পরমেশ্বর ভগবান সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি, স্থিতি ও বিনাশের একমাত্র কর্তা। সকল জীবই তাঁর থেকে উৎপত্তি ও লয়প্রাপ্ত হয়। উৎপত্তি ভেদে জীব চার প্রকারের হয়ে থাকে। যা হলো,
01) জরায়ুজঃ জরায়ু থেকে উৎপন্ন হয় যারা, তাদের বলে জরায়ুজ প্রাণী। যেমন -মানুষ, গরু,
মহীষ, ভেড়া, ছাগল ইত্যাদি।
02) অন্ডজঃ অন্ডকোষ বা ডিম থেকে উৎপন্ন প্রাণীদের বলে অন্ডজ। যেমন -পক্ষী, সর্প,
টিকটিকি, গিরগিটি ইত্যাদি।
03) উদ্ভিজঃ পৃথিবীর মাটি ভেদ করে উপরে যে গুলি ওঠে, সেগুলো উদ্ভিজ। যেমন -বৃক্ষ, লতা, দুর্বা ইত্যাদি।
04) স্বেদজঃ স্বেদ বা ময়লা হতে উৎপন্ন জীবদের বলে স্বেদজ। যেমন উকুন, কেঁচো ইত্যাদি।
এই চারটি স্থান হতে চুরাশি লক্ষ জীব উৎপন্ন হয়। এগুলি হতে দুই প্রকার জীব জন্মায়, স্থাবর ও জঙ্গম। বৃক্ষ, লতা, দুর্বা ইত্যাদি একই স্থানে থাকায় এগুলিকে বলে 'স্থাবর' জীব। আর মানুষ, পশু, পাখি ইত্যাদি চলাফেরা করে যেসব জীব তাদের বলা হয় 'জঙ্গম' জীব। এই সব জীবের মধ্যে কেউ থাকে জলে, কেউ থাকে আকাশে এবং কেউ থাকে মাটিতে। এই চুরাশি লক্ষ জীব ব্যতীত দেবতা, পিতৃগণ, গন্ধর্ব, ভুত, প্রেত, পিশাচ, ব্রহ্ম-রাক্ষস ইত্যাদি নানা প্রকার জীব আছে। এই সমস্ত জীবেরই বীজ অর্থাৎ মূল কারণ হলেন একমাত্র ভগবান। তাৎপর্য হলো এই যে, অনন্ত ব্রহ্মাণ্ডে অনন্ত জীব আছে, কিন্ত সবেরই বীজ সেই 'এক'। তাই সর্বভুতে একমাত্র ভগবানই বিরাজমান -'বাসুদেবঃ সর্বম্'।
বীজ হতে যেমন চারা হয়, তেমনই এক ভগবান হতে এই সম্পূর্ণ জগত সংসার সৃষ্ট হয়েছে। যেমন গম থেকে গম, পশু থেকে পশু, মানুষ থেকে মানুষই উৎপন্ন হয়, তেমনই ভগবান থেকে ভগবানই হয়। অর্থাৎ, জগত-সংসার রুপে ভগবানই প্রকটিত। স্বর্ণ নির্মিত গহনা যেমন স্বর্ণময়ই হয়, লৌহ নির্মিত দ্রব্যাদি যেমন লৌহময়ই হয়ে থাকে, তেমনই ভগবান হতে সৃষ্ট এই জগতও ভগবৎস্বরুপই হয়। লৌকিক বীজের একটি প্রকার থেকে একই প্রকারের চাষ হয়। যেমন গম বীজ হতে গমই উৎপন্ন হয়, এমন নয় যে গম বীজ থেকেই গম, বাজরা, মুগ ইত্যাদি সর্বপ্রথম শস্যই উৎপন্ন হবে। বীজই পৃথক পৃথক হয়ে থাকে। কিন্ত ভগবৎস্বরুপ বীজের বিশেষত্ব হল এই যে, সেই এক ভগবৎবীজ হতে নানা প্রকার জগৎ-সংসার সৃষ্টি হয় এবং এতো কিছু সৃষ্টি হলেও তাতে কোনো প্রকার বিকৃতি আসে না। তা একই ভাবে বিরাজ করে, কারণ এই বীজ হলো 'অব্যয়' এবং 'সনাতন'। এখানেই সচ্চিদানন্দ ভগবানের বিভুতি প্রকাশ। পরমকরুনাময় সচ্চিদানন্দ ভগবান শ্রীহরি সবার মঙ্গল আর কল্যাণ করুণ।
"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে!!"
!!জয় শ্রীগোবিন্দ!! জয় রাধে!!
Courtesy : দেবেন্দ্র
01) জরায়ুজঃ জরায়ু থেকে উৎপন্ন হয় যারা, তাদের বলে জরায়ুজ প্রাণী। যেমন -মানুষ, গরু,
মহীষ, ভেড়া, ছাগল ইত্যাদি।
02) অন্ডজঃ অন্ডকোষ বা ডিম থেকে উৎপন্ন প্রাণীদের বলে অন্ডজ। যেমন -পক্ষী, সর্প,
টিকটিকি, গিরগিটি ইত্যাদি।
03) উদ্ভিজঃ পৃথিবীর মাটি ভেদ করে উপরে যে গুলি ওঠে, সেগুলো উদ্ভিজ। যেমন -বৃক্ষ, লতা, দুর্বা ইত্যাদি।
04) স্বেদজঃ স্বেদ বা ময়লা হতে উৎপন্ন জীবদের বলে স্বেদজ। যেমন উকুন, কেঁচো ইত্যাদি।
এই চারটি স্থান হতে চুরাশি লক্ষ জীব উৎপন্ন হয়। এগুলি হতে দুই প্রকার জীব জন্মায়, স্থাবর ও জঙ্গম। বৃক্ষ, লতা, দুর্বা ইত্যাদি একই স্থানে থাকায় এগুলিকে বলে 'স্থাবর' জীব। আর মানুষ, পশু, পাখি ইত্যাদি চলাফেরা করে যেসব জীব তাদের বলা হয় 'জঙ্গম' জীব। এই সব জীবের মধ্যে কেউ থাকে জলে, কেউ থাকে আকাশে এবং কেউ থাকে মাটিতে। এই চুরাশি লক্ষ জীব ব্যতীত দেবতা, পিতৃগণ, গন্ধর্ব, ভুত, প্রেত, পিশাচ, ব্রহ্ম-রাক্ষস ইত্যাদি নানা প্রকার জীব আছে। এই সমস্ত জীবেরই বীজ অর্থাৎ মূল কারণ হলেন একমাত্র ভগবান। তাৎপর্য হলো এই যে, অনন্ত ব্রহ্মাণ্ডে অনন্ত জীব আছে, কিন্ত সবেরই বীজ সেই 'এক'। তাই সর্বভুতে একমাত্র ভগবানই বিরাজমান -'বাসুদেবঃ সর্বম্'।
বীজ হতে যেমন চারা হয়, তেমনই এক ভগবান হতে এই সম্পূর্ণ জগত সংসার সৃষ্ট হয়েছে। যেমন গম থেকে গম, পশু থেকে পশু, মানুষ থেকে মানুষই উৎপন্ন হয়, তেমনই ভগবান থেকে ভগবানই হয়। অর্থাৎ, জগত-সংসার রুপে ভগবানই প্রকটিত। স্বর্ণ নির্মিত গহনা যেমন স্বর্ণময়ই হয়, লৌহ নির্মিত দ্রব্যাদি যেমন লৌহময়ই হয়ে থাকে, তেমনই ভগবান হতে সৃষ্ট এই জগতও ভগবৎস্বরুপই হয়। লৌকিক বীজের একটি প্রকার থেকে একই প্রকারের চাষ হয়। যেমন গম বীজ হতে গমই উৎপন্ন হয়, এমন নয় যে গম বীজ থেকেই গম, বাজরা, মুগ ইত্যাদি সর্বপ্রথম শস্যই উৎপন্ন হবে। বীজই পৃথক পৃথক হয়ে থাকে। কিন্ত ভগবৎস্বরুপ বীজের বিশেষত্ব হল এই যে, সেই এক ভগবৎবীজ হতে নানা প্রকার জগৎ-সংসার সৃষ্টি হয় এবং এতো কিছু সৃষ্টি হলেও তাতে কোনো প্রকার বিকৃতি আসে না। তা একই ভাবে বিরাজ করে, কারণ এই বীজ হলো 'অব্যয়' এবং 'সনাতন'। এখানেই সচ্চিদানন্দ ভগবানের বিভুতি প্রকাশ। পরমকরুনাময় সচ্চিদানন্দ ভগবান শ্রীহরি সবার মঙ্গল আর কল্যাণ করুণ।
"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে!!"
!!জয় শ্রীগোবিন্দ!! জয় রাধে!!
Courtesy : দেবেন্দ্র
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন