উজ্জয়নীর মহাকাল মন্দিরের নাম সবাই শুনেছেন। উজ্জয়নী রাজা বিক্রমাদিত্যের রাজধানী। রাজা বিক্রমাদিত্য ভগবান মহাকাল আর মাতা হরসিদ্ধিদেবীর ভক্ত ছিলেন। উজ্জয়নীতে 'নাগচন্দ্রেশ্বর' নামক আর একটি শিব মন্দির আছে। কিন্তু এই মন্দিরে রোজ পূজা, রোজ ভক্ত সমাগম নিষিদ্ধ। এমনকি বছরে মাত্র একদিন নাগপঞ্চমী তিথি ছাড়া বাকী সব দিন এই মন্দির বন্ধ থাকে। অর্থাৎ বছরে একটি দিন মাত্র খোলা থাকে। নাগজাতি ভগবান শিবের ভক্ত। এমনকি ভগবান শিবের কণ্ঠের বাসুকী নাগের মাল্য থাকে। বলা হয় নাগচন্দ্রেশ্বর মন্দিরে তক্ষক নাগ বিরাজ করেন। অনন্ত, তক্ষক, বাসুকী নাগকে তিন ভ্রাতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মহর্ষি কশ্যপের পত্নী কদ্রু দেবীর সন্তান এঁনারা।
নাগেদের বাস পাতালে। অনন্ত নাগের ওপর ভগবান বিষ্ণু শয্যা রূপে ক্ষীর সাগরে বিরাজ করেন। আর বাসুকী নাগ ভগবান শিবের ভক্ত ও ভগবান শিবের কণ্ঠে থাকেন। এই মন্দিরে অদ্ভুত এক হর গৌরীর প্রতিমা আছে, যা সাধারণত অন্য মন্দিরে দেখা যায় না। আমরা সাধারণত ভগবান বিষনুকেই নাগছত্রের তলে বিরাজ করতে দেখি কিন্তু এই মন্দিরে ভগবান শিব পার্বতীর মস্তকে নাগছত্র দেখা যায়। এমনকি মাতা উমা ও ভগবান শঙ্কর নাগের ওপর বিরাজিত । এখানে ভগবান শিব ও মাতা পার্বতীর সাথে গণেশ ঠাকুর আছেন। কথিত আছে একবার তক্ষক নাগ ভগবান শিবের তপস্যা করে অমরত্বের আশীর্বাদ পান। এরপর তক্ষক নাগের ইচ্ছা হয় যে সে মহাকাল বনে ভগবান শিবের সান্নিধ্যে এমন স্থানে থাকবেন, যেখানে হৈচৈ কোনো বিঘ্ন যেনো না আসে। ভগবান শিব ভক্তের মনের ইচ্ছা পূর্ণ করে এই মন্দিরে বিরাজ হলেন। তাই নাগ পঞ্চমী তিথি ছাড়া বছরের সব দিন এই মন্দির বন্ধ থাকে। বাকী দিন গুলিতে কেও যান না, পূজাপাঠও করেন না। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে কালসর্প দোষের উল্লেখ আছে। বলা হয় কালসর্প দোষে পীড়িত কেও এই মন্দিরে নাগপঞ্চমীর দিন ভগবান শিবের দর্শন, পূজা করলে সেই দোষ নিবারণ হয়, এছাড়াও সর্পভয় দূর হয় । এই মন্দির বহু প্রাচীন । রাজা ভোজ এই মন্দিরের নির্মাতা, পরে রাজা সিন্ধিয়াজী এই মন্দিরের সংস্কার করেন। নাগরাজের ওপর বিরাজিত ভগবান শিবের বিরাজিত দিব্য স্বরূপ দেখতে এখানে প্রচুর ভীর হয়। লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়। কোনোদিন মধ্যপ্রদেশ আসলে অবশ্যই নাগপঞ্চমীর দিন এই মন্দিরে যাবেন। ছবিতে দর্শন করুন 'নাগচন্দ্রেশ্বর' ভগবান শিব ও মাতা পার্বতীর বিগ্রহ ।
( ইওটিউব ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগৃহীত )
নাগেদের বাস পাতালে। অনন্ত নাগের ওপর ভগবান বিষ্ণু শয্যা রূপে ক্ষীর সাগরে বিরাজ করেন। আর বাসুকী নাগ ভগবান শিবের ভক্ত ও ভগবান শিবের কণ্ঠে থাকেন। এই মন্দিরে অদ্ভুত এক হর গৌরীর প্রতিমা আছে, যা সাধারণত অন্য মন্দিরে দেখা যায় না। আমরা সাধারণত ভগবান বিষনুকেই নাগছত্রের তলে বিরাজ করতে দেখি কিন্তু এই মন্দিরে ভগবান শিব পার্বতীর মস্তকে নাগছত্র দেখা যায়। এমনকি মাতা উমা ও ভগবান শঙ্কর নাগের ওপর বিরাজিত । এখানে ভগবান শিব ও মাতা পার্বতীর সাথে গণেশ ঠাকুর আছেন। কথিত আছে একবার তক্ষক নাগ ভগবান শিবের তপস্যা করে অমরত্বের আশীর্বাদ পান। এরপর তক্ষক নাগের ইচ্ছা হয় যে সে মহাকাল বনে ভগবান শিবের সান্নিধ্যে এমন স্থানে থাকবেন, যেখানে হৈচৈ কোনো বিঘ্ন যেনো না আসে। ভগবান শিব ভক্তের মনের ইচ্ছা পূর্ণ করে এই মন্দিরে বিরাজ হলেন। তাই নাগ পঞ্চমী তিথি ছাড়া বছরের সব দিন এই মন্দির বন্ধ থাকে। বাকী দিন গুলিতে কেও যান না, পূজাপাঠও করেন না। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে কালসর্প দোষের উল্লেখ আছে। বলা হয় কালসর্প দোষে পীড়িত কেও এই মন্দিরে নাগপঞ্চমীর দিন ভগবান শিবের দর্শন, পূজা করলে সেই দোষ নিবারণ হয়, এছাড়াও সর্পভয় দূর হয় । এই মন্দির বহু প্রাচীন । রাজা ভোজ এই মন্দিরের নির্মাতা, পরে রাজা সিন্ধিয়াজী এই মন্দিরের সংস্কার করেন। নাগরাজের ওপর বিরাজিত ভগবান শিবের বিরাজিত দিব্য স্বরূপ দেখতে এখানে প্রচুর ভীর হয়। লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়। কোনোদিন মধ্যপ্রদেশ আসলে অবশ্যই নাগপঞ্চমীর দিন এই মন্দিরে যাবেন। ছবিতে দর্শন করুন 'নাগচন্দ্রেশ্বর' ভগবান শিব ও মাতা পার্বতীর বিগ্রহ ।
( ইওটিউব ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগৃহীত )
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন