বহু পূর্বের কথা। এক সময় দুর্বাসা মুনি একটি পুস্পমাল্য দেবরাজ ইন্দ্রকে উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজা ইন্দ্রদেব তুচ্ছ জ্ঞান করে সেই পুস্পমাল্য দিলেন ঐরাবতকে । ঐরাবত সেই পুস্পমাল্যের কদর বুঝতে না পেরে পায়ে পিষ্ট করে ফেলল। ইন্দ্রদেবতা আর তার বাহনের এই রূপ আস্ফালন দম্ভ দেখে দুর্বাসা মুনি ক্রোধে ইন্দ্রকে শ্রীভ্রষ্ট হবার শাপ দিলেন। লক্ষ্মী দেবীকে হারিয়ে দেবতারা খুব দুঃখে কষ্টে পড়ে ত্রিদেবের আদেশে ক্ষীর সমুদ্র মন্থন করার পরামর্শ দিলেন। এই মন্থনের অন্য উদ্দেশ্য ছিলো অমৃত প্রাপ্তি। মন্দার পর্বতকে মন্থন দণ্ড বানিয়ে ভগবান নারায়ন কূর্ম অবতার নিয়ে পৃষ্ঠে নিলেন, বাসুকী নাগ হলেন রজ্জু। ত্রিদেবের আদেশে দেবতা ও অসুরেরা মিলে মন্থন আরম্ভ করলেন । ক্ষীর সমুদ্র মন্থন আরম্ভ হতেই একে একে উঠে আসতে লাগলো বারুনী, সুন্দরী অপ্সরা সকল, ৩ রকমের অদ্ভুদ দিব্য ক্ষমতা সম্পন্ন প্রানী, কামধেনু সুরভি, ঐরাবত, উচ্চৈঃশ্রবাঃ অশ্ব , মণি মুক্তা, কৌস্তভ মণি। কিন্তু মন্থন দণ্ড তে ঘুরতে ঘুরতে যখন বাসুকী নাগ বিষবমি আরম্ভ করলো তখন মন্থন স্তব্ধ হল। বিষের প্রভাবে দেবতাকূল এমনকি অসুরকূল যারা বাসুকী নাগের মস্তকের দিকে ছিলো তারা ত বটেই, সমস্ত দিকে বিষাক্ত আবহাওয়াতে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠলো। এরপর ভগবান শিব সেই “হলাহল” নামক বিষ পান করে হলেন “নীলকণ্ঠ”।
পারিজাত নামক বৃক্ষ উঠে এলো। শার্ঙ্গ ধনুক, চন্দ্র দেবতা উঠে এলেন । শঙ্খ, জ্যেষ্ঠা , বরুণ দেবের ছাতা, দেবমাতা অদিতির কুণ্ডল, কল্পতরুবৃক্ষ, নিদ্রা উঠে এলো। অন্তিমে এলেন মা লক্ষ্মী দেবী। ঐশ্বর্য ও “শ্রী”, ধন সম্পদের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মা লক্ষ্মী উঠে এলেন। এরপর এলেন ধন্বন্তরি দেব, হস্তে অমৃত কলস নিয়ে। এসব পৌরাণিক আখ্যান। মানুষের মনেই দেবতা ও অসুর দুই পক্ষই থাকে। এই দুই পক্ষের মধ্যেই অবিরত টানাহ্যাঁচড়া চলে। দেবতার পাল্লা যখন প্রবল হয় তখন দেবী লক্ষ্মীর মতো সদাচারশীলা দেবী, হস্তির ন্যায় শান্ত ধীর বিচক্ষনতা, অশ্বের ন্যায় জড়তা ভাব নষ্টকারী ইত্যাদি দেখা যায়। অসুরের পাল্লা ভারী হলে নিদ্রা, অলসতা , মদিরা ইত্যাদি প্রভাব দেখা যায়। দেবী লক্ষ্মীর এক নাম “সাগরনন্দিনী”- কারণ মা লক্ষ্মী সমুদ্রে প্রবেশ করেছিলেন সাগর রাজার কন্যারূপে। সাগররাজ রত্নাকর দেবীর পিতা রূপে ভগবান বিষ্ণুর সাথে কন্যার বিবাহ দিয়েছিলেন। মা হলেন সাগরকন্যা, তাই ত সাগর থেকে জাত কড়ি, শঙ্খ মা লক্ষ্মীর এত প্রিয়। মা লক্ষ্মীর বাহন রূপে পেঁচক কোন পুরাণে আছে থাকলে জানাবেন। মা লক্ষ্মী পদ্মালয়া। পেঁচক বাহন কি ভাবে হলেন জানাবেন।
Sumon Basak
পারিজাত নামক বৃক্ষ উঠে এলো। শার্ঙ্গ ধনুক, চন্দ্র দেবতা উঠে এলেন । শঙ্খ, জ্যেষ্ঠা , বরুণ দেবের ছাতা, দেবমাতা অদিতির কুণ্ডল, কল্পতরুবৃক্ষ, নিদ্রা উঠে এলো। অন্তিমে এলেন মা লক্ষ্মী দেবী। ঐশ্বর্য ও “শ্রী”, ধন সম্পদের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মা লক্ষ্মী উঠে এলেন। এরপর এলেন ধন্বন্তরি দেব, হস্তে অমৃত কলস নিয়ে। এসব পৌরাণিক আখ্যান। মানুষের মনেই দেবতা ও অসুর দুই পক্ষই থাকে। এই দুই পক্ষের মধ্যেই অবিরত টানাহ্যাঁচড়া চলে। দেবতার পাল্লা যখন প্রবল হয় তখন দেবী লক্ষ্মীর মতো সদাচারশীলা দেবী, হস্তির ন্যায় শান্ত ধীর বিচক্ষনতা, অশ্বের ন্যায় জড়তা ভাব নষ্টকারী ইত্যাদি দেখা যায়। অসুরের পাল্লা ভারী হলে নিদ্রা, অলসতা , মদিরা ইত্যাদি প্রভাব দেখা যায়। দেবী লক্ষ্মীর এক নাম “সাগরনন্দিনী”- কারণ মা লক্ষ্মী সমুদ্রে প্রবেশ করেছিলেন সাগর রাজার কন্যারূপে। সাগররাজ রত্নাকর দেবীর পিতা রূপে ভগবান বিষ্ণুর সাথে কন্যার বিবাহ দিয়েছিলেন। মা হলেন সাগরকন্যা, তাই ত সাগর থেকে জাত কড়ি, শঙ্খ মা লক্ষ্মীর এত প্রিয়। মা লক্ষ্মীর বাহন রূপে পেঁচক কোন পুরাণে আছে থাকলে জানাবেন। মা লক্ষ্মী পদ্মালয়া। পেঁচক বাহন কি ভাবে হলেন জানাবেন।
Sumon Basak
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন