প্রতিটি মানুষের জীবনের উদ্দেশ্যকে বলা হয় পুরুষার্থ। প্রতিটি মানুষই জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি, সাফল্য, স্বচ্ছন্দ, যশ, খ্যাতি, অমরত্ব(কীর্তিদ্বারা) প্রভৃতি চায়। বৈদিক ঋষিরা মানবজীবনের এই সকল চাওয়া পাওয়াকে দুটি ভাগে ভাগ করেছেন। কাম ও আর্থ। এই দুটি শব্দ দ্বারা মানব জীবনের সমস্ত কামনাবাসনা প্রকাশ করা যায়। কাম ও আর্থ না থাকলে জীবন পরিপূর্ণ হয়না বা বলা যায় কাম ও আর্থ ছাড়া জীবনই হয়না। কিন্তু, প্রত্যেকটি কাজেরই কিছু নীতি থাকে। নীতিবর্জিত যেকোন কাজই ব্যক্তি ও সমাজের সুদূরপ্রসারী ক্ষতি করে থাকে এবং নীতিভ্রষ্ট সমাজের ধ্বংসই নিয়তি। তাই বৈদিক ঋষিদের মতে, যে নীতিদ্বারা কাম ও আর্থ পরিচালিত হবে, তা হবে ধর্ম। ধর্মই পথ দেখাবে মানুষ, সমাজ ও প্রকৃতির পরস্পর নির্ভরশীল সহাবস্থানের, ঠিক করে দেবে পারস্পরিক সম্পর্কের নৈতিকতা, তৈরি করবে ব্যক্তিত্ব, নির্ধারণ করবে ব্যক্তিগত ও সামাজিক চরিত্র, উন্মেষ ঘটাবে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের এবং মানুষের সুপ্ত ঐশ্বরিক গুনসমূহের ধাপে ধাপে চর্চার মাধ্যমে তার মনুষ্যগুণের সর্বোচ্চ পরিস্ফুরন ঘটাবে। আর, এই গুণসমূহের সর্বোচ্চ পরিস্ফুটনের দ্বারা মানুষের সাথে ঈশ্বরের পার্থক্য ঘুচে যাবে, মানুষ হয়ে উঠবে সচ্চিদানন্দ, তাঁর ভেতরকার ব্রহ্ম জেগে উঠবে, আর আত্মা পরমাত্মায় লীন হয়ে যাবে। এই, অন্তিম অবস্থাকেই বৈদিক ঋষিরা কাম ও আর্থের বাইরে এক অন্তিম লক্ষ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, যার নাম মোক্ষ।
সুতরাং, বেদ মতে পুরুষার্থ চারটি। যথাঃ কাম, আর্থ, ধর্ম ও মোক্ষ।
ব্যাপারটা আর একটু খোলাসা করা যাক।
বেদমতে ঈশ্বর জগত সৃষ্টি করেননি। বরং, সকল সৃষ্টি ঈশ্বরেরই প্রকাশ। অর্থাৎ, এক ঈশ্বরই সর্বজীবে ও সর্বভূতে অধিষ্ঠিত। সৃষ্টির সাথে ঈশ্বরের গুনগত কোন পার্থক্য নেই। পার্থক্য কেবল প্রকাশভেদে। সৃষ্টি গুণে অপূর্ণ ও অপ্রকাশিত, কিন্তু ঈশ্বর সম্পূর্ণ ও প্রকাশিত।
ঈশ্বরকে বলা হয়, সচ্চিদানন্দ। এটি তিনটি শব্দের যুক্তাক্ষর; সত, চিত ও আনন্দ।
সত= যা সর্বদা বিরাজমান; অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নেয় এবং যা সময় দ্বারা সীমাবদ্ধ নয়। যেমনঃ সৃষ্টি, প্রকৃতি, মহাবিশ্ব ইত্যাদি।
চিত= যিনি সচেতন বা চেতনাধারী। যিনি ন্যায়, অন্যায়, ভুল শুদ্ধ বিচার করতে পারেন, এমন বিবেকবান। যেমনঃ জীবজগত (বিশেষ করে মানুষ)
আনন্দ= যিনি সর্বদা আনন্দময়; সুখ, দুঃখ, জরা, ব্যাধি, রাগ, ক্ষোভ, বিদ্বেষ, জীবন মৃত্যুর অতীত, সর্ব গুণান্বিত, সম্পূর্ণ। চিরসচেতন, সর্বত্র ও অনন্ত।
অর্থাৎ, আমরা দেখি প্রকৃতি বা সৃষ্টি হল সত, জীব হল সত ও চিত উভয়ই। আর ঈশ্বর হল সচ্চিদানন্দ। কারণ, তিনি সত ও চত এর পাশাপাশি পূর্ণ প্রকাশিত আনন্দময়। জীবের (এক্ষেত্রে মানুষের) সাথে ঈশ্বরের পার্থক্য কেবল গুণাবলীর প্রকাশে। মানুষের সুপ্ত, ঈশ্বরের সম্পূর্ণ প্রকাশিত।
মানুষের সুপ্ত চেতনা বা গুণের প্রকাশের অনুঘটক হল ধর্ম।
Courtest by: Ayan Chowdhury
সুতরাং, বেদ মতে পুরুষার্থ চারটি। যথাঃ কাম, আর্থ, ধর্ম ও মোক্ষ।
ব্যাপারটা আর একটু খোলাসা করা যাক।
বেদমতে ঈশ্বর জগত সৃষ্টি করেননি। বরং, সকল সৃষ্টি ঈশ্বরেরই প্রকাশ। অর্থাৎ, এক ঈশ্বরই সর্বজীবে ও সর্বভূতে অধিষ্ঠিত। সৃষ্টির সাথে ঈশ্বরের গুনগত কোন পার্থক্য নেই। পার্থক্য কেবল প্রকাশভেদে। সৃষ্টি গুণে অপূর্ণ ও অপ্রকাশিত, কিন্তু ঈশ্বর সম্পূর্ণ ও প্রকাশিত।
ঈশ্বরকে বলা হয়, সচ্চিদানন্দ। এটি তিনটি শব্দের যুক্তাক্ষর; সত, চিত ও আনন্দ।
সত= যা সর্বদা বিরাজমান; অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নেয় এবং যা সময় দ্বারা সীমাবদ্ধ নয়। যেমনঃ সৃষ্টি, প্রকৃতি, মহাবিশ্ব ইত্যাদি।
চিত= যিনি সচেতন বা চেতনাধারী। যিনি ন্যায়, অন্যায়, ভুল শুদ্ধ বিচার করতে পারেন, এমন বিবেকবান। যেমনঃ জীবজগত (বিশেষ করে মানুষ)
আনন্দ= যিনি সর্বদা আনন্দময়; সুখ, দুঃখ, জরা, ব্যাধি, রাগ, ক্ষোভ, বিদ্বেষ, জীবন মৃত্যুর অতীত, সর্ব গুণান্বিত, সম্পূর্ণ। চিরসচেতন, সর্বত্র ও অনন্ত।
অর্থাৎ, আমরা দেখি প্রকৃতি বা সৃষ্টি হল সত, জীব হল সত ও চিত উভয়ই। আর ঈশ্বর হল সচ্চিদানন্দ। কারণ, তিনি সত ও চত এর পাশাপাশি পূর্ণ প্রকাশিত আনন্দময়। জীবের (এক্ষেত্রে মানুষের) সাথে ঈশ্বরের পার্থক্য কেবল গুণাবলীর প্রকাশে। মানুষের সুপ্ত, ঈশ্বরের সম্পূর্ণ প্রকাশিত।
মানুষের সুপ্ত চেতনা বা গুণের প্রকাশের অনুঘটক হল ধর্ম।
Courtest by: Ayan Chowdhury
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন