তারাপীঠের সাথে জড়িয়ে আছে সাধক বামাক্ষ্যাপা বাবার নাম। তিঁনি তারা মায়ের আদুরে ছেলে। আবার তারাপীঠ ভৈরব তিঁনি। তিঁনি মহাসাধক শ্রীবামাক্ষ্যাপা বাবা। ওঁনার আবির্ভাব হয়েছিলো তারাপীঠের কাছেই আটলা গ্রামে এক দরিদ্র ন্যায়নিষ্ঠ মাতৃভক্তব্রাহ্মণ পরিবারে। যৌবনে তিঁনি সন্ন্যাস নেন। তেঁনার দুজন গুরুদেবের নাম পাওয়া যায়- সাধক মোক্ষদানন্দ ও বজ্রবাসী কৈলাসপতি। ক্ষ্যাপাবাবা নিত্য মা তারার দর্শন লাভ পেতেন। কখনো শ্মশানে, কখনো বা আশ্চর্যকুণ্ডে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জলে ডুবে কখনো মন্দিরে মা তারার মন্দিরে বিগ্রহে। মায়ের সাথে কথা বলতেন। কখনো মায়ের কাছে কাকুতি মিনতি কখনো আবার মায়ের ওপর রাগ। মাঝে মাঝে মা তারাও তাঁর ক্ষ্যাপা সন্তানকে শাসনও করতেন। একদিনের কথা , ক্ষ্যাপাবাবা কোনো কারণে অতিষ্ঠ হয়ে মা তারাকে সমানে গালি দিচ্ছেন। হঠাত সকলে দেখলো সশব্দে এক চড় কষানোর শব্দ- দেখলেন বাবার শরীরে স্পষ্ট আঙ্গুলের ছাপ- অদৃশ্য কেও যেনো ক্ষ্যাপাবাবাকে শাসন করেছে। ভক্তেরা দেখে অবাক। আবার ক্ষ্যাপাবাবা অভুক্ত থাকলে মা তারাও অভুক্ত থেকেছেন। একবার খ্যাপাবাবাকে মন্দিরের পাণ্ডারা পূজার পূর্বেই ভোগ খাওয়ার জন্য অত্যন্ত প্রহার করে। তারপর তিন রাত ক্ষ্যাপাবাবা মুখে অন্ন তোলেন নি। মা তারাও অভুক্ত থেকে নাটোরের রানীকে স্বপ্ন দিলেন। নাটোরের রানী এসে মা তারার ভোগের পূর্বে ক্ষ্যাপাবাবার ভোগের বিধান দিলেন। আজোও সেই নিয়ম পালিত হয় ।
যাঁরা ঈশ্বর দর্শন পেয়েছেন- তাঁদের অবস্থা হয় বালকের মত, পিশাচের মত বা উন্মাদের মতো। ক্ষ্যাপাবাবার মধ্যে এই তিন লক্ষণই প্রকাশিত হয়েছিল। কখনো বালকবত মা তারার কাছে এসে আবদার বায়না, কখনো উন্মাদের মত শ্মশানে বিচরণ অট্টহাস্য, কখনো ক্রোধে এমন ‘জয় তারা’ রব তুলতেন যে গোটা শ্মশানভূমি কেঁপে উঠতো। সেই সময় ভক্তেরাও বাবার সেই রুদ্র রূপে কম্পিত হতেন। বাবার কৃপা পেয়ে বহু মুমূর্ষু রোগী একেবারে সুস্থ হয়েছেন। এমনকি মৃত ব্যক্তিও পুনর্জীবিত হয়েছেন। বাবা কাওকে তাবিজ কবজ জলপোড়া তেলপোড়া দিতেন না। রেগে কাওকে পদাঘাত বা কাওকে থুথু ছিটিয়ে দিতেই সেই রোগী একেবারে যমের দুয়ার থেকে ফিরে আসতো। বিরক্ত হয়ে কাওকে মায়ের প্রসাদী ফুল বা শ্মশানের মাটি তুলে দিতেন, তাতেই সমস্যা মিটে যেতো। এমনই ছিল বামদেবের লীলা।
বামদেবের আর একটি লীলা বড় অদ্ভুত। একবার তিঁনি মায়ের শিলামূর্তিতেই মূত্র ত্যাগ করে দিয়েছিলেন। সকলে বাবাকে বকাঝকা করলে বাবা বলেন- “শালা আমি আমার মায়ের কোলে হাগবো মুতবো- তাতে তোদের কি?” একবার কোনো কারণে ক্ষ্যাপাবাবা খুবুই অভিমান করেছিলেন মায়ের উপরে । প্রতিজ্ঞা করলেন মায়ের মন্দিরে বজ্রপাত ঘটাবেন। সেদিন নিশি রাত্রে সত্যই মায়ের মন্দিরে বাজ পড়ে মন্দিরের চূড়ার অংশ ভেঙ্গে পড়েছিলো। তারাপীঠ মা তারার মন্দির । তন্ত্র সাধনার স্থান। এই স্থানে যেনো আকাশে বাতাসে মিশে আছে ক্ষ্যাপাবাবার লীলার কথা। জয় বাম। জয় মা তারা।
যাঁরা ঈশ্বর দর্শন পেয়েছেন- তাঁদের অবস্থা হয় বালকের মত, পিশাচের মত বা উন্মাদের মতো। ক্ষ্যাপাবাবার মধ্যে এই তিন লক্ষণই প্রকাশিত হয়েছিল। কখনো বালকবত মা তারার কাছে এসে আবদার বায়না, কখনো উন্মাদের মত শ্মশানে বিচরণ অট্টহাস্য, কখনো ক্রোধে এমন ‘জয় তারা’ রব তুলতেন যে গোটা শ্মশানভূমি কেঁপে উঠতো। সেই সময় ভক্তেরাও বাবার সেই রুদ্র রূপে কম্পিত হতেন। বাবার কৃপা পেয়ে বহু মুমূর্ষু রোগী একেবারে সুস্থ হয়েছেন। এমনকি মৃত ব্যক্তিও পুনর্জীবিত হয়েছেন। বাবা কাওকে তাবিজ কবজ জলপোড়া তেলপোড়া দিতেন না। রেগে কাওকে পদাঘাত বা কাওকে থুথু ছিটিয়ে দিতেই সেই রোগী একেবারে যমের দুয়ার থেকে ফিরে আসতো। বিরক্ত হয়ে কাওকে মায়ের প্রসাদী ফুল বা শ্মশানের মাটি তুলে দিতেন, তাতেই সমস্যা মিটে যেতো। এমনই ছিল বামদেবের লীলা।
বামদেবের আর একটি লীলা বড় অদ্ভুত। একবার তিঁনি মায়ের শিলামূর্তিতেই মূত্র ত্যাগ করে দিয়েছিলেন। সকলে বাবাকে বকাঝকা করলে বাবা বলেন- “শালা আমি আমার মায়ের কোলে হাগবো মুতবো- তাতে তোদের কি?” একবার কোনো কারণে ক্ষ্যাপাবাবা খুবুই অভিমান করেছিলেন মায়ের উপরে । প্রতিজ্ঞা করলেন মায়ের মন্দিরে বজ্রপাত ঘটাবেন। সেদিন নিশি রাত্রে সত্যই মায়ের মন্দিরে বাজ পড়ে মন্দিরের চূড়ার অংশ ভেঙ্গে পড়েছিলো। তারাপীঠ মা তারার মন্দির । তন্ত্র সাধনার স্থান। এই স্থানে যেনো আকাশে বাতাসে মিশে আছে ক্ষ্যাপাবাবার লীলার কথা। জয় বাম। জয় মা তারা।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন