দক্ষযজ্ঞে স্বামীর অপমানে দেহত্যাগ করা সতীর দেহটি কোলে তুলে ভগবান শিব বিলাপ করতে থাকেন পাগলের মতো। দুচোখ বয়ে গেল অশ্রুধারায়। জগত সংসার ক্রমশ শূন্য থেকে শূন্যতর মনে হতে লাগল। মনে হল, যে জগতে সতী নেই, সেই জগতের কোন প্রয়োজন নেই! সব লয় হোক! প্রলয় হোক চরাচরে! তখন সতীর দেহটি কাঁধে তুলে উঠে দাঁড়ালেন ভোলানাথ, শুরু করলেন প্রলয়কারী তাণ্ডব নাচ।
সেই প্রলয়নৃত্য থামিয়ে সৃষ্টিকে রক্ষা করার জন্য শিবের কাছ থেকে সতীকে আলাদা করতে এগিয়ে এলেন স্বয়ং বিষ্ণু। তিনি তাঁর সুদর্শন চক্র দিয়ে সতীর দেহ একন্নটি অংশে খন্ডিত করে দিলেন। সেই অংশমালা একে একে ঝরে ঝরে পড়তে লাগল ধরণীর নানা প্রান্তে। সেই প্রান্ত-দেশসমূহে কালে কালে গড়ে উঠল দেবী সতীর এক একটি পীঠ।
সতীর দেহ শিবের কাঁধ থেকে সরিয়ে দিতেই শিব অনেকটা শান্ত হলেন বটে। কিন্তু তাঁর রুদ্রতেজ কম হল না। সেই তেজের প্রভাবে সূর্য মুমূর্ষু হয়ে গেলেন। সেই তেজের আগুনে যে পথে শিব গমন করেন সে-পথের বৃক্ষ-পাহাড়-জনপদ সব ভস্ম হয়ে যেতে লাগল। তখন এই রুদ্রতেজ প্রশমণের উপায় খুঁজতে দেবতারা গেলেন ব্রহ্মার কাছে। অনেক ভেবেচিন্তে ব্রহ্মা দেবতাদের বললেন, উপায় আছে একটাই, সেজন্য চাই অমৃতের কলস আর ষোলকলাময় চন্দ্র।
ব্রহ্মার অনুরোধে দেবতারা নিয়ে এলেন অমৃতের কলস। দেবতাদের প্রার্থনায় ষোলকলায় সেজে এলেন চন্দ্র। রাত্রিকালে তিনি যে শীতলতা আর প্রশান্তি চরাচরে ছড়িয়ে থাকেন, অমৃতের কলসে অবগাহন সেই শীতলতা ও প্রশান্তি অমৃতের মধ্যে সঞ্জীবিত করতে তাঁকে অনুরোধ করলেন ব্রহ্মা। তখন ব্রহ্মার প্রার্থনায় চন্দ্র অমৃতের কলসে প্রবেশ করলেন। তারপর সেই অমৃতের কলস নিয়ে দেবতারা শিবের কাছে গেলেন, প্রার্থনা জানালেন সেই অমৃত গ্রহণ করার জন্য। অমৃত দেখে শিব প্রসন্ন হলেন এবং কলসে আঙুল ডুবিয়ে সুধা তুলতে গেলেন। তখন তাঁর নখের আঘাতে দ্বিধা হলেন কলসে থাকা চাঁদ। হায় হায়, এ কী হল! বড় অঘটন ঘটে গেল তো! সেই অঘটনে ভাঙ্গা চাঁদকে আত্মত্যাগের মহিমায় মহীয়ান করে তুলতে শিব তাঁকে ধারণ করলেন নিজের মাথায়। অমনি শিবের সমস্ত শরীর প্রশান্তিতে ভরে গেল। সমস্ত তেজ কন্ঠে এসে ঠাঁই পেল। সমস্ত দুঃখ যেন প্রশমিত হল নিমেষে। তারপর থেকেই চিরকাল প্রশান্তির প্রতীকরূপে শিবের শিরশোভা হয়ে রয়ে গেলেন এই অর্ধ আকারের চন্দ্র।
Courtesy by: Nabo Kumar Sarkar
সেই প্রলয়নৃত্য থামিয়ে সৃষ্টিকে রক্ষা করার জন্য শিবের কাছ থেকে সতীকে আলাদা করতে এগিয়ে এলেন স্বয়ং বিষ্ণু। তিনি তাঁর সুদর্শন চক্র দিয়ে সতীর দেহ একন্নটি অংশে খন্ডিত করে দিলেন। সেই অংশমালা একে একে ঝরে ঝরে পড়তে লাগল ধরণীর নানা প্রান্তে। সেই প্রান্ত-দেশসমূহে কালে কালে গড়ে উঠল দেবী সতীর এক একটি পীঠ।
সতীর দেহ শিবের কাঁধ থেকে সরিয়ে দিতেই শিব অনেকটা শান্ত হলেন বটে। কিন্তু তাঁর রুদ্রতেজ কম হল না। সেই তেজের প্রভাবে সূর্য মুমূর্ষু হয়ে গেলেন। সেই তেজের আগুনে যে পথে শিব গমন করেন সে-পথের বৃক্ষ-পাহাড়-জনপদ সব ভস্ম হয়ে যেতে লাগল। তখন এই রুদ্রতেজ প্রশমণের উপায় খুঁজতে দেবতারা গেলেন ব্রহ্মার কাছে। অনেক ভেবেচিন্তে ব্রহ্মা দেবতাদের বললেন, উপায় আছে একটাই, সেজন্য চাই অমৃতের কলস আর ষোলকলাময় চন্দ্র।
ব্রহ্মার অনুরোধে দেবতারা নিয়ে এলেন অমৃতের কলস। দেবতাদের প্রার্থনায় ষোলকলায় সেজে এলেন চন্দ্র। রাত্রিকালে তিনি যে শীতলতা আর প্রশান্তি চরাচরে ছড়িয়ে থাকেন, অমৃতের কলসে অবগাহন সেই শীতলতা ও প্রশান্তি অমৃতের মধ্যে সঞ্জীবিত করতে তাঁকে অনুরোধ করলেন ব্রহ্মা। তখন ব্রহ্মার প্রার্থনায় চন্দ্র অমৃতের কলসে প্রবেশ করলেন। তারপর সেই অমৃতের কলস নিয়ে দেবতারা শিবের কাছে গেলেন, প্রার্থনা জানালেন সেই অমৃত গ্রহণ করার জন্য। অমৃত দেখে শিব প্রসন্ন হলেন এবং কলসে আঙুল ডুবিয়ে সুধা তুলতে গেলেন। তখন তাঁর নখের আঘাতে দ্বিধা হলেন কলসে থাকা চাঁদ। হায় হায়, এ কী হল! বড় অঘটন ঘটে গেল তো! সেই অঘটনে ভাঙ্গা চাঁদকে আত্মত্যাগের মহিমায় মহীয়ান করে তুলতে শিব তাঁকে ধারণ করলেন নিজের মাথায়। অমনি শিবের সমস্ত শরীর প্রশান্তিতে ভরে গেল। সমস্ত তেজ কন্ঠে এসে ঠাঁই পেল। সমস্ত দুঃখ যেন প্রশমিত হল নিমেষে। তারপর থেকেই চিরকাল প্রশান্তির প্রতীকরূপে শিবের শিরশোভা হয়ে রয়ে গেলেন এই অর্ধ আকারের চন্দ্র।
Courtesy by: Nabo Kumar Sarkar
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন