অনেকের অনুমান শিবলিঙ্গের রং পরিবর্তনের পিছনে সূর্যালোকের ক্রিয়া রয়েছে। কিন্তু তেমন কোনও প্রমাণ আজও পাওয়া যায়নি।
কথিত আছে, এই স্থানে নাকি মহাদেবের গোড়ালির ছাপ বিদ্যমান। আর তাই কালনিরবধি এটি এক পুণ্যতীর্থ। রাজস্থানের আরাবল্লী রেঞ্জের ছোট জনপদ ঢোলপুর। সন্নিহিত এলাকা বেহড়, চম্বল। একদিকে যদি পাক থেকে থাকে ডাকু মালখান সিং, মান সিং আর ফুলনদেবীর কিংবদন্তি, তা হলে অন্য দিকে অবিচল হয়ে রয়েছে অচলেশ্বর মহাদেবের পুরাণকথা।
মিথোলজি যা-ই বলুক না কেন, এই মন্দিরের মহিমা শুধু কাহিনিতে নয়। ঢোলপুর শিব মন্দিরের বিশেষত্ব এখানেই যে, এই মন্দিরে অবস্থানরত শিবলিঙ্গটি দিনে তিন বার রং বদলায়। এই দৃশ্য দেখতেই হাজার হাজার পুণ্যার্থার ভিড় হয় এই মন্দিরে। মানুষের বিশ্বাস, শিবমহিমাতেই এই ‘অলৌকিক’ সম্ভব।
নন্দীমূর্তি, ছবি:ইউটিউব
স্থানীয় কিংবদন্তি থেকে জানা যায়, এই দেবস্থান ২৫,০০০ বছরেরেও বেশি পুরনো। মন্দির সংলগ্ন একটি পুকুরের পাড়ে পাথরের তিনটি মহিষ মূর্তি রয়েছে, যাদের আকৃতি ও শৈলিই বলে দেয় এই স্থানের প্রাচীনত্ব।মন্দিরের প্রবেশদ্বারে অষ্টধাতুর এক বিশাল নন্দীমূর্তি। কথিত, এই নন্দীর কৃপাতেই নাকি এই মন্দির বার বার রক্ষা পেয়েছে বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে।
রহস্যময় মহিষমূর্তি, ছবি:ইউটিউব
আজকের মন্দিরটি আনুমানিক খ্রিষ্টিয় নবম শতকে তৈরি। মন্দিরের প্রধান আকর্ষণ শিবলিঙ্গটি স্বয়ম্ভূ। অনেকের অনুমান শিবলিঙ্গের রং পরিবর্তনের পিছনে সূর্যালোকের ক্রিয়া রয়েছে। কিন্তু তেমন কোনও প্রমাণ আজও পাওয়া যায়নি। তেমন কোনও বৈজ্ঞানিক গবেষণাও সম্ভব হয়নি এই লিঙ্গকে ঘিরে। যা দেখা যায়, তা হল এই— সকালে এই লিঙ্গের রং থাকে লাল, বেলা বাড়লে তা গেরুয়া হয়ে ওঠে এবং রাত্রে এর রং একেবারেই কালো।
মিথোলজি যা-ই বলুক না কেন, এই মন্দিরের মহিমা শুধু কাহিনিতে নয়। ঢোলপুর শিব মন্দিরের বিশেষত্ব এখানেই যে, এই মন্দিরে অবস্থানরত শিবলিঙ্গটি দিনে তিন বার রং বদলায়। এই দৃশ্য দেখতেই হাজার হাজার পুণ্যার্থার ভিড় হয় এই মন্দিরে। মানুষের বিশ্বাস, শিবমহিমাতেই এই ‘অলৌকিক’ সম্ভব।
নন্দীমূর্তি, ছবি:ইউটিউব
রহস্যময় মহিষমূর্তি, ছবি:ইউটিউব
প্রতিবেদন, এবেলা.ইন
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন