আমরা সবাই নিজেরা যাকে ইস্ট মানি তাকে ছাড়া অন্য
দেব দেবীদের ক্ষেত্রে অনেক সময় কথার প্রেক্ষিতে এবং নিজের ইষ্টকে উপরে
রাখতে গিয়ে ছোট করে ফেলি। আমি মানছি আমরা যাকে ইস্ট মানছি সেই আমাদের কাছে
সর্বশ্রেষ্ঠ, কিন্তু তাই বলে অন্যান্য দেবদেবীকে শ্রদ্ধা
করা যাবেনা , এমন টা তো কোন ধর্মগ্রন্থে উল্লেখ নেই। তাহলে আমরা কার পথ
প্রদর্শন করে এমন ভাবে নিজেকে আর নিজের ইস্ট কে ছোট করে তুলছি? যেখানে
ঈশ্বর নিজেই ভেদাভেদ করেননি, অথচ আমরা নিজেরা বলছি তার পথ অনুসরণ করছি,
আবার ভেদাভেদ ও করছি। এই নিয়ে ভাগবতে উল্লেখিত একটা কাহিনীর সংক্ষেপ
আপনাদের সামনে তুলে ধরছি...।
মহাযোগী বিদ্যাধর রাজা চিত্রকেতু কোন এক সভায় প্রসঙ্গ ক্রমে শিবকে উপলক্ষ্য করে কটূক্তি করেছিলেন, তা সহ্য না করতে পেরে সতী দেবী তাকে অভিশাপ দেয়। পরে চিত্রকেতুর ভগবদ্ভক্তি জেনে সতী দেবী বিস্মিত হয়। তখন শিব পার্বতীর বিস্ময় ছাড়ানোর জন্য পার্বতীকে উদেসশ্য করে যে কথাগুলু বলেন --
""হে সুশ্রোণি , অদ্ভুতকর্মা হরির নিঃস্পৃহ মহাত্মা দাসানুদাসদের মাহাত্ন্য প্রত্যক্ষ করলে তো ! যে সকল ব্যক্তি নারায়ন পরায়ন , তারা কারো হতে ভয় পায় না, স্বর্গ , অপবর্গ ও নরক এই তিন্তি বিষয়েই তুল্য প্রয়োজন দেখে থাকেন। কারন পরমেশ্বরের লীলাদ্বারাই দেহীদের দেহসংযোগ ও তার দ্বন্দ্ব অর্থাৎ সুখদুঃখ , জন্মমৃত্যু এবং শাপ অনুগ্রহ ইত্যাদি হয়ে থাকে। ঐ সকল সুখদুখাদির মধ্যে গুন দোষের বিকল্প অর্থাৎ ইস্টনিস্ট বুদ্ধি সপ্নাবস্থায় যেমন অবিবেককৃত , তেমনি অবিবেকৃত জানবে। জারা ভগবান বাসুদেবে ভক্তি করে থাকেন, তাদের জ্ঞান, বৈরাগ্য ও বীর্য সম্বন্ধে কে বড় এইরূপ বুদ্ধি তাদের নেই। অর্থাৎ ভক্তানুসন্ধানহেতু মায়িক বস্তুর উৎকর্ষ অপকর্ষের অনুসন্ধান করেন না।
হে দেবী আমি রুদ্র, ব্রম্মা, সনতকুমার, নারদ, ব্রহ্মার পুত্র, মরীচি প্রভৃতি ঋষিগন ও প্রধান প্রধান দেবগন জার অভিপ্রায় বা লীলা যখন জানতে পারেন না, তখন তারা অংশাংশ হয়েও পৃথক পৃথক ঈশ্বর বলে নিজেকে মনে করেন, তারা তার লীলা কিরুপে জানবে? সেই হরির কোনো প্রিয় বা অপ্রিয় নেই। আত্মীয় পরও নেই। তিনি সর্বভুতের আত্মা , এইজন্য সকলের প্রিয়।
এই মহাভাগ চিত্রকেতু সেই ভগবান অনন্তের প্রিয় এবং অনুচর। সুতরাং সর্বভুতে সমদর্শী ও শান্ত। হে সতী, আমিও অচ্যুত ও নারায়নপ্রিয়। অতএব তুমি বিস্ময় করো না, যে সকল পুরুশ মহাত্মা, মহাপুরুষের ভক্ত, শান্ত ও সমদর্শী তাদের এইরূপই স্বভাব। ""
আপনাদের কাছে এই প্রশ্ন যে তাহলে আমরা কেন ভেদাভেদ করছি?
মৌনতা
মহাযোগী বিদ্যাধর রাজা চিত্রকেতু কোন এক সভায় প্রসঙ্গ ক্রমে শিবকে উপলক্ষ্য করে কটূক্তি করেছিলেন, তা সহ্য না করতে পেরে সতী দেবী তাকে অভিশাপ দেয়। পরে চিত্রকেতুর ভগবদ্ভক্তি জেনে সতী দেবী বিস্মিত হয়। তখন শিব পার্বতীর বিস্ময় ছাড়ানোর জন্য পার্বতীকে উদেসশ্য করে যে কথাগুলু বলেন --
""হে সুশ্রোণি , অদ্ভুতকর্মা হরির নিঃস্পৃহ মহাত্মা দাসানুদাসদের মাহাত্ন্য প্রত্যক্ষ করলে তো ! যে সকল ব্যক্তি নারায়ন পরায়ন , তারা কারো হতে ভয় পায় না, স্বর্গ , অপবর্গ ও নরক এই তিন্তি বিষয়েই তুল্য প্রয়োজন দেখে থাকেন। কারন পরমেশ্বরের লীলাদ্বারাই দেহীদের দেহসংযোগ ও তার দ্বন্দ্ব অর্থাৎ সুখদুঃখ , জন্মমৃত্যু এবং শাপ অনুগ্রহ ইত্যাদি হয়ে থাকে। ঐ সকল সুখদুখাদির মধ্যে গুন দোষের বিকল্প অর্থাৎ ইস্টনিস্ট বুদ্ধি সপ্নাবস্থায় যেমন অবিবেককৃত , তেমনি অবিবেকৃত জানবে। জারা ভগবান বাসুদেবে ভক্তি করে থাকেন, তাদের জ্ঞান, বৈরাগ্য ও বীর্য সম্বন্ধে কে বড় এইরূপ বুদ্ধি তাদের নেই। অর্থাৎ ভক্তানুসন্ধানহেতু মায়িক বস্তুর উৎকর্ষ অপকর্ষের অনুসন্ধান করেন না।
হে দেবী আমি রুদ্র, ব্রম্মা, সনতকুমার, নারদ, ব্রহ্মার পুত্র, মরীচি প্রভৃতি ঋষিগন ও প্রধান প্রধান দেবগন জার অভিপ্রায় বা লীলা যখন জানতে পারেন না, তখন তারা অংশাংশ হয়েও পৃথক পৃথক ঈশ্বর বলে নিজেকে মনে করেন, তারা তার লীলা কিরুপে জানবে? সেই হরির কোনো প্রিয় বা অপ্রিয় নেই। আত্মীয় পরও নেই। তিনি সর্বভুতের আত্মা , এইজন্য সকলের প্রিয়।
এই মহাভাগ চিত্রকেতু সেই ভগবান অনন্তের প্রিয় এবং অনুচর। সুতরাং সর্বভুতে সমদর্শী ও শান্ত। হে সতী, আমিও অচ্যুত ও নারায়নপ্রিয়। অতএব তুমি বিস্ময় করো না, যে সকল পুরুশ মহাত্মা, মহাপুরুষের ভক্ত, শান্ত ও সমদর্শী তাদের এইরূপই স্বভাব। ""
আপনাদের কাছে এই প্রশ্ন যে তাহলে আমরা কেন ভেদাভেদ করছি?
মৌনতা
1 Comments:
নারায়ণ, পরায়ণ, কারণ, পুষ্প, গুণ ইত্যাদি বানানগুলোই ভুল লিখছেন। কি আর বলব? সিঁদুরের ফোটা? সিঁদুর কি ফোটে? গুণ দোষের বিকল্প??? কোন শব্দটি আগে থাকবে?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন