শ্রীশ্রীচণ্ডীতে দেবী বলেছেন- তস্মান্মমৈতন্মাহাত্ম্যং পঠিতব্যং সমাহিতৈঃ।
শ্রোতব্যঞ্চ সদা ভক্তা পরং স্বস্ত্যয়নং হি তৎ ।। (১২/৭)
অর্থাৎ ‘অতএব আমার এই মাহাত্ম্য সমাহিতচিত্তে নিত্য ভক্তিপূর্বক পাঠ বা শ্রবণ করা কর্তব্য। কারণ তাহা অতিশয় মঙ্গলজনক’।‘অতিশয় মঙ্গলজনক’--এই চণ্ডীর কথা আলোচনা করলে আমাদের কী লাভ এখন তা দেখা যাক -------
প্রথম লাভ—কল্যাণ ( ঐহিক ও পারত্রিক )।
দ্বিতীয় লাভ—পাপনাশ ও পাপজনিত আপদ নাশ।
তৃতীয় লাভ—দারিদ্রনাশ।
চতুর্থ লাভ—প্রিয়বিয়োগ নাশ।
পঞ্চম লাভ—শত্রু, দস্যু, রাজা, শস্ত্র, অগ্নি ও জলপ্রবাহ থেকে সমস্ত ভয় নাশ।
ষষ্ঠ লাভ—মহামারীজনিত সর্বপ্রকার উপদ্রব ও ত্রিবিধ উৎপাত দমন।
সপ্তম লাভ—দেবীর প্রসন্নতা ও সন্নিধি।
অষ্টম লাভ—নির্ভীকতা।
নবম লাভ—শত্রুক্ষয়।
দশম লাভ—বংশের উন্নতি।
একাদশ লাভ—শান্তিকর্মে সিদ্ধি।
দ্বাদশ লাভ—গ্রহশান্তি।
ত্রয়োদশ লাভ—দুঃস্বপ্ন সুস্বপ্নে পরিণতি।
চতুর্দশ লাভ— ডাকিনী ও পূতনাদি বালগ্রহ দ্বারা আক্রান্ত শিশুগণের শান্তিলাভ ।
পঞ্চদশ লাভ—বৈরভাব দূরীকরণ ও মিত্রতা স্থাপন।
ষোড়শ লাভ—রাক্ষস, ভূত ও পিশাচগণের বিতাড়ন।
সপ্তদশ লাভ—আরোগ্য।
অষ্টাদশ লাভ—শুভ মতি লাভ অর্থাৎ চিত্তশুদ্ধি হয় ।
ঊনবিংশ লাভ—সমস্ত সঙ্কট হতে মুক্তি।
এতগুলো লাভ আমাদের হবে। এ সকলই দেবীর শ্রীমুখের বাণী। যদি কোন ব্যক্তি ইহলোকের যাবতীয় উন্নতি চায়, তবে তার এই চণ্ডীতত্ত্ব আলোচনা করা কর্তব্য। রোগ, শোক, আপদ, বিপদ প্রভৃতির বিনাশ সাধন সকল জীবেরই কাম্য। আবার ভক্ত ও জ্ঞানী যারা তারা চায় মুক্তি অর্থাৎ জন্মান্তর নিবারণ। গৃহী কিংবা সন্ন্যাসী সকলেরই চণ্ডীতত্ত্ব আলোচনায় লাভ আছে। যদি আমরা বিশ্বাস করে থাকি, অতীন্দ্রিয় বস্তুকে বা ব্রহ্মকে আমাদের ঋষিরা লাভ করেছিলেন, তবে সেই ব্রহ্মকে অনুভূতিতে আনতে হলে ঋষি প্রদর্শিত পথেই যেতে হবে। তবেই চণ্ডীতত্ত্ব আলোচনা করে ফল পাওয়া যাবে।
Written by: Prithish Ghosh
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন