সচ্চিদানন্দঘন, পরমেশ্বর ভগবান সকল উৎস্য ও সৃষ্টির কারণ। তিনি অনাদি ও অনন্ত, ষড়ৈশ্বর্যময়, চৌষট্টি কলায় পূর্ণতম। সকল জীবজড় তাঁর অস্তিত্বে এবং তিনি সকল জীবজড়ের অস্তিত্বে একীভূত। তাইতো তিনি সর্ববিভু, সর্বঞ্জ ও সকলের অন্তঃরাজ্যের অধিপতি। তাঁর পদে অর্পিত সকল কর্ম, চিন্তা, ধ্যান, ধারণা ইত্যাদি পূর্ণ থেকে পূর্ণময় হয়ে ওঠে।
আমরা অনেকে তানসেনের নাম শুনেছি। তিনি ছিলেন একজন গায়ক। তাঁর সঠিক গায়কী কুশলী আর সুরসৌষ্ঠবে প্রকৃতি সাড়া দিতেও অবহেলা করতো না। তানসেন ছিলেন দিল্লীর বাদশাহ আকবরের সভাগায়ক। তাঁর সঙ্গীত মুর্ছনায় আকবরের সভা বাঙ্ময় হয়ে উঠতো। আকবর বাদশাহ তানসেনের সঙ্গীতে এমন বিমোহিত হয়ে থাকতেন যে, তানসেনকে তুষ্টি করার ভাষা হারিয়ে ফেলতেন। একদিন তানসেন আকবরকে বললেন যে তিনি আর কি গান করেন, সঠিক গান করেন তাঁর সঙ্গীত গুরু হরিদাস ঠাকুর। আকবর বাদশাহ ছিলেন সত্যিকারের সঙ্গীত পিয়াসী মানুষ। তাই তিনি দাবী করলেন যে যেমন করেই হোক, হরিদাস ঠাকুরের গান তাঁকে শুনতেই হবে, তানসেন যেনো ব্যবস্থা করেন। তানসেন তাঁর গুরু হরিদাস ঠাকুরের নিকট যেয়ে বাদশাহর ইচ্ছার কথা জানালেন। হরিদাস ঠাকুর মহাকুন্ঠায় পড়লেন। তিনি যে সন্ন্যাসী মানুষ, রাজদর্শন যে মহা অপরাধ। তাই কিছুতেই তিনি রাজী হলেন না বাদশাহকে গান শোনাতে।
আমরা অনেকে তানসেনের নাম শুনেছি। তিনি ছিলেন একজন গায়ক। তাঁর সঠিক গায়কী কুশলী আর সুরসৌষ্ঠবে প্রকৃতি সাড়া দিতেও অবহেলা করতো না। তানসেন ছিলেন দিল্লীর বাদশাহ আকবরের সভাগায়ক। তাঁর সঙ্গীত মুর্ছনায় আকবরের সভা বাঙ্ময় হয়ে উঠতো। আকবর বাদশাহ তানসেনের সঙ্গীতে এমন বিমোহিত হয়ে থাকতেন যে, তানসেনকে তুষ্টি করার ভাষা হারিয়ে ফেলতেন। একদিন তানসেন আকবরকে বললেন যে তিনি আর কি গান করেন, সঠিক গান করেন তাঁর সঙ্গীত গুরু হরিদাস ঠাকুর। আকবর বাদশাহ ছিলেন সত্যিকারের সঙ্গীত পিয়াসী মানুষ। তাই তিনি দাবী করলেন যে যেমন করেই হোক, হরিদাস ঠাকুরের গান তাঁকে শুনতেই হবে, তানসেন যেনো ব্যবস্থা করেন। তানসেন তাঁর গুরু হরিদাস ঠাকুরের নিকট যেয়ে বাদশাহর ইচ্ছার কথা জানালেন। হরিদাস ঠাকুর মহাকুন্ঠায় পড়লেন। তিনি যে সন্ন্যাসী মানুষ, রাজদর্শন যে মহা অপরাধ। তাই কিছুতেই তিনি রাজী হলেন না বাদশাহকে গান শোনাতে।
তানসেন আকবরকে খুলে বললেন সব। কিন্ত বাদশাহ যে ছাড়বার পাত্র নয়, তিনি তানসেনকে বললেন যে ঠাকুরের গান তাঁকে শুনতেই হবে, তা যেমন করেই হোক। তানসেন জানতেন তাঁর গুরু কোন সময়ে গান করেন। তিনি আকবরকে বললেন যে রাতের অন্ধকারে গোপনে গুরুদেবের কুটিরে গেলে, ভাগ্য যদি প্রসন্ন হয় তবে শোনা যেতে পারে। যথারীতি বাদশাহ আকবর আর তানসেন ছদ্মবেশে রাতের অন্ধকারে হরিদাস ঠাকুরের কুটিরের পার্শ্বে লুকিয়ে রইলেন। সময় যেনো আর কাটে না। অবশেষে রাত দ্বিতীয় প্রহরের শেষে, তৃতীয় প্রহরের শুরুতে হরিদাস ঠাকুর গান শুরু করলেন। তিনি জানতেও পারলেন না, তাঁর এক পরম ভক্ত কতো কষ্ট ভোগ করে তাঁর গান শুনছেন। হরিদাস ঠাকুরের গান শুনে, আকবর এমন বিমোহিত হলেন যে, তাঁর মুখে কোনো ভাষা আসলো না। গান শেষে যেভাবে গোপনে দুজন এসেছিলেন, সেভাবে গোপনেই দরবারে চলে গেলেন।
এরপর তানসেনের গান আর খুব একটা ভাল লাগতো না আকবরের। একদিন তিনি বলেই ফেললেন তানসেনকে। "আপনার গুরু এমন ভাল গান করেন, কিন্ত আপনার গান তার ধারেকাছেও যায়না কেনো?"
উত্তরে তানসেন বললেন, "দেখুন নবাব, আমার গানের শ্রোতা দিল্লীশ্বর আর তাঁর সভাসদেরা, কিন্ত আমার গুরুদেবের গানের শ্রোতা স্বয়ং জগদীশ্বর আর তাঁর ভক্তরা। তাই শ্রোতার তারতম্যের ফলেই গানের এমন পার্থক্য।"
আসলেই তো তাই। ভগবদ্ভক্তরা যেমন ভগবদ্ভক্ত কথা শুনতে, জানতে আগ্রহের অন্ত রাখেনা, তেমনি ভগবানও ভক্তদের প্রাণের কথা শুনতে সদা উদগ্রীব হয়ে থাকেন। তিনি শুধু ভক্তদের তাঁর উপর আন্তরিকতার আর ভক্তির ভাবই দেখতে চান। তাই বন্ধুরা আমরা যেনো ভগবানের উদ্দেশ্যে যা কিছু করি, তা আড়ম্বরে না করে ভক্তিভাবে করি। আর নিরন্তর জপকীর্ত্তন করি।
"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে!!"
!!জয় শ্রীহরি!! জয় রাধে!!
এরপর তানসেনের গান আর খুব একটা ভাল লাগতো না আকবরের। একদিন তিনি বলেই ফেললেন তানসেনকে। "আপনার গুরু এমন ভাল গান করেন, কিন্ত আপনার গান তার ধারেকাছেও যায়না কেনো?"
উত্তরে তানসেন বললেন, "দেখুন নবাব, আমার গানের শ্রোতা দিল্লীশ্বর আর তাঁর সভাসদেরা, কিন্ত আমার গুরুদেবের গানের শ্রোতা স্বয়ং জগদীশ্বর আর তাঁর ভক্তরা। তাই শ্রোতার তারতম্যের ফলেই গানের এমন পার্থক্য।"
আসলেই তো তাই। ভগবদ্ভক্তরা যেমন ভগবদ্ভক্ত কথা শুনতে, জানতে আগ্রহের অন্ত রাখেনা, তেমনি ভগবানও ভক্তদের প্রাণের কথা শুনতে সদা উদগ্রীব হয়ে থাকেন। তিনি শুধু ভক্তদের তাঁর উপর আন্তরিকতার আর ভক্তির ভাবই দেখতে চান। তাই বন্ধুরা আমরা যেনো ভগবানের উদ্দেশ্যে যা কিছু করি, তা আড়ম্বরে না করে ভক্তিভাবে করি। আর নিরন্তর জপকীর্ত্তন করি।
"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে!!"
!!জয় শ্রীহরি!! জয় রাধে!!
Written by: দেবেন্দ্র
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন