গোপ বালকেরা বলতে লাগলো- “আরে এই গুহার প্রবেশের পথ টাও সর্পের জিহ্বার ন্যায় । গুহার ভেতরে সর্পের উদরের ন্যায় অন্ধকার । এই গুহার ভেতর থেকে মৃত গলিত পশু পক্ষীর গন্ধ আসছে, যেমন সর্প প্রানীদের ভক্ষণ করলে তাহার মুখ হতে আসে। এই গুহার ওপরের নীচের পাথর গুলি সর্পের দন্তের ন্যায় মনে হচ্ছে। এসো আমরা ভেতরে প্রবেশ করি। এ যদি গুহা না হয়ে সর্প হয় তবুও আমাদের ভয় নেই। কানাই যে ভাবে বকাসুরের অন্ত করেছে, সে সেই ভাবে এই সর্পের নিধন করবে।” এই বলে গোপ বালকেরা গোধন গুলি সহ সব সর্পের ভেতরে প্রবেশ করলেন। অঘাসুর চুপটি করে অপেক্ষা করতে লাগলো কখন নন্দপুত্র মুখে আসবে, তারপর মুখ বন্ধ করে গিলে খাবে। সকল সখা দের অঘাসুরের মুখে যেতে দেখে অন্তিমে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অঘের মুখে প্রবেশ করতেই, অঘাসুর মুখ অন্ধকার করলো। ভেতরে দম আটকে ও নিঃশ্বাস এর অভাবে গোধন ও গোপ সখারা নিহত হয়েছিলো ।
এরপর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নিজের তনু কে এত টাই বৃহৎ করলেন যে অঘাসুরের গলা সম্পূর্ণ রুদ্ধ হল। শ্বাসের অভাবে অঘাসুর ছটফট করতে থাকলো। শরীর মোচর দিতে লাগলো। চোখ বেরিয়ে এলো । এভাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই অঘাসুরের প্রাণ বহির্গত হল। তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নিহত গোপ সখা ও গোধন গুলিকে পুনঃ জীবন দান করলেন । অঘাসুরের মরণ হতেই সেই জ্যোতি স্বরূপ গন্ধর্ব বের হয়ে ভগবানের স্তব স্তুতি করলেন। তার সকল দম্ভ দূর হয়েছিলো। সকলে নিহত অঘাসুরের শরীর থেকে নির্গত হলেন। এই ঘটনা বর্ণনা করার পর শ্রীল শুকদেব গোস্বামী মহারাজ পরীক্ষিৎ কে বললেন- “রাজন ! সেই অঘাসুরের দেহের চর্ম শুকিয়ে তা বহুদিন বৃন্দাবনে ছিলো কৃত্রিম গুহার ন্যায়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার সখা দের সহিত সেই স্থানে ক্রীড়া করতেন ।”
( শ্রীমদ্ভাগবতপুরাণ )