হোলি বা দোলখেলার নামের সাথে সাথে আমাদের মনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ও রাধিকা সহিত বৃন্দাবনে দোল খেলার চিত্র ভেসে ওঠে। দোল খেলার প্রবর্তক ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন কি ছিলেন না তা বিতর্কিত বিষয়। তবে দোলের রঙে বৃন্দাবন রাঙিয়ে উঠতো ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হাতেই। ভারতে অনেক আধ্যাত্মিক কবি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দোল খেলা কে নিয়ে পদাবলী রচনা করেছিলেন।
ড্যাম তুক্ষ্মারে রঙ্গরঙ্গী
হৈঁ ঔরন রঙ্গ সুহাই ।
নিতহী হোরী খেলিয়ৈ হো ,
তুম সঙ্গ যাদব রাই ।।
য়হ ফাগুয়া হম পাবহীঁ ,
হো চিতওইয়ানি মৃদু মুসকান ।
সুর শ্যাম ঐসে করৌজু ,
তুম হৌ জীবন প্রধান ।।
( সুরদাস )
ফাগ কে ভীর অভীরন মৈ গঁহি
গোবিন্দ লৈ গঈ ভীতর গোরী ।
ভাঈ করী মনকী পদমাকার
উপর নায় আবীর কী ঝোরী ।।
ছীন পিতম্মর কম্মর তৈঁমু
বিদা দাঈ মীড়ি কপোলন বোরী ।
নৈণ নচাই কন্যো মুসক্যাই
লালা ফিরি আইয়ো খেলন হোরী ।।
( পদ্মাকর )
বৃন্দাবনে দোল খেলার একটি রেওয়াজ এখনও চলে আসছে। নন্দগাঁও অল্প দূরে রাধারানীর জন্মস্থান “বরসানা” গ্রাম । প্রাচীন একটি কিংবাদন্তী যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বরসানা গ্রামে রাধারানীকে রঙ দিতে গিয়ে ধরা পরে রাধারানীর সখীদের হাতের লাঠির সম্মুখীন হতে হয়েছিলো। এই অনুষ্ঠান “লাঠমার হোলি” নামে খ্যাত। এখনও ‘নন্দগাঁও’ থেকে লোকেরা বরসানাবাসীদের রঙ দিতে যায় । সেখানে বরসনাবাসী মেয়েরা লাঠি বা কঞ্চি হাতে তাদের তাড়া করে। এই অবস্থায় ধরা পড়লে সেই পুরুষকে নারী সাজিয়ে ছেরে দেওয়া হয়। পরদিন বরসনার পুরুষেরা নন্দগ্রামে রঙ দিতে যায়। ধরা পড়লে সেখানেও একই শাস্তির নিয়ম।
এই ভাবেই এই উৎসব চলছে। আধ্যাত্মিক পীঠভূমি ভারতে প্রতিটি ধর্মীয় উৎসবের পেছনে এমন রেওয়াজ যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। মানুষ উৎসবে শান্তি, আনন্দ খুঁজে পায়।
ড্যাম তুক্ষ্মারে রঙ্গরঙ্গী
হৈঁ ঔরন রঙ্গ সুহাই ।
নিতহী হোরী খেলিয়ৈ হো ,
তুম সঙ্গ যাদব রাই ।।
য়হ ফাগুয়া হম পাবহীঁ ,
হো চিতওইয়ানি মৃদু মুসকান ।
সুর শ্যাম ঐসে করৌজু ,
তুম হৌ জীবন প্রধান ।।
( সুরদাস )
ফাগ কে ভীর অভীরন মৈ গঁহি
গোবিন্দ লৈ গঈ ভীতর গোরী ।
ভাঈ করী মনকী পদমাকার
উপর নায় আবীর কী ঝোরী ।।
ছীন পিতম্মর কম্মর তৈঁমু
বিদা দাঈ মীড়ি কপোলন বোরী ।
নৈণ নচাই কন্যো মুসক্যাই
লালা ফিরি আইয়ো খেলন হোরী ।।
( পদ্মাকর )
বৃন্দাবনে দোল খেলার একটি রেওয়াজ এখনও চলে আসছে। নন্দগাঁও অল্প দূরে রাধারানীর জন্মস্থান “বরসানা” গ্রাম । প্রাচীন একটি কিংবাদন্তী যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বরসানা গ্রামে রাধারানীকে রঙ দিতে গিয়ে ধরা পরে রাধারানীর সখীদের হাতের লাঠির সম্মুখীন হতে হয়েছিলো। এই অনুষ্ঠান “লাঠমার হোলি” নামে খ্যাত। এখনও ‘নন্দগাঁও’ থেকে লোকেরা বরসানাবাসীদের রঙ দিতে যায় । সেখানে বরসনাবাসী মেয়েরা লাঠি বা কঞ্চি হাতে তাদের তাড়া করে। এই অবস্থায় ধরা পড়লে সেই পুরুষকে নারী সাজিয়ে ছেরে দেওয়া হয়। পরদিন বরসনার পুরুষেরা নন্দগ্রামে রঙ দিতে যায়। ধরা পড়লে সেখানেও একই শাস্তির নিয়ম।
এই ভাবেই এই উৎসব চলছে। আধ্যাত্মিক পীঠভূমি ভারতে প্রতিটি ধর্মীয় উৎসবের পেছনে এমন রেওয়াজ যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। মানুষ উৎসবে শান্তি, আনন্দ খুঁজে পায়।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন