবে তারা তন্ত্র দর্শনের আসল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য জানেনা।
তন্ত্রের মধ্যেও একটি শুদ্ধ অদ্বৈত তত্ত্ব লুকিয়ে রয়েছে তারা বুঝতে পারে না। আর না বুঝেই শাস্ত্রটিকে অগ্ৰাহ্য করে। কেবলমাত্র সুযোগ্য গুরু এবং শিষ্যের অভাবে আজ তান্ত্রিক সম্প্রদায় লুপ্ত। তাই আমি সকলকে অনুরোধ করবো তন্ত্রাগমের অন্তর্ভুক্ত এই কাশ্মীর শৈব দর্শন কে তারা যেন একটু প্রাধান্য দেয়, এবং জিনিসটিকে বোঝার চেষ্টা করে)।
____________________________________________
🔱
🔱
🔱সশ্চিদানন্দরূপ শিবোহম
🔱
🔱
Courtesy: Pritam Ghosh
এই দার্শনিক প্রস্থানের পোষক গ্রন্থগুলির মধ্যে, যুক্তিতর্ক দিয়ে খন্ডন - মন্ডনের পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। অপরদিকে তন্ত্রাগম সমূহে, তত্ত্ব বিচার অপেক্ষায় সাধকের আধ্যাত্বিক অনুভূতির সমাবেশ পাওয়া যায়।তন্ত্রাগমকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়—শৈব ,শাক্ত ও বৈষ্ণব।
উক্ত তিনটি তন্ত্রাগমের মধ্যে, শৈব দর্শন একটি। মূলত উদ্ভূত শৈব দর্শনকেই কাশ্মীর শৈবদর্শন বা অদ্বৈত শৈব দর্শন বলা হয়। অদ্বৈত শৈব দর্শনের সারকথা হলো দৃশ্যমান এই জগতের স্বরুপ হলো শিব। শিব বা চৈতন্য হতে জগতের উৎপত্তি, চৈতন্যে এর স্থিতি এবং চৈতন্যে এর লয়। পরম তত্ত্ব বা পরমেশ্বর স্বেচ্ছায় নিজেকে জগতরূপে অভিব্যক্ত করেছে। কাশ্মীর দর্শনের মূলে বর্তমান শিব—পরমশিব। দর্শনের বিকাশ এই মূল তত্ত্ব কেন্দ্রিক। পরমশিব বর্ণনার অতীত, তার মহত্ত্ব ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তিনি অনাদি, অনন্ত, সর্বজ্ঞ ও সর্বশক্তিমান। দার্শনিক দার্শনিক শৈব দর্শন এবং শৈব দর্শন এবং শৈব দর্শন এবং অদ্বৈত বেদান্ত দর্শনের সঙ্গে সাদৃশ্য থাকলেও এদের বিভিন্নতা অনস্বীকার্য।
কাশ্মীর অদ্বৈত দর্শনে যাবতীয় বস্তুই চৈতন্যের প্রকাশ অবশ্য এই বিস্ময়কর বিশ্ব অনুভববেদ্য এখানে জগৎসংসারের মূলে চৈতন্য। কাশ্মীর শৈব দর্শনএ সাধনার লক্ষ্য হলো, নিজের মধ্যে অবস্থিত অখন্ড শিব সত্তাকে জাগিয়ে তোলা। অর্থাৎ শিবত্বপ্রাপ্তি।
আর সেটা সম্ভব, পরমেশ্বরের অনুগ্রহ কৃত্যের দ্বারা।
(পরম দুঃখের, এত সুন্দর একটা প্র্যাকটিক্যাল দর্শনকে আমরা অবহেলা করি, এর কারণ এটি নব্য দর্শন বলে।
বেশিরভাগ লোক তন্ত্র মানে বোঝে বশীকরণ,মারণ ইত্যাদি ক্রিয়া, মদ, গাঁজা ইত্যাদি সেবন করা। বাস্তবে তারা তন্ত্র দর্শনের আসল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য জানেনা।
তন্ত্রের মধ্যেও একটি শুদ্ধ অদ্বৈত তত্ত্ব লুকিয়ে রয়েছে তারা বুঝতে পারে না। আর না বুঝেই শাস্ত্রটিকে অগ্ৰাহ্য করে। কেবলমাত্র সুযোগ্য গুরু এবং শিষ্যের অভাবে আজ তান্ত্রিক সম্প্রদায় লুপ্ত। তাই আমি সকলকে অনুরোধ করবো তন্ত্রাগমের অন্তর্ভুক্ত এই কাশ্মীর শৈব দর্শন কে তারা যেন একটু প্রাধান্য দেয়, এবং জিনিসটিকে বোঝার চেষ্টা করে)।
____________________________________________





Courtesy: Pritam Ghosh
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন