চামুণ্ডা দেবী প্রকট হয়েছিলেন দেবী কৌষিকীর ললাট দেশ থেকে। চণ্ড ও মুণ্ড নামক অসুরদ্বয় কে নিহত করবার জন্যই চামুণ্ডাদেবীর আবির্ভাব। শ্রীশ্রীচণ্ডীতে লেখা আছে-
ততঃ কোপঞ্চকারোচ্চৈরম্বিকা তানরীন্ প্রতি ।
কোপেন চাস্যা বদনং মসীবর্নমভূৎ তদা ।।
ভ্রকুটিকুটিলাৎ তস্যা ললাটফলকাদ্দ্রুতম্ ।
কালী করালবদনা বিনিস্ক্রান্তসিপাশিনী ।।
বিচিত্রখট্বাঙ্গধরা নরমালাবিভূষণা ।
দ্বীপিচর্মপরীধানা শুস্কমাংসাতিভৈরবা ।।
অতিবিস্তারবদনা জিহ্বাললনভীষণা ।
নিমগ্নারক্তনয়না নাদাপূরিতদিঙ্মুখা ।।
( শ্রীশ্রীচণ্ডী... সপ্তম অধ্যায়... শ্লোক- ৫- ৮ )
অর্থাৎ- তখন অম্বিকা সেই শত্রুগণের প্রতি অত্যন্ত ক্রুদ্ধা হইলেন এবং ভীষণ ক্রোধে তাঁহার মুখমণ্ডল কৃষ্ণবর্ণ হইল। তখন দেবীর ভ্রূকুটি কুটিল ললাটদেশ হতে শীঘ্র খড়্গধরা ও পাশহস্তা ভীষনবদনা কালী বিনিঃসৃতা হইলেন। অম্বিকার ললাটোদ্ভুতা সেই চামুণ্ডা দেবী বিচিত্র নরকঙ্কালধারিণী, নৃমুণ্ডমালিনী, ব্যাঘ্র- চর্ম পরিহিতা , অস্থিচর্মমাত্রদেহা , অতিভীষণা, বিশাল- বদনা, লোলজিহ্বায় ভয়প্রদা,কোটরগত আরক্ত চক্ষুবিশিষ্টা এবং বিকট শব্দে চারপাশ পূর্ণকারিণী।
দেবী অসুরসেনাদের মধ্যে প্রবেশ করে অসুরদের বধ ও ভক্ষণ করতে লাগলেন। এমনকি অশ্ব- সারথি- সহিত অসুরদের রথ শুদ্ধ মুখে নিয়ে চিবিয়ে খেয়ে ফেললেন। অসুরদের কাওকে কেশ এবং গ্রীবা ধরে বধ করলেন। কতেক অসুর দেবীর চরণে দলিত হল। এমনকি অসুরেরা যে সকল অস্ত্র নিক্ষেপ করলো- দেবী সেই অস্ত্রগুলিও চিবিয়ে ভক্ষণ করলেন। কোনো অসুরকে দেবী খড়্গ দিয়ে বধ, কাহাকে খট্বাঙ্গের প্রহারে হত কাওকে চর্বণ করে বধ করলেন। দেবীর ভীম বিক্রমে দানবিক আঘাত ক্রমশ শক্তিহীন হলে চণ্ডমুণ্ডের সাথে দেবী কালীর যুদ্ধ আরম্ভ হল। দেবী কালী ‘হুং’ শব্দ করে চণ্ডের কেশ ধরে খড়্গ দিয়ে শিরোচ্ছেদ করলেন। মুণ্ড এরপর যুদ্ধে প্রবৃত্ত হলে দেবী খড়্গ দিয়ে তারও শিরোচ্ছেদ করলেন। রক্তারক্তি মাখা দেবীর সমগ্র শরীর, খড়্গও রক্তে রাঙা। সেই অবস্থায় দেবী চামুণ্ডা হাতে চণ্ড- মুণ্ডের শির নিয়ে দেবী কৌশিকীকে উপহার দিলেন। দেবী কৌশিকী প্রীতা হয়ে বললেন-
যস্মাচ্চণ্ডচ্চ মুণ্ডচ্চ গৃহীত্বা ত্বমুপাগতা।
চামুণ্ডেতি ততো লোকে খ্যাতা দেবি ভবিষ্যসি ।
( শ্রীশ্রীচণ্ডী... সপ্তম অধ্যায়... শ্লোক- ২৭ )
অর্থাৎ- দেবি, তুমি চণ্ড ও মুণ্ডের মস্তকদ্বয় আমার নিকট আনিয়াছ বলিয়া ধরিত্রীতে তুমি চামুণ্ডা নামে বিখ্যাত হইবে।
এই দেবী রক্তবীজের রক্ত পান করেছিলেন। কোনো কোনো চণ্ডীর ব্যাখাকার এই চামুণ্ডাদেবীকেই তন্ত্রের দেবী কালিকা বলে উল্লেখ করেছেন।
দংষ্ট্রাকরালবদনে শিরোমালাবিভূষণে ।
চামুণ্ডে মুণ্ডমথনে নারায়ণি নমোহস্তু তে ।।
এই হল সংক্ষিপ্ত অষ্টমাতৃকার কথা। এছাড়াও তিনটি শক্তির নাম আছে। এঁনারা হলেন কুবের দেবের শক্তি কৌবেরী, বরুণের শক্তি বারুনী আর যমের শক্তি যামিনী।
Sumon Basak
ততঃ কোপঞ্চকারোচ্চৈরম্বিকা তানরীন্ প্রতি ।
কোপেন চাস্যা বদনং মসীবর্নমভূৎ তদা ।।
ভ্রকুটিকুটিলাৎ তস্যা ললাটফলকাদ্দ্রুতম্ ।
কালী করালবদনা বিনিস্ক্রান্তসিপাশিনী ।।
বিচিত্রখট্বাঙ্গধরা নরমালাবিভূষণা ।
দ্বীপিচর্মপরীধানা শুস্কমাংসাতিভৈরবা ।।
অতিবিস্তারবদনা জিহ্বাললনভীষণা ।
নিমগ্নারক্তনয়না নাদাপূরিতদিঙ্মুখা ।।
( শ্রীশ্রীচণ্ডী... সপ্তম অধ্যায়... শ্লোক- ৫- ৮ )
অর্থাৎ- তখন অম্বিকা সেই শত্রুগণের প্রতি অত্যন্ত ক্রুদ্ধা হইলেন এবং ভীষণ ক্রোধে তাঁহার মুখমণ্ডল কৃষ্ণবর্ণ হইল। তখন দেবীর ভ্রূকুটি কুটিল ললাটদেশ হতে শীঘ্র খড়্গধরা ও পাশহস্তা ভীষনবদনা কালী বিনিঃসৃতা হইলেন। অম্বিকার ললাটোদ্ভুতা সেই চামুণ্ডা দেবী বিচিত্র নরকঙ্কালধারিণী, নৃমুণ্ডমালিনী, ব্যাঘ্র- চর্ম পরিহিতা , অস্থিচর্মমাত্রদেহা , অতিভীষণা, বিশাল- বদনা, লোলজিহ্বায় ভয়প্রদা,কোটরগত আরক্ত চক্ষুবিশিষ্টা এবং বিকট শব্দে চারপাশ পূর্ণকারিণী।
দেবী অসুরসেনাদের মধ্যে প্রবেশ করে অসুরদের বধ ও ভক্ষণ করতে লাগলেন। এমনকি অশ্ব- সারথি- সহিত অসুরদের রথ শুদ্ধ মুখে নিয়ে চিবিয়ে খেয়ে ফেললেন। অসুরদের কাওকে কেশ এবং গ্রীবা ধরে বধ করলেন। কতেক অসুর দেবীর চরণে দলিত হল। এমনকি অসুরেরা যে সকল অস্ত্র নিক্ষেপ করলো- দেবী সেই অস্ত্রগুলিও চিবিয়ে ভক্ষণ করলেন। কোনো অসুরকে দেবী খড়্গ দিয়ে বধ, কাহাকে খট্বাঙ্গের প্রহারে হত কাওকে চর্বণ করে বধ করলেন। দেবীর ভীম বিক্রমে দানবিক আঘাত ক্রমশ শক্তিহীন হলে চণ্ডমুণ্ডের সাথে দেবী কালীর যুদ্ধ আরম্ভ হল। দেবী কালী ‘হুং’ শব্দ করে চণ্ডের কেশ ধরে খড়্গ দিয়ে শিরোচ্ছেদ করলেন। মুণ্ড এরপর যুদ্ধে প্রবৃত্ত হলে দেবী খড়্গ দিয়ে তারও শিরোচ্ছেদ করলেন। রক্তারক্তি মাখা দেবীর সমগ্র শরীর, খড়্গও রক্তে রাঙা। সেই অবস্থায় দেবী চামুণ্ডা হাতে চণ্ড- মুণ্ডের শির নিয়ে দেবী কৌশিকীকে উপহার দিলেন। দেবী কৌশিকী প্রীতা হয়ে বললেন-
যস্মাচ্চণ্ডচ্চ মুণ্ডচ্চ গৃহীত্বা ত্বমুপাগতা।
চামুণ্ডেতি ততো লোকে খ্যাতা দেবি ভবিষ্যসি ।
( শ্রীশ্রীচণ্ডী... সপ্তম অধ্যায়... শ্লোক- ২৭ )
অর্থাৎ- দেবি, তুমি চণ্ড ও মুণ্ডের মস্তকদ্বয় আমার নিকট আনিয়াছ বলিয়া ধরিত্রীতে তুমি চামুণ্ডা নামে বিখ্যাত হইবে।
এই দেবী রক্তবীজের রক্ত পান করেছিলেন। কোনো কোনো চণ্ডীর ব্যাখাকার এই চামুণ্ডাদেবীকেই তন্ত্রের দেবী কালিকা বলে উল্লেখ করেছেন।
দংষ্ট্রাকরালবদনে শিরোমালাবিভূষণে ।
চামুণ্ডে মুণ্ডমথনে নারায়ণি নমোহস্তু তে ।।
এই হল সংক্ষিপ্ত অষ্টমাতৃকার কথা। এছাড়াও তিনটি শক্তির নাম আছে। এঁনারা হলেন কুবের দেবের শক্তি কৌবেরী, বরুণের শক্তি বারুনী আর যমের শক্তি যামিনী।
Sumon Basak
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন