ওঁ তৎসৎ, কঠোপনিষদে যম বলছেন,
শ্রেয়শ্চ প্রেয়শ্চ মনুষ্যমেত স্তো সম্পরীত্য বিবিনক্তি ধীরঃ।
শ্রেয়ো হি ধীরো অভি প্রেয়শো বৃণীতে প্রেয়ো মন্দো য়োগক্ষেমাদ্ বৃণীতে।।
অর্থাৎ শ্রে এবং প্রেয় যেন মানুষকে পরস্পর মিলিত হয়ে আশ্রয় করেন। যিনি ধীর তিনি প্রেয় অপেক্ষা শ্রেয়কে উত্তম বলে মনে করেন। কিন্তু যিনি সত্যি অল্পবুদ্ধি তিনি অস্থায়ী সুখের জন্য প্রেয়কে বেশি গুরুত্ব দেন।
আমাদের বৈদিক শাস্ত্রে কী নেই? এমন চমৎকার বাণী রয়েছে যা আমাদের সমস্ত ভুল বুঝাবুঝির নিরসন করবেন।
উক্ত বাণীর আলোকে বলি, সত্য ও হিতকর বাক্য অপ্রিয় হলেও গ্রহণ করতে হয় যেমন ঔষধ। ঔষধ কি আমাদের রুচিমত না হলেও গ্রহণ না করে পারি? না। তাহলে কেন আমরা সমাজের এত দোষ প্রত্যক্ষ করেও সবার প্রিয় থাকার লোভে নীরব থাকবো? কেন আমাদের কে মিষ্টি কথার জন্য কান পেতে থাকতে হবে? কেন অনুরোধ করতে হবে যে, অসৎ গুরুকে নিন্দা না করে কেবল বন্দনা করুন বা গুরু নিন্দা আমরা সহ্য করতে পারি না? কেন আমরা সত্য ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শকে লাইক না করে শুধু মুখের মিষ্টিকে পছন্দ করবো?
মুখের মিষ্টির চেয়ে অন্তরের মিষ্টি কি বেশি হতে পারে না?
কেন আমাদের সব কথা আপনার মনো মত না হয়ে সত্য হলেও গ্রহণ করতে পারেবন না?
তা যদি না পারেন তাহলে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের এত বড় উপাধী সত্যি ব্যাধি হয়ে দেখা দিবে না?
কেন আপনার মনমতো না হলে চলে যাবেন?
এমন ত কথা ছিল না!
যদি চলেই যান তাহলে আপনি কি ঠকবেন না ঐ ঠকবাজদের কাছে?
আমরা যে সমাজ সংস্কার ব্রত ধারণ করেছি তা অতীতে মাত্র এক এক জন বীর পুরুষের দ্বারাও সংগঠিত হয়েছিল! আমরা আজ সবাই মিলে করার কারণ সমাজে হিতকারীর চেয়ে ক্ষতিকারী বেড়ে গেছে। আপনি আমাদের সংগ পরিত্যাগ করলে নিশ্চই ওদের সঙ্গে না গিয়ে পারবেন কি? যাদের দ্বারা আপনার কোন উত্থানতো হবে না বরং ভয়ানক অধপতনই অনিবার্য!
স্বয়ং বিচার করুন।
ধন্যবাদ।
কেবল বেদানুগামীদেরই কল্যাণ প্রার্থনা করি।
কারণ এই প্রার্থনা বেদেই ধ্বনিত হয়েছে।
Arya Sebananda
শ্রেয়শ্চ প্রেয়শ্চ মনুষ্যমেত স্তো সম্পরীত্য বিবিনক্তি ধীরঃ।
শ্রেয়ো হি ধীরো অভি প্রেয়শো বৃণীতে প্রেয়ো মন্দো য়োগক্ষেমাদ্ বৃণীতে।।
অর্থাৎ শ্রে এবং প্রেয় যেন মানুষকে পরস্পর মিলিত হয়ে আশ্রয় করেন। যিনি ধীর তিনি প্রেয় অপেক্ষা শ্রেয়কে উত্তম বলে মনে করেন। কিন্তু যিনি সত্যি অল্পবুদ্ধি তিনি অস্থায়ী সুখের জন্য প্রেয়কে বেশি গুরুত্ব দেন।
আমাদের বৈদিক শাস্ত্রে কী নেই? এমন চমৎকার বাণী রয়েছে যা আমাদের সমস্ত ভুল বুঝাবুঝির নিরসন করবেন।
উক্ত বাণীর আলোকে বলি, সত্য ও হিতকর বাক্য অপ্রিয় হলেও গ্রহণ করতে হয় যেমন ঔষধ। ঔষধ কি আমাদের রুচিমত না হলেও গ্রহণ না করে পারি? না। তাহলে কেন আমরা সমাজের এত দোষ প্রত্যক্ষ করেও সবার প্রিয় থাকার লোভে নীরব থাকবো? কেন আমাদের কে মিষ্টি কথার জন্য কান পেতে থাকতে হবে? কেন অনুরোধ করতে হবে যে, অসৎ গুরুকে নিন্দা না করে কেবল বন্দনা করুন বা গুরু নিন্দা আমরা সহ্য করতে পারি না? কেন আমরা সত্য ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শকে লাইক না করে শুধু মুখের মিষ্টিকে পছন্দ করবো?
মুখের মিষ্টির চেয়ে অন্তরের মিষ্টি কি বেশি হতে পারে না?
কেন আমাদের সব কথা আপনার মনো মত না হয়ে সত্য হলেও গ্রহণ করতে পারেবন না?
তা যদি না পারেন তাহলে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের এত বড় উপাধী সত্যি ব্যাধি হয়ে দেখা দিবে না?
কেন আপনার মনমতো না হলে চলে যাবেন?
এমন ত কথা ছিল না!
যদি চলেই যান তাহলে আপনি কি ঠকবেন না ঐ ঠকবাজদের কাছে?
আমরা যে সমাজ সংস্কার ব্রত ধারণ করেছি তা অতীতে মাত্র এক এক জন বীর পুরুষের দ্বারাও সংগঠিত হয়েছিল! আমরা আজ সবাই মিলে করার কারণ সমাজে হিতকারীর চেয়ে ক্ষতিকারী বেড়ে গেছে। আপনি আমাদের সংগ পরিত্যাগ করলে নিশ্চই ওদের সঙ্গে না গিয়ে পারবেন কি? যাদের দ্বারা আপনার কোন উত্থানতো হবে না বরং ভয়ানক অধপতনই অনিবার্য!
স্বয়ং বিচার করুন।
ধন্যবাদ।
কেবল বেদানুগামীদেরই কল্যাণ প্রার্থনা করি।
কারণ এই প্রার্থনা বেদেই ধ্বনিত হয়েছে।
Arya Sebananda
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন