আজ থেকে অনেক বছর আগের কথা । চীনের শাওলিনের প্রজারা অত্যাচারী রাজা দ্বারা খুব অত্যাচারিত হতেন । নিরীহ গ্রামবাসীরা কোনো প্রতিবাদ করতে পারেন না । চীনের জ্যোতিষীরা বানী করলেন এর মুক্তিদাতা ভগবান বুদ্ধের জন্মস্থান ভারত থেকেই আসবে । তখন নেপাল ভারতের অন্তর্ভুক্ত ছিলো । একসময় দক্ষিণ ভারত থেকে বোধিধর্মান নামক এক বৈদ্য শাওলিনে আসলো । সেসময় শাওলিনের নিরীহ প্রজা শাসক দের দ্বারা খুব অত্যাচারিত হচ্ছিল্ল । বোধিধর্মান প্রথমে চিকিৎসা বিদ্যা দ্বারা বৈদ্য রূপে শাওলিনে খ্যাত হলেন । একদিন যখন শাসক সেনারা নিরীহ গ্রামবাসী দের অত্যাচার করছিলো সেসময় বোধিধর্মান একাই সেই শাসক দলের সেনাদের মেরে তাড়ালেন এক বিদ্যার দ্বারা । বোধিধর্মান যে এই বিদ্যা জানতেন তা শাওলিনের বাসীরা জানলো । তারা বোধিধর্মান এর কাছে এই বিদ্যা শিখতে চাইলে বোধিধর্মান তা শেখালেন । এই কুংফু বিদ্যা শিখে শাওলিনের লোকেরা অত্যাচারী রাজার পতন ঘটালো । এরপর সেখানে কুংফু চর্চা করা হতে লাগলো । একদিন বোধিধর্মান ভারতে ফিরতে চাইলে চীনের জ্যোতিষীরা বানী করলেন তাকে যে কোনো প্রকারে চীনে আটকে রাখতে হবে, জীবিত বা মৃত । নচেৎ শাওলিনে আবার সেই অত্যাচার ফিরে আসবে । অপরদিকে বোধিধর্মান নাছোড়বান্দা , তিনি ভারতে ফিরেবন । তখন শাওলিনের বাসিন্দারা তাকে বিষ মেশানো খাবার খেতে দিলেন ।
বোধিধর্মান এটা জানতো । তবুও সে এত ভক্তি শ্রদ্ধা দেখে স্বেচ্ছায় সেই বিষাক্ত খাবার খেয়ে মৃত্যু বরণ করলো । এরপর শাওলিনের লোকেরা তাকে কবর দিয়ে সেখানে মন্দির বানালো । ভগবান বুদ্ধের ন্যায় পূজা শুরু করলো । কুংফু সারা চীনে বিস্তার পেলো । কুংফুর জনক ভারতীয় হলেও ভারতে এই বিদ্যা তেমন দেখা যায় না । সেটা চীনে চলে গেছে । কুংফুর উদ্দেশ্য হোলো আত্মরক্ষা । নিরীহ জীব বা মানুষের উপর এর প্রয়োগ নিষেধ । প্রকৃতিই হোলো কুংফুর প্রেরনা । এখানে পশু পাখীদের শিকার পদ্ধতি দেখে কুংফুর ধরন শেখানো হয় । বাজ, চিতা, ঈগল, সাপের আক্রমণ কৌশল কুংফুর টেকনিক । এতে নিরস্ত্র হাতেই শত্রুর মোকাবিলা করে তাকে ঘায়েল করা হয় । বৌদ্ধ ধর্মের সাথে কুংফুর ইতিহাস জড়িয়ে । বুদ্ধের দেহত্যাগের পর বৌদ্ধ সন্ন্যাসী রা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে প্রচারের সময় বাধা পেলে বা তাদের ওপর আক্রমণ হলে তারা এই বিদ্যা আজোও প্রয়োগ করেন । আত্মরক্ষা তে মোকাবিলা করলে তা হিংসা বা পাপ বলে গণ্য হয় না । বরং অন্যায় সহ্য করাকে বড় পাপ বলে শাস্ত্রে খ্যাত ।
প্রকৃতি থেকেই কুংফুর কৌশল আয়ত্ত করা হয় । কিন্তু একজন ভারতীয় হিন্দু রূপে বোধিধর্মান এর নাম কজন জানেন ?
Courtesy by: sumon da
বোধিধর্মান এটা জানতো । তবুও সে এত ভক্তি শ্রদ্ধা দেখে স্বেচ্ছায় সেই বিষাক্ত খাবার খেয়ে মৃত্যু বরণ করলো । এরপর শাওলিনের লোকেরা তাকে কবর দিয়ে সেখানে মন্দির বানালো । ভগবান বুদ্ধের ন্যায় পূজা শুরু করলো । কুংফু সারা চীনে বিস্তার পেলো । কুংফুর জনক ভারতীয় হলেও ভারতে এই বিদ্যা তেমন দেখা যায় না । সেটা চীনে চলে গেছে । কুংফুর উদ্দেশ্য হোলো আত্মরক্ষা । নিরীহ জীব বা মানুষের উপর এর প্রয়োগ নিষেধ । প্রকৃতিই হোলো কুংফুর প্রেরনা । এখানে পশু পাখীদের শিকার পদ্ধতি দেখে কুংফুর ধরন শেখানো হয় । বাজ, চিতা, ঈগল, সাপের আক্রমণ কৌশল কুংফুর টেকনিক । এতে নিরস্ত্র হাতেই শত্রুর মোকাবিলা করে তাকে ঘায়েল করা হয় । বৌদ্ধ ধর্মের সাথে কুংফুর ইতিহাস জড়িয়ে । বুদ্ধের দেহত্যাগের পর বৌদ্ধ সন্ন্যাসী রা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে প্রচারের সময় বাধা পেলে বা তাদের ওপর আক্রমণ হলে তারা এই বিদ্যা আজোও প্রয়োগ করেন । আত্মরক্ষা তে মোকাবিলা করলে তা হিংসা বা পাপ বলে গণ্য হয় না । বরং অন্যায় সহ্য করাকে বড় পাপ বলে শাস্ত্রে খ্যাত ।
প্রকৃতি থেকেই কুংফুর কৌশল আয়ত্ত করা হয় । কিন্তু একজন ভারতীয় হিন্দু রূপে বোধিধর্মান এর নাম কজন জানেন ?
Courtesy by: sumon da
1 Comments:
ধন্যবাদ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন