হূগলীর আটপুরের ৬ কিমি দূরে রাজবলহাট গ্রামে নানান কিংবদন্তিতে ঘেরা চতুর্ভুজা মৃন্ময়ী দেবী রাজবল্লভীর মন্দির, মায়ের মাহাত্ম্য অবর্ণনীয়। অপরূপা এই দেবীর বামহস্তে রুধির পাত্র, দক্ষিণহস্তে ছুরি। দণ্ডায়মান দেবীর এক পা ভৈরবের বুকে অপর পা বিরূপাক্ষ টেরাকোটায় সমৃদ্ধ মন্দির। এছাড়া মাঠের মাঝে ১৭৪৪ এ তৈরি আটচালা রাধাকান্ত ছাড়াও মন্দির রয়েছে আরও নানান রাজবলহাটে। আর আছে অমূল্য প্রত্নশালা। কবি হেমচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়ের জন্মভূমি রাজবলহাটে।
মা অধিষ্ঠিতা শ্বেতকালী রূপে, পূজিতা দূর্গারূপে। এই মূর্তীর গড়ন, গঠন ভূবন ছাড়া। অার মূর্তীর বৈচিত্র্য একাধিক। প্রমাণ অাকারের নারী দাঁডিয়ে অাছেন, দ্বিভজা, স্বর্ণ বরণা, ডান হাতে ছোট খডগ। বাম হাতে নর কপাল। ডান পা মহাকালের বুকে বা পা বিরুপাক্ষ ভৈরবের মাথায়। কোমরে ছোট ছোট কাটা হাতের মালা। গলায় ঘণ্টা মালা। শাড়ি পরিহিতা দেবী রাজবল্লভী, যার নামে একটা গোটা গ্রাম রাজবলহাট।
গোটা অঞ্চলের মানুষ দিন শুরু করেন মায়ের নামে। সম্ভবত এ পূজোর সময়কাল দিল্লীশ্বর হুমায়ুনের অামল। অখণ্ড বাংলার গৌড়ে তখন পাঠানদের বাহুবল। চার চক চোদ্দ পাড়া তিন ঘাট এ নিয়ে রাজবলহাট। হুগলি জেলার এই গ্রামে পূজো হয় তেরোটা। একটা পাড়ায় শুধু মূসলমানদের বাস।
শুধু দুর্গাপূজো নয়, নিত্যদিন দেবী রাজবল্লভীর দর্শন এবং পূজোর জন্য নানা জেলা. শহর কলকাতা থেকেও যাত্রীরা অাসেন। ইংরেজ অামলে রেভিনিউ সংগ্রহের জন্য বাংলাকে নানা পরগনায় ভাগ করা হয়েছিল। রেনেল সাহেবের ম্যাপে এই ডিহি.ভরসূট পরগনার উল্লেখ পাবেন। খুব সমদ্ধ ছিল এ গ্রাম। তবে অনেক কিছু হারিয়ে গেলেও এখনও হারাননি রাজবল্লভী মা। ভরসূট পরগনার প্রতিষ্ঠাতা সদানন্দ রায়। ফলে ইতিহাসের বিচারে এ পূজোর বয়স অন্তত চারশো বছর। এক সময় এ জনপদে জলপথই ছিল প্রধান পথ। সে পথেই কৃষি ফসল প্রধানত ধান, সবজী, পাট, তুলো এবং বিখ্যাত ভরসূটের তামাক নানা দেশে ছড়িয়ে পড়ত। এখন ও সব নেই। তবে রয়ে গিয়েছে রাজবলহাট গ্রামের বিখ্যাত শাড়ী। রাজবল্লভী দেবী এখানের তন্ত্তুবায়ীদের বোনা শাড়ী পরেন এখনও। রাত্রে শয়নে যাওয়ার অাগে দেবীর জন্য তামাক সেজে গড়গড়ার নলটি মুখের কাছে দেওয়া হয়।
Written by: Prithwish Ghosh
মা অধিষ্ঠিতা শ্বেতকালী রূপে, পূজিতা দূর্গারূপে। এই মূর্তীর গড়ন, গঠন ভূবন ছাড়া। অার মূর্তীর বৈচিত্র্য একাধিক। প্রমাণ অাকারের নারী দাঁডিয়ে অাছেন, দ্বিভজা, স্বর্ণ বরণা, ডান হাতে ছোট খডগ। বাম হাতে নর কপাল। ডান পা মহাকালের বুকে বা পা বিরুপাক্ষ ভৈরবের মাথায়। কোমরে ছোট ছোট কাটা হাতের মালা। গলায় ঘণ্টা মালা। শাড়ি পরিহিতা দেবী রাজবল্লভী, যার নামে একটা গোটা গ্রাম রাজবলহাট।
গোটা অঞ্চলের মানুষ দিন শুরু করেন মায়ের নামে। সম্ভবত এ পূজোর সময়কাল দিল্লীশ্বর হুমায়ুনের অামল। অখণ্ড বাংলার গৌড়ে তখন পাঠানদের বাহুবল। চার চক চোদ্দ পাড়া তিন ঘাট এ নিয়ে রাজবলহাট। হুগলি জেলার এই গ্রামে পূজো হয় তেরোটা। একটা পাড়ায় শুধু মূসলমানদের বাস।
শুধু দুর্গাপূজো নয়, নিত্যদিন দেবী রাজবল্লভীর দর্শন এবং পূজোর জন্য নানা জেলা. শহর কলকাতা থেকেও যাত্রীরা অাসেন। ইংরেজ অামলে রেভিনিউ সংগ্রহের জন্য বাংলাকে নানা পরগনায় ভাগ করা হয়েছিল। রেনেল সাহেবের ম্যাপে এই ডিহি.ভরসূট পরগনার উল্লেখ পাবেন। খুব সমদ্ধ ছিল এ গ্রাম। তবে অনেক কিছু হারিয়ে গেলেও এখনও হারাননি রাজবল্লভী মা। ভরসূট পরগনার প্রতিষ্ঠাতা সদানন্দ রায়। ফলে ইতিহাসের বিচারে এ পূজোর বয়স অন্তত চারশো বছর। এক সময় এ জনপদে জলপথই ছিল প্রধান পথ। সে পথেই কৃষি ফসল প্রধানত ধান, সবজী, পাট, তুলো এবং বিখ্যাত ভরসূটের তামাক নানা দেশে ছড়িয়ে পড়ত। এখন ও সব নেই। তবে রয়ে গিয়েছে রাজবলহাট গ্রামের বিখ্যাত শাড়ী। রাজবল্লভী দেবী এখানের তন্ত্তুবায়ীদের বোনা শাড়ী পরেন এখনও। রাত্রে শয়নে যাওয়ার অাগে দেবীর জন্য তামাক সেজে গড়গড়ার নলটি মুখের কাছে দেওয়া হয়।
Written by: Prithwish Ghosh
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন