চৈতন্যদেব থেকে শ্রীরামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ থেকে রবীন্দ্রনাথ --- মিল এক জায়গায়। প্রত্যেকেই তথাকথিত ধর্মসম্পর্কিত ভাবনা এবং ধারণাকে ভেঙেচুরে নতুন আলো দেখাতে চেয়েছেন। স্বাধীনতার এত বছর পরেও ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের নাগরিক হিসেবে আমাদের বহুবিধ জটিল ও জরুরী প্রশ্নের একটি আমাদের ধর্মভাব নিয়ে। আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ এই যে, ধর্ম মানুষকে যতখানি সম্পন্ন করে ততখানিই বিপন্নও করে।

পৃথিবীর প্রতি ধর্মের উদ্দেশ্য হয়তো সর্বজনীন কল্যাণ: ভ্রাতৃত্ব, বিশ্বমৈত্রী, শান্তি ইত্যাদি। ভালো করে নিজের ধর্মশিক্ষাটুকু অনুসরণ করলে এ সংঘাতের সমস্যা মিটে যায়।
পুজো, অর্চনা, প্রার্থনা। নিয়ম করে দিনে পাঁচবার পাঠ, উপাসনা। পোষাক থেকে শুরু করে বহুবিধ আয়োজন। নানা আচার অনুষ্ঠান। সেখানে সমর্পণের ভাবনাকে ছাপিয়ে ওঠে বাহ্যিক আড়ম্বর। মানুষের জীবনদেবতাকে নিয়ে যে ধর্ম, যে ধর্ম সেই সত্যকে নিয়ে, যা সমাজ এবং ব্যক্তিমানুষকে ‘ধারণ’ করে, সে ধর্ম কোথায়?
ঠিক এইখান থেকে আমার ধর্মজিজ্ঞাসার শুরু। বুদ্ধদেব, চৈতন্যদেব, যীশু -- সবার ভাষ্যে মিল এক জায়গায় -- 'মানুষ'-এর এক নতুন চৈতন্যলোক চাই। আবহমান কাল ধরে পৃথিবীর দাবি একটাই -- মানবতাবোধে বিশ্বাসী নতুন ‘বিশুদ্ধ’ মানুষ।
কিন্তু এই যে দিকে দিকে মানবতা বিরোধী ইসলামিক জঙ্গী আক্রমণ চলছে ISIS ও বিভিন্ন গোষ্ঠীর নামে, এটা কি ধর্ম? মানবতাবোধে বিশ্বাসী নতুন ‘বিশুদ্ধ’ মানুষের কাজ? তথাকথিত শুভবুদ্ধি সম্পন্ন, শিক্ষিত মানুষের প্রতিবাদ কই! ভারতবর্ষকে জঙ্গী আতুরঘর বানিয়ে ফেলেছে এরা! খাগড়াগড় এর প্রকৃষ্ট প্রমান। প্রশাসনের হাত পা বেঁধে ফেলেছে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা। থানায় পুলিশের উপর আক্রমণ এর উদাহরণ।
সত্যিই কি স্বাধীন দেশে মুক্ত ভাবে বাস করছি আমরা? আসাম ও পশ্চিমবঙ্গের বিস্তির্ণ Border অঞ্চল দিয়ে অস্ত্র-ড্রাগ-নকল টাকা-গরু পাচার চলছে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মদতে ও বিভিন্ন গোষ্ঠীর সক্রিয় সহযোগিতায়। পুলিশ দুস্কৃতিদের পাকড়াও করলে ঐ সম্প্রদায়ের মানুষ সংগঠিত ভাবে তাদের ছিনিয়ে নিয়ে যায় পুলিশের হাত থেকে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতাদের মদতে। মানবতা ধর্ষিত, রাজনীতি ভুলুণ্ঠিত, দলতন্ত্র নগ্ন শুধুমাত্র ভোটের স্বার্থে। হিন্দু আজ নিজভুমে পরবাসীর জীবন ধারণ করে। ভবিষ্যত কি?
Written by: Prithwish Ghosh
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন