০৫ জানুয়ারী ২০১৮

সামবেদঃ চতুর্থ অধ্যায় । ঐন্দ্র কান্ড : ইন্দ্রস্তুতিঃ খণ্ডঃ ০১-০৬

প্রথম খণ্ডঃ মন্ত্র সংখ্যা ৮।।
দেবতা ১।৪।৬।৮ ইন্দ্র, ৫ মরুদ্‌গণ, ৭ দধিক্রাবা।।
ছন্দ অনুষ্টুপ।।
ঋষি ১ ভরদ্বাজ বার্হস্পত্য, ২ বামদেবগৌতম বা শাকপূত, ৩ প্রিয়মেধ আঙ্গিরস, ৪ প্রগাথ কাণ্ব, ৫ শ্যাবাশ্ব আত্রেয়, ৬ শংযু বার্হস্পত্য, ৭ বামদেব গৌতম, ৭ জেতা মাধুচ্ছন্দস।।
মন্ত্রঃ-
(৩৫২) প্রত্যস্মৈ পিপীষতে বিস্বানি বিদুষে ভর।
অরঙ্গমায় জগ্ময়েহ পশ্চাদধ্বনে নরঃ।।১।।
(৩৫৩) আ নো বয়ো বয়ঃশয়ং মহান্তং গহ্বরেষ্ঠাম্‌ মহান্তং পূর্বিনেষ্ঠাম্‌।
উগ্রং বচো অপাবধীঃ।।২।।
(৩৫৪) আ ত্বা রথং যথোতয়ে সুম্নায় বর্তয়ামসি।
তুবিকূর্মিমৃতীষহমিন্দ্রং শবিষ্ঠ সৎপতিম্‌।।৩।।
(৩৫৫) স পূর্ব্যো মহোনাং বেনঃ ক্রতুভিরানজে।
যস্য দ্বারা মনুঃ পিতা দেবেষু ধিয় আনজে।।৪।।
(৩৫৬) যদী বহন্ত্যাশবো ভ্রাজমানা রথেম্বা।
পিবন্তো মদিরং মধু তত্র শ্রবাংসি কৃন্বতে।।৫।।
(৩৫৭) ত্যমু বো অপ্রহণং গৃণীষে শবসস্পতিম্‌
ইন্দ্রং বিশ্বাসাহং নরং শবিষ্ঠং বিশ্ববেদসম্‌।।৬।।
(৩৫৮) দধিক্রাব্‌ণো অকারিষং জিষ্ণোরশ্বস্য বাজিনঃ।
সুরভি নো মুখা করৎ প্র ণ আয়ূংষি তারিষৎ।।৭।।
(৩৫৯) পুরাং ভিন্দুর্যুবা কবিরমিতৌজা অজায়ত।
ইন্দ্রো বিশ্বস্য কর্মণো ধর্তা বজ্রী পুরুষ্টুতঃ।।৮।।
অনুবাদঃ (৩৫২) সর্ববেত্তা পিপাসিত ইন্দ্রের উদ্দেশে তোমরা সকল সোম অর্পণ কর। তিনি সর্বগামী, সকল যজ্ঞের নায়ক, অগ্রণী।। (৩৫৩) গর্ভে থাকাকালীন অবস্থাতেই আমাদের জন্য মহান্‌ অন্ন তুমি প্রস্তুত করে রাখ। তোমার এই মহান্‌ ব্রত চিরকাল ধরে প্রচলিত আছে। হে ইন্দ্র, উগ্র বচন দূর কর।। (৩৫৪) বহুকর্মা শত্রু পরাজয়কারী বলিষ্ঠ সৎপতি ইন্দ্রকে আমি আমার রক্ষা ও সুখের জন্য সূর্যের মত আবর্তিত করছি।। (৩৫৫) তিনিই পূজ্যগণের মধ্যে প্রথম, তিনিই সর্বলোককান্ত আলোকময় দেবতারূপে (=বেন) কর্মসকলের দ্বারা সকল কিছুই প্রাপ্ত হয়েছিলেন, যাঁকে অবলম্বন করে মনু (আদিত্য) পিতা দেবগণের মধ্যে (=রশ্মিগণের মধ্যে) জ্ঞানকর্ম প্রাপ্ত হয়েছেন।। ((৩৫৬) যখনই ক্ষিপ্রগামী দীপ্ত রশ্মিগণ তোমাকে রথে বহন করে তখনই তাঁরা মদির মধুপান করতে করতে (রশ্মিদ্বারা জলবাস্প আকর্ষণ করতে করতে) অন্নসম্পদ সৃষ্টি করেন। (৩৫৭) তোমাদের মঙ্গলের জন্য সেই উপকারক অন্নবলপতি ইন্দ্রকে স্তব কর, যিনি বিশ্বজয়ী শ্রেষ্ঠবলনায়ক বিশ্বজ্ঞানী।। (৩৫৮) চলনপটু শব্দকারী সর্বজয়ী [রশ্মিগণ জলসৃষ্টির দ্বারা অন্নসৃষ্টিকারী বলে সর্বজয়ী] অশ্বরশ্মির (=দধিক্রার) স্তুতি করি। হর্ষকারক বৃষ্টিরূপ অগ্রসেনাকে আমাদের জন্য প্রেরণ কর, আমাদের আয়ু বৃদ্ধি কর।। (৩৫৯) ইন্দ্র সকল জীবদেহের অন্তরাত্মা (=পুরাম্‌ ভিন্দুঃ); তিনি একই সময়ে অনেক কর্ম করেন (=যুবা) এবং গতির দ্বারা সেই কর্মকে অতিক্রম করেন (=কবি), তিনি অমিতবলরূপে জাত হয়ে বিশ্বের সকল কর্মের ধারক, বজ্রধারী ও বহুস্তুত।।

দ্বিতীয় খণ্ডঃ মন্ত্র সংখ্যা ১০।।
দেবতা ১-৭ ইন্দ্র (ঋগ্বেদে ৬ মন্ত্রের দেবতা অগ্নি), ৮ ঊষা, ৯ বিশ্বদেবগণ, ১০ ঋক্‌ ও সাম।।
ছন্দ অনুষ্টুপ্‌।।
ঋষি ১।৩।৫ প্রিয়মেধ আঙ্গিরস, ২।১০ বামদেব গৌতম, ৮ মধুছন্দা বৈশ্বামিত্র, ৬ ভরদ্বাজ বার্হস্পত্য, ৭ অত্রি ভৌম, ৮ প্রস্কণ্ব কাণ্ব, ৯ ত্রিত আপ্ত্য।।
মন্ত্রঃ-
(৩৬০) প্র প্র বস্ত্রিষ্টুভমিষং বন্দদ্বীরায়েন্দবে।
ধিয়া বো মেধসাতয়ে পুরন্ধ্যা বিবাসতি।।১।।
(৩৬১) কশ্যপস্য স্বর্বিদো যাবাহুঃ সযুজাবিতি।
যযোর্বিশ্বমপি ব্রতং যজ্ঞং ধীরা নিচায্য।।২।।
(২৬২) অর্চত প্রার্চতা নরঃ প্রিয়মেধাসো অর্চত।
অর্চন্তু পুত্রকা উত পুরমিদ্‌ ধৃষ্ণ্বর্চত।।৩।।
(৩৬৩) ঊক্‌থমিন্দ্রায় শংস্যং বর্ধনং পুরুনিষ্‌ষিধে।
শক্রো যথা সুতেষু নো রারণৎ সখ্যেষু চ।।৪।।
(৩৬৪) বিশ্বানরস্য বস্পতিমনানতস্য শবসঃ।
এবৈশ্চ চর্ষণীনামূতী হুবে রথানাম্‌।।৫।।
(৩৬৫) স ঘা যস্তে দিবো নরো ধিয়া মর্তস্য শমতঃ
ঊতী স বহতো দিবো দ্বিষা অংহো ন তরতি।।৬।।
(৩৬৬) বিভোষ্ট ইন্দ্র রাধসো বিভ্বী রাতিঃ শতকৃতো।
অথা নো বিশ্বচর্ষণে দ্যুম্নং সুদত্র মংহয়।।৭।।
(৩৬৭) বয়শ্চিত্তে পতত্রিণো দ্বিপাচ্চতুস্পাদর্জুনি।
ঊষঃ প্রারন্‌নৃতূঁরনু দিবো অন্তেভ্যস্পরি।।৮।।
(৩৬৮) অমী যে দেবা স্থন মধ্য আরোচনে দিবঃ।
কদ্‌ ব ঋতং কদমৃতং কা প্রত্বা ব আহুতিঃ।।৯।।
(৩৬৯) ঋচং সাম যজামহে যাভ্যাং কর্মাণি কৃন্বতে।
বি তে সদসি রাজতো যজ্ঞং দেবেষু বক্ষতঃ।।১০।।
অনুবাদঃ (৩৬০) তোমরা (অন্নপ্রস্তুতের) সামর্থ্যযুক্ত জল কামনা করে অন্নের জন্য ইন্দ্রের স্তুতি কর। ইন্দ্র যজ্ঞসাধনের জন্য কর্মের দ্বারা বহুপ্রজ্ঞার দ্বারা তোমাদের পরিচর্যা করেন। (৩৬১) সূর্যের গতিপথের সন্ধান জানেন ইন্দ্রের যে দুরি যুক্ত অশ্ব (=রশ্মি বা দেশ-কাল বা অহোরাত্র) তাঁরাই সকলই কর্ম ও যজ্ঞকে ধারণ করে আছেন, পণ্ডিতেরা এইরূপ বলে থাকেন। (৩৬২) প্রিয়মেধা ঋষির প্রিয়জনগণ, তোমরা ইন্দ্রের অর্চনা কর, অন্তর দিয়ে অর্চনা কর, তাঁকেই অর্চনা কর। তোমাদের সন্তানেরাও জীবের আত্মা ইন্দ্রকে অর্চনা করুক, অতি অনুরাগে অর্চনা কর।। (৩৬৩) বহু অপশক্তির নিবারক ইন্দ্রের উদ্দেশে আমাদের এই উৎকৃষ্ট সামগান; শক্তিমান ইন্দ্র যেন আমাদের যজ্ঞকর্মে ও সখ্যতায় অত্যন্ত অনুরক্ত হন।। (৩৬৪) বিশ্বের অধিনায়ক, দুর্দমনীয় বলের অধিপতি ইন্দ্রকে তোমাদের এবং জনগণের কাম্যবস্তু লাভের জন্য রশ্মিসমূহের গমন পথে (রথানাম্‌ উতী=কিরণরাশি যে পথে গমন করে সেই পথ) আহ্বান করি।। (৩৬৫) মর্তের যে মানুষ কর্ম ও প্রজ্ঞার দ্বারা তোমার পূজা করে সে দ্যুলোক প্রাপ্ত হয়। দ্যুলোকের মহান পথে গমন করে সে হিংসা দ্বেষকে অতিক্রম করে।। (৩৬৬) হে ইন্দ্র, হে শতযজ্ঞকর্মা, তোমার বিভূতি সর্বসিদ্ধিকরধন ও দানবহ। অতএব হে বিশ্বদ্রষ্টা, হে মঙ্গলদাতা, আমাদের প্রচুর ঐশ্বর্য প্রদান কর।। (৩৬৭) হে শুভ্র আলোকের দেবী ঊষা, তোমার আগমনকালে ঋতুদের অনুসরণ করে দ্বিপদ ও চতুস্পদ যুক্ত পক্ষীরূপা উদকবহনকারী রশ্মিগণ দ্যুলোকের অন্তঃস্থলে অবস্থান করে।। (৩৬৮) এই যে বিশ্বদেবগণ (=সকল রশ্মিগণ) যে তোমরা দ্যুলোকের আলোকময় মধ্যভাগে বাস কর তোমাদের ঋতকর্মই বা কি অনৃতকর্মই বা কি, কিই বা তোমাদের প্রাচীনতা, কিই বা তোমাদের আহুতি? (অর্থাৎ এদের বিষয়ে কিছুই জানা যায় না) (৩৬৯) এই ঋক্‌ সামের দ্বারা দেবগণের পূজা করি, যা থেকে কর্ম সম্পন্ন হয়। এই স্তোত্রমন্ত্রসকলই গৃহে (বা যজ্ঞসভায়) বিরাজ করে এবং যজ্ঞকে দেবগণের কাছে নিয়ে চলে।।

তৃতীয় খণ্ডঃ মন্ত্র সংখ্যা ১১।।
দেবতা ইন্দ্র, ২ দ্যাবাপৃথিবী।।
ছন্দ জগতী, ১ অতি জগতী, ১০ মহাপঙ্‌ক্তি।।
ঋষি ১ রেভ কাশ্যপ, ২ সুবেদা শৈরীষি বা শৈলুষি, ৩ বামদেব গৌতম, ৪।৭।৮ সব্য বা সত্য আঙ্গিরস, ৫ বিশ্বামিত্র গাথিন, ৬ কৃষ্ণ বা আঙ্গিরস, ৯ ভরদ্বাজ বার্হস্পত্য, ১০ মেধাতিথি কান্ব (ঋগ্বেদে মান্ধাতা যৌবনাশ্ব), ১১ কুৎস আঙ্গিরস।।
মন্ত্রঃ-
(৩৭০) বিশ্বাঃ পৃতনা অভিভূতরং নরঃ সজুস্ততক্ষুরিন্দ্রং জজনুশ্চ রাজসে।
ক্রত্বে বরে স্থেমন্যামুরীমুতোগ্রমোজিষ্ঠং তরসং তরস্বিনম্‌।।১।।
(৩৭১) শ্রত্তে দধামি প্রথমায় মন্যবেহনন্যদ্দস্যুং নর্যং বিবেরপঃ।
উভে যত্বা রোদসী ধাবতামন্য ভ্যসাতে শুষ্মাৎ পৃথিবী চিদদ্রিবঃ।।২।।
(৩৭২) সমেত বিশ্বা ওজসা পতিং দিবো ষ এক ইদ্‌ ভূরতিথির্জনানাম্‌।
স পূর্ব্যো নূতনমাজিগীষং তং বর্তনীরনুবাবৃত এক ইৎ।।৩।।
(৩৭৩) ইমে ত ইন্দ্র তে বয়ং পুরুষ্টুত যে ত্বারভ্য চরামসি প্রভূবসো।
নহি ত্বদন্যো গির্বণো গিরঃ সঘৎ ক্ষোণীরিব প্রতি তদ্ধর্য নো বচঃ।।৪।।
(৩৭৪) চর্ষণীধুতং মঘবানমুকথ্যাতমিন্দ্রং গিরো বৃহতীরভ্যনূষত।
বাবৃধানং পুরুহূতং সুবৃক্তিভিরমর্ত্যং জরমাণং দিবেদিবে।।৫।।
(৩৭৫) অচ্ছা ব ইন্দ্রং মতয়ঃ স্বর্যুবঃ সধ্রীচীর্বিশ্বা উশতীরনূশত পরি
স্বজন্ত জনয়ো যথা পতিং মর্যং ন শুন্ধ্যুং মঘবানমূতয়ে।।৬।।
(৩৭৬) অভি ত্যং মেষং পুরুহূতমৃগ্মিয়মিন্দ্রং গীর্ভির্মদতা বস্বো অর্ণবম্‌।
যস্য দ্যাবো ন বিচরন্তি মানুষং ভুজে মংহিষ্ঠমভিবিপ্রমর্চত।।৭।।
(৩৭৭) ত্যং সু মেষং মহয়া স্বর্বিদং শতং যস্য সুভুবঃ সাকমীরতে।
অত্যং ন বাজং হবনস্যদং রথমিন্দ্রং ববৃত্যামবসে সুবৃক্তিভিঃ।।৮।।
(৩৭৮) ঘৃতবতী ভুবনানামভিশ্রিয়োর্বী পৃথ্বী মধুদুঘে সুপেশসা।
দ্যাবাপৃথিবী বরুণস্য ধর্মণা বিষ্কভিতে অজরে ভূরিরেতসা।।৯।।
(৩৭৯) উভে যদিন্দ্র রোদসী আপপ্রাথোষা ইব।
মহান্তং ত্বা মহীনাং সম্রাজং চর্ষণীনাম্‌।
দেবী জনিত্র্যজীজনদ্‌ভদ্রা জনিত্র্যজীজনৎ।।১০।।
(৩৮০) প্র মন্দিনে পিতুমদর্চতা বচো যঃ কৃষ্ণগর্ভা নিরহন্নজিশ্বনা।
অবস্যবো বৃষণং বজ্র বৃষণং বজ্রদক্ষিণং মরুত্বন্তং সখায় হুবেমহি।।১১।।
অনুবাদঃ (৩৭০) বিশ্বের বরগণ প্রীত হয়ে সকল সংগ্রামে ইন্দ্রকেই শত্রুপরাজয়কারীরূপে নিরূপণ করেছেন এবং সং গ্রামে তিনিই অধিস্বামীরূপে বিরাজিত হন। সেই বলিষ্ঠ, উগ্র, অতি মহান প্রবৃদ্ধ ইন্দ্রকে সকল সঙ্কল্পে ও বরণীয় কর্মে তাঁরা কামনা করেন।। (৩৭১) একথা সত্য যে তোমাকে প্রধান বলে মানি; কারণ তুমি জীবের প্রয়োজনে বৃত্রবধ করে বৃষ্টি, কর্ম, জ্ঞান প্রভৃতির সৃষ্টি করেছে; হে মেঘবিদারণকারী ইন্দ্র, দ্যুলোক ও পৃথিবী তোমার বলে ভীত হয়ে দুজনেই নিজ নিজ কর্ম করবার জন্য গতিযুতক হয়েছে। (৩৭২) হে নরগণ, যিনি স্বীয় তেজে দ্যুলোকে এক ও অদ্বিতীয়রূপে বিরাজমান, যিনি সকল জনের কাছে অতিথির মত পূজ্য, সেই চিরপুরাতন অদ্বিতীয় ইন্দ্র বারবার আবর্তনের দ্বারা বিজয়ী ও নব রূপে দেখা দেন।। [ইন্দ্র=সূর্য]।। (৩৭৩) হে ইন্দ্র, হে বহুস্তুত, হে বহুধন, এই যা কিছু সব এবং আমরা যারা কর্মের জন্য বিচরণ করি, এ সবই তোমার। হে স্তুতিপ্রিয়, তুমি ছাড়া আর কেউ নেই আমাদের স্তুতি গ্রহণ করতে, যেমন পৃথিবী ছাড়া আর কেউ নেই আমাদের ধারণ করতে। হে সকল ইচ্ছাপূরক, আমাদের স্তুতি গ্রহণ কর।। (৩৭৪) মানুষের রক্ষক, ধনবান স্তুতিযুক্ত ইন্দ্রকে মহান সঙ্গীতের দ্বারা স্তব কর। তিনি সদা বর্ধমান, বহুর দ্বারা আহূত, দোষবর্জিত সুশোভন কর্মের দ্বারা মরণরহিত এবং প্রতিদিন আয়ুক্ষয়কারী (অথবা প্রতিদিন পূজিত)।। (৩৭৫) তোমাদের বুদ্ধি ও জ্ঞানালোকের জন্য তোমরা সকলে মিলে একাগ্রচিত্তে সকল কামনা পূরণের জন্য ইন্দ্রকে স্তব কর। পত্নী যেমন স্বামীর সেবে করে মানুষেরাও তেমনি সকল রক্ষার জন্য ধনদাতা শুদ্ধজ্ঞান ইন্দ্রকে ঘিরে থাকে।। (৩৭৬) ধনসমুদ্র, বহুর দ্বারা স্তুত, সর্ববস্তুর প্রতি সমদর্শী (=মেঘ), স্তুতির দ্বারা আহ্লাদিত, অর্চনীয় বিদ্যুৎরূপী অগ্নি ইন্দ্রকে স্তব কর। যাঁর কর্ম দ্যুলোকের আলোকরাশির মত মানুষের ভোগের জন্য বিচরণ করে সেই শ্রেষ্ঠ চৈতন্য ইন্দ্রকে অর্চনা কর। (৩৭৭) যিনি সুন্দররূপে সমদর্শী, যিনি নিজ নিজ মাহাত্ম্যে স্বর্লোককে জানিয়ে দেন, যাঁর সুন্দর ভুবনের শতকর্ম একই সঙ্গে চলতে থাকে, বেগবান্‌ অশ্বের মত যিনি সকল যজ্ঞকর্মের প্রতি ধাবিত হন সেই ইন্দ্রকে আমাদের রক্ষার জন্য দোষবর্জিত শোভন কর্মের দ্বারা নিভৃতে আরাধনা করি।। (৩৭৮) হে দ্যু ও পৃথিবী, তোমরা মজনে উদকবর্তী, ভুবনের সকলের আশ্রয়স্বরূপা, বিপুলা, মধুদুঘা, সুরূপা। তোমরা দুজনে বরুণদেবের (=সূর্যদেবের) ধারণকার্যের দ্বারা চিরকাল বিভক্তরূপে বর্তমান থেকে প্রচুর প্রজনন ক্ষমতা যুক্তা (ভূরিরেতসা)।। (৩৭৯) যখন হে ইন্দ্র, তুমি ঊষার মত দ্যুলোক ও পৃথবীকে আলোকে পরিপূর্ণ করি, তখন তুমি মানুষের মধ্যে যে সম্রাট্‌ তার থেকেও মহান সম্রাট্‌রূপে বিরাজিত হও। কল্যাণময়ী অদীনা অক্ষয়া মাতা অদিতি দেবী তোমাকে জন্ম দিয়েছেন, তিনিই তোমাকে জন্ম দিয়েছেন।। (৩৮০) স্তুতির যোগ্য ইন্দ্রের উদ্দেশে অন্নসহযোগে স্তুতি অর্পণ কর, যে ইন্দ্রের বাক্যমাত্রই তাঁর দুইর অশ্ব ঘনকালোমেঘের অন্তর্গত বারিরাশিকে আঘাতের দ্বারা নিঃশেষে নির্গত করলো সকলের রক্ষণেচ্ছায়। বর্ষণকারী, দক্ষিণহস্তে বজ্রধারী মরুদ্‌গণের সখা ইন্দ্রের সঙ্গে সখ্যতার জন্য আমরা ইন্দ্রকে আহ্বান করি।।

চতুর্থ খণ্ডঃ মন্ত্র সংখ্যা ১০।।
দেবতা ইন্দ্র।।
ছন্দ ঊষ্ণিক্‌।।
ঋষি ১ নারদ কাণ্ব, ২৩ গোষুক্তি ও অশ্বসুক্তি কাণ্বায়ন, ৪ পর্বত কাণ্ব, ৫।৬।৭।১০ বিশ্বমনা বৈয়শ্ব ৮ নৃমেধ আঙ্গিরস, ৯ গোতম বাহূগণ।।
মন্ত্রঃ-
(৩৮১) ইন্দ্র সুতেষু সোমেষু ক্রতুং পুনীষ উক্‌থ্যম্‌।
বিদে বৃধস্য দক্ষস্য মহাঁ হি ষঃ।।১।।
(৩৮২) তমু অভি প্র গায়ত পুরুহূতং পুরুষ্টুতম্‌,
ইন্দ্রং গীর্ভিস্তবীষমা বিবাসত।।২।।
(৩৮৩) তং তে মদং গৃণীমসি বৃষণং পৃক্ষু সাসহিম্‌।
ঊ লোককৃৎনুমদ্রিবো হরিশ্রিয়ম্‌।।৩।।
(৩৮৪) যৎ সোমমিন্দ্র বিষ্ণবি সোমমিন্দ্র বিষ্ণবি যদ্‌ বা ঘ ত্রিই আপ্ত্যে।
যদ্‌ বা মরুৎসু মন্দসে সমিন্দুভিঃ।।৪।।
(৩৮৫) এদু মধোর্মদিন্তরং সিঞ্চাধ্বর্যো অন্ধসঃ।
এবা হি বীর স্তবতে সদাবৃধঃ।।৫।।
(৩৮৬) এন্দুমিন্দ্রায় সিঞ্চত পিবাতি সোম্যং মধু।
প্র রাধাংসি চোদয়তে মনিত্বনা।।৬।।
(৩৮৭) এতো ন্বিন্দ্রং স্তবাম সখায়ঃ স্তোম্যং নরম।
কৃষ্টীর্যো বিশ্বা অভ্যস্ত্যেক ইৎ।।৭।।
(৩৮৮) ইন্দ্রায় সাম গায়ত বিপ্রায় বৃহতে বৃহৎ।
ব্রহ্মকৃতে বিপশ্চিতে পনস্যবে।।৮।।
(৩৮৯) য এক ইদ্‌ বদয়তে বসু মর্তায় দাশুষে।
ঈশানো অপ্রতিষ্কুত ইন্দ্রো অঙ্গ।।৯।।
(৩৯০) সখায় আ শিষামহে ব্রহ্মেন্দ্রায় বজ্রিণে।
স্তুষ ঊ ষু বো নৃতমায় ধৃষ্ণবে।।১০।।
অনুবাদঃ (৩৮১) হে ইন্দ্র, অভিষুত সোমযোগে যজ্ঞকর্ম ও স্তুতিকে পবিত্র কর; দক্ষতা ও বৃদ্ধির জন্যই ইন্দ্র মহান।। (৩৮২) বহুজনের দ্বারা আহূত, বহুজনের দ্বারা স্তুত সেই ইন্দ্রের উদ্দেশে উত্তমরূপে গান কর। মহাবল ইন্দ্রকে সঙ্গীতে পরিতুষ্ট কর।। (৩৮৩) হে বজ্রধারী ইন্দ্র, তুমি রশ্মিআশ্রিত ও লোককল্যাণকারী অভীষ্ট বর্ষণকারী, শত্রুপরাভবকারী তোমার উল্লাসের প্রশংসা করি।। (৩৮৪) হে ইন্দ্র, যে সোম বিষ্ণুতে আছে, অথবা যে সোম তোমার সহচর সর্বব্যাপী রশ্মি ত্রিত আপ্তো আছে, অথবা যে সোম মরুৎ বায়ুগণের মধ্যে আছে, তুমি সেই সকল সোমের সঙ্গে মিলিত হয়ে আনন্দে মত্ত হয়।। [আপ্ত্যগণ সর্বব্যাপী মাধ্যমিক রশ্মি – এঁরা সংখ্যায় তিনজন – একত, দ্বিত ও ত্রিত। এঁরা ইন্দ্রের সহচরী হয়ে জলপ্রদানে সহায়তা করেন। এই মন্ত্রে সোম=জল]।। (৩৮৫) হে অধ্বর্যু (=যজ্ঞের এক ঋতি্‌ক), সোমরূপ মদকর অন্নের অতি মদির অংশ ইন্দ্রের জন্য সেচন কর। এইভাবেই সদাবৃদ্ধিশীল বীর ইন্দ্র স্তুত হন।। (৩৮৬) ইন্দ্রের উদ্দেশে সোম সিঞ্চন কর। তিনি সোমময় মধু পান করে থাকেন এবং সোমপানের দ্বারা মহান হয়ে সর্বসিদ্ধিকর ধনসম্পদ প্রেরণ করেন।। (৩৮৭) এস হে বন্ধুগণ শীঘ্র এস, এখনি স্তুতিযোগ্য নায়ক ইন্দ্রকে স্তব করবো, যিনি একাই বিশ্বের সকল মানুষের ঈশ্বর।। (৩৮৮) ইন্দ্রের উদ্দেশে সাম গান কর, মহান জ্ঞানীর উদ্দেশে বৃহৎ সাম গান কর। সেই ধনকারী চৈতন্যময় মহিমান্বিতের উদ্দেশে তোমরা গান কর।। (৩৮৯) যিনি একাই মর্তের মানুষের জন্য ও হব্যদাতার জন্য ধন বিভাগ করে দেন তিনিই অপ্রতিহত ক্ষিপ্র জগৎনিয়ামক ঈশ্বর ইন্দ্র।। (৩৯০) হে বন্ধুগণ, বজ্রধারী ধনাদীশ ইন্দ্রকে এখন সুখের জন্য স্তব করবো। তোমরাও উৎসাহী নায়কশ্রেষ্ঠ ইন্দ্রের স্তুতি কর।।

পঞ্চম খণ্ডঃ মন্ত্রসংখ্যা ৮।।
দেবতা ১।২।৩।৪।৮ ইন্দ্র, ৫।৭ আদিত্যগণ, ৬ অগ্নি।।
ছন্দ ঊষ্ণিক্‌, ৮ বিরাট্‌ ঊষ্ণিক্‌।।
ঋষি ১ প্রগাথ ঘৌর কাণ্ব, ২ ভরদ্বাজ বার্হস্পত্য, ৩ নৃমেধ আঙ্গিরস, ৪ পর্বত কাণ্ব, ৫।৭ ইরিম্বিঠি কাণ্ব, ৬ বিশ্বমনা বৈয়শ্ব, ৮ বসিষ্ঠ মৈত্রাবরুণি।।
মন্ত্রঃ-
(৩৯১) গৃনে তদিন্দ্র তে শব উপমাং দেবতাতয়ে!
যদ্ধংসি বৃত্রমোজসা শচীপতে।।১।।
(৩৯২) যস্য ত্যচ্ছম্বরং মদে দিবোদাসায় রন্ধয়ণ্‌
অয়ং স সোম ইন্দ্র তে সুতঃ পিব।।২।।
(৩৯৩) এন্দ্র নো গধি প্রিয় সত্রাজিদগোহ্য।
গিরির্ন বিশ্বতঃ পৃথুঃ পতির্দিবঃ।।৩।।
(৩৯৪) য ইন্দ্র সোমপাতমো মদঃ শবিষ্ঠ চেততি।
যেনা হংসি ন্যাতত্রিণং তমীমহে।।৪।।
(৩৯৫) তুচে তুনায় তৎ সু নো দ্রাঘীয় আযুজী বসে।
আদিত্যাসঃ সুমহসঃ কৃণোতন।।৫।।
(৩৯৬) বেত্থা হি নিঋর্তীনাং বগ্রহস্ত পরিবৃজম্‌।
অহরহঃ শুন্ধ্যু পরিপদামিব।।৬।।
(৩৯৭) অপামীবামপ স্রিধমপ সেধত দুর্মতিম্‌।
আদিত্যাসো যুষোতনা নো অংহসঃ।।৭।।
(৩৯৮) পিবা সোমমিন্দ্র মন্দতু ত্বা যৎ তে সুষাব হর্ষশ্বাদ্রিঃ।
সোতুর্বাহুভ্যাং সুষতো নার্বা।।৮।।
অনুবাদঃ (৩৯১) হে ইন্দ্র, তোমার বলই তোমার উপমা; সুকর্মলাভের জন্য সেই বলকে স্তব করি, যে বলের দ্বারা হে বলপতি, তুমি মেঘরূপ বৃত্র শত্রুকে হনন করেছ।। (৩৯২) হে ইন্দ্র, সোমপানে মত্ত হয়ে দিবোবাস ঋষির কামনা পূরণের জন্য শম্বর হত্যা করেছিলে; এই সেই সোম তোমার জন্য প্রস্তুত হয়েছে; তুমি তা’ পান কর।। (৩৯৩) হে ইন্দ্র, তুমি সকলের প্রিয়, সকল যজ্ঞজয়কারী, তুমি অগোপনীয় [ইন্দ্র=সূর্য বা বিদ্যুৎ যাকেকেউ গোপন করতে পারে না]; তুমি আমাদের জন্য সকলভাবকে মিশ্রিত কর। তুমি গিরিপর্বতের মত সর্বত্র বিপুল হয়ে বিস্তৃত রয়েছ; তুমি দ্যুলোকের পতি।। (৩৯৪) যে ইন্দ্র সোমের (=জলের) রক্ষক, হর্ষান্বিত, শ্রেষ্ঠবল তিনি সকল কিছু জানেন। তুমি যে শক্তিতে নিঃশেষে শত্রু ধ্বংস কর তোমার সেই বল আমরা যাচ্‌ঞা করি। (৩৯৫) হে সুমহান আদিত্যগণ (বিভিন্ন ঋতুতে সূর্য আদিত্যের বিভিন্নরূপ-আদিত্যগণ), আমাদের সন্তান-সন্তুতিদের প্রিয়ত্বে মিলিতভাবে রাখ, তাদের জীবন দীর্ঘ কর। (৩৯৬) অগ্নি (বা সূর্য=শুন্ধ্যুঃ) যেমন সর্বক্ষণ পাপকে জানেন ও শুদ্ধ করেন (=অগ্নির পবিত্রতা কারকের মত) সেইরূপ হে বজ্রহস্ত ইন্দ্র, তুমিও পাপসমূহের পরিবর্জনীয় অংশকে জান (=তোমার বজ্রের দ্বারা পরিশুদ্ধ কর)।। (৩৯৭) হে আদিত্যগণ, রোগ দূর কর, বিঘ্ন দূর কর, দূর্মতি দূর কর; আমাদের সকল পাপ নাশ কর।। (৩৯৮) হে ইন্দ্র, সোম পান কর; সেই সোম তোমাকে আনন্দিত করুক। অশ্বরশ্মির দ্বারা সকল বস্তুর অভিভবকারী হে, ইন্দ্র, সুন্দরভাবে প্রস্তুত এই সোমকে সংযতস্বভাবযুক্ত মানুষেরা তাঁদের দুই বাহুবলে পেষণের দ্বারা প্রস্তুত করেছেন।।

ষষ্ঠ খণ্ডঃ মন্ত্রসংখ্যা ১০।।
দেবতা ইন্দ্র (৩।৬ মরুদ্‌গণ)।।
ছন্দ ককুপ।।
ঋষি ১-৬, ৯, ১০ সৌভরি কাণ্ব; ৭।৮ নৃমেধ আজিরস।।
মন্ত্র:
(৩৯৯) অভ্রাতৃব্যো অন্য ত্বমনাপিরিন্দ্র জনুষা সনাদসি।
যুধেদাপিত্বমিচ্ছসে।।১।।
(৪০০) যো ন ইদমিদং পুরা প্র বস্য আনিনায় তমু বঃ স্তষে।
সখায় ইন্দ্রমৃতয়ে।।২।।
(৪০১) আ গস্তা মা রিষণ্যত প্রস্থাবানো মাপ স্থাত সমন্যবঃ।
দৃঢ়া চিদ্‌যময়িষ্ণবঃ।।৩।।
(৪০২) আ যাহ্যয়মিন্দবেহ্রশ্বপতে গোপত ঊর্বরাপতে
সোমং সোমপতে পিব।।৪।।
(৪০৩) ত্বয়া হ স্বিদ্‌ যুজা বয়ং প্রতি শ্বসন্তং বৃষভ ব্রুবীমহি।
সংস্থে জনস্য গোমতঃ।।৫।।
(৪০৪) গাবশ্চিদ্‌ ঘা সমন্যবঃ সজাত্যেন মরুতঃ সবন্ধবঃ।
রিহতে ককুভো মিথঃ।।৬।।
(৪০৫) ত্বং ন ইন্দ্রা ভর ওজো বৃম্‌ণং শতক্রতো বিচর্ষণে!
আ বীরং পৃতনাসহম্‌।।৭।।
(৪০৬) অধা হীন্দ্র গির্বণ উপ ত্বা কাম ঈমহে সসৃগ্মহে।
উদেব গ্মন্ত উদ্ধভিঃ।।৮।।
(৪০৭) সীদন্তস্তে বয়ো যথা গোশ্রীতে মধৌ মদিরে বিবক্ষণে।
অভি ত্বামিন্দ্র নোনুমঃ।।৯।।
(৪০৮) বয়মু ত্বামপূর্ব্য স্থূরং ন কচ্চিদ্‌ ভরন্তোহবস্যবঃ।
বজ্রিং চিত্রং হবামহে।।১০।।
অনুবাদ:
(৩৯৯) হে ইন্দ্র, বাস্তবিক তুমি শত্রুহীন, আর জন্মবধি তুমি বন্ধুহীন। তুমি কেবল যুদ্ধের দ্বারাই বন্ধুত্ব লাভ করতে ইচ্ছা কর।
(৪০০) যিনি এই সমস্ত ধন পুরাকাল থেকে আমাদের জন্য এনে দিয়েছেন, হে সখাগণ, সেই ইন্দ্রকে তোমাদের মঙ্গলকামনায় স্তব করি।।
(৪০১) হে মরুদ্‌গণ, তোমরা এস, আমাদের হিংসা কোরো না। তোমরা ক্ষিপ্রগামী, পরিমিত দীপ্তিশালী এবং সকলেই একই সময়ে উৎপন্ন; তোমরা দৃঢ় হলেও নমনীয়।।
(৪০২) হে অশ্বপতি, হে গোপতি, হে ঊর্বরাপতি, হে সোমপতি, তোমার জন্য প্রস্তুত সোমকে পান করার জন্য এস।।
(৪০৩) হে কামবর্ষিতা, তোমার দ্বারা তোমার সাথে মুক্ত হলে পরে আমরা বিদ্বান ব্যক্তির সমাবেশে প্রতিজনের কাছে তোমার কথাই বলি।।
(৪০৪) হে মরুৎগণ, রশ্মিগণও তোমার স্বজাতি বলে একই সময়ে উৎপন্ন এবং তোমরা সমানবন্ধু হয়ে আকাশে মিলিত হয়ে পরস্পর পরস্পরকে লেহন কর।।
(৪০৫) হে শতকর্মা বিশ্বদ্রষ্টা ইন্দ্র, আমাদের জন্য ধন ও বল আন। আর আন শত্রুজিৎ বীরদের।।
(৪০৬) হে ইন্দ্র, হে স্তুতিপ্রিয়, জল যেমন জলে গিয়ে মেশে তেমনি তোমার কাছে যে কাম্যবস্তু যাচ্‌ঞা করি তাই আবার তোমাকে উৎসর্গ করি।।
(৪০৭) তোমার কিরণরাশি যখন অতি বিস্তৃত দুগ্ধমিশ্রিত মদির সোম মধুপানে মত্ত থাকে (=জলরাশি সৃষ্টিতে ব্যাপৃত থাকে) আমরাও সেরূপ হে ইন্দ্র, বারবার তোমা অভিমুখে নত হয়ে আসি।।
(৪০৮) হে অপূর্ব্য (=যার পূর্বে কেউ জন্মে নি) ইন্দ্র, আমরা তোমাকে বিপুল মনে করে আমাদের রক্ষার জন্য তোমার কাছে নত হয়ে আসি নি। আমরা তোমাকে বজ্রধারী ও বিচিত্রলীলাকারীরূপে পূজা করি।

(C) https://www.ebanglalibrary.com
Share:

Total Pageviews

বিভাগ সমুহ

অন্যান্য (91) অবতারবাদ (7) অর্জুন (4) আদ্যশক্তি (68) আর্য (1) ইতিহাস (30) উপনিষদ (5) ঋগ্বেদ সংহিতা (10) একাদশী (10) একেশ্বরবাদ (1) কল্কি অবতার (3) কৃষ্ণভক্তগণ (11) ক্ষয়িষ্ণু হিন্দু (21) ক্ষুদিরাম (1) গায়ত্রী মন্ত্র (2) গীতার বানী (14) গুরু তত্ত্ব (6) গোমাতা (1) গোহত্যা (1) চাণক্য নীতি (3) জগন্নাথ (23) জয় শ্রী রাম (7) জানা-অজানা (7) জীবন দর্শন (68) জীবনাচরন (56) জ্ঞ (1) জ্যোতিষ শ্রাস্ত্র (4) তন্ত্রসাধনা (2) তীর্থস্থান (18) দেব দেবী (60) নারী (8) নিজেকে জানার জন্য সনাতন ধর্ম চর্চাক্ষেত্র (9) নীতিশিক্ষা (14) পরমেশ্বর ভগবান (25) পূজা পার্বন (43) পৌরানিক কাহিনী (8) প্রশ্নোত্তর (39) প্রাচীন শহর (19) বর্ন ভেদ (14) বাবা লোকনাথ (1) বিজ্ঞান ও সনাতন ধর্ম (39) বিভিন্ন দেশে সনাতন ধর্ম (11) বেদ (35) বেদের বানী (14) বৈদিক দর্শন (3) ভক্ত (4) ভক্তিবাদ (43) ভাগবত (14) ভোলানাথ (6) মনুসংহিতা (1) মন্দির (38) মহাদেব (7) মহাভারত (39) মূর্তি পুজা (5) যোগসাধনা (3) যোগাসন (3) যৌক্তিক ব্যাখ্যা (26) রহস্য ও সনাতন (1) রাধা রানি (8) রামকৃষ্ণ দেবের বানী (7) রামায়ন (14) রামায়ন কথা (211) লাভ জিহাদ (2) শঙ্করাচার্য (3) শিব (36) শিব লিঙ্গ (15) শ্রীকৃষ্ণ (67) শ্রীকৃষ্ণ চরিত (42) শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু (9) শ্রীমদ্ভগবদগীতা (40) শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা (4) শ্রীমদ্ভাগব‌ত (1) সংস্কৃত ভাষা (4) সনাতন ধর্ম (13) সনাতন ধর্মের হাজারো প্রশ্নের উত্তর (3) সফটওয়্যার (1) সাধু - মনীষীবৃন্দ (2) সামবেদ সংহিতা (9) সাম্প্রতিক খবর (21) সৃষ্টি তত্ত্ব (15) স্বামী বিবেকানন্দ (37) স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (14) স্মরনীয় যারা (67) হরিরাম কীর্ত্তন (6) হিন্দু নির্যাতনের চিত্র (23) হিন্দু পৌরাণিক চরিত্র ও অন্যান্য অর্থের পরিচিতি (8) হিন্দুত্ববাদ. (83) shiv (4) shiv lingo (4)

আর্টিকেল সমুহ

অনুসরণকারী

" সনাতন সন্দেশ " ফেসবুক পেজ সম্পর্কে কিছু কথা

  • “সনাতন সন্দেশ-sanatan swandesh" এমন একটি পেজ যা সনাতন ধর্মের বিভিন্ন শাখা ও সনাতন সংস্কৃতিকে সঠিকভাবে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য অসাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে গঠন করা হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য নিজের ধর্মকে সঠিক ভাবে জানা, পাশাপাশি অন্য ধর্মকেও সম্মান দেওয়া। আমাদের লক্ষ্য সনাতন ধর্মের বর্তমান প্রজন্মের মাঝে সনাতনের চেতনা ও নেতৃত্ত্ব ছড়িয়ে দেওয়া। আমরা কুসংষ্কারমুক্ত একটি বৈদিক সনাতন সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এ পথচলায় আপনাদের সকলের সহযোগিতা কাম্য । এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। সনাতন ধর্মের যে কেউ লাইক দিয়ে এর সদস্য হতে পারে।