সমুদ্রের জল মেঘে পরিণত হয়,বর্ষার ধারায় মেঘ নেমে আসে এবং তার আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে,পুনরায় সমুদ্রে প্রবেশ করা।তেমনই আমাদের প্রকৃত আলয় হচ্ছে ভগবদ্ধাম। আমরাও আত্মারূপে ভগবানের কাছে থেকে এসেছি। কিন্তু এখন জড়জাগতিক জীবনের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আছি।
এই দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে,প্রকৃত আলয় ভগবদ্ধামে ফিরে যাওয়া-সেটিই হচ্ছে জীবনের উদ্দেশ্য।
কেউ এখানে কোনরকম বোঝাপড়া করে,আজীবন টিকে থাকতে পারে না। কেউ মনে করতে পারে-আমি তো বেশ ভালই আছি,আমার জীবন খুব সুখের,তাই আমি চিরকাল এখানেই থাকতে চাই।
কিন্তু তুমি বেশিদিন এখানে থাকতে পারবে না। জীবনের আয়ূ শেষ হলে,তোমাকে এখান থেকে জোর করর বের করে দেওয়া হবে। তারপর পরবর্তী জীবন কেমন হবে সে সম্পর্কে তুমি কিছুই জানো না-এটিই শেখায় কৃষ্ণভাবনামৃত দর্শণ।
কৃষ্ণভাবনামৃত অর্থাৎ কৃষ্ণ (ভগবান) কথা লোকমাঝে প্রচার করার উদ্দেশ্যই ইহা-মানুষকে দুঃখ-দুর্দশাপূর্ণ জীবন থেকে মুক্তিলাভে সাহায্য করা। কিন্তু ভগবান সম্পর্কে অনভিজ্ঞ মানুষ,এই সহায়তাকে তাদের রুচিগত ধর্মীয় ভাবনাকে আঘাত করা রূপে দর্শণ করে,ভুল বুঝে আরও বিপথগামী হচ্ছে।
কৃষ্ণ হলেন ভগবান।
তাঁর আলয় থেকেই আমরা সকল আত্মারা এসেছি। তাই
" কৃষ্ণকথা প্রচার কোন সাম্প্রদায়িক আন্দোলন নয়,এটি সকলের মঙ্গলের জন্য একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন"।
তবে কি কেউ যখন ভগবান সম্পর্কে জানতে পারবে,তখন তার জীবন আর ততটা দুঃখ-দুর্দশাপূর্ণ থাকবে না?
তাও নয়। কিছুটা জ্ঞান লাভ করলে চলবে না,পুর্ণ জ্ঞান লাভ করতে হবে।
'জন্ম কর্ম চ মে দিব্যমেবং যো বেত্তি তত্ত্বত'
'তত্ত্বত' মানে হচ্ছে পুর্ণরূপে। আর এই পূর্ণ জ্ঞান একমাত্র ভগবদগীতায় শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা জনে-জনে গীতার জ্ঞান বিতরন করে চলেছি। আপনাদের অনুরোধ সেই শিক্ষা লাভ করে,জীবনের পূর্ণতা প্রাপ্ত হউন।
স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ এই জগৎকে 'দুঃখালয়ম'- দুঃখের আলয়,এবং 'অশাশ্বতম'-অনিত্য। অর্থাৎ যাহা আজীবন নয় এইরূপে ব্যাখ্যা করেছেন।
' মামুপেত্য পুনর্জন্ম দুঃখালয়ম অশাশ্বতম
নাপ্নুবন্তি মহাত্মানঃ সংসিদ্ধিং পরমাং গতাঃ'
"যে সকল মহান ভক্তিযোগী আমাকে প্রাপ্ত হয়েছেন,তাঁরা আর কখনই দুঃখের আলয়,অশাশ্বত এই জগতে ফিরে আসবে না।"
মামুপেত্য- কেউ যদি আমার কাছে ফিরে আসে,তাঁর আর পুনর্জন্ম হবে না।
Post Courtesy: Lincon Mondal
এই দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে,প্রকৃত আলয় ভগবদ্ধামে ফিরে যাওয়া-সেটিই হচ্ছে জীবনের উদ্দেশ্য।
কেউ এখানে কোনরকম বোঝাপড়া করে,আজীবন টিকে থাকতে পারে না। কেউ মনে করতে পারে-আমি তো বেশ ভালই আছি,আমার জীবন খুব সুখের,তাই আমি চিরকাল এখানেই থাকতে চাই।
কিন্তু তুমি বেশিদিন এখানে থাকতে পারবে না। জীবনের আয়ূ শেষ হলে,তোমাকে এখান থেকে জোর করর বের করে দেওয়া হবে। তারপর পরবর্তী জীবন কেমন হবে সে সম্পর্কে তুমি কিছুই জানো না-এটিই শেখায় কৃষ্ণভাবনামৃত দর্শণ।
কৃষ্ণভাবনামৃত অর্থাৎ কৃষ্ণ (ভগবান) কথা লোকমাঝে প্রচার করার উদ্দেশ্যই ইহা-মানুষকে দুঃখ-দুর্দশাপূর্ণ জীবন থেকে মুক্তিলাভে সাহায্য করা। কিন্তু ভগবান সম্পর্কে অনভিজ্ঞ মানুষ,এই সহায়তাকে তাদের রুচিগত ধর্মীয় ভাবনাকে আঘাত করা রূপে দর্শণ করে,ভুল বুঝে আরও বিপথগামী হচ্ছে।
কৃষ্ণ হলেন ভগবান।
তাঁর আলয় থেকেই আমরা সকল আত্মারা এসেছি। তাই
" কৃষ্ণকথা প্রচার কোন সাম্প্রদায়িক আন্দোলন নয়,এটি সকলের মঙ্গলের জন্য একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন"।
তবে কি কেউ যখন ভগবান সম্পর্কে জানতে পারবে,তখন তার জীবন আর ততটা দুঃখ-দুর্দশাপূর্ণ থাকবে না?
তাও নয়। কিছুটা জ্ঞান লাভ করলে চলবে না,পুর্ণ জ্ঞান লাভ করতে হবে।
'জন্ম কর্ম চ মে দিব্যমেবং যো বেত্তি তত্ত্বত'
'তত্ত্বত' মানে হচ্ছে পুর্ণরূপে। আর এই পূর্ণ জ্ঞান একমাত্র ভগবদগীতায় শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা জনে-জনে গীতার জ্ঞান বিতরন করে চলেছি। আপনাদের অনুরোধ সেই শিক্ষা লাভ করে,জীবনের পূর্ণতা প্রাপ্ত হউন।
স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ এই জগৎকে 'দুঃখালয়ম'- দুঃখের আলয়,এবং 'অশাশ্বতম'-অনিত্য। অর্থাৎ যাহা আজীবন নয় এইরূপে ব্যাখ্যা করেছেন।
' মামুপেত্য পুনর্জন্ম দুঃখালয়ম অশাশ্বতম
নাপ্নুবন্তি মহাত্মানঃ সংসিদ্ধিং পরমাং গতাঃ'
"যে সকল মহান ভক্তিযোগী আমাকে প্রাপ্ত হয়েছেন,তাঁরা আর কখনই দুঃখের আলয়,অশাশ্বত এই জগতে ফিরে আসবে না।"
মামুপেত্য- কেউ যদি আমার কাছে ফিরে আসে,তাঁর আর পুনর্জন্ম হবে না।
Post Courtesy: Lincon Mondal
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন