উপমহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধামরাইয়ের রথ যাত্রায় এবার কালি ছড়িয়েছে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা। তবে, এসব কিছুর পাত্তা দিচ্ছে না স্থানীয় জনগণ। তারা বলছে, রাজনৈতিক ফয়দা তুলতেই একটি মহল জঙ্গি হামলার শঙ্কা ছড়িয়েছে। প্রশাসনের দিকেও আঙ্গুল তাদের।
প্রশাসনের অতি সাবধানী অবস্থান সকলের মধ্যে আতংক ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। এমনকি রথ উদযাপন কমিটি বলছে: প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে রথ টান বানচাল করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলো একটি মহল।
রথের উল্টো টান স্থান ধামরাই বাজার ঘুরেও দেখা গেলো একই চিত্র। সকলের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে, সেটা জঙ্গি হামলার নয়! ঢাকা ২০ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মালেক এবং পৌর মেয়র গোলাম কবির মোল্লার রাজনৈতিক সমীকরণ ঘিরে।
রথ যাত্রা আয়োজক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নন্দ গোপাল বলেন: আমাদের বহু দিনের ঐতিহ্য আজ হুমকির মুখে। রথ যাত্রার আগের দিন রীতি মেনে এখানে মেলা শুরু হয়। এবারও তাই হয়ে ছিলো। তবে, পুলিশ পরদিন রবিবার হঠাৎ বাজারে চড়াও হয়ে দোকান ভাঙচুর করে। মেলা বন্ধ করে দেয়! বলা হয় এখানে জঙ্গি হামলা হতে পারে। কিন্তু এখানে অন্য ঘটনা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেলো রথ যাত্রার অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যকে দাওয়াত দেওয়া হলেও, দাওয়াত পাননি মেয়র। এতেই বিরাগ ভাজন হন তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মেয়রের (গোলাম কবির) লোকেরাই জঙ্গি হামলার আতঙ্ক সকলের মধ্যে ছড়িয়েছে।
এব্যাপারে মেয়র গোলাম কবির মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন: প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো এবারের রথ মেলার জঙ্গি হামলা হতে পারে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করেছি। পৌরসভার পক্ষ থেকে দোকান-পাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমি এর বেশি জানি না।
এব্যাপারে স্থানীয় সাংসদ বলেন: আওয়ামী লীগ কখনও বিভেদের রাজনীতি করে না। আমরা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। মেয়রকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন: যে কু……(অশ্রাব্য ভাষা) এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তার বিচার হবে।
সাংদের বক্তব্যের জবাবে মেয়র বলেন: তিনি (সাংসদ) আমার রাজনৈতিক অভিভাবক। তিনি যদি কিছু বলে থাকেন আমার কিছু বলার নেই।
রথ উদযাপন কমিটির আরেক নেতা সুকান্ত বনিক বলেন: আমরা কোনো বিভেদ চাই না। সহাবস্থান চাই। কিন্তু আজ যা হলো তা ভাষা প্রকাশ করা যাবে না। রাজনীতি তো মানুষের ভালোর জন্যই, সমস্যা সৃষ্টির জন্য না।
এর আগে সকালে ধামরাই থানার ওসি রিয়াজুল হক ধামরাই বাজারে এলে তার ওপর চড়াও হয় সাধারণ জনগণ। এসময় তারা কালো পতাকা ধারণ করেন। কেননা জঙ্গি হামলার কথা বলে তিনিই সকল আয়োজন পণ্ড করেছেন। যদিও জঙ্গি হামলা হতে পারে এমন কোনো তথ্য থাকার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল আজিম।
সাধারণ মানুষও অখুশি ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক এমন আচরণে। মুক্তিযোদ্ধা দিপেন বিশ্বাস বলছেন: আমার বুদ্ধি হওয়ার পর কখনও এতো কম মানুষ দেখিনি রথ টানে। এটা নিয়ে রাজনীতি না করলেও চলতো। চারশো বছরের ঐতিহ্য আজ কালি লাগলো।
http://thebdpost.com/ধামরাইয়ের-রথ-যাত্রা-জঙ্গ
প্রশাসনের অতি সাবধানী অবস্থান সকলের মধ্যে আতংক ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। এমনকি রথ উদযাপন কমিটি বলছে: প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে রথ টান বানচাল করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলো একটি মহল।
রথের উল্টো টান স্থান ধামরাই বাজার ঘুরেও দেখা গেলো একই চিত্র। সকলের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে, সেটা জঙ্গি হামলার নয়! ঢাকা ২০ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মালেক এবং পৌর মেয়র গোলাম কবির মোল্লার রাজনৈতিক সমীকরণ ঘিরে।
রথ যাত্রা আয়োজক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নন্দ গোপাল বলেন: আমাদের বহু দিনের ঐতিহ্য আজ হুমকির মুখে। রথ যাত্রার আগের দিন রীতি মেনে এখানে মেলা শুরু হয়। এবারও তাই হয়ে ছিলো। তবে, পুলিশ পরদিন রবিবার হঠাৎ বাজারে চড়াও হয়ে দোকান ভাঙচুর করে। মেলা বন্ধ করে দেয়! বলা হয় এখানে জঙ্গি হামলা হতে পারে। কিন্তু এখানে অন্য ঘটনা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেলো রথ যাত্রার অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যকে দাওয়াত দেওয়া হলেও, দাওয়াত পাননি মেয়র। এতেই বিরাগ ভাজন হন তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মেয়রের (গোলাম কবির) লোকেরাই জঙ্গি হামলার আতঙ্ক সকলের মধ্যে ছড়িয়েছে।
এব্যাপারে মেয়র গোলাম কবির মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন: প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো এবারের রথ মেলার জঙ্গি হামলা হতে পারে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করেছি। পৌরসভার পক্ষ থেকে দোকান-পাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমি এর বেশি জানি না।
এব্যাপারে স্থানীয় সাংসদ বলেন: আওয়ামী লীগ কখনও বিভেদের রাজনীতি করে না। আমরা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। মেয়রকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন: যে কু……(অশ্রাব্য ভাষা) এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তার বিচার হবে।
সাংদের বক্তব্যের জবাবে মেয়র বলেন: তিনি (সাংসদ) আমার রাজনৈতিক অভিভাবক। তিনি যদি কিছু বলে থাকেন আমার কিছু বলার নেই।
রথ উদযাপন কমিটির আরেক নেতা সুকান্ত বনিক বলেন: আমরা কোনো বিভেদ চাই না। সহাবস্থান চাই। কিন্তু আজ যা হলো তা ভাষা প্রকাশ করা যাবে না। রাজনীতি তো মানুষের ভালোর জন্যই, সমস্যা সৃষ্টির জন্য না।
এর আগে সকালে ধামরাই থানার ওসি রিয়াজুল হক ধামরাই বাজারে এলে তার ওপর চড়াও হয় সাধারণ জনগণ। এসময় তারা কালো পতাকা ধারণ করেন। কেননা জঙ্গি হামলার কথা বলে তিনিই সকল আয়োজন পণ্ড করেছেন। যদিও জঙ্গি হামলা হতে পারে এমন কোনো তথ্য থাকার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল আজিম।
সাধারণ মানুষও অখুশি ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক এমন আচরণে। মুক্তিযোদ্ধা দিপেন বিশ্বাস বলছেন: আমার বুদ্ধি হওয়ার পর কখনও এতো কম মানুষ দেখিনি রথ টানে। এটা নিয়ে রাজনীতি না করলেও চলতো। চারশো বছরের ঐতিহ্য আজ কালি লাগলো।
http://thebdpost.com/ধামরাইয়ের-রথ-যাত্রা-জঙ্গ
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন