কেউ যেমনই অজ্ঞানী অথবা মূর্খ হোক না কেন , যদি সে ঈশ্বরের অনন্যভক্তি করতে শুরু করে বা জ্ঞানী মহাত্মার কাছে গমন করে কিছু শ্রবণ করে আর তদনুসারে আচরণ শুরু করে তাহলে সেও পরমপদ পেতে পারে । অর্থাৎ শ্রবণ তারপর নির্দেশ অনুসারে চললে জীবন ধীরে ধীরে পরিবর্তন হতে থাকবে ফলে পারমার্থিক জীবনে এগিয়ে যাওয়া যাবে ।
মূর্খ হলেও চিন্তা নেই তাকে মহাত্মা বা স্বয়ং ভগবানই জ্ঞান দান করতে পারেন । পাপী , মূর্খ হলেও আয়ুর অল্পকাল অবশিষ্ট থাকলেও ভগবানের কৃপায় মুক্তি হতে পারে । কেবল একটি কাজ করতে হবে । " ভগবান আছেন " --- এই সুদৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে ওঠা বসা , ক্ষুধা - তৃষ্ণা নিবারণ , চলা - ফেরা , শোওয়া - জাগরণ সবসময় সতত ভগবানকে স্মরণে রাখতে হবে ।
ধরুন , পরীক্ষা ১ বছর পর হবে । এখন আমি কি করলাম আজ যে পড়া ছিল চিন্তা করলাম আগামীকাল পড়ব , আগামীকাল বললাম পরশু পড়ব , এমন করতে করতে পরীক্ষা চলে এলো । সারাবছর তো পড়া হয়নি তাই পরীক্ষার আগের দিন কিছু পড়ে নিলে অনন্তপক্ষে পরীক্ষার দিন কিছু লিখতে পারবে হয়ত পাসও হয়ে যাবে । তেমনি সারাদিন থেকে কিছু সময় ভগবানের নাম স্মরণে ব্যস্ত রাখলে অন্তিমে ভালো কিছু হবেই ।
আপনি বলবেন যে নিদ্রাগমন কালে তো ভগবানকে স্মরণ হয় না । তাহলে বলব যদি দিনে ভগবানের স্মরণ - মনন চলে তাহলে রাত্রেও তা অব্যাহত থাকবে কারণ যে কার্য দিনে করা হয় তা রাত্রেও স্বপ্নে আসতে থাকে । রাত্রিকালে স্মরণ যাতে হয় তার একটা সহজ উপায় আছে । শয়নকালে শুয়েও তা করা যেতে পারে । দশ - পনেরো মিনিট জাগতিক সংকল্প প্রবাহ থেকে দূরে গিয়ে ভগবানের নাম রূপ স্মরণ করে ও তাঁর লীলাসকল মনন করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ুন । তাতে রাত্রে ভগবানের স্মরণ হতে থাকবে ।
হ্যাঁ তবে লীলা সকল একাগ্রভাবে স্মরণ করতে হবে । প্রিয়া যেমন প্রিয়ার প্রতি একাগ্র থাকে তেমনি আপনিও ভগবানের প্রেমের প্রতি একাগ্র থেকে লীলা সকল স্মরণ করবেন । আসল কথা যে , সতত ভগবানকে মনে রাখুন , কখনো তাঁকে ভুলবেন না । যদি ত্রিভুবনের রাজ্যলাভও হয় সেটিও অতি নগন্য মনে করে ত্যাগ করবেন কিন্তু ভগবানের স্মরণ - মনন ছাড়বেন না । যদি কখনো ভগবানের বিস্মরণ না হয় আর যার একমাত্র ভগবানই পরমপ্রিয় ও সর্বস্ব , সেই ধন্য ।
শ্রীমদ্ভাগবতে বলা আছে --
ত্রিভুববিভবহেতবেহপ্যকুন্ঠস্মৃতিরজিাত্মসুরাদিভির্বিমৃগ্যাৎ ।
ন চলতি ভগবৎপদারবিন্দাল্লবনিমিষার্ধমপি যঃ স বৈষ্ণবাগ্র্য়ঃ ।।
বিসৃজতি হৃদয়ং ন যস্য সাক্ষাদ্ধরিরবশাভিহিতোহপ্যঘৌঘনাশঃ ।
প্রণয়রশনয়া ধৃতাঙ্ঘ্রিপদ্মঃ স ভবতি ভাগবতপ্রধান উক্তঃ ।। ( ১১ \ ২ \ ৫৩ , ৫৫ )
" ত্রিভুবনের রাজ্যবৈভবের জন্য যার ভগবৎচিন্তা বিঘ্নিত হয় না , যে ভগবানেরই মন সন্নিবিষ্টকারী , দেবতাদি দ্বারা কাঙ্ক্ষিত ভগবৎ চরণকমলের স্মরণে মুহূর্তের জন্যও বিচ্যুত হয় না , সেই ভগবদ্ভক্তদের মধ্যে অগ্রগণ্য হয় । বিবশ হয়ে নাম উচ্চারণকারীরও যিনি সম্পূর্ণ পাপ ধ্বংস করেন , সেই সাক্ষাৎ পরব্রহ্ম পরমেশ্বর ভক্তকে কখনো ত্যাগ করতে পারেন না কারণ তাঁর পাদপদ্ম ভক্তের প্রেম রজ্জু দ্বারা আবদ্ধ থাকে । তাকেই ভগবদ্ভক্তদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বলা হয় । "
(c) Joy Shree Radha Madhav
মূর্খ হলেও চিন্তা নেই তাকে মহাত্মা বা স্বয়ং ভগবানই জ্ঞান দান করতে পারেন । পাপী , মূর্খ হলেও আয়ুর অল্পকাল অবশিষ্ট থাকলেও ভগবানের কৃপায় মুক্তি হতে পারে । কেবল একটি কাজ করতে হবে । " ভগবান আছেন " --- এই সুদৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে ওঠা বসা , ক্ষুধা - তৃষ্ণা নিবারণ , চলা - ফেরা , শোওয়া - জাগরণ সবসময় সতত ভগবানকে স্মরণে রাখতে হবে ।
ধরুন , পরীক্ষা ১ বছর পর হবে । এখন আমি কি করলাম আজ যে পড়া ছিল চিন্তা করলাম আগামীকাল পড়ব , আগামীকাল বললাম পরশু পড়ব , এমন করতে করতে পরীক্ষা চলে এলো । সারাবছর তো পড়া হয়নি তাই পরীক্ষার আগের দিন কিছু পড়ে নিলে অনন্তপক্ষে পরীক্ষার দিন কিছু লিখতে পারবে হয়ত পাসও হয়ে যাবে । তেমনি সারাদিন থেকে কিছু সময় ভগবানের নাম স্মরণে ব্যস্ত রাখলে অন্তিমে ভালো কিছু হবেই ।
আপনি বলবেন যে নিদ্রাগমন কালে তো ভগবানকে স্মরণ হয় না । তাহলে বলব যদি দিনে ভগবানের স্মরণ - মনন চলে তাহলে রাত্রেও তা অব্যাহত থাকবে কারণ যে কার্য দিনে করা হয় তা রাত্রেও স্বপ্নে আসতে থাকে । রাত্রিকালে স্মরণ যাতে হয় তার একটা সহজ উপায় আছে । শয়নকালে শুয়েও তা করা যেতে পারে । দশ - পনেরো মিনিট জাগতিক সংকল্প প্রবাহ থেকে দূরে গিয়ে ভগবানের নাম রূপ স্মরণ করে ও তাঁর লীলাসকল মনন করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ুন । তাতে রাত্রে ভগবানের স্মরণ হতে থাকবে ।
হ্যাঁ তবে লীলা সকল একাগ্রভাবে স্মরণ করতে হবে । প্রিয়া যেমন প্রিয়ার প্রতি একাগ্র থাকে তেমনি আপনিও ভগবানের প্রেমের প্রতি একাগ্র থেকে লীলা সকল স্মরণ করবেন । আসল কথা যে , সতত ভগবানকে মনে রাখুন , কখনো তাঁকে ভুলবেন না । যদি ত্রিভুবনের রাজ্যলাভও হয় সেটিও অতি নগন্য মনে করে ত্যাগ করবেন কিন্তু ভগবানের স্মরণ - মনন ছাড়বেন না । যদি কখনো ভগবানের বিস্মরণ না হয় আর যার একমাত্র ভগবানই পরমপ্রিয় ও সর্বস্ব , সেই ধন্য ।
শ্রীমদ্ভাগবতে বলা আছে --
ত্রিভুববিভবহেতবেহপ্যকুন্ঠস্মৃতিরজিাত্মসুরাদিভির্বিমৃগ্যাৎ ।
ন চলতি ভগবৎপদারবিন্দাল্লবনিমিষার্ধমপি যঃ স বৈষ্ণবাগ্র্য়ঃ ।।
বিসৃজতি হৃদয়ং ন যস্য সাক্ষাদ্ধরিরবশাভিহিতোহপ্যঘৌঘনাশঃ ।
প্রণয়রশনয়া ধৃতাঙ্ঘ্রিপদ্মঃ স ভবতি ভাগবতপ্রধান উক্তঃ ।। ( ১১ \ ২ \ ৫৩ , ৫৫ )
" ত্রিভুবনের রাজ্যবৈভবের জন্য যার ভগবৎচিন্তা বিঘ্নিত হয় না , যে ভগবানেরই মন সন্নিবিষ্টকারী , দেবতাদি দ্বারা কাঙ্ক্ষিত ভগবৎ চরণকমলের স্মরণে মুহূর্তের জন্যও বিচ্যুত হয় না , সেই ভগবদ্ভক্তদের মধ্যে অগ্রগণ্য হয় । বিবশ হয়ে নাম উচ্চারণকারীরও যিনি সম্পূর্ণ পাপ ধ্বংস করেন , সেই সাক্ষাৎ পরব্রহ্ম পরমেশ্বর ভক্তকে কখনো ত্যাগ করতে পারেন না কারণ তাঁর পাদপদ্ম ভক্তের প্রেম রজ্জু দ্বারা আবদ্ধ থাকে । তাকেই ভগবদ্ভক্তদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বলা হয় । "
(c) Joy Shree Radha Madhav
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন