আমরা এই জড়া প্রকৃতিতে জন্মগ্রহণ করেছি মানেই,কোনো পাপের ফল। মানবদেহ পাওয়ার অর্থ-কিছু কিছু পুণ্য সঞ্চয়ের ফল,এবং ভগবদ্ভজনের মাধ্যমে ভগবৎ প্রাপ্তির এক সুযোগ।
ভুল এবং পাপ মানব জীবনে হবেই। ভুল সবারই হতে পারে,তা সে সাধুই হোক আর মহাপুরুষই হোক। আর পাপ তো সাধারণ মানুষের নানাভাবে হতে পারে। যেমন-ক্রোধ করা,কাউকে কটু কথা বলা,জেনেশুনে খারাপ জিনিস দর্শণ,খারাপ জিনিস শ্রবণ করে-দৃষ্টি ও শ্রবণ দ্বারা পাপ।
এমন অজস্র পাপ আমরা জেনেশুনে শুধুমাত্র ইন্দ্রিয় সংযম না থাকার ফলে করে ফেলি।
আবার অজান্ত একটি পিঁপড়েকে মেরে ফেলাও পাপ। বাহ্যিক পাপ আমাদের দ্বারা হয়ই। এবার যদি খাদ্যের মাধ্যমেও পাপ গ্রহণ করি,কি অবস্থা হতে পারে ভাবুন!
একাদশীর দিন পাপপুরুষ,ভগবানের আদেশ ও অনুরোধে পঞ্চশস্যে অবস্থান করে। তাই একাদশীতে ঐ জাতীয় আহার না করে,পাপ থেকে কিছুটা বিরত থাকা যায়।
এবার অনেকে একাদশী করে-শুধু উপবাস থেকে। শুধু উপবাস থেকেই যদি ভগবৎ প্রাপ্তি হতো,তাহলে পথেঘাটের ভিক্ষুকেরা তো বছরে অনেক উপবাস করে। তাদের তো আপনার থেকে অনেক আগে ভগবৎ প্রাপ্তি হওয়া উচিৎ!
একাদশীতে যত বেশি পারা যায় জপ করতে হবে,তবেই উপবাস সার্থক।
এবার বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি:-
আমরা যে খাদ্য গ্রহণ করি তা দেহের শক্তি জোগায়,এবং নতুন কোষ তৈরির ক্ষমতা দেয়। এই দুই প্রক্রিয়ায়ই প্রচুর বিষ উৎপন্ন হয়,যা কোষের ক্রিয়াশীলতায় বাধা দেয়।
গৃহীত খাদ্য চূর্ণ হয়ে যকৃতে গিয়ে পৌছায়। ফুসফুস ও মূত্রাশয়ের মতো যকৃতও সকল বিষ ও বর্জ্য পদার্থ দেহ থেকে বের করে দেয়।
এবার উপবাসের সময় যেহেতু দেহ কোনো খাদ্য গ্রহণ করে না,তাই নতুন বিষও উৎপন্ন হয় না,এবং তখন যকৃৎ শুধু বিষ নিষ্কাশনের জন্যই পুরো সময় কাজ করে।
প্রক্রিয়াটি আরেকটু ভাল করে বুঝুন-
টিকে থাকার জন্য দেহের ইন্ধনের প্রয়োজন। দেহ যখন নতুন ইন্ধন পাচ্ছে না,তখন দেহে সঞ্চিত বিষ-এর উপর ক্রিয়া করে সেগুলি দগ্ধ করে।
এরপর সঞ্চিত পুষ্টিকর উপাদান,যেমন-সঞ্চিত ফ্যাট,ক্যালোরি-এর উপর ক্রিয়া করে।
এই কারনেই অতিরিক্ত স্থূলদেহের ব্যক্তিকে ডাক্তারও উপবাসের উপদেশ দেন।
দীর্ঘ উপবাসকালের পর যখন দেহকোষের কার্যকে বিঘ্ন ঘটানোর মতো বিষের পরিমাণ দেহে কমে যায়,তখন দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তিও বহুগুণে বৃদ্ধি পায়,রক্ত বিশুদ্ধ হয়,ত্বক পরিস্কার হতে শুরু করে।
মা এবং বোনেরা শুনুন-
উপবাসে মুখমন্ডলের দিপ্তিও অনেক বৃদ্ধি পায়।
এই কারনেই হসপিটালে রোগী যখন খাদ্যগ্রহণ বন্ধ রাখে-অনাহারের ফলে রোগীর নয়,রোগের মৃত্যু হয়।
আজ চিকিৎসকেরা উপবাসকে বিকল্প চিকিৎসা হিসাবে ব্যবহার ক'রে-রক্তাল্পতা,জ্বর,অনিয়মিত স্রাব,মাথাব্যাথা,বাত,মানসিক অবসাদ ইত্যাদির চিকিৎসা করছেন।
"সুতরাং প্রতি ক্ষেত্রেই বিজ্ঞান,আধ্যাত্মিকতাকে ভর ক'রে,আধ্যাত্মিকতা বিজ্ঞানকে নয়!"
বিজ্ঞানকে প্রতি ক্ষেত্রেই আধ্যাত্মিকতার কাছে শিখতে হয়!!
ভুল এবং পাপ মানব জীবনে হবেই। ভুল সবারই হতে পারে,তা সে সাধুই হোক আর মহাপুরুষই হোক। আর পাপ তো সাধারণ মানুষের নানাভাবে হতে পারে। যেমন-ক্রোধ করা,কাউকে কটু কথা বলা,জেনেশুনে খারাপ জিনিস দর্শণ,খারাপ জিনিস শ্রবণ করে-দৃষ্টি ও শ্রবণ দ্বারা পাপ।
এমন অজস্র পাপ আমরা জেনেশুনে শুধুমাত্র ইন্দ্রিয় সংযম না থাকার ফলে করে ফেলি।
আবার অজান্ত একটি পিঁপড়েকে মেরে ফেলাও পাপ। বাহ্যিক পাপ আমাদের দ্বারা হয়ই। এবার যদি খাদ্যের মাধ্যমেও পাপ গ্রহণ করি,কি অবস্থা হতে পারে ভাবুন!
একাদশীর দিন পাপপুরুষ,ভগবানের আদেশ ও অনুরোধে পঞ্চশস্যে অবস্থান করে। তাই একাদশীতে ঐ জাতীয় আহার না করে,পাপ থেকে কিছুটা বিরত থাকা যায়।
এবার অনেকে একাদশী করে-শুধু উপবাস থেকে। শুধু উপবাস থেকেই যদি ভগবৎ প্রাপ্তি হতো,তাহলে পথেঘাটের ভিক্ষুকেরা তো বছরে অনেক উপবাস করে। তাদের তো আপনার থেকে অনেক আগে ভগবৎ প্রাপ্তি হওয়া উচিৎ!
একাদশীতে যত বেশি পারা যায় জপ করতে হবে,তবেই উপবাস সার্থক।
এবার বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি:-
আমরা যে খাদ্য গ্রহণ করি তা দেহের শক্তি জোগায়,এবং নতুন কোষ তৈরির ক্ষমতা দেয়। এই দুই প্রক্রিয়ায়ই প্রচুর বিষ উৎপন্ন হয়,যা কোষের ক্রিয়াশীলতায় বাধা দেয়।
গৃহীত খাদ্য চূর্ণ হয়ে যকৃতে গিয়ে পৌছায়। ফুসফুস ও মূত্রাশয়ের মতো যকৃতও সকল বিষ ও বর্জ্য পদার্থ দেহ থেকে বের করে দেয়।
এবার উপবাসের সময় যেহেতু দেহ কোনো খাদ্য গ্রহণ করে না,তাই নতুন বিষও উৎপন্ন হয় না,এবং তখন যকৃৎ শুধু বিষ নিষ্কাশনের জন্যই পুরো সময় কাজ করে।
প্রক্রিয়াটি আরেকটু ভাল করে বুঝুন-
টিকে থাকার জন্য দেহের ইন্ধনের প্রয়োজন। দেহ যখন নতুন ইন্ধন পাচ্ছে না,তখন দেহে সঞ্চিত বিষ-এর উপর ক্রিয়া করে সেগুলি দগ্ধ করে।
এরপর সঞ্চিত পুষ্টিকর উপাদান,যেমন-সঞ্চিত ফ্যাট,ক্যালোরি-এর উপর ক্রিয়া করে।
এই কারনেই অতিরিক্ত স্থূলদেহের ব্যক্তিকে ডাক্তারও উপবাসের উপদেশ দেন।
দীর্ঘ উপবাসকালের পর যখন দেহকোষের কার্যকে বিঘ্ন ঘটানোর মতো বিষের পরিমাণ দেহে কমে যায়,তখন দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তিও বহুগুণে বৃদ্ধি পায়,রক্ত বিশুদ্ধ হয়,ত্বক পরিস্কার হতে শুরু করে।
মা এবং বোনেরা শুনুন-
উপবাসে মুখমন্ডলের দিপ্তিও অনেক বৃদ্ধি পায়।
এই কারনেই হসপিটালে রোগী যখন খাদ্যগ্রহণ বন্ধ রাখে-অনাহারের ফলে রোগীর নয়,রোগের মৃত্যু হয়।
আজ চিকিৎসকেরা উপবাসকে বিকল্প চিকিৎসা হিসাবে ব্যবহার ক'রে-রক্তাল্পতা,জ্বর,অনিয়মিত স্রাব,মাথাব্যাথা,বাত,মানসিক অবসাদ ইত্যাদির চিকিৎসা করছেন।
"সুতরাং প্রতি ক্ষেত্রেই বিজ্ঞান,আধ্যাত্মিকতাকে ভর ক'রে,আধ্যাত্মিকতা বিজ্ঞানকে নয়!"
বিজ্ঞানকে প্রতি ক্ষেত্রেই আধ্যাত্মিকতার কাছে শিখতে হয়!!
Collected Narayan Chandra Roy
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন