নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী রথখোলা মন্দিরের কোটি টাকার দেবোত্তর সম্পত্তি সহ ০৫টি মন্দির দখলের অভিযোগ।
বিডিপোস্টডটকমের সরোজমিন তদন্তে গিয়ে স্থানীয় লোকজন ও প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করলে বেরিয়ে আসে যে, নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী রথখোলা মন্দিরের কোটি টাকার দেবোত্তর সম্পত্তি সহ ০৫টি মন্দির শহীদ আবদুস সালাম ডিগ্রি কলেজ এর কলেজ অধ্যক্ষ – শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ) বরাবর দলিল করে দিয়েছেন । দলিল নং-১৬২৮/২০১৭ এই দলিলের মাধ্যমেই কলেজ অধ্যক্ষ দেবোত্তর সম্পত্তি লিখে দেয় ।
এই ঐতিহ্যবাহী মন্দিটির পুরাহিত ভবন দখল করে কালিয়া উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার অফিস ও কালিয়া উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির অফিস করা হয়েছে। যার উদ্ধোধন করেছেন নড়াইল- ১ আসনের এমপি মো: কবিরুল হক মুক্তি ও উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো: কামরূল ইসলাম ।
আর দেবোত্তর সম্পত্তি দানকরী শ্রী ভাবিনী রঞ্জণের দ্বিতীয় তলা বিশিস্ট বাস ভবন দখল করে শহীদ আবদুস সালাম ডিগ্রি কলেজের শিক্ষকদের বাস ভবন হিসেবে অবৈধভাবে ব্যবহার করছে কলেজ কতৃপক্ষ। এছাড়া বাসভবনের পিছনের ভূমি দখল করে শহীদ এখলাশ উদ্দিন স্মৃতি পাঠাগার নির্মান করেছে কলেজে কতৃপক্ষ।
স্থানীয়দের তথ্য মতে – শ্রী ভাবিনী রঞ্জণ ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ছোট কালিয়ার মৌজার বিশ্বখ্যাত রথখোলা দেবোত্তর মন্দির সহ ০৫টি মন্দির – শ্রী শ্রী শিব মন্দির, শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির, শ্রী শ্রী নারায়ণ মন্দির, শ্রী শ্রী জগদ্বাত্রী মন্দির, শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির রথ মন্দির, শ্রী শ্রী দোলপিড়ি মন্দির। যা আজ শহীদ আবদুস সালাম ডিগ্রি কলেজ, স্থানীয় প্রশাসন এবং ভূমি অফিস মিলেমিশে হরিলুটের মত দখল করে নিচ্ছে।
শ্রী ভাবিনী রঞ্জণ ২০-১০-১৯২৪ সালে ৩৩২৫ নম্বর রেজিস্টার দান দলিলে মুলে দেবতার উদ্দেশ্যে সকল সম্পত্তি অর্পণ করেন । যা দেবোত্তর সম্পত্তিতে রুপ লাভ করে। কিন্তু স্থানীয় কিছু ভূমি দস্যুদের লেলুপ দৃষ্টিতে আজ বিলীন হতে চলছে। যার নেতৃত্ব প্রধান করে আসছে ভূমি অফিস এবং শহীদ আবদুস সালাম ডিগ্রি কলেজ এর প্রাক্তণ অধ্যক্ষ যার নেতৃত্বে আজ প্রায় দখল হয়ে যাচ্ছে এই দেবোত্তর সম্পত্তি। আর স্থানীয় প্রশাসনও এসে ভাগ বসিয়েছে তা দখলের জন্য।
এই স্বার্থান্বেশী মহল স্থানীয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের অসৎ কর্মচারীগণের সহযোগীতায় তপশীল বর্ণিত দেবোত্তর সম্পত্তি হওয়া সত্ত্বেও বেআইনীভাবে ভি. পি তালিকাভুক্ত করে দখল করে যাচ্ছে। অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যাপন আইন ২০০১ (সংশোধিত ২০১১) এর ক” তপশীল গেজেটে অন্তুভুক্ত করে । মন্দির কমিটি আইনানুগ পন্থায় ক তপশীল গেজেটের তালিকা থেকে অবমুক্তির নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট অর্পিত সম্পত্তি প্রর্তাপণ মামলা দায়ের করে মামলাটি আজও চলমান।
সম্পত্তির বিবরন :: জেলা: নড়াইল, থানা: কালিয়া অন্তর্গত ছোট কালিয়া মৌজার মধ্যে অবস্থিত, এস ৮৯ নং খতিয়ানে সি, এস ১৪৪২ দাগ যাহার এস, এ ১৯৮৪ নং খতিয়ানে এস, এ ১৯৪ দাগে ০.৬৭ একর দেবোত্তর সম্পত্তি।
বিডিপোস্টডটকমকে শহীদ আবদুস সালাম ডিগ্রি কলেজর অধ্যক্ষ বলেন, স্থানীয় ভূমি অফিসের প্রত্যায়ণ পত্র অনুযায়ী আমি মন্দিরের দেবোত্তর সম্পত্তি শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবরে দলিল করে দিয়েছে।
বিডিপোস্টডটকম তাকে প্রশ্ন করে আপনি কিভাবে দেবোত্তর সম্পত্তি লিখে দেন। তখন অধ্যক্ষ এর কোন উত্তর দিতে পারেনি।
কালিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো: কামরূল ইসলামকে বিডিপোস্টডটকমকে জানান: এখানে শিল্পকলা স্থাপনের জন্য এমপি সাহেব অর্থায়ন করেছেন এবং জেলা পরিষদের নির্দেশে আমি তা বাস্তবায়ন করছি।
তিনি আরো বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রনালয় একটি পরিপত্র জারি করে শিল্পকলা একাডেমি স্থাপনের জন্য তখন এমপি সাহেবের সাথে আমরা কথা বলে জায়গাটা ঠিক করি । তিনি বলেন আমরা আইনের কোন ভায়োলেট করিনি। তবে তিনি দেবোত্তর সম্পত্তির বিষয়ে কোন কথা বলতে বা উত্তর দিতে চাননি।
সাধাররণ হিন্দুদের মাঝে চরমে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে কারণ তারা শতশত বছর যাবৎ পূজা অর্চনা করে আসছেন ৫টি মন্দিরে যা আজ ভূমি দুস্যরা দখল নিচ্ছে ।
Courtesy: http://thebdpost.com/নড়াইলে-ঐতিহ্যবাহী-মন্দির
বিডিপোস্টডটকমের সরোজমিন তদন্তে গিয়ে স্থানীয় লোকজন ও প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করলে বেরিয়ে আসে যে, নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী রথখোলা মন্দিরের কোটি টাকার দেবোত্তর সম্পত্তি সহ ০৫টি মন্দির শহীদ আবদুস সালাম ডিগ্রি কলেজ এর কলেজ অধ্যক্ষ – শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ) বরাবর দলিল করে দিয়েছেন । দলিল নং-১৬২৮/২০১৭ এই দলিলের মাধ্যমেই কলেজ অধ্যক্ষ দেবোত্তর সম্পত্তি লিখে দেয় ।
এই ঐতিহ্যবাহী মন্দিটির পুরাহিত ভবন দখল করে কালিয়া উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার অফিস ও কালিয়া উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির অফিস করা হয়েছে। যার উদ্ধোধন করেছেন নড়াইল- ১ আসনের এমপি মো: কবিরুল হক মুক্তি ও উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো: কামরূল ইসলাম ।
আর দেবোত্তর সম্পত্তি দানকরী শ্রী ভাবিনী রঞ্জণের দ্বিতীয় তলা বিশিস্ট বাস ভবন দখল করে শহীদ আবদুস সালাম ডিগ্রি কলেজের শিক্ষকদের বাস ভবন হিসেবে অবৈধভাবে ব্যবহার করছে কলেজ কতৃপক্ষ। এছাড়া বাসভবনের পিছনের ভূমি দখল করে শহীদ এখলাশ উদ্দিন স্মৃতি পাঠাগার নির্মান করেছে কলেজে কতৃপক্ষ।
স্থানীয়দের তথ্য মতে – শ্রী ভাবিনী রঞ্জণ ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ছোট কালিয়ার মৌজার বিশ্বখ্যাত রথখোলা দেবোত্তর মন্দির সহ ০৫টি মন্দির – শ্রী শ্রী শিব মন্দির, শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির, শ্রী শ্রী নারায়ণ মন্দির, শ্রী শ্রী জগদ্বাত্রী মন্দির, শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির রথ মন্দির, শ্রী শ্রী দোলপিড়ি মন্দির। যা আজ শহীদ আবদুস সালাম ডিগ্রি কলেজ, স্থানীয় প্রশাসন এবং ভূমি অফিস মিলেমিশে হরিলুটের মত দখল করে নিচ্ছে।
শ্রী ভাবিনী রঞ্জণ ২০-১০-১৯২৪ সালে ৩৩২৫ নম্বর রেজিস্টার দান দলিলে মুলে দেবতার উদ্দেশ্যে সকল সম্পত্তি অর্পণ করেন । যা দেবোত্তর সম্পত্তিতে রুপ লাভ করে। কিন্তু স্থানীয় কিছু ভূমি দস্যুদের লেলুপ দৃষ্টিতে আজ বিলীন হতে চলছে। যার নেতৃত্ব প্রধান করে আসছে ভূমি অফিস এবং শহীদ আবদুস সালাম ডিগ্রি কলেজ এর প্রাক্তণ অধ্যক্ষ যার নেতৃত্বে আজ প্রায় দখল হয়ে যাচ্ছে এই দেবোত্তর সম্পত্তি। আর স্থানীয় প্রশাসনও এসে ভাগ বসিয়েছে তা দখলের জন্য।
এই স্বার্থান্বেশী মহল স্থানীয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের অসৎ কর্মচারীগণের সহযোগীতায় তপশীল বর্ণিত দেবোত্তর সম্পত্তি হওয়া সত্ত্বেও বেআইনীভাবে ভি. পি তালিকাভুক্ত করে দখল করে যাচ্ছে। অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যাপন আইন ২০০১ (সংশোধিত ২০১১) এর ক” তপশীল গেজেটে অন্তুভুক্ত করে । মন্দির কমিটি আইনানুগ পন্থায় ক তপশীল গেজেটের তালিকা থেকে অবমুক্তির নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট অর্পিত সম্পত্তি প্রর্তাপণ মামলা দায়ের করে মামলাটি আজও চলমান।
সম্পত্তির বিবরন :: জেলা: নড়াইল, থানা: কালিয়া অন্তর্গত ছোট কালিয়া মৌজার মধ্যে অবস্থিত, এস ৮৯ নং খতিয়ানে সি, এস ১৪৪২ দাগ যাহার এস, এ ১৯৮৪ নং খতিয়ানে এস, এ ১৯৪ দাগে ০.৬৭ একর দেবোত্তর সম্পত্তি।
বিডিপোস্টডটকমকে শহীদ আবদুস সালাম ডিগ্রি কলেজর অধ্যক্ষ বলেন, স্থানীয় ভূমি অফিসের প্রত্যায়ণ পত্র অনুযায়ী আমি মন্দিরের দেবোত্তর সম্পত্তি শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবরে দলিল করে দিয়েছে।
বিডিপোস্টডটকম তাকে প্রশ্ন করে আপনি কিভাবে দেবোত্তর সম্পত্তি লিখে দেন। তখন অধ্যক্ষ এর কোন উত্তর দিতে পারেনি।
কালিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো: কামরূল ইসলামকে বিডিপোস্টডটকমকে জানান: এখানে শিল্পকলা স্থাপনের জন্য এমপি সাহেব অর্থায়ন করেছেন এবং জেলা পরিষদের নির্দেশে আমি তা বাস্তবায়ন করছি।
তিনি আরো বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রনালয় একটি পরিপত্র জারি করে শিল্পকলা একাডেমি স্থাপনের জন্য তখন এমপি সাহেবের সাথে আমরা কথা বলে জায়গাটা ঠিক করি । তিনি বলেন আমরা আইনের কোন ভায়োলেট করিনি। তবে তিনি দেবোত্তর সম্পত্তির বিষয়ে কোন কথা বলতে বা উত্তর দিতে চাননি।
সাধাররণ হিন্দুদের মাঝে চরমে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে কারণ তারা শতশত বছর যাবৎ পূজা অর্চনা করে আসছেন ৫টি মন্দিরে যা আজ ভূমি দুস্যরা দখল নিচ্ছে ।
Courtesy: http://thebdpost.com/নড়াইলে-ঐতিহ্যবাহী-মন্দির
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন