দুই ভাই ছিলেন । বড়ভাই অনেক পাপী , ভোগী , কামনা - বাসনায় লিপ্ত ছিলেন কিন্তু ছোটভাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত ছিলেন । ছোট ভাইয়ের ইচ্ছা ছিল যে , তার বড়ভাই যেন কৃষ্ণ নাম নেন , শ্রীকৃষ্ণের ভক্তি করেন । ছোটভাই অনেক চেষ্টা করলেন কিন্তু বড়ভাই কোনভাবেই কৃষ্ণ নাম বলেন না ।
ছোটভাই প্রায় মন্দিরে যেতেন কৃষ্ণকথা শ্রবণ করতেন । একদিন ছোটভাই মন্দির গেলেন এবং মন্দিরের কোন একজন সন্তকে বললেন , আপনারা আমাদের গৃহে আসবেন এবং প্রবচন করবেন , হরিনাম কীর্তন করবেন আর আমার বড় ভাইকে একটু বুঝাবেন যেন আমার ভাইও কৃষ্ণনাম জপ করেন ।
তখন সাধু বললেন , আমরা তো আপনাদের ঘরে যেতে পারি কিন্তু আপনার বড় ভাই আমাদের কে কি ঘরে আসতে দেবে । প্রথমে বড় ভাই থেকে অনুমতি নিয়ে আসেন ।তখন ছোটভাই ঘরে এসে বড় ভাইকে বললেন , ভাইয়া আমি কয়েকজন সাধু - সন্তকে ঘরে আনতে চাই প্রবচন , হরিনাম করা জন্য আপনি অনুমতি দিন ।
বড় ভাই বললেন কখনোই না । আমি জানি সাধু কেমন হয় । আমি সাধুদের মুখ দেখতে চাই না । ছোট ভাই অনেক বুঝালেন ,ভাইয়া একবার সাধুদের আসতে দেন । অবশেষে অনেক বলার পর বড় ভাই মেনে নিলেন আর বললেন , যখন সাধুরা আসবেন তখন আমি অন্য ঘরের ভেতর দরজা বন্ধ করে থাকব । আমি সাধুদের দর্শন করব না । তোমার যা করার করে ওনাদের বিদায় দিবে ।
যখন সাধুরা চলে যাবেন তখন বলবে আমি ঘর থেকে বের হবো । তখন ছোটভাই সাধুদের আসার জন্য আমন্ত্রণ জানালেন । সাধুরা আসলেন , প্রবচন করলেন , হরিনাম কীর্তন করলেন , প্রসাদ বিতরণ করলেন । যখন সবকিছু শেষ হলো , তখন সাধুরা ছোটভাইকে বললেন , আপনি তো সবসময় আপনার বড় ভাইয়ের কথা বলেন । কিন্তু আমরা তো তাকে দেখলাম না ।
কোথায় তিনি ! ছোট ভাইয়ের মনে ভয় ঢুকল যদি বড় ভাই কিছু করে বসেন । তখন ইশারা দিয়ে বললেন , ভেতরের রুমে আছেন । তখন সাধুরা দরজা ঠোকা দিয়ে বললেন , দরজা খোলো । বড়ভাই বললো , আমি দরজা খুলবো না । আমি আপনাদের মুখ দর্শন করতে চাই না , চলে যান ।
সাধুরা বললেন , দরজা তো খুলো , যখন বারবার বলার পর দরজা খুললো না , তখন সাধুরা বললেন দেখো আমরা তোমার জন্য কি নিয়ে এসেছি । যখন কোন জিনিসের কথা শুনলো তখন দরজা খুলে দিয়ে দেখলে সাধুরা কিছু আনেন নি । তখন তো বড় ভাইয়ের কিছু করার ছিল না ।
সাধুরা ভেতরের রুমে গেলেন এবং তাকে বললেন তোমাকে দেখার জন্য এসেছি , আমরা চলে যাচ্ছি কিন্তু একবার " হরে কৃৃষ্ণ " বলো । তখন সে বললো আমি এসব বলবো না । সাধুরা বললো শুধু একবার বলো " হরেকৃষ্ণ "। সে বললো না । এমন করতে করতে যখন কিছুতে রাজী হলো না তখন সাধুরা তার হাত পিছনে দিকে মোড়ে ধরলো । সাধুরা হাতে চাপ দিয়ে বললো " হরেকৃষ্ণ" বলো । সে বললো না । অবশেষে ব্যাথা বেশি লাগার কারণে সে বলেই দিলো " হরেকৃষ্ণ " ।
ভক্তগণ জোর করে কাউকে কিছু করানো যায় না । তবে কৌশল দিয়ে করতে হবে । এখানে আপনারা মনে করবেন না যে আবার অত্যাচার করে ভগবানের নাম বলানো হচ্ছে । ভগবানের নাম তো ভাবের মাধ্যমে নিতে হয় । তারপরও সাধুর অনেক চেষ্টা করার পর সে " হরেকৃষ্ণ " বললো ।
কিছুদিন পর বড়ভাই গাড়ী এক্সিডেন্টে দেহত্যাগ করলো । জীবনভর পাপ করছে ফলে নরকে তো যেতে হবে । তখন যতদূতরা এসে তাকে নরকে নিয়ে গেল । যমরাজ বললেন , চিত্রগুপ্ত দেখো এ জীবনে কি কি করেছে । তখন চিত্রগুপ্ত হিসাবের খাতা খুলতে দেখলো যে , সারাজীবনে শুধু পাপ আর পাপ । কিন্তু একবার কৃষ্ণ নাম নিয়েছে ।
চিত্রগুপ্ত যমরাজকে বললেন , মহরাজ এ শুধু জীবনভর পাপই করেছে কিন্তু একবার কৃষ্ণনাম নিয়েছে এখন কি করা যায় । তখন যমরাজ বললেন , এমন তো কখনো হয়নি । যাঁরা ভক্ত তাঁরা ভক্তি করেন , যারা পাপী তারা পাপ করে । এখন কি করা যায় একে নিয়ে ? ?
===============
জয় রাধে । বাকীঅংশ আগামীকাল।
আমরাও আগামীকাল জানব যে পাপীকে নিয়ে কি করছেন যমরাজ চিত্তগুপ্ত ।
(C) Joy Shree Radha Madhav
ছোটভাই প্রায় মন্দিরে যেতেন কৃষ্ণকথা শ্রবণ করতেন । একদিন ছোটভাই মন্দির গেলেন এবং মন্দিরের কোন একজন সন্তকে বললেন , আপনারা আমাদের গৃহে আসবেন এবং প্রবচন করবেন , হরিনাম কীর্তন করবেন আর আমার বড় ভাইকে একটু বুঝাবেন যেন আমার ভাইও কৃষ্ণনাম জপ করেন ।
তখন সাধু বললেন , আমরা তো আপনাদের ঘরে যেতে পারি কিন্তু আপনার বড় ভাই আমাদের কে কি ঘরে আসতে দেবে । প্রথমে বড় ভাই থেকে অনুমতি নিয়ে আসেন ।তখন ছোটভাই ঘরে এসে বড় ভাইকে বললেন , ভাইয়া আমি কয়েকজন সাধু - সন্তকে ঘরে আনতে চাই প্রবচন , হরিনাম করা জন্য আপনি অনুমতি দিন ।
বড় ভাই বললেন কখনোই না । আমি জানি সাধু কেমন হয় । আমি সাধুদের মুখ দেখতে চাই না । ছোট ভাই অনেক বুঝালেন ,ভাইয়া একবার সাধুদের আসতে দেন । অবশেষে অনেক বলার পর বড় ভাই মেনে নিলেন আর বললেন , যখন সাধুরা আসবেন তখন আমি অন্য ঘরের ভেতর দরজা বন্ধ করে থাকব । আমি সাধুদের দর্শন করব না । তোমার যা করার করে ওনাদের বিদায় দিবে ।
যখন সাধুরা চলে যাবেন তখন বলবে আমি ঘর থেকে বের হবো । তখন ছোটভাই সাধুদের আসার জন্য আমন্ত্রণ জানালেন । সাধুরা আসলেন , প্রবচন করলেন , হরিনাম কীর্তন করলেন , প্রসাদ বিতরণ করলেন । যখন সবকিছু শেষ হলো , তখন সাধুরা ছোটভাইকে বললেন , আপনি তো সবসময় আপনার বড় ভাইয়ের কথা বলেন । কিন্তু আমরা তো তাকে দেখলাম না ।
কোথায় তিনি ! ছোট ভাইয়ের মনে ভয় ঢুকল যদি বড় ভাই কিছু করে বসেন । তখন ইশারা দিয়ে বললেন , ভেতরের রুমে আছেন । তখন সাধুরা দরজা ঠোকা দিয়ে বললেন , দরজা খোলো । বড়ভাই বললো , আমি দরজা খুলবো না । আমি আপনাদের মুখ দর্শন করতে চাই না , চলে যান ।
সাধুরা বললেন , দরজা তো খুলো , যখন বারবার বলার পর দরজা খুললো না , তখন সাধুরা বললেন দেখো আমরা তোমার জন্য কি নিয়ে এসেছি । যখন কোন জিনিসের কথা শুনলো তখন দরজা খুলে দিয়ে দেখলে সাধুরা কিছু আনেন নি । তখন তো বড় ভাইয়ের কিছু করার ছিল না ।
সাধুরা ভেতরের রুমে গেলেন এবং তাকে বললেন তোমাকে দেখার জন্য এসেছি , আমরা চলে যাচ্ছি কিন্তু একবার " হরে কৃৃষ্ণ " বলো । তখন সে বললো আমি এসব বলবো না । সাধুরা বললো শুধু একবার বলো " হরেকৃষ্ণ "। সে বললো না । এমন করতে করতে যখন কিছুতে রাজী হলো না তখন সাধুরা তার হাত পিছনে দিকে মোড়ে ধরলো । সাধুরা হাতে চাপ দিয়ে বললো " হরেকৃষ্ণ" বলো । সে বললো না । অবশেষে ব্যাথা বেশি লাগার কারণে সে বলেই দিলো " হরেকৃষ্ণ " ।
ভক্তগণ জোর করে কাউকে কিছু করানো যায় না । তবে কৌশল দিয়ে করতে হবে । এখানে আপনারা মনে করবেন না যে আবার অত্যাচার করে ভগবানের নাম বলানো হচ্ছে । ভগবানের নাম তো ভাবের মাধ্যমে নিতে হয় । তারপরও সাধুর অনেক চেষ্টা করার পর সে " হরেকৃষ্ণ " বললো ।
কিছুদিন পর বড়ভাই গাড়ী এক্সিডেন্টে দেহত্যাগ করলো । জীবনভর পাপ করছে ফলে নরকে তো যেতে হবে । তখন যতদূতরা এসে তাকে নরকে নিয়ে গেল । যমরাজ বললেন , চিত্রগুপ্ত দেখো এ জীবনে কি কি করেছে । তখন চিত্রগুপ্ত হিসাবের খাতা খুলতে দেখলো যে , সারাজীবনে শুধু পাপ আর পাপ । কিন্তু একবার কৃষ্ণ নাম নিয়েছে ।
চিত্রগুপ্ত যমরাজকে বললেন , মহরাজ এ শুধু জীবনভর পাপই করেছে কিন্তু একবার কৃষ্ণনাম নিয়েছে এখন কি করা যায় । তখন যমরাজ বললেন , এমন তো কখনো হয়নি । যাঁরা ভক্ত তাঁরা ভক্তি করেন , যারা পাপী তারা পাপ করে । এখন কি করা যায় একে নিয়ে ? ?
===============
জয় রাধে । বাকীঅংশ আগামীকাল।
আমরাও আগামীকাল জানব যে পাপীকে নিয়ে কি করছেন যমরাজ চিত্তগুপ্ত ।
(C) Joy Shree Radha Madhav
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন