১৭ জুন ২০১৫

একজন ভারতীয় হিন্দু রূপে বোধিধর্মান এর নাম কজন জানেন ?

আজ থেকে অনেক বছর আগের কথা । চীনের শাওলিনের প্রজারা অত্যাচারী রাজা দ্বারা খুব অত্যাচারিত হতেন । নিরীহ গ্রামবাসীরা কোনো প্রতিবাদ করতে পারেন না । চীনের জ্যোতিষীরা বানী করলেন এর মুক্তিদাতা ভগবান বুদ্ধের জন্মস্থান ভারত থেকেই আসবে । তখন নেপাল ভারতের অন্তর্ভুক্ত ছিলো । একসময় দক্ষিণ ভারত থেকে বোধিধর্মান নামক এক বৈদ্য শাওলিনে আসলো । সেসময় শাওলিনের নিরীহ প্রজা শাসক দের দ্বারা খুব অত্যাচারিত হচ্ছিল্ল । বোধিধর্মান প্রথমে চিকিৎসা বিদ্যা দ্বারা বৈদ্য রূপে শাওলিনে খ্যাত হলেন । একদিন যখন শাসক সেনারা নিরীহ গ্রামবাসী দের অত্যাচার করছিলো সেসময় বোধিধর্মান একাই সেই শাসক দলের সেনাদের মেরে তাড়ালেন এক বিদ্যার দ্বারা । বোধিধর্মান যে এই বিদ্যা জানতেন তা শাওলিনের বাসীরা জানলো । তারা বোধিধর্মান এর কাছে এই বিদ্যা শিখতে চাইলে বোধিধর্মান তা শেখালেন । এই কুংফু বিদ্যা শিখে শাওলিনের লোকেরা অত্যাচারী রাজার পতন ঘটালো । এরপর সেখানে কুংফু চর্চা করা হতে লাগলো । একদিন বোধিধর্মান ভারতে ফিরতে চাইলে চীনের জ্যোতিষীরা বানী করলেন তাকে যে কোনো প্রকারে চীনে আটকে রাখতে হবে, জীবিত বা মৃত । নচেৎ শাওলিনে আবার সেই অত্যাচার ফিরে আসবে । অপরদিকে বোধিধর্মান নাছোড়বান্দা , তিনি ভারতে ফিরেবন । তখন শাওলিনের বাসিন্দারা তাকে বিষ মেশানো খাবার খেতে দিলেন ।
বোধিধর্মান এটা জানতো । তবুও সে এত ভক্তি শ্রদ্ধা দেখে স্বেচ্ছায় সেই বিষাক্ত খাবার খেয়ে মৃত্যু বরণ করলো । এরপর শাওলিনের লোকেরা তাকে কবর দিয়ে সেখানে মন্দির বানালো । ভগবান বুদ্ধের ন্যায় পূজা শুরু করলো । কুংফু সারা চীনে বিস্তার পেলো । কুংফুর জনক ভারতীয় হলেও ভারতে এই বিদ্যা তেমন দেখা যায় না । সেটা চীনে চলে গেছে । কুংফুর উদ্দেশ্য হোলো আত্মরক্ষা । নিরীহ জীব বা মানুষের উপর এর প্রয়োগ নিষেধ । প্রকৃতিই হোলো কুংফুর প্রেরনা । এখানে পশু পাখীদের শিকার পদ্ধতি দেখে কুংফুর ধরন শেখানো হয় । বাজ, চিতা, ঈগল, সাপের আক্রমণ কৌশল কুংফুর টেকনিক । এতে নিরস্ত্র হাতেই শত্রুর মোকাবিলা করে তাকে ঘায়েল করা হয় । বৌদ্ধ ধর্মের সাথে কুংফুর ইতিহাস জড়িয়ে । বুদ্ধের দেহত্যাগের পর বৌদ্ধ সন্ন্যাসী রা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে প্রচারের সময় বাধা পেলে বা তাদের ওপর আক্রমণ হলে তারা এই বিদ্যা আজোও প্রয়োগ করেন । আত্মরক্ষা তে মোকাবিলা করলে তা হিংসা বা পাপ বলে গণ্য হয় না । বরং অন্যায় সহ্য করাকে বড় পাপ বলে শাস্ত্রে খ্যাত ।
প্রকৃতি থেকেই কুংফুর কৌশল আয়ত্ত করা হয় । কিন্তু একজন ভারতীয় হিন্দু রূপে বোধিধর্মান এর নাম কজন জানেন ?

Courtesy by: sumon da
Share:

Total Pageviews

বিভাগ সমুহ

অন্যান্য (91) অবতারবাদ (7) অর্জুন (4) আদ্যশক্তি (68) আর্য (1) ইতিহাস (30) উপনিষদ (5) ঋগ্বেদ সংহিতা (10) একাদশী (10) একেশ্বরবাদ (1) কল্কি অবতার (3) কৃষ্ণভক্তগণ (11) ক্ষয়িষ্ণু হিন্দু (21) ক্ষুদিরাম (1) গায়ত্রী মন্ত্র (2) গীতার বানী (14) গুরু তত্ত্ব (6) গোমাতা (1) গোহত্যা (1) চাণক্য নীতি (3) জগন্নাথ (23) জয় শ্রী রাম (7) জানা-অজানা (7) জীবন দর্শন (68) জীবনাচরন (56) জ্ঞ (1) জ্যোতিষ শ্রাস্ত্র (4) তন্ত্রসাধনা (2) তীর্থস্থান (18) দেব দেবী (60) নারী (8) নিজেকে জানার জন্য সনাতন ধর্ম চর্চাক্ষেত্র (9) নীতিশিক্ষা (14) পরমেশ্বর ভগবান (25) পূজা পার্বন (43) পৌরানিক কাহিনী (8) প্রশ্নোত্তর (39) প্রাচীন শহর (19) বর্ন ভেদ (14) বাবা লোকনাথ (1) বিজ্ঞান ও সনাতন ধর্ম (39) বিভিন্ন দেশে সনাতন ধর্ম (11) বেদ (35) বেদের বানী (14) বৈদিক দর্শন (3) ভক্ত (4) ভক্তিবাদ (43) ভাগবত (14) ভোলানাথ (6) মনুসংহিতা (1) মন্দির (38) মহাদেব (7) মহাভারত (39) মূর্তি পুজা (5) যোগসাধনা (3) যোগাসন (3) যৌক্তিক ব্যাখ্যা (26) রহস্য ও সনাতন (1) রাধা রানি (8) রামকৃষ্ণ দেবের বানী (7) রামায়ন (14) রামায়ন কথা (211) লাভ জিহাদ (2) শঙ্করাচার্য (3) শিব (36) শিব লিঙ্গ (15) শ্রীকৃষ্ণ (67) শ্রীকৃষ্ণ চরিত (42) শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু (9) শ্রীমদ্ভগবদগীতা (40) শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা (4) শ্রীমদ্ভাগব‌ত (1) সংস্কৃত ভাষা (4) সনাতন ধর্ম (13) সনাতন ধর্মের হাজারো প্রশ্নের উত্তর (3) সফটওয়্যার (1) সাধু - মনীষীবৃন্দ (2) সামবেদ সংহিতা (9) সাম্প্রতিক খবর (21) সৃষ্টি তত্ত্ব (15) স্বামী বিবেকানন্দ (37) স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (14) স্মরনীয় যারা (67) হরিরাম কীর্ত্তন (6) হিন্দু নির্যাতনের চিত্র (23) হিন্দু পৌরাণিক চরিত্র ও অন্যান্য অর্থের পরিচিতি (8) হিন্দুত্ববাদ. (83) shiv (4) shiv lingo (4)

আর্টিকেল সমুহ

অনুসরণকারী

" সনাতন সন্দেশ " ফেসবুক পেজ সম্পর্কে কিছু কথা

  • “সনাতন সন্দেশ-sanatan swandesh" এমন একটি পেজ যা সনাতন ধর্মের বিভিন্ন শাখা ও সনাতন সংস্কৃতিকে সঠিকভাবে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য অসাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে গঠন করা হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য নিজের ধর্মকে সঠিক ভাবে জানা, পাশাপাশি অন্য ধর্মকেও সম্মান দেওয়া। আমাদের লক্ষ্য সনাতন ধর্মের বর্তমান প্রজন্মের মাঝে সনাতনের চেতনা ও নেতৃত্ত্ব ছড়িয়ে দেওয়া। আমরা কুসংষ্কারমুক্ত একটি বৈদিক সনাতন সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এ পথচলায় আপনাদের সকলের সহযোগিতা কাম্য । এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। সনাতন ধর্মের যে কেউ লাইক দিয়ে এর সদস্য হতে পারে।