ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ অর্জনকে আত্মজ্ঞান শিক্ষা দিবার জন্য প্ৰথম বুঝিয়ে দিলেন মৃতের জন্য শোক করা ধীমান ব্যক্তির যোগ্য নয়, কেন না আত্মা জন্ম মৃত্যু রহিত। মৃত্যু বিনাশ নয়, তাহা অবস্থান্তর প্রাপ্তি। আমরা শৈশব অতিক্রম করেই যখন যৌবনে প্রবেশ করি এবং যৌবনান্তে যখন জরাগ্রস্ত হই, তখন তো শোক করি না। তবে মৃত্যুর জন্য কেন শোক করব, তাহাও অবস্থান্তর প্রাপ্তি মাত্র; আমাদের শরীর ক্ষয়প্রাপ্ত হয় সত্য, তাহার ধৰ্ম্ম মরণশীলতা; কিন্তু দেহের যথার্থ কর্তা যে আত্মা তিনি জন্ম-মৃত্যু রহিত, অবিনাশী, অক্ষয় এবং নিত্য। যখন দেহের মৃত্যু হয়, তখন দেহস্বামী আত্মা তাহা জীর্ণ বস্ত্রের ন্যায় পরিত্যাগ করে নূতন দেহ গ্রহণ করেন। এতদ্ভিন্ন জীবের আদি অব্যক্ত অপ্ৰকাশ, কেবলমাত্ৰ এই লোকে এই জীবন ব্যক্ত। অব্যক্ত আদির জন্য তো আমরা শোক করি না, তবে অব্যক্ত শেষের জন্য কেন শোক করিব ? স্থির বুদ্ধি জ্ঞানী ব্যক্তি এরূপ অবৈধ শোকে অভিভূত হয়েন না। জন্ম হইলেই মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী, যাহা নিশ্চিত তাহার জন্য শোক করা উচিত নয়। ইহা ভিন্ন যাঁহারা আজ আছে তাঁহারা যে পূর্বে ছিলেন না—এমন নয় এবং যাঁহারা আজ নাই, তাঁহারা যে আবার ভবিষ্যতে আসিবেন না, এমনও নয়। যেমন জন্মিলে মৃত্যু নিশ্চিত, তেমনি মৃতের জন্মান্তর প্রাপ্তি সুনিশ্চিত। নিম্ন লিখিত কয়েকটি শ্লোকে ভগবান অর্জনকে মৃত্যু কেন অশোচ্য তাহা বুঝাইয়া দিয়াছেন।
১/ দেহিনোহস্মিন্ যথা দেহে কৌমারং যৌবনংজরা ,,তথা দেহান্তর প্রাপ্তিঃ ধীরস্তত্ৰ ন মুহ্যতি।। ২/১৩
অনুবাদঃ- দেহীর দেহ যেভাবে কৌমার, যৌবন ও জরার মাধ্যমে তার রূপ পরিবর্তন করে চলে, মৃত্যুকালে তেমনই ঐ দেহী ( আত্মা ) এক দেহ থেকে অন্য কোন দেহে দেহান্তরিত হয়। স্থিতপ্রজ্ঞ পণ্ডিতেরা কখনও এই পরিবর্তনে মুহ্যমান হন না ।
২/ ন জায়তে ম্রিয়তে বা কদাচিন্ নায়ং ভূত্বা ভবিতা বা ন ভূয়ঃ ,,অজো নিত্যঃ শাশ্বতোহয়ং পুরাণো ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে ।। ২/২০
অনুবাদঃ- আত্মার কখনও জন্ম হয় না বা মৃত্যু হয় না, অথবা পুনঃ পুনঃ তাঁর উৎপত্তি বা বৃদ্ধি হয় না৷ তিনি জন্মরহিত শাশ্বত, নিত্য এবং পুরাতন হলেও চিরনবীন। শরীর নষ্ট হলেও আত্মা কখনও বিনষ্ট হয় না।
৩/ বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায় নবানি গৃহ্নাতি নরোহপরাণি ,, তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণা ন্যন্যানি সংযাতি নবানি দেহী। ২/২২
অনুবাদঃ- মানুষ যেমন জীর্ণ বস্ত্র পরিত্যাগ করে নতুন বস্ত্র পরিধান করে, দেহীও তেমনই জীর্ণ শরীর ত্যাগ করে নতুন দেহ ধারণ করেন।
৪/ অব্যক্তাদীনি ভূতানি ব্যক্তমধ্যানি ভারত ,,
অব্যক্তনিধনান্যেব তত্র কা পরিদেবনা। ২/২৮
অনুবাদঃ- হে ভারত ! সমস্ত সৃষ্ট জীব উৎপন্ন হওয়ার আগে অপ্রকাশিত ছিল, তাদের স্থিতিকালে প্রকাশিত থাকে এবং বিনাশের পর আবার অপ্রকাশিত হয়ে যায়। সুতরাং, সেই জন্য শোক করার কি কারণ ?
১/ দেহিনোহস্মিন্ যথা দেহে কৌমারং যৌবনংজরা ,,তথা দেহান্তর প্রাপ্তিঃ ধীরস্তত্ৰ ন মুহ্যতি।। ২/১৩
অনুবাদঃ- দেহীর দেহ যেভাবে কৌমার, যৌবন ও জরার মাধ্যমে তার রূপ পরিবর্তন করে চলে, মৃত্যুকালে তেমনই ঐ দেহী ( আত্মা ) এক দেহ থেকে অন্য কোন দেহে দেহান্তরিত হয়। স্থিতপ্রজ্ঞ পণ্ডিতেরা কখনও এই পরিবর্তনে মুহ্যমান হন না ।
২/ ন জায়তে ম্রিয়তে বা কদাচিন্ নায়ং ভূত্বা ভবিতা বা ন ভূয়ঃ ,,অজো নিত্যঃ শাশ্বতোহয়ং পুরাণো ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে ।। ২/২০
অনুবাদঃ- আত্মার কখনও জন্ম হয় না বা মৃত্যু হয় না, অথবা পুনঃ পুনঃ তাঁর উৎপত্তি বা বৃদ্ধি হয় না৷ তিনি জন্মরহিত শাশ্বত, নিত্য এবং পুরাতন হলেও চিরনবীন। শরীর নষ্ট হলেও আত্মা কখনও বিনষ্ট হয় না।
৩/ বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায় নবানি গৃহ্নাতি নরোহপরাণি ,, তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণা ন্যন্যানি সংযাতি নবানি দেহী। ২/২২
অনুবাদঃ- মানুষ যেমন জীর্ণ বস্ত্র পরিত্যাগ করে নতুন বস্ত্র পরিধান করে, দেহীও তেমনই জীর্ণ শরীর ত্যাগ করে নতুন দেহ ধারণ করেন।
৪/ অব্যক্তাদীনি ভূতানি ব্যক্তমধ্যানি ভারত ,,
অব্যক্তনিধনান্যেব তত্র কা পরিদেবনা। ২/২৮
অনুবাদঃ- হে ভারত ! সমস্ত সৃষ্ট জীব উৎপন্ন হওয়ার আগে অপ্রকাশিত ছিল, তাদের স্থিতিকালে প্রকাশিত থাকে এবং বিনাশের পর আবার অপ্রকাশিত হয়ে যায়। সুতরাং, সেই জন্য শোক করার কি কারণ ?
Collected from: ডি শীল
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন