আমি গর্বিত কারণ আমি হিন্দু । এর অর্থ হল ,
আমি গর্বিত , কারণ আমি পৃথিবীর প্রাচীনতম আধ্যাত্মিক আদর্শের গোষ্ঠীভুক্ত ।
আমি গর্বিত , কারণ সারা পৃথিবীতে আমরাই প্রথম জ্ঞানের আলো জ্বেলেছি ।
আমি গর্বিত , কারণ আমরাই প্রথম জগতের মানুষকে তার অমৃতের অধিকার সম্পর্কে অবহিত করেছি ।
আমি গর্বিত , কারণ আমি ঋষির উত্তরাধিকারী ।
আমাদের ধর্মের নাম ' সনাতন ধর্ম' । নামটিকে বিশ্লেষণ করলে দুটি শব্দ পাই ,- ' সনাতন' ও ' ধর্ম ' । সনাতন হল তাই যা সর্বদাই সমভাবে সত্য । আমরা ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে যে সত্য উপলব্ধি করি তা আপেক্ষিক । একটি মাছি তার পুঞ্জাক্ষি দিয়ে জগৎকে যেরূপে দেখবে , মানুষের উন্নত চোখ সেরূপে দেখবেনা । অথচ উভয়েই একই জগৎকে দেখছে । এই দেখা নিরপেক্ষ সত্য নয় , এটা আপেক্ষিক সত্য । যে দেখছে শুধু তার সাপেক্ষেই সত্য । এভাবে আমরা নিজেদের ইন্দ্রিয় মন ও বুদ্ধি দ্বারা সীমায়িত আপেক্ষিক জগতে বাস করি ও আমাদের অনুভূত আপেক্ষিক সত্যকেই প্রকৃত সত্য বলে মনে করি
আমাদের প্রাচীন মুনি ঋষিরা বুঝেছিলেন - যতদিন মানুষ ইন্দ্রিয়ের দ্বারা আবদ্ধ ততদিন সত্যলাভ অসম্ভব । তাঁরা ইন্দ্রিয়ের বহির্দেশে যাবার উপায় আবিষ্কার করেছিলেন । এভাবেই জন্ম হয়েছে বেদান্ত বা উপনিষদের । মুনি ঋষিদের অতিচেতন স্তরের উপলব্ধির প্রকাশই উপনিষদ । ইন্দ্রিয়াতীত এবং দেশ-কাল নিরপেক্ষ হওয়ায় তা ' সনাতন ' ।
এবার আসি ' ধর্ম ' কথাটির প্রসঙ্গে । আক্ষরিক অর্থ যাই হোকনা কেন , আধ্যাত্মিক পরিভাষায় ' ধর্ম ' হল একটি বিকাশের প্রক্রিয়া । পাশবিক মানুষের আনন্দ শুধু শরীরগত । শরীরের সুখ বা ইন্দ্রিয়চরিতার্থতা ছাড়া সে আর কিছুই বোঝেনা । আর একটু উন্নত হলে মানুষ মানসিক আনন্দলাভের অধিকারী হয় , তখন সে সাহিত্য রস , শিল্পের রস অনুভব করতে পারে । এটাকে মানবীয় স্তর বলা যায় । আরও উন্নত অবস্থায় মানুষ ঈশ্বরীয় আনন্দে বিভোর হয় , ধ্যানাবস্থায় শান্তির অপূর্ব পরিবেশ অনুভব করতে পারে ; যাকে বলা যায় দৈবী স্তর । এভাবে উন্নত হতে হতে মানুষ যখন দেহ , মন ইন্দ্রিয়ের গণ্ডি অতিক্রম করে তখনই সে লাভ করে শাশ্বত জ্ঞান বা সনাতন সত্য ।
সে অনুভব করে সে ক্ষুদ্র নয় সে দেহ নয় , মন নয় এমনকি চিন্তা চেতনাও নয় , সে আত্মা । সে এক অনন্ত , অখণ্ড অস্তিত্ব । মানুষ তখন তার ক্ষুদ্রতার খোলস পরিত্যাগ করে অনন্ত ' আমিত্বে ' লীন হয়ে যায় । ' নির্গচ্ছতি জগজ্জালাৎ পিঞ্জরাদিব কেশরী ' -- সিংহ যেমন পিঞ্জর ভেঙ্গে ফেলে বেরিয়ে যায় ঠিক তেমনি সে এই জগৎ-জাল ভেদ করে মুক্ত হয়ে যায় । ধর্ম হল এই রূপান্তরের প্রক্রিয়া , যা পশুকে মানুষে , মানুষকে দেবতায় এবং দেবতাকে ঈশ্বরে বিকশিত করে ।
ঋষিদের আবিষ্কৃত এই সত্যলাভের পথই সনাতন ধর্ম । প্রাচীন সিন্ধুনদের তীরবর্তী আর্যজাতি এর আবিষ্কারক বলে এর আরেকনাম হিন্দু ধর্ম । সিন্ধু থেকেই হিন্দু কথাটির উৎপত্তি ।
– তাপস ঘোষ
আমি গর্বিত , কারণ আমি পৃথিবীর প্রাচীনতম আধ্যাত্মিক আদর্শের গোষ্ঠীভুক্ত ।
আমি গর্বিত , কারণ সারা পৃথিবীতে আমরাই প্রথম জ্ঞানের আলো জ্বেলেছি ।
আমি গর্বিত , কারণ আমরাই প্রথম জগতের মানুষকে তার অমৃতের অধিকার সম্পর্কে অবহিত করেছি ।
আমি গর্বিত , কারণ আমি ঋষির উত্তরাধিকারী ।
আমাদের ধর্মের নাম ' সনাতন ধর্ম' । নামটিকে বিশ্লেষণ করলে দুটি শব্দ পাই ,- ' সনাতন' ও ' ধর্ম ' । সনাতন হল তাই যা সর্বদাই সমভাবে সত্য । আমরা ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে যে সত্য উপলব্ধি করি তা আপেক্ষিক । একটি মাছি তার পুঞ্জাক্ষি দিয়ে জগৎকে যেরূপে দেখবে , মানুষের উন্নত চোখ সেরূপে দেখবেনা । অথচ উভয়েই একই জগৎকে দেখছে । এই দেখা নিরপেক্ষ সত্য নয় , এটা আপেক্ষিক সত্য । যে দেখছে শুধু তার সাপেক্ষেই সত্য । এভাবে আমরা নিজেদের ইন্দ্রিয় মন ও বুদ্ধি দ্বারা সীমায়িত আপেক্ষিক জগতে বাস করি ও আমাদের অনুভূত আপেক্ষিক সত্যকেই প্রকৃত সত্য বলে মনে করি
আমাদের প্রাচীন মুনি ঋষিরা বুঝেছিলেন - যতদিন মানুষ ইন্দ্রিয়ের দ্বারা আবদ্ধ ততদিন সত্যলাভ অসম্ভব । তাঁরা ইন্দ্রিয়ের বহির্দেশে যাবার উপায় আবিষ্কার করেছিলেন । এভাবেই জন্ম হয়েছে বেদান্ত বা উপনিষদের । মুনি ঋষিদের অতিচেতন স্তরের উপলব্ধির প্রকাশই উপনিষদ । ইন্দ্রিয়াতীত এবং দেশ-কাল নিরপেক্ষ হওয়ায় তা ' সনাতন ' ।
এবার আসি ' ধর্ম ' কথাটির প্রসঙ্গে । আক্ষরিক অর্থ যাই হোকনা কেন , আধ্যাত্মিক পরিভাষায় ' ধর্ম ' হল একটি বিকাশের প্রক্রিয়া । পাশবিক মানুষের আনন্দ শুধু শরীরগত । শরীরের সুখ বা ইন্দ্রিয়চরিতার্থতা ছাড়া সে আর কিছুই বোঝেনা । আর একটু উন্নত হলে মানুষ মানসিক আনন্দলাভের অধিকারী হয় , তখন সে সাহিত্য রস , শিল্পের রস অনুভব করতে পারে । এটাকে মানবীয় স্তর বলা যায় । আরও উন্নত অবস্থায় মানুষ ঈশ্বরীয় আনন্দে বিভোর হয় , ধ্যানাবস্থায় শান্তির অপূর্ব পরিবেশ অনুভব করতে পারে ; যাকে বলা যায় দৈবী স্তর । এভাবে উন্নত হতে হতে মানুষ যখন দেহ , মন ইন্দ্রিয়ের গণ্ডি অতিক্রম করে তখনই সে লাভ করে শাশ্বত জ্ঞান বা সনাতন সত্য ।
সে অনুভব করে সে ক্ষুদ্র নয় সে দেহ নয় , মন নয় এমনকি চিন্তা চেতনাও নয় , সে আত্মা । সে এক অনন্ত , অখণ্ড অস্তিত্ব । মানুষ তখন তার ক্ষুদ্রতার খোলস পরিত্যাগ করে অনন্ত ' আমিত্বে ' লীন হয়ে যায় । ' নির্গচ্ছতি জগজ্জালাৎ পিঞ্জরাদিব কেশরী ' -- সিংহ যেমন পিঞ্জর ভেঙ্গে ফেলে বেরিয়ে যায় ঠিক তেমনি সে এই জগৎ-জাল ভেদ করে মুক্ত হয়ে যায় । ধর্ম হল এই রূপান্তরের প্রক্রিয়া , যা পশুকে মানুষে , মানুষকে দেবতায় এবং দেবতাকে ঈশ্বরে বিকশিত করে ।
ঋষিদের আবিষ্কৃত এই সত্যলাভের পথই সনাতন ধর্ম । প্রাচীন সিন্ধুনদের তীরবর্তী আর্যজাতি এর আবিষ্কারক বলে এর আরেকনাম হিন্দু ধর্ম । সিন্ধু থেকেই হিন্দু কথাটির উৎপত্তি ।
– তাপস ঘোষ
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন