দেবী সতীর কণ্ঠদেশ এখানে পড়েছিল বলে বলা হয়। দেবীর নাম ভগবতী ভৈরবের নাম ত্রিসন্ধ্যেশ্বর। আবার কিছু পণ্ডিতদের মতে অমরনাথেই সতী অঙ্গ পতিত হয় । তন্ত্রে বলা হয় ---
.
”কাশ্মীরে কণ্ঠদেশশ্চ ত্রিসন্ধ্যেশ্বর ভৈরবঃ। ”
.
এখানে যে স্থানে সতী দেবীর অঙ্গ পতিত হয়- সেই স্থান অজ্ঞাত। ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের সময় মুসলিম বাদশা সিকান্দার এই মন্দির চূর্ণ বিচূর্ণ করে মন্দির লুঠপাঠ করেন। মন্দির বিধস্ত করা হয়। কাশ্মীরের হিন্দু রাজা প্রায় ১৯১২ খ্রীঃ এই মন্দির নতুন করে নির্মাণ করেন। শ্রীনগর থেকে ১২ মাইল দূরে এই মা ভবানীর মন্দির। বাসে ঘণ্টা খানেক এর ওপর সময় লাগে মন্দির পৌছাতে। মন্দির চত্বর বেশ বড়। পাশ দিয়ে একটি খাল গিয়ে ঝিলাম নদীতে মিশেছে। কাশ্মীর কে ভূস্বর্গ বলা হয়। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এত সুন্দর যেনো অমরাবতী ধরিত্রীর বুকে নেমে এসেছে। মিষ্ট আপেলের গাছ চারদিকে। লাল লাল থোকায় সুমিষ্ট আপেল তাতে ঝুলে আছে। যারা আপেল খেতে ভালোবাসেন- তারা কাশ্মিরে গেলে মন শান্তি করে খেয়ে আসবেন। মন্দিরের ভিতরে একটা ত্রিকোন কুণ্ড আছে। তাঁর মাঝখানে একটি নবনির্মিত ছোট্ট মন্দির দেখা যায়। পূর্বে ত্রিকোণ কুণ্ডটিই মাতৃ জ্ঞানে পূজিতা হতো। নতুন মন্দিরে দেবীর একটি মূর্তি দেখা যায়। ভক্তরা পূজার দ্রব্য সেই কুণ্ডে নিবেদন করেন। কুন্ডের সামনে একটা ছোট্ট নাট মন্দির আছে। সন্ন্যাসীরা সেখানে বসে ধ্যান জপ, পূজা পাঠ করেন। তবে এই সতী পীঠের যথার্থ স্থান নিয়ে মতভেদ আছে। এখানে অপর একটি শক্তিপীঠ দেখা যায়। সেটা হল শারদাপীঠ। অপর শারদাপীঠকেউ অনেকে আসল দেবী পীঠ বলেন। তাঁদের মতে মহামায়া সতী দেবীর কণ্ঠনালী এখানেই পতিত হয়েছিল। তবে এখানে দেবী হলেন মহামায়া আর ভৈরব হলেন ত্রিনেত্রশ্বর । বলা হয় স্বামীজি এই ক্ষীর ভবানী পীঠে এসে গো-দুগ্ধ দ্বারা মায়ের পূজো করেছিলেন।এই পীঠে এসে তিনি মায়ের দিব্য আদেশ শুনতে পেয়েছিলেন। কিছু তন্ত্র মতে কাশ্মীরের শক্তিপীঠের দেবীর নাম ভগবতী, ভৈরবের নাম অমরনাথ বলা হয়েছে। কুব্জিকা তন্ত্র ও কাশ্মীরের কবি কলহনের রচনায় শারদা পীঠের নাম পাওয়া যায়। এই পীঠ খুব দুর্গম স্থানে। মহাভারত ও কিছু পুরান মতে মহর্ষি পুলস্ত এই শারদা পীঠে বসে তপস্যায় সিদ্ধিলাভ করেন। এই পীঠে চতুস্কোন সিঁদুর মাখানো একটি শিলাকে সতী অঙ্গ ধরে পূজা পাঠ করা হয়। আমরা ভগবতী ভবানী মায়ের কাছে প্রার্থনা জানাই -----
.
“হে মাতঃ। হে সিদ্ধিদাত্রী। তুমি সর্বপ্রকার মঙ্গল করো। তোমার আশীষে যেনো এই জীবন ধন্য হয়।” জয় জয় মা ভবানী ।
লেখকঃ প্রীথিশ ঘোষ
.
”কাশ্মীরে কণ্ঠদেশশ্চ ত্রিসন্ধ্যেশ্বর ভৈরবঃ। ”
.
এখানে যে স্থানে সতী দেবীর অঙ্গ পতিত হয়- সেই স্থান অজ্ঞাত। ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের সময় মুসলিম বাদশা সিকান্দার এই মন্দির চূর্ণ বিচূর্ণ করে মন্দির লুঠপাঠ করেন। মন্দির বিধস্ত করা হয়। কাশ্মীরের হিন্দু রাজা প্রায় ১৯১২ খ্রীঃ এই মন্দির নতুন করে নির্মাণ করেন। শ্রীনগর থেকে ১২ মাইল দূরে এই মা ভবানীর মন্দির। বাসে ঘণ্টা খানেক এর ওপর সময় লাগে মন্দির পৌছাতে। মন্দির চত্বর বেশ বড়। পাশ দিয়ে একটি খাল গিয়ে ঝিলাম নদীতে মিশেছে। কাশ্মীর কে ভূস্বর্গ বলা হয়। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এত সুন্দর যেনো অমরাবতী ধরিত্রীর বুকে নেমে এসেছে। মিষ্ট আপেলের গাছ চারদিকে। লাল লাল থোকায় সুমিষ্ট আপেল তাতে ঝুলে আছে। যারা আপেল খেতে ভালোবাসেন- তারা কাশ্মিরে গেলে মন শান্তি করে খেয়ে আসবেন। মন্দিরের ভিতরে একটা ত্রিকোন কুণ্ড আছে। তাঁর মাঝখানে একটি নবনির্মিত ছোট্ট মন্দির দেখা যায়। পূর্বে ত্রিকোণ কুণ্ডটিই মাতৃ জ্ঞানে পূজিতা হতো। নতুন মন্দিরে দেবীর একটি মূর্তি দেখা যায়। ভক্তরা পূজার দ্রব্য সেই কুণ্ডে নিবেদন করেন। কুন্ডের সামনে একটা ছোট্ট নাট মন্দির আছে। সন্ন্যাসীরা সেখানে বসে ধ্যান জপ, পূজা পাঠ করেন। তবে এই সতী পীঠের যথার্থ স্থান নিয়ে মতভেদ আছে। এখানে অপর একটি শক্তিপীঠ দেখা যায়। সেটা হল শারদাপীঠ। অপর শারদাপীঠকেউ অনেকে আসল দেবী পীঠ বলেন। তাঁদের মতে মহামায়া সতী দেবীর কণ্ঠনালী এখানেই পতিত হয়েছিল। তবে এখানে দেবী হলেন মহামায়া আর ভৈরব হলেন ত্রিনেত্রশ্বর । বলা হয় স্বামীজি এই ক্ষীর ভবানী পীঠে এসে গো-দুগ্ধ দ্বারা মায়ের পূজো করেছিলেন।এই পীঠে এসে তিনি মায়ের দিব্য আদেশ শুনতে পেয়েছিলেন। কিছু তন্ত্র মতে কাশ্মীরের শক্তিপীঠের দেবীর নাম ভগবতী, ভৈরবের নাম অমরনাথ বলা হয়েছে। কুব্জিকা তন্ত্র ও কাশ্মীরের কবি কলহনের রচনায় শারদা পীঠের নাম পাওয়া যায়। এই পীঠ খুব দুর্গম স্থানে। মহাভারত ও কিছু পুরান মতে মহর্ষি পুলস্ত এই শারদা পীঠে বসে তপস্যায় সিদ্ধিলাভ করেন। এই পীঠে চতুস্কোন সিঁদুর মাখানো একটি শিলাকে সতী অঙ্গ ধরে পূজা পাঠ করা হয়। আমরা ভগবতী ভবানী মায়ের কাছে প্রার্থনা জানাই -----
.
“হে মাতঃ। হে সিদ্ধিদাত্রী। তুমি সর্বপ্রকার মঙ্গল করো। তোমার আশীষে যেনো এই জীবন ধন্য হয়।” জয় জয় মা ভবানী ।
লেখকঃ প্রীথিশ ঘোষ
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন