দুর্গা নামের মাহাত্ম্য লিখে বোঝানো দুষ্কর
যিনি জপেন কেবল তিনিই জানেন এই নামের অপার্থিব গুণাবলী
অনাদিকাল থেকে সাধকমণ্ডলী বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে এই দুর্গা নামেকে আশ্রয় করে এসেছেন। অসংখ্য লোকগাথাতেও এই নামের নানা উপকারিতা ব্যাখাত হয়েছে। "দুর্গা দুর্গা বলে যে বা যাত্রা কালে ধায়ে। শূলহস্তে শূলপাণি রক্ষা করেন তায়ে।।" আবার শাস্ত্র বলছে
"চক্রং চক্রী,শূলমাদায়শূলী, বজ্রং বজ্রী,পাশমাদায়পাশী। ধাবন্ত্যগ্রে,পার্শ্ব্য়োঃ পৃষ্ঠতশ্চ, দুর্গা- দুর্গা- বাদিনো রক্ষণায়।।"
অর্থাৎ, "যিনি দুর্গা দুর্গা উচ্চারণ করেন,তাঁর রক্ষার জন্য চক্র নিয়ে বিষ্ণু,ত্রিশূল নিয়ে শিব,বজ্র নিয়ে ইন্দ্র,বন্ধন রজ্জু নিয়ে বরুণ তাঁর সামনে,দুপাশে এবং পশ্চাতে দ্রুত গমন করেন।"
দুর্গানাম মহা শক্তিধর নাম,এই নামের শক্তিতে হেন কাজ নেই যা সম্পন্ন হয় না। ব্রহ্মা এই নাম জপ করে জগত রচনায়ে ব্যাপৃত আছেন। শিব এই নাম স্মরণ করে যোগের উচ্চ অবস্থায়ে আরূঢ় হয়ে আছেন।
"সর্বে ধ্যায়ন্তি দেবীঃ" - সবাই সেই দেবীকেই ধ্যান করে, তাঁর নাম জপে নিজ নিজ ক্ষেত্রে শক্তিমান হয়েছেন। হে বিশ্বমাতৃকা,শুধু একটিই প্রার্থনা। মৃত্যুকালে যেন জিভে তোমার ওই নাম উচ্চারণ করতে পারি, যেন একবারের তরে "দুর্গা" বলে চিৎকার করতে পারি। যে অন্তিমকালে তোমার নাম স্মরণ করতে পেরেছে,সে আজীবন পাপ রাশি সঞ্চয় করলেও মৃত্যুর পরে সে তোমার সাযুজ্য প্রাপ্ত হয়। মাগো মা ! তোমাকে কোটি কোটি প্রণাম জানাই । এই বিশ্বচরাচরের অধীশ্বরী কল্যানকারিণী।
তোমার কৃপা দৃষ্টি আমাদের উপর সর্বদা রেখ।
জয় মা দুর্গা।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন