বর্তমানের যান্ত্রিক সভ্যতায় জীবন যাত্রার গতি যেমন দ্রুত থেকে দ্রুততর হচ্ছে, তেমনি আমাদের চিন্তাচেতনায়ও অস্থিরতায় চকিত থাকে সর্বক্ষণ। আমরা ধর্ম পালন তো দুরের কথা, ধর্মতত্ত্ব শোনার বা পড়ারও সময় পাইনা। অথচ শ্রীমদ্ভগবদ গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আমাদের সর্বচিন্তা কর্মে ধর্মাধর্ম পালনের সুন্দর উপদেশ দিয়েছেন।
আমরা দেখি, সন্ন্যাস জীবনে মানুষ গৃহত্যাগী হয়ে বনেজঙ্গলে অথবা আশ্রমে জীবনাতিপাত করেন। সে তো শুধু নিজের আত্মার উন্নতিকল্পে। ঈশ্বর আমাদের এই সংসারের জীবদের কল্যাণের নিমিত্তে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি গীতায় বলেছেন যে সকল কর্ম করেও কর্মে বা কর্মফলে যে আশা করেনা, সেই প্রকৃত সন্ন্যাসী। অর্থাৎ সকল কর্মফল ঈশ্বরে সমর্পণ করে লোক হিতার্থে কর্ম করাই আমাদের লক্ষ্যও উদ্দেশ্য হওয়া বাঞ্ছনীয়।
মাদকের নেশা যেমন মানুষকে ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে টেনে নেয়, তেমনি ফলাকাঙ্ক্ষা কর্মেও মানুষের সর্বনাশ আর বন্ধন, তথা জীবন মৃত্যুর চক্রে আবদ্ধ করে। সংসারে আমাদের প্রধান লক্ষ্য সুখে শান্তিতে আপনজনদের সাথে জীবন যাপন করা। কিন্ত একবারও কি চিন্তা করে দেখেছি, সৎ পথে আর সুস্থ সুন্দর জীবনের জন্য আমাদের কর্তব্য কর্ম কেমন বা কিরুপ হলে আমরা ধর্মীয় চেতনা অক্ষুন্ন রেখে, সবদিক বজায় রাখতে পারি?
ফেসবুকে আজকাল দেখি প্রচুর ধর্মীয় পেজ গ্রুপ ইত্যাদিতে ভরপুর। যা দেখে সত্যিই ভাল লাগে। আরো ভাল লাগে, যখন কারো কারো লেখার চমৎকারিত্বে। যদি এসব লেখা মৌলিক হয়, তবে লেখককে সাধুবাদ না দিলে সেটা হবে অকৃতঞ্জতা। কারণ এদের শাস্ত্রঞ্জান সত্যিই লোকশিক্ষায় সহায়ক। আমরা যদি ধর্মকর্ম নাও করি, এই যে ধর্মীয় কাজে সময় ব্যয়, এটা তো মিথ্যা নয়। যতক্ষণ একটা পোস্ট করতে, লাইক বা কমেন্ট করতে সময় লাগে, ততক্ষণ তো ভগবান সান্নিধ্যে থাকা হলো।
এখানে কারো কাছে কিছুরই প্রত্যাশা নেই, আছে শুধু জিঞ্জাসা যা ভগবদ্ কর্ম তথা ভগবদ্ঞ্জান সংগ্রহের আকাঙ্খা। গীতার মতে এটা অবশ্যই নিষ্কাম কর্ম। আমরা সবাই যদি এমন কাজে ব্যপ্ত থাকি
তবে আর বেশি দিন নেই, যেদিন ভগবানের অপার কৃপায় ঘরে ঘরে "হরিনাম" কীর্ত্তিত হবে।
তাই সকল বন্ধুদের নিকট আমার সবিনয় নিবেদন, আমরা যেন অহং, কর্তৃত্বাভিমান ইত্যাকার আসুরিক ভাব গুলি দুরে রেখে, সবাই সবার জন্য মঙ্গল আর শান্তির জন্য কাজ করি। আর আমাদের উত্তরসুরিদের ধর্মীয় আদর্শ ও ভাবধারায় মানুষ করার চেষ্টা করি।
আমাদের চেষ্টায় যদি কোনো সংশয় বা কর্মে যদি কোনো আকাঙ্খা না থাকে, তবে নিশ্চয়ই আমরা সফল হবোই হবো। কারণ স্বয়ং ভগবান আমাদের সাথে আছেন। আর আমাদের মহা অস্ত্র, সর্ববিপদ সংহারী মহামন্ত্র তো আছেই।
"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে!!"
!!জয় শ্রীকৃষ্ণ!! জয় রাধে!!
!!জয় সকল ভক্তবৃন্দের!!
courtesy : দেবেন্দ্র
আমরা দেখি, সন্ন্যাস জীবনে মানুষ গৃহত্যাগী হয়ে বনেজঙ্গলে অথবা আশ্রমে জীবনাতিপাত করেন। সে তো শুধু নিজের আত্মার উন্নতিকল্পে। ঈশ্বর আমাদের এই সংসারের জীবদের কল্যাণের নিমিত্তে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি গীতায় বলেছেন যে সকল কর্ম করেও কর্মে বা কর্মফলে যে আশা করেনা, সেই প্রকৃত সন্ন্যাসী। অর্থাৎ সকল কর্মফল ঈশ্বরে সমর্পণ করে লোক হিতার্থে কর্ম করাই আমাদের লক্ষ্যও উদ্দেশ্য হওয়া বাঞ্ছনীয়।
মাদকের নেশা যেমন মানুষকে ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে টেনে নেয়, তেমনি ফলাকাঙ্ক্ষা কর্মেও মানুষের সর্বনাশ আর বন্ধন, তথা জীবন মৃত্যুর চক্রে আবদ্ধ করে। সংসারে আমাদের প্রধান লক্ষ্য সুখে শান্তিতে আপনজনদের সাথে জীবন যাপন করা। কিন্ত একবারও কি চিন্তা করে দেখেছি, সৎ পথে আর সুস্থ সুন্দর জীবনের জন্য আমাদের কর্তব্য কর্ম কেমন বা কিরুপ হলে আমরা ধর্মীয় চেতনা অক্ষুন্ন রেখে, সবদিক বজায় রাখতে পারি?
ফেসবুকে আজকাল দেখি প্রচুর ধর্মীয় পেজ গ্রুপ ইত্যাদিতে ভরপুর। যা দেখে সত্যিই ভাল লাগে। আরো ভাল লাগে, যখন কারো কারো লেখার চমৎকারিত্বে। যদি এসব লেখা মৌলিক হয়, তবে লেখককে সাধুবাদ না দিলে সেটা হবে অকৃতঞ্জতা। কারণ এদের শাস্ত্রঞ্জান সত্যিই লোকশিক্ষায় সহায়ক। আমরা যদি ধর্মকর্ম নাও করি, এই যে ধর্মীয় কাজে সময় ব্যয়, এটা তো মিথ্যা নয়। যতক্ষণ একটা পোস্ট করতে, লাইক বা কমেন্ট করতে সময় লাগে, ততক্ষণ তো ভগবান সান্নিধ্যে থাকা হলো।
এখানে কারো কাছে কিছুরই প্রত্যাশা নেই, আছে শুধু জিঞ্জাসা যা ভগবদ্ কর্ম তথা ভগবদ্ঞ্জান সংগ্রহের আকাঙ্খা। গীতার মতে এটা অবশ্যই নিষ্কাম কর্ম। আমরা সবাই যদি এমন কাজে ব্যপ্ত থাকি
তবে আর বেশি দিন নেই, যেদিন ভগবানের অপার কৃপায় ঘরে ঘরে "হরিনাম" কীর্ত্তিত হবে।
তাই সকল বন্ধুদের নিকট আমার সবিনয় নিবেদন, আমরা যেন অহং, কর্তৃত্বাভিমান ইত্যাকার আসুরিক ভাব গুলি দুরে রেখে, সবাই সবার জন্য মঙ্গল আর শান্তির জন্য কাজ করি। আর আমাদের উত্তরসুরিদের ধর্মীয় আদর্শ ও ভাবধারায় মানুষ করার চেষ্টা করি।
আমাদের চেষ্টায় যদি কোনো সংশয় বা কর্মে যদি কোনো আকাঙ্খা না থাকে, তবে নিশ্চয়ই আমরা সফল হবোই হবো। কারণ স্বয়ং ভগবান আমাদের সাথে আছেন। আর আমাদের মহা অস্ত্র, সর্ববিপদ সংহারী মহামন্ত্র তো আছেই।
"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে!!"
!!জয় শ্রীকৃষ্ণ!! জয় রাধে!!
!!জয় সকল ভক্তবৃন্দের!!
courtesy : দেবেন্দ্র
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন