তারাপীঠ মন্দির তৈরী করেছিলেন গন্ধবণিক জয়দত্ত । তবে সেই মন্দির এখন আর নেই। একদা বাণিজ্য সেরে গন্ধ বণিক জয়দত্ত নৌকায় প্রচুত ধন সম্পদ নিয়ে দেশে ফিরছিলেন। দ্বারকা নদীতে তারাপীঠে এসে দুপাশে ঘন জঙ্গল দেখে , রাত হয়ে যাওয়াতে সেইখানেই বণিক মাঝি মাল্লাদের আদেশ দিলেন, এখানেই রাত কাটাতে। সেই রাত্রে হঠাত করে বণিক জয়ের পুত্র ধনঞ্জয় মারা যায়। অকালমৃত্যুতে বণিক খুব ব্যাথা পেয়ে রোদন করতে থাকেন। সেই রাত্রে জয় দত্ত এক নারী কণ্ঠ শোনেন। সেই নারী বলছেন- “বণিক! তোমার নৌকায় কি আছে ?” পুত্রের মৃত্যুতে বণিকের কোনোদিকে খেয়াল নেই। তিন বার প্রশ্ন শোনার পর বণিক বললেন- “ছাই আছে”। পরদিন বণিক প্রভাতে উঠে দেখলেন সব ধন সম্পদ ছাই হয়ে গেছে। বণিক আশ্চর্য হলেন।
এরপর মাঝিরা মাছ ধরে মৃত মাছ একটি পুকুরে ধুতে যাবার সময় মাছ গুলো জ্যান্ত হয়ে সব বেঁচে উঠলো। এই ঘটনা দেখে মাঝিদের কথায় বণিক জয় দত্ত, তাঁর পুত্রের নিথর দেহ সেই পুকুরে স্পর্শ মাত্রই পুত্র বেঁচে উঠলো। আনন্দে বণিক তখন আত্মহারা। বণিক ভাবল নিশ্চয়ই এই স্থানে কোনো দেবী আছেন। যাঁর লীলাতেই এত সব অলৌকিক কাণ্ড হচ্ছে। গন্ধ বণিক সেই স্থানে সেই অচেনা অজানা দেবীর ধ্যানে বসলেন। দেবী তারা প্রসন্ন হয়ে বণিককে এই স্থানে দর্শন দিয়ে মন্দির নির্মাণের আদেশ দিলেন। মন্দির নির্মাণ করে মা তারার পূজা আরম্ভ হল। এরপর জয় দত্তের মন্দির নদী গর্ভে চলে যায়। তারপর ১১৫০ বঙ্গাব্দে জমিদার রামজীবন রায় নতুন করে মা তারার মন্দির নির্মাণ করেন। তিঁনি নাটোরের রাজবংশ নির্মাতা। এরপর থেকে নাটোরের জমিদারী থেকেই মন্দির পরিচালনা করা হত। এরপর বহু জমিদার , রানী মন্দিরের সংস্কার করেন।
তারাপীঠ শ্মশান এক সময় এত গভীর ছিলো যে দিনের আলোতেও সেখানে অন্ধকার বিরাজ করতো। এত ঘন বন। শৃগাল বিরাজ করতো। বাঘেরও আনাগোনা ছিলো। সেই শ্মশানে হাড়হিম পরিবেশ আর নিস্তব্ধতা ছিলো। কেবল তন্ত্র সাধক ভিন্ন সেই শ্মশানে অন্য কেও তিল মাত্র অবস্থান করতে পারতো না। এমনকি শবদাহ করতেও লোকে দল বেঁধে আসতো। শ্মশানের অনেক বিভূতি দেখা যেতো। এখানে ওখানে কেবল ভাঙা কলসি, বাঁশের মাচা, শবের বস্ত্র, হাড় গোড় খুলি ছড়ানো ছিটানো থাকতো। শৃগালেরা মড়দেহ টানাটানি করে খুবলে মাংসাহার করতো- এমনই ছিলো পরিবেশ। বর্তমানে এর ছিঁটেফোঁটাও নেই। ঠকবাজ তান্ত্রিক আর লাইট , হোটেল, মানুষের বসতিতে সেইসব পরিবেশ দিনে দিনে লুপ্ত হয়ে গেছে। তবুও স্থানমাহাত্ম্য কোনোকালেই কম হয় না- এখনও প্রকৃত তন্ত্রসাধকেরাও আসেন তারাপীঠ।
এরপর মাঝিরা মাছ ধরে মৃত মাছ একটি পুকুরে ধুতে যাবার সময় মাছ গুলো জ্যান্ত হয়ে সব বেঁচে উঠলো। এই ঘটনা দেখে মাঝিদের কথায় বণিক জয় দত্ত, তাঁর পুত্রের নিথর দেহ সেই পুকুরে স্পর্শ মাত্রই পুত্র বেঁচে উঠলো। আনন্দে বণিক তখন আত্মহারা। বণিক ভাবল নিশ্চয়ই এই স্থানে কোনো দেবী আছেন। যাঁর লীলাতেই এত সব অলৌকিক কাণ্ড হচ্ছে। গন্ধ বণিক সেই স্থানে সেই অচেনা অজানা দেবীর ধ্যানে বসলেন। দেবী তারা প্রসন্ন হয়ে বণিককে এই স্থানে দর্শন দিয়ে মন্দির নির্মাণের আদেশ দিলেন। মন্দির নির্মাণ করে মা তারার পূজা আরম্ভ হল। এরপর জয় দত্তের মন্দির নদী গর্ভে চলে যায়। তারপর ১১৫০ বঙ্গাব্দে জমিদার রামজীবন রায় নতুন করে মা তারার মন্দির নির্মাণ করেন। তিঁনি নাটোরের রাজবংশ নির্মাতা। এরপর থেকে নাটোরের জমিদারী থেকেই মন্দির পরিচালনা করা হত। এরপর বহু জমিদার , রানী মন্দিরের সংস্কার করেন।
তারাপীঠ শ্মশান এক সময় এত গভীর ছিলো যে দিনের আলোতেও সেখানে অন্ধকার বিরাজ করতো। এত ঘন বন। শৃগাল বিরাজ করতো। বাঘেরও আনাগোনা ছিলো। সেই শ্মশানে হাড়হিম পরিবেশ আর নিস্তব্ধতা ছিলো। কেবল তন্ত্র সাধক ভিন্ন সেই শ্মশানে অন্য কেও তিল মাত্র অবস্থান করতে পারতো না। এমনকি শবদাহ করতেও লোকে দল বেঁধে আসতো। শ্মশানের অনেক বিভূতি দেখা যেতো। এখানে ওখানে কেবল ভাঙা কলসি, বাঁশের মাচা, শবের বস্ত্র, হাড় গোড় খুলি ছড়ানো ছিটানো থাকতো। শৃগালেরা মড়দেহ টানাটানি করে খুবলে মাংসাহার করতো- এমনই ছিলো পরিবেশ। বর্তমানে এর ছিঁটেফোঁটাও নেই। ঠকবাজ তান্ত্রিক আর লাইট , হোটেল, মানুষের বসতিতে সেইসব পরিবেশ দিনে দিনে লুপ্ত হয়ে গেছে। তবুও স্থানমাহাত্ম্য কোনোকালেই কম হয় না- এখনও প্রকৃত তন্ত্রসাধকেরাও আসেন তারাপীঠ।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন