হিন্দুসঙ্গীতের মূলভিত্তি হল তার রাগরাগিণী। ছয়টি মূলরাগ আর তা থেকে উৎপন্ন রাগিণী আর তাদের পুত্রগণক্রমে ১২৬টি শাখাপ্রশাখায় বিস্তৃত হয়েছে। প্রত্যেক রাগের আবার অন্ততঃ পাঁচটি করে সুর আছে, যেমন ‘বাদী’ অর্থাৎ রাগরাগিণীতে যে স্বরের প্রাধান্য পরিলক্ষিত হয়, তার নাম বাদী। বাদীর সহগামী সুরকে বলে ‘সংবাদী’ আর বাকী সব সুরকে বলে ‘অনুবাদী’ বা অংশ; আর যে রাগে যে সুর সংযোজিত হলে রাগভ্রষ্ট হয়, তাকে বলে ‘বিবাদী’। রাগের বাদী সুর হচ্ছে রাজা, সংবাদী সুর প্রধানমন্ত্রী, অনুবাদী সুর ভৃত্য আর বিবাদী সুর বৈরী অর্থাৎ শত্রুর মত। প্রাচীন ঋষিরা মানুষ আর প্রকৃতির মধ্যে শব্দের ঐক্যসূত্র আবিস্কার করেছিলেন।
ভারতীয় সঙ্গীতে সুরসপ্তক বাইশটি ‘শ্রুতি’ তে বিভক্ত। শ্রুতি হচ্ছে স্বরগত শ্রবণেন্দ্রিয়গ্রাহ্য সূক্ষ্মবিভাগ মাত্র। পাশ্চত্য সঙ্গীতের স্বরগ্রামের মাত্র বারটি শ্রুতির সাহায্যে এ রকম সূক্ষ্ম বিস্তার দুস্প্রাপ্য। আবার হিন্দু পুরাণের এই সপ্তসুরের প্রত্যেক সুরের একটি করে বর্ণ আছে; যেমন
সা- হরিৎবর্ণ – ময়ূরের কেকাধ্বনি,
রে- রক্তবর্ণ- ভরতপক্ষী,
গা- স্বর্ণবর্ণ – ছাগ,
মা- হরিদ্রাভ- শ্বেতবর্ণ, সারস পক্ষী
পা- কৃষ্ণবর্ণ- বুলবুল পাখী
ধা- হরিদ্রাবর্ণ – অশ্বের হ্রেষারব
নি- সকল বর্ণের সমন্বয়- হস্তীর বৃংহিত ধ্বনি ।
( যোগী কথামৃত... পরমহংস যোগানন্দ )
ভারতীয় সঙ্গীতে সুরসপ্তক বাইশটি ‘শ্রুতি’ তে বিভক্ত। শ্রুতি হচ্ছে স্বরগত শ্রবণেন্দ্রিয়গ্রাহ্য সূক্ষ্মবিভাগ মাত্র। পাশ্চত্য সঙ্গীতের স্বরগ্রামের মাত্র বারটি শ্রুতির সাহায্যে এ রকম সূক্ষ্ম বিস্তার দুস্প্রাপ্য। আবার হিন্দু পুরাণের এই সপ্তসুরের প্রত্যেক সুরের একটি করে বর্ণ আছে; যেমন
সা- হরিৎবর্ণ – ময়ূরের কেকাধ্বনি,
রে- রক্তবর্ণ- ভরতপক্ষী,
গা- স্বর্ণবর্ণ – ছাগ,
মা- হরিদ্রাভ- শ্বেতবর্ণ, সারস পক্ষী
পা- কৃষ্ণবর্ণ- বুলবুল পাখী
ধা- হরিদ্রাবর্ণ – অশ্বের হ্রেষারব
নি- সকল বর্ণের সমন্বয়- হস্তীর বৃংহিত ধ্বনি ।
( যোগী কথামৃত... পরমহংস যোগানন্দ )
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন