যে রীতিতে সাংসারিক বস্তু পাওয়া যায় সেই রীতিতে পরমাত্মারও প্রাপ্তি হয় -- এটা মেনে নেওয়াই পরমাত্মাপ্রাপ্তির পথে বড় বাধা । সাংসারিক বস্তুর প্রাপ্তি তো কর্মের দ্বারা হয় কিন্তু তার পরমাত্মার প্রাপ্তি কর্মের দ্বারা হয় না , তা হয় ভাব এবং বোধের দ্বারা । তার কারণ সাংসারিক বস্তুগুলিকে তৈরি করতে হয় , উৎপন্ন করতে হয় , কোথাও থেকে নিয়ে আসতে হয় , তার জন্য কোথাও যেতে হয় । কিন্তু পরমাত্মার জন্য কোথাও যেতে হয় না ।
পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং পরমাত্মারূপে সকলের হৃদয়ে আছেন । শ্রীকৃষ্ণ হলেন খুব কাছের আপনজন । পরিবার বলেন বা সমাজ বা দেশ সকলে তো বিপদে অনেক পরে আসবে কিন্তু যদি শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ করা হয় তবে তিনি কোন না কোনভাবে রক্ষা করবেন । তাই আমাদের সবচেয়ে আপনজন হলে আমাদের হৃদয়ে থাকা শ্রীকৃষ্ণ । আপনি যদি একাগ্রভাবে তাঁকে ডাকেন তিনি অবশ্যই সাড়া দিবেন যদি মনে দৃঢ় বিশ্বাস থাকে ।
পরমাত্ম সমগ্র দেশ , কাল , বস্তু , ব্যক্তি , পরিস্থিতি , ঘটনা অবস্থা প্রভৃতিতে যেমনকার তেমন বিদ্যামান থাকেন । তাঁর প্রাপ্তির জন্য প্রবল আকাঙ্ক্ষা নেই , এই জন্যই তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না । আকাঙ্ক্ষা না হওয়ার কারণ শরীরের সঙ্গে একত্ব মেনে নিয়ে সুখভোগ করা । যেমন জালে আটকে পড়া মাছ এগোতে পারে না তেমনই সাংসারিক সুখে জড়িয়ে পড়া মানুষের দৃষ্টি পরমাত্মার দিকে এগোতে পারে না । কেবল এইটুকু নয় , সাংসারিক সুখ ( ভোগ এবং সংগ্রহ ) - এ আসক্ত মানুষ পরমাত্মাকে প্রাপ্ত করার সিদ্ধান্তও নিতে পারে না ।
সুখভোগ হল নিজের বিবেককে অনাদর করা । যদি মানুষ নিজের বিবেককে গুরুত্ব দেয় তাহলে সে সুখ ভোগ করতে পারে না । কারণ ভোগ্য বস্তুকে স্থায়ী মনে করেই সুখভোগ হয়ে থাকে । তাকে স্থায়ী মনে না করলে সুখভোগ হতেই পারে না । শরীর - সংসার প্রতি মুহূর্তে বদলাচ্ছে , মুহূর্তের জন্যও স্থির থাকে না - এই বোধ হলে মানুষ সুখভোগ করতেই পারে না ।
কারণ বিবেক জাগ্রত হলে মানুষের স্থিতি শরীরে থাকে না , তা থাকে স্বরূপে । তাই মানুষের উচিত বিবেককে গুরুত্ব দেওয়া । বিবেককে মানুষ যদি গুরুত্ব না দেয় তবে কি গাছ গুরুত্ব দেবে ? জন্তুরা গুরুত্ব দেবে ? তাহলে মানুষের সঙ্গে জন্তুর প্রভেদ কোথায় হল ?
সংসারে কোনো বস্তুই স্থির নয় । প্রত্যেক বস্তু প্রতি মুহূর্তে বিনাশের দিকে যাচ্ছে । এই কথাটি শিখতে হবে না , বুঝতে হবে , অনুভব করতে হবে । অনুভব করলে সুখাসক্তি থাকবে না ।
পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং পরমাত্মারূপে সকলের হৃদয়ে আছেন । শ্রীকৃষ্ণ হলেন খুব কাছের আপনজন । পরিবার বলেন বা সমাজ বা দেশ সকলে তো বিপদে অনেক পরে আসবে কিন্তু যদি শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ করা হয় তবে তিনি কোন না কোনভাবে রক্ষা করবেন । তাই আমাদের সবচেয়ে আপনজন হলে আমাদের হৃদয়ে থাকা শ্রীকৃষ্ণ । আপনি যদি একাগ্রভাবে তাঁকে ডাকেন তিনি অবশ্যই সাড়া দিবেন যদি মনে দৃঢ় বিশ্বাস থাকে ।
পরমাত্ম সমগ্র দেশ , কাল , বস্তু , ব্যক্তি , পরিস্থিতি , ঘটনা অবস্থা প্রভৃতিতে যেমনকার তেমন বিদ্যামান থাকেন । তাঁর প্রাপ্তির জন্য প্রবল আকাঙ্ক্ষা নেই , এই জন্যই তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না । আকাঙ্ক্ষা না হওয়ার কারণ শরীরের সঙ্গে একত্ব মেনে নিয়ে সুখভোগ করা । যেমন জালে আটকে পড়া মাছ এগোতে পারে না তেমনই সাংসারিক সুখে জড়িয়ে পড়া মানুষের দৃষ্টি পরমাত্মার দিকে এগোতে পারে না । কেবল এইটুকু নয় , সাংসারিক সুখ ( ভোগ এবং সংগ্রহ ) - এ আসক্ত মানুষ পরমাত্মাকে প্রাপ্ত করার সিদ্ধান্তও নিতে পারে না ।
সুখভোগ হল নিজের বিবেককে অনাদর করা । যদি মানুষ নিজের বিবেককে গুরুত্ব দেয় তাহলে সে সুখ ভোগ করতে পারে না । কারণ ভোগ্য বস্তুকে স্থায়ী মনে করেই সুখভোগ হয়ে থাকে । তাকে স্থায়ী মনে না করলে সুখভোগ হতেই পারে না । শরীর - সংসার প্রতি মুহূর্তে বদলাচ্ছে , মুহূর্তের জন্যও স্থির থাকে না - এই বোধ হলে মানুষ সুখভোগ করতেই পারে না ।
কারণ বিবেক জাগ্রত হলে মানুষের স্থিতি শরীরে থাকে না , তা থাকে স্বরূপে । তাই মানুষের উচিত বিবেককে গুরুত্ব দেওয়া । বিবেককে মানুষ যদি গুরুত্ব না দেয় তবে কি গাছ গুরুত্ব দেবে ? জন্তুরা গুরুত্ব দেবে ? তাহলে মানুষের সঙ্গে জন্তুর প্রভেদ কোথায় হল ?
সংসারে কোনো বস্তুই স্থির নয় । প্রত্যেক বস্তু প্রতি মুহূর্তে বিনাশের দিকে যাচ্ছে । এই কথাটি শিখতে হবে না , বুঝতে হবে , অনুভব করতে হবে । অনুভব করলে সুখাসক্তি থাকবে না ।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন