আমরা অনেকেই অনেক সময় আর্থিক অনটনে কাটাই, আয় ঠিক নয়, কোনওভাবেই সংসার চালাতে পারছি না, আবার আয় হলেও ব্যয় বেশী হয়ে যাচ্ছে এমনকি সঞ্চয়েও হাত পড়ে যাচ্ছে, এমন কি আমরা ভেবেও কুল পাচ্ছি না, হিন্দু শাস্ত্রমতে আমাদের কিছু কু-অভ্যাস এবং শাস্ত্র সম্পর্কে অজ্ঞতাই আমাদের এই অবস্থার জন্য দায়ী। আসুন, জেনে নিই এবং শাস্ত্রসম্মত ভাবে সংশোধন করি নিজেদের ------
ক => বাথরুম নোংরা করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং বাথরুম ব্যবহার করার পরে জলে ভিজে থাকা মেঝেও মুছে ফেলা দরকার।
খ => দুপুর ও রাত্রে খাবার সময় খাবার নষ্ট করাটা উচিত নয়, তেমনই খাওয়া-খাওয়ার পরে অতি দ্রুত প্লেট ধুয়ে নির্দিষ্ট স্থানে রাখা উচিত বলেও শাস্ত্রে বর্ণিত আছে।
গ => সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানা গুছিয়ে রাখতে হবে।
ঘ => বহু মানুষই অনেক রাত করে ঘুমোতে যান। এতে দুর্ভাগ্যকে আহ্বান করা হয়।
ঙ => যত্রতত্র থুতু ফেলে আশপাশের জায়গা নোংরা করলে লক্ষ্ণী রুষ্ট হন।
চ => শাস্ত্রমতে সূর্যাস্তের পরে ঘর মোছা বা ঘর ঝাড়ার অর্থ নিজের সৌভাগ্যকে মুছে ফেলা বলে দাবি করা হয়েছে শাস্ত্রে।
ছ => বাড়ীর পয়ঃপ্রণালী বা ড্রেণ ঢেকে রাখতে হয়।
জ => শাস্ত্রমতে উত্তরদিকে দেবতাদের বাস এবং সেখানে ধনসম্পত্তি থাকে। এই দিকটি খোলা ও পরিস্কার রাখা উচিৎ।
ঝ => বহু মানুষই ঘরের জানলা দিনের পর দিন খোলেন না। শাস্ত্রমতে এটা দুর্ভাগ্যের লক্ষণ।
ঞ => ঘরের সমস্ত ঘড়ি যেন ঠিকমতো কাজ করে তা নজরে রাখা উচিত। নচেৎ, সৌভাগ্য তো আসবেই না, বরং নেমে আসবে দুর্ভাগ্য।
ট => বাড়িতে যেন কিছুতেই কোনও পায়রার বাসা না থাকে। পায়রার বাসা আর্থিক অনিশ্চয়তা ও দারিদ্র্যের মূল হিসেবে কাজ করে।
ঠ => বাড়িতে মৌচাক থাকার অর্থ, দারিদ্র্য ও দুর্ভাগ্যকে টেনে আনা। কাজেই বাড়িতে মৌচাক থাকলে তা ভেঙে ফেলুন।
ড => মাড়সার জাল শুধু যে ঘর নোংরা করে তা-ই নয়, এটি সাংসারিক জীবনে টেনে আনে দুর্ভাগ্যও।
ঢ => বাড়ির দেওয়াল যদি চটা ওঠা, ভাঙা চোরা কিংবা ফাটল ধরা তবে, বাস্তু মতে, তা ভাগ্যে কুপ্রভাব ফেলে।
ণ => বাড়ির কোনও কল থেকে জল ক্রমাগত টুপ টুপ করে জল চুঁইয়ে পড়লে শুধু যে তা বাড়িতে নেতিবাচক শক্তি টেনে আনছে তা-ই নয়, আপনার বাড়ির ভিতরকার ইতিবাচক শক্তিকেও হ্রাস করছে।
ত = > বাড়ির কোনও বৈদ্যুতিক তার আলগা হয়ে দেওয়াল থেকে ঝোলা, কিংবা কোনও বৈদ্যুতিক যন্ত্রে লুজ কানেকশনের সমস্যা দুর্ভাগ্যের কারণ হতে পারে।
থ => বাড়ীতে কোনও ক্যাকটাস বা কাঁটাগাছ রাখা বা তা দিয়ে ঘর সাজানো ঐ বাড়ীর কিছু মানুষের মনে অবসাদ আনতে পারে।
Written by: Prithwish Ghosh
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন