রাধানাথ স্বামী একজন বৈষ্ণব সন্ন্যাসী এবং ভক্তি যোগের শিক্ষক। তাঁর লেখা অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি বই . The Journey Home যেখানে তিনি তাঁর জীবনের আধ্যাত্মিকতার অনুসান্ধান সম্পর্কে লিখেছেন। তিনি তাঁর শিশ্যদেরকে শ্রীমদ্ভগবদ গীতা,ভাগবত, রামায়ণ, মহাভারত থেকে শিক্ষা দিয়ে থাকেন যা তাদেরকে আধ্যাত্মিক মুক্তির পথ দেখায়।
রাধানাথ স্বামী ১৯৫০ সালের ডিসেম্বর মাসের ৭ তারিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে জন্ম গ্রহন করেন। তখন তাঁর নাম দেয়া হয় রিচার্ড স্লাভিন।কিশোর বয়স থেকেই স্লাভিন আত্মার মুক্তির খোঁজ করতে থাকেন। সমাজের অনাচার, অনিয়ম তাকে তীব্র ভাবে পীড়িত করতে থাকে।উনিশ বছর বয়সে স্লাভিন ইউরোপ ভ্রমণের সময় তাঁর মনের ভিতর থাকা মুক্তির বাসনা তীব্র হয়ে ওঠে। এভাবেই তাঁর স্রষ্টাকে খুজতে থাকার প্রচেষ্টা তীব্র থেকে তীব্র তর হতে থাকে। আর এজন্যই তিনি পকেটে কোন অর্থ না নিয়েই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়েন। গ্রিস, তুরস্ক,আফগানিস্থান, পাকিস্তান হয়ে সব শেষে আসেন ভারতে- বৈদিক জ্ঞানের পুন্য ভূমিতে। এখানে এসে তিনি অনেক গুরুর নিকটে সাধনা জ্ঞান সম্পর্কে ধারনা নেন। তিনি হিমালয় পর্বতে কখনও গভীর জঙ্গলে সাধানা করেছেন। তিনি নেপালেও কিছু কাল ছিলেন। সব শেষে তিনি বৃন্দাবনে আসেন-যোগেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের বাল্য কাল যেখানে কেটেছিল। এখানে এসে তিনি বৈষ্ণব দর্শন শেখেন এবং প্রেম-ভালবাসা-ভক্তির অপূর্ব মিশ্রন দেখে মোহিত হয়ে যান।
বৃন্দাবনে এসে স্লাভিন ইস্কনের প্রতিষ্ঠাতা ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভপাদের নিকট শিক্ষা নেন এবং তাঁর কাছে দীক্ষা নেন। ৩১ বছর বয়সে তিনি সন্ন্যাসী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং তাঁর নাম হয় রাধানাথ স্বামী।
বর্তমানে রাধানাথ স্বামী ভারত,ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার অনেক দেশ এ ভক্তি যোগ সম্পর্কে শিক্ষা দিয়ে বেড়াচ্ছেন। মুম্বাইয়ের চৌপাপাট্টি তে গোপিনাথ আশ্রমের মাধ্যমে তিনি প্রতিদিন ২৬০,০০০ জন গরীব, দুস্থ,বস্তিবাসী শিশুদের জন্য দুপুরবেলার নিরামিশ খাবার বিতরণ প্রোজেক্ট পরিচালনা করছেন। এছাড়া স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল এবং বিভিন্ন দুর্যোগে ত্রান বিতরণ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।
___________________________________
___________________________________
আমারা এক সময় প্রচারে বিশ্বাসী ছিলাম না। এই সুযোগে কিছু বাজে মানুষ এমন ভাবে প্রচার করল যেন বিশ্বে হিন্দু বলে কারো অস্তিত্বই নেই।অপপ্রচার এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে হিন্দু মাত্রই ধর্মহীন, কিংবা অন্য ধর্ম গ্রহনে উৎসাহী। তাঁদের কে জবাব দিতে চাই আমরা। দেখাতে চাই বিশ্বে হিন্দু সভ্যতার অবদান অন্য সবার থেকে বেশি।দেখাতে চাই দলে দলে সৎ চিন্তার লোকেরা এ দর্শনে আশ্রয় নিয়ে জীবনে মুক্তি খুজে পাচ্ছে। বিশ্বের সব কোনাতে এখন ধ্বনিত হচ্ছে সনাতনের জয়ধ্বনি।
বিশ্ব আবারো সনাতন দর্শনের দিকে ফিরছে।যে শঙ্খ নাদ ধ্বনিত হয়েছিল প্রাচ্যের উর্বর ভুমি থেকে তার সুর ভেসে আসছে প্রতীচ্য থেকে। তাই সেই জয় যাত্রায় আপনারাও অভিযাত্রিক হন।
বিশ্ব আবারো সনাতন দর্শনের দিকে ফিরছে।যে শঙ্খ নাদ ধ্বনিত হয়েছিল প্রাচ্যের উর্বর ভুমি থেকে তার সুর ভেসে আসছে প্রতীচ্য থেকে। তাই সেই জয় যাত্রায় আপনারাও অভিযাত্রিক হন।
Bangali Hindu Post (বাঙ্গালি হিন্দু পোস্ট)
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন