অসুরদিগকে সুপথে ফেরাবার জন্য দেবী একবার ভগবান শিবকে দূত করে অসুরদের নিকট প্রেরণ করেছিলেন। ভগবান শিবকে দূত করে প্রেরণ করার জন্য দেবীর একটি রূপের নাম শিবদূতী, ইঁনিই অপরাজিতা। শ্রীশ্রীচণ্ডীতে লিখিত আছে-
ততো দেবীশরীরাত্তু বিনিস্কান্তাতিভীষণা ।
চণ্ডিকাশক্তিরত্যুগ্রা শিবাশতনিনাদিনী ।।
সা চাহ ধূম্রজটিলমীশানমপরাজিতা ।
দূতত্বং গচ্ছ ভগবন্ পার্শ্বং শুম্ভনিশুম্ভয়োঃ ।।
ব্রুহি শুম্ভং নিশুম্ভঞ্চ দানবাবতির্বিতৌ ।
যে চান্যে দানবাস্ত্রত্র যুদ্ধায় সমুপস্থিতাঃ ।।
ত্রৈলোক্যমিন্দ্রো লভতাং দেবাঃ সন্তু হবির্ভুজঃ ।
যুয়ং প্রয়াত পাতালং যদি জীবিতমিচ্ছথ ।।
বলাবলেপাদথ চেদ্ ভবোন্ত যুদ্ধকাঙ্ক্ষিণঃ ।
তদাগচ্ছত তৃপ্যন্তু মচ্ছিবাঃ পিশিতেন বঃ ।।
যতো নিযুক্ত দৌত্যেন তয়া দেব্যা শিবঃ স্বয়ম্ ।
শিবদূতীতি লোকেহস্মিস্ততঃ সা খ্যাতিমাগতা ।।
( শ্রীশ্রীচণ্ডী... অষ্টম অধ্যায়... শ্লোক- ২৩-২৮ )
অর্থাৎ- অনন্তর দেবীর শরীর থেকে অতিভীষণা, অত্যুগ্রা , অসংখ্য শৃগালের ন্যায় শব্দকারিনী চণ্ডিকাশক্তি আবির্ভূতা হইলেন। এবং সেই অপরাজিতা দেবী ধূম্রবর্ণজটাধারী মহাদেবকে বলিলেন- ভগবন্ , আপনি শুম্ভ ও নিশুম্ভকে এবং অনান্য যে সকল দানব তথায় যুদ্ধের ইচ্ছায় সমবেত হইয়াছে তাহাদিগকে বলুন- পুনরায় ইন্দ্র ত্রৈলোক্যের অধিপতি হউনএবং দেবতাবৃন্দ যজ্ঞের আহুতি ভোগ করুন। যদি তোমরা বাঁচিতে ইচ্ছা কর তবে পাতালে প্রবেশ কর। আর যদি বলগর্বহেতু তোমরা যুদ্ধের অভিলাষী হও তাহলে এসো, আমার শৃগালীরা তোমাদের মাংস আহার করে পরিতৃপ্ত হোক । সাক্ষাৎ শিবকে দেবী দৌতকার্য্যে নিযুক্ত করেছিলেন বলে এই জগতে তিনি শিবদূতী নামে প্রসিদ্ধা হলেন।
কিন্তু অসুরেরা দেবীর এই প্রস্তাব মেনে নেয় নি। তারা যুদ্ধেই এসেছে। শিবদূতীদেবীর যুদ্ধ কৌশলও চণ্ডীতে উল্লেখিত। দেবীকে অসংখ্য শৃগালের ন্যায় শব্দকারিনী বলা হয়েছে। চণ্ডীতে লিখিত হয়েছে-
চণ্ডাট্টহাসৈরসুরাঃ শিবদূত্যাভিদূষিতাঃ ।
পেতুঃ পৃথিব্যাং পতিতাংস্তাংশ্চখাদাথ সা তদা ।।
( শ্রীশ্রীচণ্ডী... অষ্টম অধ্যায়... শ্লোক- ৩৮ )
অর্থাৎ- শিবদূতীর উৎকট অট্টহাস্যে মূর্ছিত হইয়া অসুরেরা ধরাশায়ী হইতে লাগিল। আর তিনি পতিত অসুরদের ভক্ষণ করতে লাগলেন।
শিবদূতীস্বরূপেণ হতদৈত্যমহাবলে ।
ঘোররূপে মহারাবে নারায়ণি নমোহস্তু তে ।।
ততো দেবীশরীরাত্তু বিনিস্কান্তাতিভীষণা ।
চণ্ডিকাশক্তিরত্যুগ্রা শিবাশতনিনাদিনী ।।
সা চাহ ধূম্রজটিলমীশানমপরাজিতা ।
দূতত্বং গচ্ছ ভগবন্ পার্শ্বং শুম্ভনিশুম্ভয়োঃ ।।
ব্রুহি শুম্ভং নিশুম্ভঞ্চ দানবাবতির্বিতৌ ।
যে চান্যে দানবাস্ত্রত্র যুদ্ধায় সমুপস্থিতাঃ ।।
ত্রৈলোক্যমিন্দ্রো লভতাং দেবাঃ সন্তু হবির্ভুজঃ ।
যুয়ং প্রয়াত পাতালং যদি জীবিতমিচ্ছথ ।।
বলাবলেপাদথ চেদ্ ভবোন্ত যুদ্ধকাঙ্ক্ষিণঃ ।
তদাগচ্ছত তৃপ্যন্তু মচ্ছিবাঃ পিশিতেন বঃ ।।
যতো নিযুক্ত দৌত্যেন তয়া দেব্যা শিবঃ স্বয়ম্ ।
শিবদূতীতি লোকেহস্মিস্ততঃ সা খ্যাতিমাগতা ।।
( শ্রীশ্রীচণ্ডী... অষ্টম অধ্যায়... শ্লোক- ২৩-২৮ )
অর্থাৎ- অনন্তর দেবীর শরীর থেকে অতিভীষণা, অত্যুগ্রা , অসংখ্য শৃগালের ন্যায় শব্দকারিনী চণ্ডিকাশক্তি আবির্ভূতা হইলেন। এবং সেই অপরাজিতা দেবী ধূম্রবর্ণজটাধারী মহাদেবকে বলিলেন- ভগবন্ , আপনি শুম্ভ ও নিশুম্ভকে এবং অনান্য যে সকল দানব তথায় যুদ্ধের ইচ্ছায় সমবেত হইয়াছে তাহাদিগকে বলুন- পুনরায় ইন্দ্র ত্রৈলোক্যের অধিপতি হউনএবং দেবতাবৃন্দ যজ্ঞের আহুতি ভোগ করুন। যদি তোমরা বাঁচিতে ইচ্ছা কর তবে পাতালে প্রবেশ কর। আর যদি বলগর্বহেতু তোমরা যুদ্ধের অভিলাষী হও তাহলে এসো, আমার শৃগালীরা তোমাদের মাংস আহার করে পরিতৃপ্ত হোক । সাক্ষাৎ শিবকে দেবী দৌতকার্য্যে নিযুক্ত করেছিলেন বলে এই জগতে তিনি শিবদূতী নামে প্রসিদ্ধা হলেন।
কিন্তু অসুরেরা দেবীর এই প্রস্তাব মেনে নেয় নি। তারা যুদ্ধেই এসেছে। শিবদূতীদেবীর যুদ্ধ কৌশলও চণ্ডীতে উল্লেখিত। দেবীকে অসংখ্য শৃগালের ন্যায় শব্দকারিনী বলা হয়েছে। চণ্ডীতে লিখিত হয়েছে-
চণ্ডাট্টহাসৈরসুরাঃ শিবদূত্যাভিদূষিতাঃ ।
পেতুঃ পৃথিব্যাং পতিতাংস্তাংশ্চখাদাথ সা তদা ।।
( শ্রীশ্রীচণ্ডী... অষ্টম অধ্যায়... শ্লোক- ৩৮ )
অর্থাৎ- শিবদূতীর উৎকট অট্টহাস্যে মূর্ছিত হইয়া অসুরেরা ধরাশায়ী হইতে লাগিল। আর তিনি পতিত অসুরদের ভক্ষণ করতে লাগলেন।
শিবদূতীস্বরূপেণ হতদৈত্যমহাবলে ।
ঘোররূপে মহারাবে নারায়ণি নমোহস্তু তে ।।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন