একসময় যমরাজ,যুধিষ্ঠিরকে জিজ্ঞাসা করেন-পৃথিবীতে সবচেয়ে আশ্চর্যকর জিনিষ কি? উত্তরে তিনি বলেন-মানুষ দেখছে তার পিতামাতা,বন্ধুবান্ধব,আত্মীয়স্বজন,সবার মৃত্যু হচ্ছে,তবুও সে ভাবে-সে বেঁচে থাকবে!
ঠিক একটা ছাগলকে বলি দেওয়া দেখেও,অপর ছাগল সন্তুষ্ট মনে ঘাস খেতে থাকে। শুধু ইন্দ্রিয় সুখভোগ নিয়েই তৃপ্ত।
আবার যদি কারও মৃত্যুর জ্ঞান আছে,তাহলে এটা জানেনা মৃত্যুর পরে কি হবে? জিজ্ঞাসা করে দেখুন,বলবে-আমার জানা নেই!
এটাই প্রকৃত সমস্যা।
আমাদের প্রধাণ চারটি সমস্যা - জন্ম,মৃত্যু,জরা, ব্যাধি। আমরা মরতে চাইনা,তবুও মৃত্যু আসে। রোগাক্রান্ত হতে কেউ চায় না। কিন্তু যখন রোগে ধরে,তখন ভাবে-ডাক্তারের কাছে যাব,কতকগুলি ওষুধ দেবেন,সেগুলি সেবন করলে আমি ভাল হয়ে যাব,ব্যাস problem solved.
আর বৃদ্ধ হতে তো কেউই চায় না। সারাজীবন জওয়ান থাকব। তা কি হয়? এগুলোই সমস্যা।
শ্রীকৃষ্ণ মহাভারতে ১২৫ বছর বয়সেও ২৫ বছরের যুবক মনে হতো। কারন সেটা চিন্ময় শরীর। আমাদেরও ভগবান সেই দেহ দিতে উৎসুক। তবে তার জন্য চেষ্টাতো করতে হবে।
কিভাবে চেষ্টা করব?
দেখুন ছোটবেলায় ১ থেকে ৯ এবং ০ যথাযথ শিখে নিয়ে,আজ সমস্ত গণিতশাস্ত্র জানা হয়ে গেছে। ঠিক তেমন,কেউ যখন কৃষ্ণকে জানতে পারে,তার সমস্ত জানা হয়ে যায়।
তবে কৃষ্ণকে জানব কিভাবে?
যেখানে ব্রহ্মা হাজার বছর চেষ্টা করেও কৃষ্ণকে জানতে পারেনি!
কৃষ্ণের মতো কৃপালু আর নেই। মহাপ্রভু শিক্ষাষ্টকে বলেছেন-
" চেতোদর্পণমার্জনম "-অর্থাৎ মনরূপী আয়নাকে ঘষে ঘষে আগে পরিস্কার করো-মহামন্ত্র জপ ও কীর্তন দিয়ে। যত বড় পাপীই হোক এই একটা মন্ত্রেই সিদ্ধি,,সাথে গুরু
মন্ত্র।
জগাই-মাধাই এই নামে উদ্ধার পেল। হরিদাস ঠাকুরকে বিচলিত করতে গিয়ে,এক বেশ্যা শুধু এই মহামন্ত্রের বলে ভক্তে পরিনত হলো।
অনেক পন্ডিত ব্যক্তি তর্কে আসেন-নাকি বেদান্ত পড়তেই হবে। অবশ্যই বেদান্ত=বেদ+অন্ত--অর্থাৎ শিক্ষার যেখানে শেষ।
আচ্ছা ভক্ত ধ্রুব ও প্রহ্লাদ ওইটুকু বয়সেই কি বেদান্ত পড়েছিল? আর কোনো অশিক্ষিত ব্যক্তি যদি বেদান্ত না পড়তে পারে,ভগবান কি তাকে স্বীকার করবেন না?
কলিযুগে বেদান্ত নয়,তবে ভাগবত আর গীতা পড়তেই হবে।
যে যুগে যেটা সম্ভব।
আমার গুরু বলেন-
টাকা মাটি-এই কথাটা ঠিক না। টাকা কি করে মাটি হয়? কিন্তু টাকাকে উল্টান,হবে কাটা।
টাকা- কাটা। টাকা বেশী হয়ে গেলে সেই টাকাই আপনাকে কাঁটার মতো বিঁধবে-ইহা সত্য।
বেদ-পন্ডিতগণ এটা কি জানেন,ডাক্তারের কাছে সব রোগের জন্য একটা ওষুধ থাকে- that is called " panancea ".
শ্রীকৃষ্ণ যেমন- সর্বকারনকারনম
তেমনই
মহামন্ত্র--সর্বদুঃখহরণম।
প্ররোচিত না হয়ে মহামন্ত্র জপ ও কীর্তন করে যান। চিন্তা নেই,মহাপ্রভু কথা দিয়েছেন-উদ্ধার করবেন।
(c) Joy Shree Radha Madhav
ঠিক একটা ছাগলকে বলি দেওয়া দেখেও,অপর ছাগল সন্তুষ্ট মনে ঘাস খেতে থাকে। শুধু ইন্দ্রিয় সুখভোগ নিয়েই তৃপ্ত।
আবার যদি কারও মৃত্যুর জ্ঞান আছে,তাহলে এটা জানেনা মৃত্যুর পরে কি হবে? জিজ্ঞাসা করে দেখুন,বলবে-আমার জানা নেই!
এটাই প্রকৃত সমস্যা।
আমাদের প্রধাণ চারটি সমস্যা - জন্ম,মৃত্যু,জরা, ব্যাধি। আমরা মরতে চাইনা,তবুও মৃত্যু আসে। রোগাক্রান্ত হতে কেউ চায় না। কিন্তু যখন রোগে ধরে,তখন ভাবে-ডাক্তারের কাছে যাব,কতকগুলি ওষুধ দেবেন,সেগুলি সেবন করলে আমি ভাল হয়ে যাব,ব্যাস problem solved.
আর বৃদ্ধ হতে তো কেউই চায় না। সারাজীবন জওয়ান থাকব। তা কি হয়? এগুলোই সমস্যা।
শ্রীকৃষ্ণ মহাভারতে ১২৫ বছর বয়সেও ২৫ বছরের যুবক মনে হতো। কারন সেটা চিন্ময় শরীর। আমাদেরও ভগবান সেই দেহ দিতে উৎসুক। তবে তার জন্য চেষ্টাতো করতে হবে।
কিভাবে চেষ্টা করব?
দেখুন ছোটবেলায় ১ থেকে ৯ এবং ০ যথাযথ শিখে নিয়ে,আজ সমস্ত গণিতশাস্ত্র জানা হয়ে গেছে। ঠিক তেমন,কেউ যখন কৃষ্ণকে জানতে পারে,তার সমস্ত জানা হয়ে যায়।
তবে কৃষ্ণকে জানব কিভাবে?
যেখানে ব্রহ্মা হাজার বছর চেষ্টা করেও কৃষ্ণকে জানতে পারেনি!
কৃষ্ণের মতো কৃপালু আর নেই। মহাপ্রভু শিক্ষাষ্টকে বলেছেন-
" চেতোদর্পণমার্জনম "-অর্থাৎ মনরূপী আয়নাকে ঘষে ঘষে আগে পরিস্কার করো-মহামন্ত্র জপ ও কীর্তন দিয়ে। যত বড় পাপীই হোক এই একটা মন্ত্রেই সিদ্ধি,,সাথে গুরু
মন্ত্র।
জগাই-মাধাই এই নামে উদ্ধার পেল। হরিদাস ঠাকুরকে বিচলিত করতে গিয়ে,এক বেশ্যা শুধু এই মহামন্ত্রের বলে ভক্তে পরিনত হলো।
অনেক পন্ডিত ব্যক্তি তর্কে আসেন-নাকি বেদান্ত পড়তেই হবে। অবশ্যই বেদান্ত=বেদ+অন্ত--অর্থাৎ শিক্ষার যেখানে শেষ।
আচ্ছা ভক্ত ধ্রুব ও প্রহ্লাদ ওইটুকু বয়সেই কি বেদান্ত পড়েছিল? আর কোনো অশিক্ষিত ব্যক্তি যদি বেদান্ত না পড়তে পারে,ভগবান কি তাকে স্বীকার করবেন না?
কলিযুগে বেদান্ত নয়,তবে ভাগবত আর গীতা পড়তেই হবে।
যে যুগে যেটা সম্ভব।
আমার গুরু বলেন-
টাকা মাটি-এই কথাটা ঠিক না। টাকা কি করে মাটি হয়? কিন্তু টাকাকে উল্টান,হবে কাটা।
টাকা- কাটা। টাকা বেশী হয়ে গেলে সেই টাকাই আপনাকে কাঁটার মতো বিঁধবে-ইহা সত্য।
বেদ-পন্ডিতগণ এটা কি জানেন,ডাক্তারের কাছে সব রোগের জন্য একটা ওষুধ থাকে- that is called " panancea ".
শ্রীকৃষ্ণ যেমন- সর্বকারনকারনম
তেমনই
মহামন্ত্র--সর্বদুঃখহরণম।
প্ররোচিত না হয়ে মহামন্ত্র জপ ও কীর্তন করে যান। চিন্তা নেই,মহাপ্রভু কথা দিয়েছেন-উদ্ধার করবেন।
(c) Joy Shree Radha Madhav
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন