রণেশ দাশগুপ্তের জন্ম ১৯১২ সালের ১৫ জানুয়ারি ভারতের ডিব্রুগড়ের সোনারং গ্রামে, মামার বাড়িতে। তাঁর বাবার নাম অপূর্বরত্ন দাশগুপ্ত। মা ইন্দুপ্রভা দাশগুপ্ত। অপূর্বরত্ন দাশগুপ্ত ছিলেন চাকুরিজীবি। তাঁদের আদি বাড়ি ছিল বর্তমান বাংলাদেশের বিক্রমপুরের গাউপাড়া গ্রামে।
স্কুল জীবনের শেষ প্রান্তে এসে 'স্বদেশী ভাবনায়' উদ্বুদ্ধ হয়ে পড়েন রণেশ দাশগুপ্ত। ১৯২৯ সালেই রাঁচি জেলা স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করেন। ইন্টারমিডিয়েট পড়ার জন্য ভর্তি হন বাঁকুড়া ক্রিশ্চিয়ান কলেজে, বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে।
রণেশ দাশগুপ্ত থাকতেন কলেজ হোস্টেলে। সেখানে ছিল 'অনুশীলন সমিতি'র শাখা। ফলে দুয়ে দুয়ে চার মিলতে বেশি সময় লাগল না। সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে গেলেন 'অনুশীলন সমিতি'র সাথে। সমিতির সদস্যরা তখন কংগ্রেসে কাজ করতেন। ১৯৩০ সালের আইন অমান্য আন্দোলনের সময় রণেশ দাশগুপ্তের উপর দায়িত্ব পরে কলেজ হোস্টেলের শাখার কাজ পরিচালনা করার। সেখানে তাঁর নেতৃত্বে কলেজে দীর্ঘদিন ধর্মঘট সংঘটিত হয়। পরিণতিতে কলেজ থেকে রণেশ দাশগুপ্তসহ ১৬ জনকে বহিস্কার করে দেওয়া হয়।
রণেশ দাশগুপ্ত ফিরে এলেন কলকাতায়। কোনোমতে সিটি কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। থাকতেন কলেজের রামমোহন রায় হোস্টেলে। স্থান পরিবর্তন হলেও আগের পরিচিত বিপ্লবী নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ অক্ষুন্ন থাকে। ১৯৩১ সালে মাত্র ছয় মাস পড়াশোনা করে সিটি কলেজ থেকে আই.এস.সি. পাশ করেন।
রণেশ দাশগুপ্ত ফিরে এলেন কলকাতায়। কোনোমতে সিটি কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। থাকতেন কলেজের রামমোহন রায় হোস্টেলে। স্থান পরিবর্তন হলেও আগের পরিচিত বিপ্লবী নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ অক্ষুন্ন থাকে। ১৯৩১ সালে মাত্র ছয় মাস পড়াশোনা করে সিটি কলেজ থেকে আই.এস.সি. পাশ করেন।
রাজনীতির প্রতি ছেলের আগ্রহ পিতা অপূর্বরত্নকে ভাবিয়ে তোলে। তিনি রণেশ দাশগুপ্তকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্য বরিশালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে আশ্রয় মিলে কবি জীবনানন্দ দাশের পরিবার-'সর্বানন্দ ভবনে'। তিনি ব্রজমোহন কলেজে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে বি.এ.-তে ভর্তি হন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই রণেশ দাশগুপ্তের ঘরটি বিপ্লবীদের যোগাযোগ কেন্দ্রে পরিণত হয়। 'সর্বানন্দ ভবনের' কয়েকজন ব্রিটিশ সরকারের উচ্চপদে চাকরি করতেন। তাঁদের কাছে গোয়েন্দা রিপোর্ট গেল। ফলে সেই বাড়ি ছেড়ে তাঁকে চলে যেতে হল বিএম কলেজের হোস্টেলে। নিয়মিত যাতায়াত করতেন রামকৃষ্ণ মিশন ও শঙ্কর মঠে। কলেজে অন্য অনেক বিপ্লবী বন্ধুদের সহায়তায় একটি মার্কসীয় গ্রুপ তৈরি করেন। এই গ্রুপের পত্রিকার নাম ছিল 'জাগরণী'। এই 'জাগরণী গোষ্ঠী'ই পরে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির বরিশাল জেলা কমিটির শাখা হিসেবে পরিণত হয়।
রণেশ দাশগুপ্ত বরিশালে তিন বছর কাটিয়ে ফিরে আসেন ঢাকায়। ১৯৩৮ সালে ২৬ বছর বয়সে ঢাকার 'সোনার বাংলা' সাপ্তাহিকের সহকারী সম্পাদকরূপে সাংবাদিকতা পেশায় হাতেখড়ি হয় রণেশ দাশগুপ্তের। পরে সাংসারিক প্রয়োজনেই চাকুরি নেন একটি ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে। সেই চাকুরিতে যুক্ত ছিলেন ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত।
চল্লিশের দশকে রণেশ দাশগুপ্তের অনন্য কীর্তি ছিল ঢাকায় প্রগতি লেখক সংঘের শাখা প্রতিষ্ঠা করা। রণেশ দাশগুপ্ত ছিলেন এই সংস্থার 'ফ্রেন্ড, ফিলসফার অ্যান্ড গাইড'।
১৯৪৭ সালের আগষ্ট মাসে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশভাগ সম্পন্ন হয়। কিন্তু তিনি সপরিবারে থেকে যান ঢাকাতেই। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী বাঙালির উপর উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়। সারা বাংলায় বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে ওঠে। কমিউনিস্ট পার্টি তখন নিষিদ্ধ। রণেশ দাশগুপ্ত কমিউনিস্ট পার্টির ডাকে একটি শ্রমিক ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ গ্রেফতার হন। ছাড়া পান কয়েকদিন মধ্যেই। কিন্তু পরে একই বছরের ৭ জুলাই আবার তাঁকে আটক করা হয়। এবং বিনা বিচারে ১৯৫৫ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত কারান্তরালে কাটান। দীর্ঘ ৭ বছর ৮ মাসের কারাবাসে রণেশ দাশগুপ্ত চারটি অনশনে অংশ নেন। প্রথম অনশন ১৯৪৮ সালে ঢাকা জেলে ১১-১৫ মার্চ, দ্বিতীয় অনশন মে-জুন মাসে ৪০ দিন এবং তৃতীয় অনশন হয় সরকারের 'আশ্বাস না রাখার' কারণে। চতুর্থবার অনশন করেন রাজশাহী কারাগারে। এর মধ্যে তাঁকে রাজশাহী ও যশোর জেলে বদলি করা হয়। ইতিমধ্যে তাঁর পরিবারও ঢাকা ছেড়ে কলকাতায় চলে যায়। জেল থেকে বেরিয়ে একেবারে একা হয়ে পড়েন তিনি। পরিবারের কেউ নেই, নেই রাজনৈতিক সহকর্মীরা। এই অবস্থায় চাকুরি নেন 'ইত্তেফাকে'। দুই বছর সেখানে ফ্রি-ল্যান্সার হিসেবে কাজ করেন।
১৯৪৭ সালের আগষ্ট মাসে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশভাগ সম্পন্ন হয়। কিন্তু তিনি সপরিবারে থেকে যান ঢাকাতেই। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী বাঙালির উপর উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়। সারা বাংলায় বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে ওঠে। কমিউনিস্ট পার্টি তখন নিষিদ্ধ। রণেশ দাশগুপ্ত কমিউনিস্ট পার্টির ডাকে একটি শ্রমিক ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ গ্রেফতার হন। ছাড়া পান কয়েকদিন মধ্যেই। কিন্তু পরে একই বছরের ৭ জুলাই আবার তাঁকে আটক করা হয়। এবং বিনা বিচারে ১৯৫৫ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত কারান্তরালে কাটান। দীর্ঘ ৭ বছর ৮ মাসের কারাবাসে রণেশ দাশগুপ্ত চারটি অনশনে অংশ নেন। প্রথম অনশন ১৯৪৮ সালে ঢাকা জেলে ১১-১৫ মার্চ, দ্বিতীয় অনশন মে-জুন মাসে ৪০ দিন এবং তৃতীয় অনশন হয় সরকারের 'আশ্বাস না রাখার' কারণে। চতুর্থবার অনশন করেন রাজশাহী কারাগারে। এর মধ্যে তাঁকে রাজশাহী ও যশোর জেলে বদলি করা হয়। ইতিমধ্যে তাঁর পরিবারও ঢাকা ছেড়ে কলকাতায় চলে যায়। জেল থেকে বেরিয়ে একেবারে একা হয়ে পড়েন তিনি। পরিবারের কেউ নেই, নেই রাজনৈতিক সহকর্মীরা। এই অবস্থায় চাকুরি নেন 'ইত্তেফাকে'। দুই বছর সেখানে ফ্রি-ল্যান্সার হিসেবে কাজ করেন।
১৯৫৭ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে গোপন কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন রণেশ দাশগুপ্ত। তিনি শাঁখারিবাজার, তাঁতীবাজার, ইসলামপুর এলাকা থেকে নির্বাচিত হন। এসময় ঢাকার ৩৫টি আসনের ৩৪টিতেই জয়লাভ করেছিল মুসলিম লীগের প্রার্থীরা। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন রণেশ দাশগুপ্ত। ১৯৬২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি আবার গ্রেফতার হন। অন্য কয়েকজন বামপন্থী কর্মীর সাথে ১৯৬৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি জেল থেকে ছাড়া পান । জেল থেকে বেরিয়েই যোগ দেন সংবাদ অফিসে। তিনি তখন রবিবাসরীয় পাতার দায়িত্বে ছিলেন। মূলত এখান থেকেই নিজেকে মেলে ধরতে থাকেন সাংবাদিকতা ও রাজনৈতিক সংগঠকের ভূমিকায়। সংবাদে তখন কাজ করতেন কমিউনিস্ট পার্টির নেতা শহীদুল্লাহ কায়সার। গোপন কমিউনিস্ট পার্টির আরো অনেকে মিলে তখন 'সংবাদ-কমিউন' গঠন করেন। এখান থেকেই রণেশ দাশগুপ্ত চালিয়ে যান পার্টির কাজ, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, আর লেখালেখি তো আছেই।
ইতিমধ্যে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিবেশ আবার ভয়াবহ হতে থাকে। ১৯৬৫ সালে শুরু হয় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। গ্রেফতার করা হতে থাকে পূর্ব পাকিস্তানের বামপন্থী রাজনীতিবিদ ও জাতীয়তাবাদী নেতাদের। এই বছরের সেপ্টেম্বরে রণেশ দাশগুপ্ত গ্রেফতার হন। জেলের বাইরে রাজপথে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা আন্দোলন অভূতপূর্ব জাগরণ তৈরি করে। এবার জেল থেকে ছাড়া পান ১৯৬৮ সালের প্রথম দিকে। আবার সংবাদে কলাম লেখক হিসেবে যোগ দেন। উনসত্তরের গণঅভ্যূত্থানের সময় সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা ছিল অনন্য।
জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সোপান হিসেবেই আসে মুক্তিযুদ্ধ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে পাকিস্তানি হায়েনার দল ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরীহ ঘুমন্ত বাঙালির উপর। রণেশ দাশগুপ্ত তখন পুরান ঢাকার বাসিন্দা। প্রথম কিছুদিন তিনি ঢাকাতেই আত্মগোপন করে থাকেন। পরে চলে যান নরসিংদীর রায়পুরায়। সেখান থেকে পার্টির অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে ভারতের আগরতলাতে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে চলে যান কলকাতায়। রণেশ দাশগুপ্ত কলকাতায় সভা-সমিতিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বক্তৃতা করেন। মাঝে মাঝে অংশ নিতেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠানমালাতেও। দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন। ততদিনে রণেশ দাশগুপ্ত বাংলাদেশের অসাধারণ এক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন, যেন তিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজে ঘুরে বেরিয়েছেন সারা দেশ। এই সময়ে পার্টির সাথেও তাঁর দূরত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকে। ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠনের সময় সংবাদ বন্ধ হয়ে গেলে তাঁর সাংবাদিক জীবনে ছেদ পরে। তিনি কমিউনিস্ট পার্টির বাকশালে যোগদানের বিরোধী ছিলেন।
জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সোপান হিসেবেই আসে মুক্তিযুদ্ধ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে পাকিস্তানি হায়েনার দল ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরীহ ঘুমন্ত বাঙালির উপর। রণেশ দাশগুপ্ত তখন পুরান ঢাকার বাসিন্দা। প্রথম কিছুদিন তিনি ঢাকাতেই আত্মগোপন করে থাকেন। পরে চলে যান নরসিংদীর রায়পুরায়। সেখান থেকে পার্টির অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে ভারতের আগরতলাতে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে চলে যান কলকাতায়। রণেশ দাশগুপ্ত কলকাতায় সভা-সমিতিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বক্তৃতা করেন। মাঝে মাঝে অংশ নিতেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠানমালাতেও। দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন। ততদিনে রণেশ দাশগুপ্ত বাংলাদেশের অসাধারণ এক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন, যেন তিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজে ঘুরে বেরিয়েছেন সারা দেশ। এই সময়ে পার্টির সাথেও তাঁর দূরত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকে। ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠনের সময় সংবাদ বন্ধ হয়ে গেলে তাঁর সাংবাদিক জীবনে ছেদ পরে। তিনি কমিউনিস্ট পার্টির বাকশালে যোগদানের বিরোধী ছিলেন।
১৯৭৫ সালেই ঘটে রক্তাক্ত পনের আগষ্ট। তিনি তখন 'খেলাঘরে'র একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে ঢাকার বাইরে ছিলেন। বিপদ বুঝে আমন্ত্রণকারীরা তাঁকে তখন আর ঢাকায় আসতে দিলেন না। কয়েকদিন পর ঢাকায় ফিরে অক্টোবরে 'ভাই- বোনদের দেখার জন্য' কলকাতায় চলে যান। আর কোনোদিন তাঁর বাংলাদেশে আসা হয়ে ওঠেনি। যখন তিনি কলকাতায় যান তখন তাঁর বয়স ছিল ৬৩ বছর। বেঁচে ছিলেন ৮৫ বছর বয়স পর্যন্ত। ধীরে ধীরে তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। ১৯৯৭ সালের ১ অক্টোবর শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁকে নিয়ে আসা হয় কলকাতার এক বামপন্থী সাংস্কৃতিক কর্মীর বাসায়। সেখানে কিছুটা সুস্থ হলে ৩১ অক্টোবর তাঁকে কলকাতার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তাঁর পেসমেকার স্থাপন করা হয়। অবশেষে ১৯৯৭ সালের ৪ নভেম্বর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন