বিষ্ণুর পরিচয়
========
ঈশ্বরের সৃষ্টিকারী শক্তি যে দেবতা পালন করেন, তার নাম বিষ্ণু। বিশ্বকে প্রকাশ করে বিরাজ করেন বলে তার নাম বিষ্ণু। বেদে বিষ্ণু দেবতার উল্লেখ আছে। বেদে বলা হয়েছে, বিষ্ণু পার্থিব লোক পরিমাপ করেছেন। বিশাল তার শরীর, তিনি চিরতরুণ। পুরাণে বলা হয়েছে, বিষ্ণু সৃষ্টির পালক। ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব পৌরাণিক দেবতাদের মধ্যে প্রধান। এ তিনজন প্রধান দেবতাকে একত্র ‘ত্রিমূর্তি’ বা ‘ত্রিনাথ বলা হয় সুতরাং বিষ্ণু এই ত্রিমূর্তির অন্যতম। বিষ্ণুর অনেক নাম। যেমন, নারায়ণ, কৃষ্ণ, গোবিন্দ ত্রিবিক্রম ইত্যাদী।
বিষ্ণুর রূপ
=======
পুরানে বিষ্ণুর রূপ সম্পর্কে বলা হয়েছে বিষ্ণুর গায়ের রং চাঁদের আলোর মত। তার চারটি হাত। চার হাতে চারটি দ্রব্য থাকে। ওপরের দিককার বা হাতে থাকে বিষ্ণুর শঙ্খ। এই শঙ্খকে বলা হয় ‘পাঞ্চজন্য’ বলা হয়। ওপরের দিকের ডান হাতে থাকে চক্র। বিষ্ণুর এই চক্রকে বলা হয় ‘সুদর্শন’। তার নিচের দিকে বা হাতে গদা এবং ডান হাতে পদ্ম থাকে। গরুড় পাখি বিষ্ণুর বাহন। পুরানে বলা হয়েছে বিষ্ণু বৈকুন্ঠে থাকেন।
বিষ্ণু পূজার সময়
==========
সকল দেবতার পূজা করার সময় যে পঞ্চ দেবতার পূজা করা হয় তারা হলেন শিব, বিষ্ণু, গণেশ, সূর্য ও জয়দুর্গা। সুতরাং বিষ্ণু পঞ্চ দেবতার অন্যতম। সকল দেবতার পূজা করার সময় বিষ্ণুর পূজা করা হয় বলে বিষ্ণুপূজার নির্দিষ্ট দিন নেই। যে-কোন দিন বিষ্ণুর পূজা করা যায়।
বিষ্ণুর প্রনাম মন্ত্র
==========
নমো ব্রহ্মণ্যদেবার গোব্রাহ্মণ হিতায় চ।
জগদ্ধিতায় কৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমো নমঃ।।
সরলার্থ ---
ব্রহ্মণ্যদেবকে নমস্কার। গো-ব্রাহ্মণের হিতকারী এবং জগতের মঙ্গলকারী কৃষ্ণকে-গোবিন্দকে নমস্কার।
বিষ্ণুর মাহাত্ম্য
========
বিষ্ণু দেবতাদের মধ্যে শেষ্ঠত্ব লাভ করেছেন। পুরাণ পাঠের সময় আমরা দেখি যখনই কোন দেবতা কোন বিপদে পড়েন, তখন তিনি শ্রীবিষ্ণুর শরণ নেন।
বিষ্ণু বিভিন্ন অবতাররূপে অনেকবার পৃথিবীতে এসে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করে ধর্ম স্থাপন করেছেন। পুরাণে তার নানা অবতারের নাম বলা হয়েছে। যেমন- মৎস অবতার, কূর্ম অবতার, নৃসিংহ অবতার, পশুরাম অবতার, রাম অবতার ইত্যাদী।
বিষ্ণু মধু, কৈটভ, হিরণ্যকশিপু প্রভৃতি দৈতদের বধ করেছেন। কৃষ্ণরূপে তার কৃতিত্ব অত্যুজ্জল হয়ে রয়েছে। তিনি কৃষ্ণরূপে কংস ও শিশুপাল প্রভৃতি অত্যাচারী রাজাকে বধ করেছেন। কুরু-পাণ্ডবের যুদ্ধের সময় ধর্মের পক্ষে পাণ্ডবদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা’য় শ্রী কৃষ্ণের উপদেশ সংকলিত হয়েছে। গীতা এ-কালেও নিত্যপাঠ্য ধর্মগ্রন্থ। এছাড়া বিষ্ণু পুরাণ, ভাগবত পুরাণ প্রভৃতি পুরাণেও বিষ্ণুর বা কৃষ্ণের মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়েছে।
বিষ্ণুর অনেক মূর্তি নির্মাণ করে সারা ভারতবর্ষে যুগ যুগ ধরে পূজা করা হচ্ছে। সারা পৃথিবীতে বিষ্ণু বা কৃষ্ণের অনেক ভক্ত রয়েছেন। বিষ্ণুর ভক্তদের বৈষ্ণব বলা হয়।
========
ঈশ্বরের সৃষ্টিকারী শক্তি যে দেবতা পালন করেন, তার নাম বিষ্ণু। বিশ্বকে প্রকাশ করে বিরাজ করেন বলে তার নাম বিষ্ণু। বেদে বিষ্ণু দেবতার উল্লেখ আছে। বেদে বলা হয়েছে, বিষ্ণু পার্থিব লোক পরিমাপ করেছেন। বিশাল তার শরীর, তিনি চিরতরুণ। পুরাণে বলা হয়েছে, বিষ্ণু সৃষ্টির পালক। ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব পৌরাণিক দেবতাদের মধ্যে প্রধান। এ তিনজন প্রধান দেবতাকে একত্র ‘ত্রিমূর্তি’ বা ‘ত্রিনাথ বলা হয় সুতরাং বিষ্ণু এই ত্রিমূর্তির অন্যতম। বিষ্ণুর অনেক নাম। যেমন, নারায়ণ, কৃষ্ণ, গোবিন্দ ত্রিবিক্রম ইত্যাদী।
বিষ্ণুর রূপ
=======
পুরানে বিষ্ণুর রূপ সম্পর্কে বলা হয়েছে বিষ্ণুর গায়ের রং চাঁদের আলোর মত। তার চারটি হাত। চার হাতে চারটি দ্রব্য থাকে। ওপরের দিককার বা হাতে থাকে বিষ্ণুর শঙ্খ। এই শঙ্খকে বলা হয় ‘পাঞ্চজন্য’ বলা হয়। ওপরের দিকের ডান হাতে থাকে চক্র। বিষ্ণুর এই চক্রকে বলা হয় ‘সুদর্শন’। তার নিচের দিকে বা হাতে গদা এবং ডান হাতে পদ্ম থাকে। গরুড় পাখি বিষ্ণুর বাহন। পুরানে বলা হয়েছে বিষ্ণু বৈকুন্ঠে থাকেন।
বিষ্ণু পূজার সময়
==========
সকল দেবতার পূজা করার সময় যে পঞ্চ দেবতার পূজা করা হয় তারা হলেন শিব, বিষ্ণু, গণেশ, সূর্য ও জয়দুর্গা। সুতরাং বিষ্ণু পঞ্চ দেবতার অন্যতম। সকল দেবতার পূজা করার সময় বিষ্ণুর পূজা করা হয় বলে বিষ্ণুপূজার নির্দিষ্ট দিন নেই। যে-কোন দিন বিষ্ণুর পূজা করা যায়।
বিষ্ণুর প্রনাম মন্ত্র
==========
নমো ব্রহ্মণ্যদেবার গোব্রাহ্মণ হিতায় চ।
জগদ্ধিতায় কৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমো নমঃ।।
সরলার্থ ---
ব্রহ্মণ্যদেবকে নমস্কার। গো-ব্রাহ্মণের হিতকারী এবং জগতের মঙ্গলকারী কৃষ্ণকে-গোবিন্দকে নমস্কার।
বিষ্ণুর মাহাত্ম্য
========
বিষ্ণু দেবতাদের মধ্যে শেষ্ঠত্ব লাভ করেছেন। পুরাণ পাঠের সময় আমরা দেখি যখনই কোন দেবতা কোন বিপদে পড়েন, তখন তিনি শ্রীবিষ্ণুর শরণ নেন।
বিষ্ণু বিভিন্ন অবতাররূপে অনেকবার পৃথিবীতে এসে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করে ধর্ম স্থাপন করেছেন। পুরাণে তার নানা অবতারের নাম বলা হয়েছে। যেমন- মৎস অবতার, কূর্ম অবতার, নৃসিংহ অবতার, পশুরাম অবতার, রাম অবতার ইত্যাদী।
বিষ্ণু মধু, কৈটভ, হিরণ্যকশিপু প্রভৃতি দৈতদের বধ করেছেন। কৃষ্ণরূপে তার কৃতিত্ব অত্যুজ্জল হয়ে রয়েছে। তিনি কৃষ্ণরূপে কংস ও শিশুপাল প্রভৃতি অত্যাচারী রাজাকে বধ করেছেন। কুরু-পাণ্ডবের যুদ্ধের সময় ধর্মের পক্ষে পাণ্ডবদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা’য় শ্রী কৃষ্ণের উপদেশ সংকলিত হয়েছে। গীতা এ-কালেও নিত্যপাঠ্য ধর্মগ্রন্থ। এছাড়া বিষ্ণু পুরাণ, ভাগবত পুরাণ প্রভৃতি পুরাণেও বিষ্ণুর বা কৃষ্ণের মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়েছে।
বিষ্ণুর অনেক মূর্তি নির্মাণ করে সারা ভারতবর্ষে যুগ যুগ ধরে পূজা করা হচ্ছে। সারা পৃথিবীতে বিষ্ণু বা কৃষ্ণের অনেক ভক্ত রয়েছেন। বিষ্ণুর ভক্তদের বৈষ্ণব বলা হয়।
লেখকঃ প্রীথিশ ঘোষ
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন