কথিত আছে, শিবের শরীর পাঁচটি মন্ত্র দ্বারা গঠিত। এগুলিকে বলা হয় পঞ্চব্রহ্মণ। দেবতা রূপে এই পাঁচটি মন্ত্রের নিজস্ব নাম ও মূর্তিতত্ত্ব বর্তমান:
সদ্যোজাত
বামদেব
অঘোর
তত্পুরুষ
ঈশান
শিবের মূর্তি এই পাঁচটি রূপ পঞ্চাননের আকারে কল্পিত হয়। বিভিন্ন শাস্ত্রে এই পাঁচটি রূপ পঞ্চভূত, পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয় ও পঞ্চ কর্মেন্দ্রিয়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এই পাঁচটি মন্ত্র যথাক্রমে ঈশ্বরের মস্তক, বদন, হৃদয়, গুহ্য ও পাদস্বরূপ, এবং যথাক্রমে অনুগ্রহ, তিরোভাব, প্রলয়, স্থিতি ও সৃষ্টিরূপ পঞ্চ কৃত্যেরও কারণ। পতি, পশু ও পাশ ভেবে পদার্থ তিন প্রকার; পতি পদার্থ ভগবান্ শিব, এবং যাঁহারা শিবত্ব পদ প্রাপ্ত হইয়াছেন তাঁহারা, আর শিবত্বপদপ্রাপ্তিসাধন দীক্ষাদি উপায় সকল। পশু পদার্থ জীবাত্মা। ঐ জীবাত্মা মহৎ, ক্ষেত্রজ্ঞাদিপদবাচ্য, দেহাদিভিন্ন, সর্ব্বব্যাপক, নিত্য, অপরিচ্ছিন্ন, দুর্জ্ঞেয় ও কর্ত্তা স্বরূপ। পাশপদার্থ মল, কর্ম্ম, মায়া ও বোধশক্তি ভেদে চার প্রকার। স্বাভাবিক অশুচিকে মল বলে, যেমন চাল তুষদ্বারা আচ্ছাদিত হয়ে থাকে, সেই রকম ঐ মল দৃক্শক্তি ও ক্রিয়াশক্তিকে আচ্ছাদন করে থাকে।
শিব-অঘোর সাধনায় খুব সুন্দরভাবে, নির্মল চিত্তে কঠোর অথচ ক্রয়ামূলক গুরুমুখী সাধনা-প্রক্রিয়ায় সাধক মনঃ, বুদ্ধি, অহঙ্কার ও চিত্তস্বরূপ অন্তঃকরণ; ভোগসাধন, কলা, কাল, নিয়তি, বিদ্যা, রাগ, প্রকৃতি ও গুণ এই সপ্ত তত্ত্ব; পৃথিবী, জল, তেজঃ, বায়ু ও আকাশ এই পঞ্চভূত; এবং ওই পঞ্চভূতের কারণ স্বরূপ পঞ্চতন্মাত্র চক্ষুঃ, ত্বক্, শ্রোত্র, ঘ্রাণ ও রসনা এই পাঁচটী জ্ঞানেন্দ্রিয়; বাক্, পাণি, পাদ, পায়ু ও উপস্থ এই পাঁচটী কর্ম্মেন্দ্রিয়; সমুদায়ে একত্রিংশত্তত্ত্বাত্মক সূক্ষ্ম দেহকে লয় করে মন্ত্রেশ্বর পদবী লাভ ও ক্রমে মুক্তি লাভ করেন। খুব কম কথায় এই হল অঘোর সাধনা।
ওঁ অঘোরেভ্য ঘোরেভ্য ঘোরাঘোরেভ্য সর্বেভ্য সর্বাসর্বেভ্য নমস্তঽস্তু রুদ্ররূপেভ্য ------
সদ্যোজাত
বামদেব
অঘোর
তত্পুরুষ
ঈশান
শিবের মূর্তি এই পাঁচটি রূপ পঞ্চাননের আকারে কল্পিত হয়। বিভিন্ন শাস্ত্রে এই পাঁচটি রূপ পঞ্চভূত, পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয় ও পঞ্চ কর্মেন্দ্রিয়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এই পাঁচটি মন্ত্র যথাক্রমে ঈশ্বরের মস্তক, বদন, হৃদয়, গুহ্য ও পাদস্বরূপ, এবং যথাক্রমে অনুগ্রহ, তিরোভাব, প্রলয়, স্থিতি ও সৃষ্টিরূপ পঞ্চ কৃত্যেরও কারণ। পতি, পশু ও পাশ ভেবে পদার্থ তিন প্রকার; পতি পদার্থ ভগবান্ শিব, এবং যাঁহারা শিবত্ব পদ প্রাপ্ত হইয়াছেন তাঁহারা, আর শিবত্বপদপ্রাপ্তিসাধন দীক্ষাদি উপায় সকল। পশু পদার্থ জীবাত্মা। ঐ জীবাত্মা মহৎ, ক্ষেত্রজ্ঞাদিপদবাচ্য, দেহাদিভিন্ন, সর্ব্বব্যাপক, নিত্য, অপরিচ্ছিন্ন, দুর্জ্ঞেয় ও কর্ত্তা স্বরূপ। পাশপদার্থ মল, কর্ম্ম, মায়া ও বোধশক্তি ভেদে চার প্রকার। স্বাভাবিক অশুচিকে মল বলে, যেমন চাল তুষদ্বারা আচ্ছাদিত হয়ে থাকে, সেই রকম ঐ মল দৃক্শক্তি ও ক্রিয়াশক্তিকে আচ্ছাদন করে থাকে।
শিব-অঘোর সাধনায় খুব সুন্দরভাবে, নির্মল চিত্তে কঠোর অথচ ক্রয়ামূলক গুরুমুখী সাধনা-প্রক্রিয়ায় সাধক মনঃ, বুদ্ধি, অহঙ্কার ও চিত্তস্বরূপ অন্তঃকরণ; ভোগসাধন, কলা, কাল, নিয়তি, বিদ্যা, রাগ, প্রকৃতি ও গুণ এই সপ্ত তত্ত্ব; পৃথিবী, জল, তেজঃ, বায়ু ও আকাশ এই পঞ্চভূত; এবং ওই পঞ্চভূতের কারণ স্বরূপ পঞ্চতন্মাত্র চক্ষুঃ, ত্বক্, শ্রোত্র, ঘ্রাণ ও রসনা এই পাঁচটী জ্ঞানেন্দ্রিয়; বাক্, পাণি, পাদ, পায়ু ও উপস্থ এই পাঁচটী কর্ম্মেন্দ্রিয়; সমুদায়ে একত্রিংশত্তত্ত্বাত্মক সূক্ষ্ম দেহকে লয় করে মন্ত্রেশ্বর পদবী লাভ ও ক্রমে মুক্তি লাভ করেন। খুব কম কথায় এই হল অঘোর সাধনা।
ওঁ অঘোরেভ্য ঘোরেভ্য ঘোরাঘোরেভ্য সর্বেভ্য সর্বাসর্বেভ্য নমস্তঽস্তু রুদ্ররূপেভ্য ------
লেখকঃ প্রীথিশ ঘোষ
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন