ছোটোবেলায় আমাদের গল্প শোনানো হতো- দেবী দুর্গা বা পার্বতীর , দুই মেয়ে দুই ছেলে। দেবী পার্বতীর সন্তান রূপে পুরাণে কার্ত্তিক ও গণেশের কথা থাকলেও, কোনো পুরাণেই আমরা দেবীর কন্যাসন্তান রূপে লক্ষ্মী, সরস্বতীর উল্লেখ পাই না । শ্রীশ্রীচণ্ডীতে আমরা মহিষমর্দিনী দেবীর সাথে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্ত্তিক, গণেশের উল্লেখ পাই না। তবে এঁনারা কেন থাকেন ? দেবী দুর্গা সর্ব দেবতার তেজপুঞ্জীভূতা মহাশক্তি। অসুর ধ্বংসের জন্য দেবতার তেজ একত্রিত হয়েই দেবীর আগমন ঘটেছিলো ( দেবীর সৃষ্টি বলা সমীচীন না। কারন সেই ভগবতীর জন্ম – মৃত্যু বলে কিছু নেই। বিশেষ বিশেষ সময়ে যেখন সৃষ্টির তিন স্তম্ভ ব্রহ্মা- বিষ্ণু- মহেশ অপারগ হন- তখনই ভগবতীর আবির্ভাব ঘটে। দেবীর আগমনের উদ্দেশ্য সর্বহিত ও দানব নাশ ) । সিদ্ধিদাতা শ্রীগনেশ শ্রম শক্তি অর্থাৎ শূদ্র শক্তির প্রতীক।
শূদ্র যেমন তাহার অক্লান্ত পরিশ্রম দ্বারা সমাজ কে সকল সেবা প্রদান করেন। লক্ষ্মী দেবী বৈশ্যশক্তির প্রতীক অর্থাৎ বণিক শ্রেনী যেমন ব্যাবসা বাণিজ্যের দ্বারা সমাজের আর্থিক ভিত মজবুত করেন। মা লক্ষ্মীকে ঐশ্বর্য ও ধন সম্পদের দেবী বলে। কুমার কার্ত্তিক ক্ষত্রিয়শক্তির প্রতীক। কুমার কার্ত্তিক দেবতাদের সেনাপতি। তারকাসুর সহ অসুর ধ্বংস করে শান্তি স্থাপন তাঁহার উদ্দেশ্য ছিলো। তিঁনি যুদ্ধ বিগ্রহ করেন এমন কি তাঁর বাহন ময়ূর অল্প নিদ্রিত ও সর্প কূল কে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করে যুদ্ধে নিপুন এক সেনার মতো পরিচয় দেয় । ক্ষত্রিয় গণ যুদ্ধ করে শত্রু নাশ করে সমাজ কে সুরক্ষিত করেন । রাজা হলেন ক্ষত্রিয়- তিনি শত্রু নাশ করে প্রজাদের সন্তানবৎ পালন করেন । মা সরস্বতী বিদ্যার দেবী। তিঁনি ব্রহ্মণ্য শক্তির প্রতীক। ব্রাহ্মণ বেদ জ্ঞান প্রসার করে সকলের অজ্ঞানতা দূর করে সমাজকে বৈদিক জ্ঞান প্রদান করেন । ব্রাহ্মণ শাস্ত্র জ্ঞান প্রদান করে অন্ধকার দূর করেন , তাই সর্বশুক্লা দেবী সরস্বতী ব্রাহ্মণশক্তির প্রতীক। মা দুর্গার কাঠমোয় তাই দেখা যায় শূদ্রশক্তি, বৈশ্যশক্তি , ক্ষত্রিয়শক্তি ও ব্রহ্মণ্যশক্তি এক সাথে বর্তমান- আর মধ্যে অসুরদলনী মা দুর্গা অসুর নিধন মূর্তিতে আবির্ভূতা । চতুর্বর্ণ একত্র হলেই মা মহাশক্তির আবির্ভাব ঘটে- আর স্থাপিত হয় বৈদিক সমাজ । হি স্বয়ং ঋষিকন্যা পরমাত্মার সহিত নিজ অভেদ জ্ঞান করে “দেবীসুক্তে” বলেছেন –
অহং রাষ্ট্রী সংগমনী বসুনাং
চিকিতুষী প্রথমা যজ্ঞিয়ানাম্ ।
তাং মা দেবা ব্যদধুঃ পুরুত্রা
ভুরিস্তাত্রাং ভূর্য্যাবেশয়ন্তীম্ ।।
( অর্থাৎ- আমি রাষ্ট্রী, রাষ্ট্রের অধীশ্বরী । রাজ্যরক্ষার্থ যে সম্পদের প্রয়োজন আমি তাহার বিধানকর্তা । সংসারের শান্তিলাভের জন্য যে ব্রহ্মজ্ঞান প্রয়োজন, আমি তাহাই জানি। আমি এক হইয়াও বহুরূপা । সর্ব জীবে আমি বহু রূপে প্রবিষ্ট হইয়া আছি । দৈবী সম্পৎশালী দেবতাগণ যাহা সাধন করেন সকলই আমার উদ্দেশ্যে সম্পন্ন হয় । )
এটাই আদর্শ বৈদিক সনাতন ধর্মীয় রাষ্ট্রের মূর্তি।
শূদ্র যেমন তাহার অক্লান্ত পরিশ্রম দ্বারা সমাজ কে সকল সেবা প্রদান করেন। লক্ষ্মী দেবী বৈশ্যশক্তির প্রতীক অর্থাৎ বণিক শ্রেনী যেমন ব্যাবসা বাণিজ্যের দ্বারা সমাজের আর্থিক ভিত মজবুত করেন। মা লক্ষ্মীকে ঐশ্বর্য ও ধন সম্পদের দেবী বলে। কুমার কার্ত্তিক ক্ষত্রিয়শক্তির প্রতীক। কুমার কার্ত্তিক দেবতাদের সেনাপতি। তারকাসুর সহ অসুর ধ্বংস করে শান্তি স্থাপন তাঁহার উদ্দেশ্য ছিলো। তিঁনি যুদ্ধ বিগ্রহ করেন এমন কি তাঁর বাহন ময়ূর অল্প নিদ্রিত ও সর্প কূল কে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করে যুদ্ধে নিপুন এক সেনার মতো পরিচয় দেয় । ক্ষত্রিয় গণ যুদ্ধ করে শত্রু নাশ করে সমাজ কে সুরক্ষিত করেন । রাজা হলেন ক্ষত্রিয়- তিনি শত্রু নাশ করে প্রজাদের সন্তানবৎ পালন করেন । মা সরস্বতী বিদ্যার দেবী। তিঁনি ব্রহ্মণ্য শক্তির প্রতীক। ব্রাহ্মণ বেদ জ্ঞান প্রসার করে সকলের অজ্ঞানতা দূর করে সমাজকে বৈদিক জ্ঞান প্রদান করেন । ব্রাহ্মণ শাস্ত্র জ্ঞান প্রদান করে অন্ধকার দূর করেন , তাই সর্বশুক্লা দেবী সরস্বতী ব্রাহ্মণশক্তির প্রতীক। মা দুর্গার কাঠমোয় তাই দেখা যায় শূদ্রশক্তি, বৈশ্যশক্তি , ক্ষত্রিয়শক্তি ও ব্রহ্মণ্যশক্তি এক সাথে বর্তমান- আর মধ্যে অসুরদলনী মা দুর্গা অসুর নিধন মূর্তিতে আবির্ভূতা । চতুর্বর্ণ একত্র হলেই মা মহাশক্তির আবির্ভাব ঘটে- আর স্থাপিত হয় বৈদিক সমাজ । হি স্বয়ং ঋষিকন্যা পরমাত্মার সহিত নিজ অভেদ জ্ঞান করে “দেবীসুক্তে” বলেছেন –
অহং রাষ্ট্রী সংগমনী বসুনাং
চিকিতুষী প্রথমা যজ্ঞিয়ানাম্ ।
তাং মা দেবা ব্যদধুঃ পুরুত্রা
ভুরিস্তাত্রাং ভূর্য্যাবেশয়ন্তীম্ ।।
( অর্থাৎ- আমি রাষ্ট্রী, রাষ্ট্রের অধীশ্বরী । রাজ্যরক্ষার্থ যে সম্পদের প্রয়োজন আমি তাহার বিধানকর্তা । সংসারের শান্তিলাভের জন্য যে ব্রহ্মজ্ঞান প্রয়োজন, আমি তাহাই জানি। আমি এক হইয়াও বহুরূপা । সর্ব জীবে আমি বহু রূপে প্রবিষ্ট হইয়া আছি । দৈবী সম্পৎশালী দেবতাগণ যাহা সাধন করেন সকলই আমার উদ্দেশ্যে সম্পন্ন হয় । )
এটাই আদর্শ বৈদিক সনাতন ধর্মীয় রাষ্ট্রের মূর্তি।
1 Comments:
সপরিবার সমন্বিতা ত্রিজগতের ঈশ্বরী দশভুজা মা দুর্গা কে আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম।নারদীয় পুরাণ এবং দেবী পুরাণ মতে লক্ষীদেবী ও সরস্বতী দেবী হলেন শিব দুর্গার কন্যা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন