গন্ধর্বরাজ পুস্পদন্ত ছিলেন পরম শিবভক্ত। ভগবান শিবের কৃপায় তিনি অষ্টসিদ্ধি লাভ করেছিলেন। এই সিদ্ধির একটি হল ‘অণিমা’। এই অনিমা নামক সিদ্ধির সহায়তায় যোগসিদ্ধ সাধক নিজেকে ক্ষুদ্র করে আকাশমার্গে বিচরণ করতে পারেন । একদিন পুস্পদন্ত এই সিদ্ধির সহায়তায় বিচরণ করার সময় ধরিত্রীধামে কাশীরাজের পুস্পবাগান দেখতে ফেলেন। নানবিধ পুস্পে শোভিত সেই রাজার বাগান থেকে নিত্য পুস্প সংগ্রহ করে বাবা বিশ্বনাথের পূজোর জন্য মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হত। পুস্পদন্ত মনে করলেন সেই পুস্প নিয়ে ভগবান শিবের পূজা করবেন। এই ভেবে পুস্পদন্ত সেই সকল পুস্প নিয়ে চলে গেলেন। রোজ এমন করতেন। রাজা ভাবলেন কোনো চোর এই কাজ করছে। এই ভেবে সৈন্য পাহারায় রাখলেন। কিন্তু যোগসিদ্ধ পুস্পদন্তের টিক্কির নাগালও এই সেনারা পেলো না। কাশীরাজ ভাবলেন এ নিশ্চয়ই তাহলে কোনো মায়াবী ব্যক্তির কাজ। সেইজন্য কাশীরাজ কাশীর সিদ্ধ যোগী মহাত্মাদের শরণ নিলেন। সিদ্ধ মহাত্মারা যোগসাধনায় দেখলেন এ এক শিবভক্ত যোগীর কাজ।
সিদ্ধযোগীরা রাজাকে আদেশ দিলেন বাবা বিশ্বনাথের পবিত্র নির্মাল্য ও অভিষেকের জল ফুল বাগানে ছিটিয়ে দিতে। তাহলে যখন সেই মায়াবী চোর ফুলচুরি করতে আসবে তখন সে তার শক্তি হারাবে আর ধরা পড়বে। রাজা সেই মত ব্যবস্থা করে দিলেন। বাগানে সৈন্য পাইক আর সেই সিদ্ধ মহাত্মাদের নিয়ে গেলেন। পরদিন প্রভাতে পুস্পদন্ত যোগবলে পুনঃ শিব পূজার পুস্প চুরি করতে এলে ধরা পরে গেলেন। যোগশক্তি সকল লুপ্ত হল। এখন পুস্পদন্ত বিপদে পড়ে ভগবান শিবকে ডাকতে লাগলেন। ভগবান শিব আশুতোষ- অল্পেই তুষ্ট হন। পুস্পদন্ত এক সুন্দর স্তব করে ভগবান শিবকে প্রসন্ন করতে লাগলেন। পুস্প দন্তের গদ্গদ ভক্তিতে উচ্চারিত সেই স্তব শুনে বাবা বিশ্বনাথের ভক্ত সেই যোগীদের অশ্রুধারা বয়ে চলল। এত সুন্দর শিব স্তব। মহাত্মা যোগীদের কেহ কেহ ভাবে বিভোর হয়ে গেলেন সেই স্তব শুনে। এ তো সামান্য চোর নয়। ভগবান শিবের পরম ভক্ত ।
পুস্পদন্তের স্তব শুনে ভগবান শিব প্রসন্ন হয়ে পুনঃ পুস্পদন্তকে যোগশক্তি ফিরিয়ে দিলেন। পুস্পদন্ত অদৃশ্য হয়ে পলায়ন করলো। সাধু মহাত্মারাও, কাশীরাজকে বোঝালেন এ কোনো সাধারণ চোর নয়- ভগবান শিবের পরম ভক্ত। সাধু যোগীরা পুস্পদন্তকৃত সেই শিবস্তব জনমানসে প্রচার করলেন। সেই স্তবই “শিবমহিস্ন স্ত্রোত্রম্” নামে খ্যাত।
সিদ্ধযোগীরা রাজাকে আদেশ দিলেন বাবা বিশ্বনাথের পবিত্র নির্মাল্য ও অভিষেকের জল ফুল বাগানে ছিটিয়ে দিতে। তাহলে যখন সেই মায়াবী চোর ফুলচুরি করতে আসবে তখন সে তার শক্তি হারাবে আর ধরা পড়বে। রাজা সেই মত ব্যবস্থা করে দিলেন। বাগানে সৈন্য পাইক আর সেই সিদ্ধ মহাত্মাদের নিয়ে গেলেন। পরদিন প্রভাতে পুস্পদন্ত যোগবলে পুনঃ শিব পূজার পুস্প চুরি করতে এলে ধরা পরে গেলেন। যোগশক্তি সকল লুপ্ত হল। এখন পুস্পদন্ত বিপদে পড়ে ভগবান শিবকে ডাকতে লাগলেন। ভগবান শিব আশুতোষ- অল্পেই তুষ্ট হন। পুস্পদন্ত এক সুন্দর স্তব করে ভগবান শিবকে প্রসন্ন করতে লাগলেন। পুস্প দন্তের গদ্গদ ভক্তিতে উচ্চারিত সেই স্তব শুনে বাবা বিশ্বনাথের ভক্ত সেই যোগীদের অশ্রুধারা বয়ে চলল। এত সুন্দর শিব স্তব। মহাত্মা যোগীদের কেহ কেহ ভাবে বিভোর হয়ে গেলেন সেই স্তব শুনে। এ তো সামান্য চোর নয়। ভগবান শিবের পরম ভক্ত ।
পুস্পদন্তের স্তব শুনে ভগবান শিব প্রসন্ন হয়ে পুনঃ পুস্পদন্তকে যোগশক্তি ফিরিয়ে দিলেন। পুস্পদন্ত অদৃশ্য হয়ে পলায়ন করলো। সাধু মহাত্মারাও, কাশীরাজকে বোঝালেন এ কোনো সাধারণ চোর নয়- ভগবান শিবের পরম ভক্ত। সাধু যোগীরা পুস্পদন্তকৃত সেই শিবস্তব জনমানসে প্রচার করলেন। সেই স্তবই “শিবমহিস্ন স্ত্রোত্রম্” নামে খ্যাত।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন